আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

গুলশানে জঙ্গি হামলা ও মিডিয়ার ভূমিকা

রেজা ঘটক  

শুক্রবার রাতে গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের হলি আর্টিজান বেকারিতে সশস্ত্র জঙ্গি হামলার ঘটনায় বাংলাদেশের মিডিয়া আবারো নতুন করে যে সংশয় সৃষ্টি করলো, সেটি এখনই অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনার নেবার সময় হয়েছে। প্রকারান্তরে বাংলাদেশের মিডিয়া গতকালের ঘটনায় জঙ্গিদের সরাসরি সহযোগিতায় মেতে উঠেছিল। সেই মেতে ওঠার পেছনে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও ছিল, আবার নিজেদের আরটিপি রেট বাড়ানোর উদ্দেশ্যের পাশাপাশি, বিদেশী বুর্জোয়া মিডিয়ার কাছে ফুটেজ বিক্রি'র ব্যবসাও লুকিয়ে ছিল।

প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো জঙ্গিদের জন্য বাইরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোথায় কীভাবে অবস্থান তার একেবারে নিখুঁত বর্ণনা দিয়ে এমনভাবে সহযোগিতা করছিল যে, সাংবাদিকতার ন্যুনতম ইথিক্স এরা মোটেও পালন করেনি। হয় এরা আদৌ বুঝতেই পারেনি যে তাদের এই সরাসরি সম্প্রচার সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করছে জঙ্গিদের, অথবা এরা ইচ্ছাকৃতভাবেই বিদেশী সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোকে বাংলাদেশের জঙ্গিদের অবস্থা প্রমাণ করার প্রতিযোগিতায় নেমেছিল।

সেই সুযোগ নিয়ে সিএনএন, বিবিসি, আল-জাজিরা মেতে উঠেছিল বাংলাদেশে জঙ্গি রয়েছে সেই ঘোষণায়। বাংলাদেশের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিদেশী এসব সাম্রাজ্যবাদী মিডিয়াগুলো'র কাছে ফুটেজ বিক্রি'র ব্যবসা করে, সেই ঘটনা মোটেও পুরনো নয়। গতকাল রাতেও কয়েকটি প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল ফুটেজ বিক্রি'র প্রতিযোগিতায় নেমেছিল। ভালো করে খোঁজ নিলে তা বেরিয়ে আসবে!

গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারি একটি স্প্যানিশ রেস্তোরা। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশীদের খুবই প্রিয় একটি রেস্টুরেন্ট এটি। সশস্ত্র জঙ্গিরা রাত পৌনে নয়টায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে রেস্তোরায় থাকা সবাইকে জিম্মি করে। গুলশান নর্থ এভিনিউ থেকে ৭৯ নম্বর সড়কের একেবারে মাথায় গুলশান লেকের পাড়ে হোলি আর্টিজান বেকারির অবস্থান।

যার দক্ষিণ ও উত্তর পাশে নর্ডিক ক্লাব, ৭৯ নম্বর সড়কের শুরুতে রাশিয়ান অ্যাম্বাসি, তারপর কাতার অ্যাম্বাসি, কাতার অ্যাম্বাসির উল্টোপাশে ডাচ ক্লাব (নেদারল্যান্ড রিক্রিয়েশন সেন্টার), ডানপাশে ইরানি অ্যাম্বাসি, ঠিক পেছনের ৮৪ নম্বর সড়কের উত্তর পাশে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন ও দক্ষিণ পাশে জার্মান অ্যাম্বাসি, তারপর সৌদি অ্যাম্বাসি, তারপর পোল্যান্ড অ্যাম্বাসি। হোলি আর্টিজান বেকারির পূর্বপাশে গুলশান লেক। কিন্তু ৭৯ নম্বর সড়ক দিয়ে লেকের পাড়ে যাওয়া যায় না। ওটা অনেকটা কানা গলি। আবার উত্তর-দক্ষিণ বরাবর ৭৫ নম্বর সড়ক দিয়ে সোজা উত্তর দিকে ইউনাইটেড হাসপাতালের সামনে গেলে সেখান থেকে লেকের পাড়ে যাওয়া যায়। অর্থাৎ গুলশানের ঠিক যে জায়গায় হোলি আর্টিজান বেকারির অবস্থান, সেখানে যাওয়ার অনেক উপায় আছে।

ইউনাইটেড হাসপাতালের পেছনে বারিধারা ডিওএইচএস যাবার মুখে পুলিশের চেক পয়েন্ট রয়েছে। আবার গুলশান লেকের ব্রিজের গোরায় বারিধারার জাতিসংঘ সড়কের সামনে পুলিশের চেক পয়েন্ট রয়েছে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা গুলশান লেকের পাড়ের রাস্তা দিয়ে অনায়াসে পুলিশের চেক পয়েন্ট এড়িয়ে ঘটনাস্থলে যেতে সক্ষম। আবার গুলশান মেইন রোড দিয়ে গুলশান নর্থ এভিনিউ ধরে ৭৯ নম্বর সড়ক দিয়েও পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়া বিচিত্র কিছু না। কারণ ৯০ নম্বর সড়কের মুখ থেকে রিক্সায় করে পুলিশের নজরদারি এড়িয়েও ওদিকে যাওয়া বিচিত্র কিছু না।

প্রতিটি অ্যাম্বাসির সামনে যে সকল পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করেন, সাধারণত তারা কেউ পথচারীদের চেক করেন না। কেবলমাত্র টহল পুলিশ ও পুলিশের চেক পয়েন্ট এড়িয়ে ওই ঘটনাস্থলে জঙ্গিদের পৌঁছানোটা একেবারে তাই মামুলি ব্যাপার। আর জঙ্গিরা সেই সুযোগটি নিয়েছে। সাধারণত জঙ্গিরা কোথাও কোনো অপারেশন করার আগে ঘটনাস্থল ভালো করে বেশ কয়েকবার রেকি করে নেয়। আর গতকালের ঘটনায় জঙ্গিরা কোনো ধরনের বাধা না পেরিয়ে রেস্তোরায় পৌঁছানোর মানে হলো তারা সফলভাবে সশস্ত্র অবস্থায় সেখানে পৌঁছাতে পেরেছিল।

যে চারজন জাপানিকে ওই রেস্তোরায় নামিয়ে দিয়ে বাইরে তাদের গাড়ির ড্রাইভার অপেক্ষা করছিলেন, তিনিই প্রথম জঙ্গিদের হামলার শিকারে পড়েন। কারণ জঙ্গিরা রেস্তোরায় ঢোকার মুহূর্তে গোলাগুলি করেছে। পাশের রাস্তার টহল পুলিশ ওই ড্রাইভারকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে সেদিকে গেলে তারাও জঙ্গিদের হামলার শিকার হন। তারপর ঘটনাস্থলে যায় থানা পুলিশ।

ঘটনার শুরু রাত পৌনে নয়টায়। তারমানে ঘটনাস্থলে গুলশান থানার পুলিশের যেতে আরো পনের থেকে বিশ মিনিট লেগেছে। ততক্ষণে রেস্তোরার ভেতরে অবস্থিত সবাই জঙ্গিদের কাছে জিম্মি। প্রথম গোলাগুলির সময় রেস্তোরার বাইরে জাপানিদের ড্রাইভার গুলিবিদ্ধ হন। পরে পুলিশ যে ভুলটি করেছে, পুলিশ নরমাল ওয়েতে সেখানে গিয়ে অনেকটা নাটকে অভিনয় করার মত সবাইকে কাছে গিয়ে বলেছে যে, ভেতরে যারা আছেন বাইরে বেরিয়ে আসেন! জঙ্গিরা সেই সুযোগে বৃষ্টির মত গুলিবর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করেছে। যে কারণে পুলিশের সেই দলের প্রায় সবাই আহত হয়েছেন। সেই দলের একেবারে সামনের দিকের সদস্য বনানী থানা'র ওসি সালাউদ্দিন ও ডিবি'র এসি রবিউল গুরুতর আহত হন। পরে ওনারা হাসপাতালে মারা যান। পুলিশ আসলে ধারণাই করতে পারেনি যে জঙ্গিরা এতোটা সংগঠিত। শুরুতে পুলিশের ভুলটা সেখানেই হয়েছে।

এরপর ঘটনাস্থলে যথারীতি মিডিয়া হাজির হয়েছে। কোনো কোনো প্রাইভেট টেলিভিশন চ্যানেল দেখানো শুরু করেছে বাইরে কোথায় কীভাবে পুলিশ র্যাব অবস্থান নিয়েছে, পুলিশের কতজন আহত হয়েছে, কতজন নিহত হয়েছে ইত্যাদি। এসব ঘটনা জঙ্গিরা রেস্তোরার টেলিভিশনে দেখেছে। অথবা তাদের মোবাইল ফোনে দেখেছে। কারণ জঙ্গিদের সঙ্গে ইন্টারনেট কানেকশান ছিল। তারা ভেতর থেকে ছবি ইন্টারনেটে পোস্ট পর্যন্ত করেছে!

র‍্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ যখন মিডিয়ার কাছে অনুরোধ করলেন, তারপরেও কোনো কোনো টেলিভিশন চ্যানেল তা মানেনি। বরং তারা ঘটনাস্থলের নিখুঁত বর্ণনা দিচ্ছিল। কোথায় কীভাবে নিরাপত্তা বাহিনী অবস্থান নিয়েছে, তারা কতোটা সাঁজোয়া, কতোটা সুসজ্জিত, এসব এরা বর্ণনা করেছে। যা একটি সফল অপারেশনের জন্য জঘন্য অপরাধ। কারণ এতে করে জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীর সব ধরনের কৌশল সম্পর্কে আগেই ধারণা পাচ্ছিল এসব মিডিয়ার কল্যাণে।

পুলিশের এখন খতিয়ে দেখা উচিত গতকাল রাতে কোন কোন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন, বিবিসি ও আল-জাজিরার কাছে সরাসরি সম্প্রচারের ফুটেজ বিক্রি করেছে! মিডিয়া এই ঘটনায় এভাবে ইনভলভ না হলে সেনাবাহিনী'র পরিচালিত অপারেশন থান্ডার বোল্ট আরো আগেই পরিচালনা করা সম্ভব হতো। এমন কী অপারেশনের আগে যখন মিডিয়ার লোকজনকে আরো দূরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তখনও এরা প্রচার করতে ছিল, গুলশান লেক দিয়ে নৌবাহিনী'র কমান্ডো টিম কীভাবে কোনদিকে যাচ্ছে!

এসব মিডিয়ার কার্যকলাপ মূলত জঙ্গিদের আলটিমেটলি হেলপ করেছে। মিডিয়ায় প্রচারিত তথ্যের কারণে জঙ্গিদের যে এসকেপ করার আর কোনো সুযোগ নেই, এটা যখন ওরা বুঝতে পেরেছে, তখন ওরা খুন করতে মেতে উঠেছে! যে কারণে গতকালের জঙ্গি হামলার ঘটনায় আমাদের মিডিয়া পরোক্ষভাবে জঙ্গিদের ভয়ংকরভাবে সহযোগিতা করেছে। যা সাংবাদিকতার কোনো ইথিক্সে পড়ে না।

সরকারের উচিত, যে সকল মিডিয়া নিরাপত্তা বাহিনীর অনুরোধ সত্ত্বেও এই অপকর্মটি কনটিনিউ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া। পাশাপাশি ভবিষ্যতে কোন অনুষ্ঠান এরা লাইভ টেলিকাস্ট করতে পারবে, সেজন্য যথাযথ আইন প্রণয়ন করা। গতকালের ঘটনায় বাংলাদেশের মিডিয়া সুস্পষ্টভাবে জঙ্গিদের সহযোগিতা করেছে। যার সকল ফুটেজ এবং নিউজ পুলিশ ইচ্ছে করলেই এখনো উদ্ধার করতে পারবে!

ধন্যবাদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও অপারেশন থান্ডার বোল্টের সকল সদস্যসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত সবাইকে। গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার প্রেক্ষিতে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে পরিচালিত অপারেশন থান্ডার বোল্ট সফল হয়েছে।

১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ৬ জঙ্গি নিহত হয়েছে। ১ জঙ্গিকে জীবিত ধরা হয়েছে। আহতদের সিএমএইচ-এ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে অপারেশন থান্ডার বোল্ট শুরু করে মাত্র ১৩ মিনিটে ৬ জঙ্গিকে ধরাশায়ী করে রেস্তোরার নিয়ন্ত্রণ নেয় সেনাবাহিনী'র প্যারা কমান্ডোরা। সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে মূল অপারেশন সফলভাবে সমাপ্ত হয়। এই অপারেশনে সেনাবাহিনী বা সহযোগী অন্যান্য বাহিনী'র কেউ আহত বা নিহত হয়নি।

এর আগে জঙ্গিরা রাতেই ওই রেস্তোরায় ২০ জন জিম্মিকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ঘটনা সামাল দিতে গিয়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত ও ২০ জন আহত হয়।

যে মিডিয়া আমাদের রাষ্ট্রের জন্য হুমকি, যে মিডিয়া রাষ্ট্রীয় অনুরোধ উপেক্ষা করে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির সহযোগী হয়ে জঙ্গিদের সহযোগিতা করে, তাদের উদ্দেশ্য কিন্তু সুস্পষ্ট। সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলো যারা বাংলাদেশে আইএস আছে অজুহাতে সহযোগিতার নামে ঢাকায় তাদের সৈন্য পাঠাতে একপায়ে খাঁড়া, তাদের পার্পাস সার্প করেছে আমাদের এসব তথাকথিত অশিক্ষিত মিডিয়া। এদের এখনই বিচারের আওতায় আনা উচিত। নইলে এরাই বাংলাদেশের জন্য মরণ ফাঁদ তৈরি করার জন্য অপেক্ষা করছে। এরা জঙ্গিদের কীভাবে সহযোগিতা করছে, নিজেরাই হয় জানে না নতুবা টাকার বিনিময়ে এরা এই এজেন্ডা নিয়েছে।

ধিক বাংলাদেশের অশিক্ষিত মিডিয়ার হলুদ সাংবাদিকতা। ধিক জঙ্গিদের সহযোগীদের, শতধিক!!

২ জুলাই, ২০১৬

রেজা ঘটক, সাহিত্যিক, নির্মাতা

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ