আজ বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪

Advertise

ফাহিমের ক্রসফায়ার; মিথ্যার দশ পিঁপড়া

মাসকাওয়াথ আহসান  

মাদারীপুরের কলেজ শিক্ষক রিপন চক্রবর্তীকে হত্যা প্রচেষ্টার আসামী ফাহিমকে কথিত ক্রসফায়ারে হত্যার ঘটনাটি একটি পুলিশি রাষ্ট্রের বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের নিকৃষ্টতম দৃষ্টান্ত তৈরি করলো। এই ফাহিমকে পুলিশ নিজে ধরতে পারেনি; নিঃসন্দেহে ধরতে চায়নি। কারণ প্রকৃত আসামীকে গ্রেফতার করলে স্বাভাবিকভাবেই নেপথ্যের আসামী বা হত্যার হুকুমদাতাদের ধরে পড়ে যাবার আশংকা তৈরি হয়। মাদারীপুরের সাধারণ মানুষের সাহসিকতায় ফাহিম ধরা পড়ে। এরপর আদালত ফাহিমের দশদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।

এই দশটি দিন পুলিশ চেয়ে নিয়েছিলো; মিথ্যার দশ পিঁপড়ার গল্প সাজাতে। গ্রেফতারের পরপরই পুলিশের নব্য প্রতিষ্ঠান কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের প্রধান মিডিয়ার সামনে তার সারাজীবনে রপ্ত করা পিঁপড়াবিদ্যার আলোকে মিডিয়াকে জানিয়ে দেন তাদের তৈরি করা গল্পের প্লটটি; “মোসাদ” এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশনা দিয়েছে। এটি যেহেতু নেহাত গল্প; তাকে সত্যের ভিত্তি দিতে ফাহিমকে হত্যা করা পুলিশের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের জন্য খুবই জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছিলো; এটি স্বাভাবিক বুদ্ধির যে কোন মানুষই বুঝতে পারার কথা।

ফাহিমের যে বয়স, তাতে সে যে নেহাত এই মিথ্যার দশ পিঁপড়ার গল্পের খুব ছোট খাট চরিত্র এটা স্পষ্ট। তার পেছনের কুশীলবরাই এই গল্পের মুখ্য চরিত্র। সে চরিত্র জামায়াতের লোক হতে পারে, বিএনপির লোক হতে পারে, আওয়ামী লীগ ও তার গোয়েন্দা সংস্থার লোক হতে পারে। ফাহিমকে দশদিন জিজ্ঞাসাবাদ করলে সেটা বেরিয়ে আসতে পারতো। আদালত সেকারণেই রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলো। কিন্তু পুলিশের কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের প্রধানের তৈরি করা মিথ্যার পিঁপড়া বিদ্যার গল্প অনুযায়ী এই সব কুয়াশা স্পষ্ট না করে “মোসাদে’র ভুতটি জনমনে রেখে দেয়া খুবই জরুরী ছিলো। যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স কর্মকর্তার বলা, “ফাহিমের কাছে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে; মোসাদের নির্দেশনায় জামায়াতের আয়োজনে ফাহিম ঐ হত্যাকাণ্ড ঘটাতে গিয়েছে;” এই ন্যারেটিভটিকে প্রতিষ্ঠিত করার সম্ভাবনা খুঁজে না পাওয়ায় বরং ক্ষমতাকাঠামোর মাঝে বসবাসকারী কোন দেশজ “বড় ভাইয়ের” নাম বেরিয়ে আসার আশংকা তৈরি হওয়ায় তাকে হত্যা করা ছাড়া আর কোন পথ খোলা ছিলো না পুলিশি রাষ্ট্রের খুনে বাহিনীর।

পাকিস্তান এবং ভারতে গোয়েন্দা সংস্থা নিজেদের প্রাসঙ্গিকতা ও গুরুত্ব ধরে রাখতে কিছু হত্যাকাণ্ড ঘটায়। সেক্ষেত্রে তারা খুনি হিসেবে ভাড়া করে বাজারে সস্তায় বিরাজমান কথিত ইসলামী জঙ্গিদের। এতে কখনো কখনো ক্ষমতাসীনের ইন্ধন থাকে। কখনো গোয়েন্দা সংস্থা সন্ত্রাস দমনে তাদের ব্যর্থ অপেশাদারিত্ব ঢাকতে নিজেরাই এরকম অপরাধ সংঘটিত করে। অর্থাৎ নিজেরাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে কথিত অপরাধীকে ক্রসফায়ারে হত্যার গল্প লিখে সরকার ও জনগণের বাহবা নেয়।

দায়িত্বশীল পুলিশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পত্রিকায় হত্যা ঝুঁকিতে থাকা কিছু ব্যক্তির নাম ছেপে দেবার ঘটনার পর এমন আশংকা তৈরি হয়েছিলো; বাংলাদেশের কোন কোন গোয়েন্দা সংস্থা “পাকিস্তান-ভারত” মডেলে নিজেদের গুরুত্ব তৈরি করতে “মিথ্যার দশ পিঁপড়ার” বহু ব্যবহারে জীর্ণ অপকর্মগুলো ঘটাতে পারে। এরপর ঘটে যাওয়া ধারাবাহিক হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জামাত কারোরই কোন লাভালাভ ঘটেনি। আওয়ামী লীগ সরকার হিসেবে ব্যর্থ প্রমাণিত হবার মুখে; আর বিএনপি-জামাত যেহেতু জঙ্গিবাদের চেনা পৃষ্ঠপোষক; সমস্ত সন্দেহের তীর তাদের দিকে। এইসব হত্যাকাণ্ডের সরাসরি বেনিফিশিয়ারী পুলিশ বিভাগ। যাদের মহাপরিদর্শক সামরিক বাহিনীর প্রধানদের পদ-মর্যাদার সমান্তরাল তারা ঝুলিয়েছেন কাঁধে, বুক পকেটের ওপরে। বিশাল বাজেটে তৈরি হয়েছে কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স ইউনিট; এর প্রধান পত্র-পত্রিকায় আবেগী সাক্ষাতকার দিয়ে লাইম লাইটে এসেছেন; তার মা তাকে এই বিশাল পদে আসার অনুপ্রেরণা দিয়েছেন; একথা বলতেই অনেক মানুষ কেঁদে বুক ভাসিয়েছেন। আহারে দরিদ্র মায়ের শ্যামল-বর্ণ জীর্ণ-শীর্ণ ছেলেটি আজ এতো বিশাল পদ অলংকৃত করেছেন। এইখানে ঐ কর্মকর্তার সেলিব্রেটি হবার বাতিক ও উচ্চাভিলাষ আরো স্পষ্ট হয়েছে। অথচ যেসব দেশে পেশাদারিত্বর সঙ্গে সন্ত্রাস মোকাবেলা করা হয়; বা পৃথিবীর অন্য কোন দেশেই কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স প্রধান এভাবে শোবিজের তারকা হতে চায়না। কারণ সেটি বাস্তবসম্মত। যারা রাষ্ট্রের স্পর্শকাতর দিকগুলো দেখভাল করেন; তারা হন নেপথ্য কর্মী।

বাংলাদেশে কথিত সন্ত্রাসবাদের উত্থানটি আসলেই ঘটেছে; নাকি কোন কোন মহল নিজেদের সরকারের জন্য ইনডিসপেনসিবল করে তোলার জন্য এরকম মিথ্যার দশ পিঁপড়ার মহাকাব্য রচনা করে চলেছে তা খুঁজে বের করা খুবই জরুরী। কারণ সরকার রাষ্ট্রিক উন্নয়নে যথেষ্ট সাফল্য দেখিয়েছে। কোন সুস্থ মস্তিষ্কের সরকার চাইবে না নিজেই দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে। অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের মৃত্যুদণ্ড হয়ে যাওয়ায় তাদের সামর্থ্য জঙ্গিবাদের ঢেউ তৈরির জন্য যথেষ্ট নয় বলেই কমনসেন্স বলে। কমনসেন্স এও বলে বিএনপির সাংগঠনিক সামর্থ্য শূন্যের কোঠায়। এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজনৈতিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবেলার সব রকম চেষ্টা চালিয়ে ওলামা-হেফাজতের মত গজিয়ে ওঠা অনুভূতিপ্রবণ ধর্মভিত্তিক দলগুলোর ভারসাম্য ধরে রেখেছেন। সম্প্রতি শান্তিপ্রিয় আলেমদের সম্মতি সম্বলিত “জিহাদ ও জঙ্গিবাদ” বিরোধী বিবৃতিও প্রস্তুত করা হয়েছে সংঘর্ষ প্রশমন ও শান্তিস্থাপনের লক্ষ্য সামনে রেখে। ঠিক তখন জনগণের ধরে দেয়া ক্ষুদে অপরাধী ফাহিমকে ক্রসফায়ারে হত্যা সরকারকে আরো বিপদে ফেলার রেসিপি। এটি ক্ষমতাকাঠামোর মধ্যেই বহাল তবিয়তে বিরাজমান কতিপয়ের ইচ্ছাকৃত “হত্যাকাণ্ড”; তা স্পষ্ট।

এর কারণ পুলিশ যাদের গ্রেফতার করে এরা বিএনপি-জামাতের আমলে সাজানো “জজমিয়া” নাটক; এটা আজ জনমনে প্রতিষ্ঠিত সত্য। সুতরাং জনগণের ধরে দেয়া আসামীর গুরুত্ব নিঃসন্দেহে সবচেয়ে বেশী। সুতরাং ফাহিমের কাছ থেকে পাওয়া (পড়ুন পুলিশের বানিয়ে বলা) কথিত মোসাদের সম্পৃক্ততার মিথ্যা বয়ানটিকে বাঁচিয়ে রাখতেই যে ফাহিমকে হত্যা করতে হয়েছে; এ ব্যাপারে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। সাম্প্রতিক সময়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতার চেয়ে বেশী রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে দেখা গেছে পুলিশের কতিপয় কর্মকর্তাকে। তারা সরকারকে তাদের অঙ্গুলি হেলনে পরিচালনার উচ্চাভিলাষ পোষণ করে এটা খুবই স্পষ্ট। এরসঙ্গে সরকারের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে কাজ করা কারো কারো সম্পৃক্ততা অধিকতর তদন্তে বেরিয়ে আসার আশংকা নাকচ করে দেয়া যায়না। কারণ সরকারী চাকুরীবিধি অনুসারে সরকারের কোন কর্মকর্তার রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান/ভোজসভা ছাড়া আর কোথাও নাগরিক সমাজের সঙ্গে উষ্ণতা বিনিময়ের সুযোগ নেই। অথচ একজন পুলিশ কর্মকর্তার পদোন্নতিতে আনন্দে আলুথালু একটি পতিত সাংবাদিক গোষ্ঠীর সোশালাইটদের ঢাকা ক্লাবে পার্টি থ্রো করতে দেখা গেছে; সেখানে ঐ পুলিশের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের একজন কর্মকর্তাকেও দেখা যায়। প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে এদেরও প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিজের গুরুত্ব ধরে রাখতে গ্যাং পোষার অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে দেখা গেছে। এ যেন আইনের শাসনহীন মেক্সিকোসিটি!

আগে রাজনৈতিক নেতাদের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে তোরণ নির্মাণের চল ছিলো; যেটি যথেষ্ট সমালোচিত একটি অপসংস্কৃতি। সম্প্রতি কিছু পুলিশ কর্মকর্তার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনে তোরণ নির্মাণের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অর্থাৎ কথিত জঙ্গিদের ঘটানো হত্যাকাণ্ডের নাটকগুলো পুলিশকে ক্ষমতার বৃহত্তর অংশীদারিত্ব দিয়েছে। ক্ষমতার কাঁচা মাংসের স্বাদ পেয়ে ফ্রাংকেন্সটাইন হয়ে ওঠা কিছু উচ্চাভিলাষী পুলিশ কর্মকর্তার সাম্প্রতিকতম নরমাংসভোজনের শিকার “ফাহিম”। মূল অপরাধীর কাছে পৌঁছে যাবার “সম্ভাবনাটি”র এই হত্যাকাণ্ড আসলে সন্ত্রাসবাদের জুজুটিকে জিইয়ে রেখে অর্থ-ক্ষমতা-বায়স্কোপে সাক্ষাতকার দিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের চেয়ে এগিয়ে থাকার নির্মম চিত্রনাট্য। ফাহিমের ক্রসফায়ারের যে গল্পটি সাজানো হয়েছে এই গল্পটি এর আগে সহস্রবার বলা মিথ্যা তুই দশ পিঁপড়ার গল্প। এটি এতোবার ব্যবহৃত এবং বহু ব্যবহারে জীর্ণ যে আজ কোন পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রও বিশ্বাস করবে না, পুলিশ রিমান্ডে বুলেট প্রুফ জ্যাকেট পরে কথিত রূপকথার অভিযানের গল্পের সহগামী ফাহিম ক্রসফায়ারে মারা গেছে।

ফাহিম বা অপরাধের উৎসে পৌঁছানোর সম্ভাবনাকে হত্যা করা প্রধানমন্ত্রীকে বিপাকে ফেলে নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে উদ্যত “একটি মহলের” যৌথ প্রযোজনায় চিত্রায়িত “প্রধান ষড়যন্ত্র”; নানারকম ষড়যন্ত্রসূত্র ফেঁদে সংকট ও ব্যবসা জিইয়ে রাখার হীনচেষ্টা।

খুব স্বাভাবিকভাবেই জনমানুষ প্রধানমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এর বিচার চাইবেন। ফাহিমের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা আদালতকেও এই ঘটনার দায়ভার নিতে হবে। কিন্তু কথা-বার্তার জমা খরচায়; টিভি টকশোতে পতিত সাংবাদিকদের ধামাচাপাশৈলীতে হারিয়ে যেতে দেয়া যাবে না ফাহিমকে হত্যা করে বৃহত্তর অপরাধ ও বৃহত্তম অপরাধীদের আড়াল করার এই দেশ বিরোধী চক্রান্তটিকে। যদি প্রধানমন্ত্রী এই সুনির্দিষ্ট অপরাধটির তদন্ত বিশ্বাসযোগ্য পেশাদার লোকদের দিয়ে করে ঘটনাটি ঘটানোর হোতাদের গ্রেফতার করে মৃত্যুদণ্ড না দেন; তাহলে এযুগের ধারাবাহিক মানবতা বিরোধী অপরাধীদের পিঁপড়াবিদ্যায় বাংলাদেশ কাল্পনিক ষড়যন্ত্রসূত্রের জুজুর আলেয়ায় পথ হারাবে; এরপর একদিন অকস্মাৎ মিথ্যার চোরাবালিতে নিমজ্জিত হবে।

মাসকাওয়াথ আহসান, সাংবাদিক, সাংবাদিকতা শিক্ষক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৮ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০৪ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৮ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ