আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

গুলশানে জঙ্গি হামলা ও আমাদের করণীয়

ফরিদ আহমেদ  

বাংলাদেশের ইতিহাসের জঙ্গি আক্রমণের সবচেয়ে রুদ্ধশ্বাস, রক্তাক্ত এবং করুণ ঘটনা ঘটে গেল গতকাল (জুলাই ১, ২০১৬)। ঢাকার সবচেয়ে অভিজাত এলাকা গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে রাত নয়টার দিকে একদল জঙ্গি অস্ত্রসহ ঢুকে পড়ে বিদেশিসহ বেশ কিছু মানুষকে জিম্মি করে ফেলে। বেকারির সুপারভাইজার সুমন রেজা রাত দশটার দিকে ওখান থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়। তাঁর তথ্য অনুযায়ী আট থেকে ১০ জন যুবক হঠাৎ সেখানে ঢুকে পড়ে এবং আল্লাহ আকবর শ্লোগান দিয়ে গুলি ও বোমা বিস্ফোরণ শুরু করে বলে। হামলাকারীদের হাতে ছোরা, আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য অস্ত্র ছিল বলে জানান তিনি। রেস্তোরার ভিতরে অনেক বিদেশি লোক ছিল, সেটাও তাঁর কাছে থেকেই জানা যায়। তিনি বলেন, “শব্দ শোনার পর হোটেলে অবস্থানরত অন্তত ২০ জন বিদেশি অতিথি টেবিলের নিচে আশ্রয় নেন।”

এই ধরনের ঘটনা বিশ্বের নানা দেশে গত কয়েক বছর ধরে ইসলামি জঙ্গিরা করে আসলেও, বাংলাদেশে এটা প্রথম। বাংলাদেশে এর আগেও জঙ্গি হামলা হয়েছে, যদিও আমাদের সরকার তা  কখনও স্বীকার করে নাই। কিন্তু, এভাবে মানুষকে জিম্মি করার ঘটনা এটাই প্রথম। প্রথম হবার কারণে বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষী বাহিনীও অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়ে গিয়েছিল। ঠিক কীভাবে সামাল দেবে, কিংবা পরিস্থিতি আদৌ কতটা গুরুতর, সেটা শুরুতেই তারা বুঝে উঠতে পারে নি।

জিম্মি নাটকের শুরুতে পুলিশ এটাকে একটা গণ্ডগোল হিসাবে ভেবে নিয়েছিল। ঘটনার ঘটার আধা ঘণ্টা পরে তারা সেখানে উপস্থিত হয়। রেস্টুরেন্টের বাইরে দাঁড়িয়ে ঝামেলাবাজদের বাইরে আসার জন্য হ্যান্ড মাইকে আহবান জানায় তারা। এর প্রত্যুত্তরে ভিতরে থাকা জঙ্গিরা বোমা ছুড়ে এবং নির্বিচারে গুলি চালায়। বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন এবং ডিবির পুলিশ অফিসার রবিউল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ এতে আহত হন। এঁদের দুজনের অবস্থা গুরুতর ছিল। হাসপাতালে নেবার পরেই এঁরা দুজন মারা যান। পুলিশের উপর এই হামলার পরেই তাঁরা বুঝতে পারে, পরিস্থিতি যতটা খারাপ ভেবেছিল তাঁরা তার চেয়েও আসলে ভয়াবহরকমের খারাপ।

এর পরই ঘটনাস্থলের দায়িত্ব নেয় র‍্যাব। রাতের মধ্যেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিজিবি এসে হাজির হয়। সেনা কমান্ডো, নৌ কমান্ডো, র‍্যাব, পুলিশ এবং বিজিবি নিয়ে গঠন করা হয় যৌথ বাহিনী। ভোর রাতের দিকে জঙ্গিদের আত্মসমর্পণের জন্য বলা হয়। এর বিপরীতে জঙ্গিরা তিনটা শর্ত দেয়। শর্ত তিনটি হলো-

  • ১. একদিন আগে ডেমরা থেকে আটক জেএমবি নেতা খালেদ সাইফুল্লাহকে মুক্তি দিতে হবে।
  • ২. তাদেরকে নিরাপদে বের হয়ে যেতে দিতে হবে।
  • ৩. ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য তাদের এই অভিযান- স্বীকৃতি দিতে হবে।

তিন শর্তকে প্রত্যাখ্যান করে সকাল সাতটার দিকে জিম্মি উদ্ধারের জন্য যৌথবাহিনী আক্রমণ চালায় হলি আর্টিজান বেকারিতে। অপারেশন থান্ডারবোল্ট নামের পঁয়তাল্লিশ মিনিটের এই অভিযান শেষে হলি আর্টিজান বেকারির দখল নেয় যৌথবাহিনী। এতে মারা যায় ছয়জন। কিন্তু, সবচেয়ে ভয়াবহ হচ্ছে, এই হামলার আগেই রাতের বেলাতেই বিশজন বিদেশিকে হত্যা করে জঙ্গিরা। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এই খবর জানিয়েছে। তবে এঁরা কে কোন দেশের, তা আজ দুপুর পর্যন্ত নিশ্চিত করেনি আইএসপিআর। এই ২০ বিদেশি নাগরিকের মধ্যে পাঁচজন নারী ছিলেন। আমি নিশ্চিত নই, তবে কোনো কোনো মিডিয়াতে এসেছে। এদের সবাইকে নাকি জঙ্গিরা নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করেছে।

২.
বাংলাদেশে আজকে যে নারকীয় ঘটনা ঘটলো, এর দায় কার? এই ঘটনা কি হুট করে ঘটে গেছে, না এর লক্ষণ আমরা অনেক আগে থেকেই টের পাচ্ছিলাম। গত কিছুদিন ধরেই বাংলাদেশে একের পর এক ব্লগার হত্যা হচ্ছে, সংখ্যালঘুদের খুন করা হচ্ছে, বিভিন্ন শ্রেণীর পেশাজীবী লোকদের চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে পরলোকে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই সব হত্যাকাণ্ডের পিছনে জঙ্গিরা রয়েছে বলে প্রায় সবাই আঙুল তুললেও, বাংলাদেশ সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে এর বিরোধিতা করা হয়েছে দ্ব্যর্থহীন ভাষায়। বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই বলে দাবী করেছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য হচ্ছে, এগুলো সব অপপ্রচার, বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য কিছু সরকারবিরোধী লোকের প্রচেষ্টামাত্র। সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে তারা এগুলো করছে।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি সবসময়ই বলে এসেছেন, এগুলো সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। একটা দেশে কোটি কোটি মানুষের বসবাস। এদের সবাইতো আর ভালো মানুষ না। বিচ্ছিন্ন কিছু খুন-খারাবি নানা কারণে ঘটবেই। এটাই স্বাভাবিক। এরকম খুন খারাবি শুধু বাংলাদেশে নয়, আমেরিকার মতো উন্নত দেশেও ঘটে থাকে। কথা সত্যি। আমেরিকার পত্র-পত্রিকা ঘাঁটলে প্রতিদিনই আপনি এক বা একাধিক খুনের ঘটনা দেখতে পাবেন। ক্যানাডার মতো আইনশৃঙ্খলায় অগ্রগামী দেশেও প্রায়শ খুন হয়ে থাকে। এইতো সেদিনও আমার এখানেই একটা মলের মধ্যে অবস্থিত এক লিকার স্টোরের সামনে জোড়া খুন হয়ে গেলো। খুনের অল্প সময় পরেই আমি শপিং মলে গিয়েছিলাম।

দেখলাম, পুলিশ পার্কিং লটের একটা অংশ হলুদ ফিতে দিয়ে ঘেরাও করে রেখেছে। এর বাইরে লোকজনের মধ্যে এ কারণে তেমন কোনো বিকার চোখে পড়লো না। খুন হয়েছে, পুলিশ এসেছে, তারা খুনি ধরবে, আদালত খুনিদের বিচার করবে। এর বাইরে সাধারণ মানুষের এ নিয়ে না ভাবলেও চলে এখানে। কিন্তু বাংলাদেশে এই বিষয়টা ব্যতিক্রম। খুন হয়, কিন্তু পুলিশ এর কোনো কিনারা করতে পারে না। সরকারের উচ্চ পর্যায় খুনের দায়-দায়িত্ব এড়ানোতেই ব্যস্ত থাকে। আমেরিকা বা ক্যানাডাতে সরকার এই কাজটা করে না। যে ব্যক্তিই খুন হোক, যে অপরাধেই সে খুন হোক না কেন, খুনিকে ধরার জন্য তারা সর্বশক্তি দিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। কারণ, আইন নিজের হাতে তুলে নেবার অধিকার অন্য কারো নেই।

যাইহোক, বাংলাদেশে কোনো জঙ্গি নেই, সরকারের এই চড়া গলার দাবী হঠাৎ করেই ধাক্কা খেয়েছিল পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর। সুর নরম করে তাঁর এতদিনকার অবস্থান থেকে পুরোপুরি উল্টোদিকে ঘুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলতে বাধ্য হয়েছিলেন, জঙ্গি দমনে অফিসার বাবুল আক্তারের অনমনীয় ভূমিকার কারণে জঙ্গিরা প্রতিশোধ হিসাবে তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেছে। আর, আজ গুলশানের এই ঘটনার পরে বাংলাদেশে জঙ্গি আছে, বেশ শক্তপোক্তভাবেই আছে, এটা প্রমাণ হয়ে গেল।

৩.
আজকে গুলশানের ঘটনাটা ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বে। বাংলাদেশের পরিস্থিতি জানতে কারোরই আর বাকি নেই। সরকার তাঁর ভাবমূর্তি রক্ষা করার যে বালখিল্য আচরণ করে জঙ্গি থাকার বাস্তবতাকে অস্বীকার করে গিয়েছে, সেই অবস্থান থেকে সরে আসবে বলেই আমরা আশা করি। শরীরে ঘা হলে তার চিকিৎসা করতে হয়, লুকিয়ে রাখতে হয় না। সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নিলে সেই ঘাকে শুকানো যায়, সুস্থ করা যায়। কিন্তু, লুকিয়ে রাখলে একদিন সেটা পচে-গলে ছড়িয়ে পড়তে থাকে সারা গায়ে। তখন দুর্গন্ধে টেকা যায় না, ঘা আক্রান্ত ব্যক্তিরও জীবন সংশয় দেখা দেয়। বহু আগে থেকে বাংলাদেশে জঙ্গিরা আস্তানা গেড়েছে।

এদেরকে অস্বীকার করার মাধ্যমে আমরা শুধুমাত্র এদের বংশ বৃদ্ধি করার সুযোগ করে দিয়েছি। দিনে দিনে এরা শক্তি সঞ্চয় করেছে। নানা জায়গায় হামলা চালিয়ে চালিয়ে সাহস বৃদ্ধি করেছে। সেই শক্তি এবং সাহস নিয়ে এখন তারা বড় বড় হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এইসব জঙ্গিদের মগজ ধর্ম দিয়ে ধোলাই করা থাকে। আত্মঘাতী হামলা থেকে শুরু করে যে কোনো ধরনের ভয়ংকর আক্রমণ করতে এরা বিন্দুমাত্র পিছ পা হয় না। সাধারণ মানুষের প্রতি এদের যেহেতু কোনো মায়ামমতা থাকে না, এরা সাধারণত জনবহুল এলাকায় সহজ লক্ষ্যবস্তু হিসাবে নিরীহ মানুষের উপর হামলা চালায়। মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, বেশি রক্তপাত ঘটানো, বেশি প্রাণহানি করা এবং গণমাধ্যমের বেশি মনোযোগ পাওয়া।

এই জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশে নেই, এটা ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বেই। উন্নত বিশ্বও প্রতি মুহূর্তে হিমশিম খাচ্ছে জঙ্গিদের হামলা কীভাবে ঠেকানো যায়, সেই রক্ষাকবচ তৈরি করতে গিয়ে। ওদের তুলনায় আমাদের এই বিষয়ে প্রস্তুতি খুবই কম, একেবারেই অপ্রতুল। এর উপরে যদি এদের উপস্থিতিকেই আমরা অস্বীকার করি, তাহলে এদের মোকাবেলা আমরা করবো কী দিয়ে? কোন শক্তি বলে?

তাই, দেশে কোনো জঙ্গি নেই, এই সব আজগুবি বক্তব্য থেকে সরকারকে সরে আসতে হবে এখনই। দেশে জঙ্গি আছে, বেশ ভালো পরিমাণে আছে এবং তারা বর্তমানে সুসংগঠিত এবং অস্ত্রে সুসজ্জিত। গুলশানের এই আক্রমণই শেষ আক্রমণ নয়, বরং এ হচ্ছে শুরুর দিকের আক্রমণ। এমন আক্রমণ জঙ্গিরা আরো করবে বাংলাদেশে এ ব্যাপারে নিশ্চিত। ভবিষ্যৎ সেই সব আক্রমণ কীভাবে আগেভাগেই সামলানো যায়, সেই কাজে নেমে পড়তে হবে দায়িত্বশীল সকল মহলকেই।

আক্রমণ হলে তারপর একশনে নামবো, এ বিলাসিতা এখন আর করার সময় নেই আমাদের। যে ক্যান্সার আজ সারাদেহে ছড়িয়েছে, তাকে নির্মূল করতে হবে অতি দ্রুত।

ফরিদ আহমেদ, কানাডা প্রবাসী লেখক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ