আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

ব্রেকিং নিউজের নেশা মিডিয়ার ছাড়ে না

মাসকাওয়াথ আহসান  

ঢাকার গুলশানে আর্টিজান রেস্তোরায় জঙ্গি হামলার মাঝ দিয়ে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের শক্তিশালী উপস্থিতির জানান দিয়েছে জঙ্গিরা। এটি বিস্মিত হবার মত কোন ঘটনা ছিলোনা। কারণ বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের বয়স খুব কম নয়। রমনার বটমূলের বোমা হামলা থেকে মাঝে সারাদেশে ধারাবাহিক বোমা হামলার যুগ পার করে আর্টিজান রেস্তোরায় জঙ্গিরা তাদের সাম্প্রতিকতম রক্তচিহ্ন এঁকে দিলো। প্রায় দুটি দশকে ধারাবাহিকভাবে হামলার ঘটনা ঘটেছে; জঙ্গিরা হত্যার ক্ষেত্রে নিজেদের সম্যক পেশাদারিত্ব ও সামর্থ্য অর্জন করেছে। আঞ্চলিক বা হোমগ্রোণ জঙ্গিরা জঙ্গিবাদের আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে গেছে তাদের হামলা ও হত্যাশৈলীকে।

বাংলাদেশে প্রাইভেট মিডিয়ার বয়সও প্রায় দুই দশক। এইসময়ের মধ্যে মিডিয়া জঙ্গিবাদ নিয়ে নিয়মিত প্রতিবেদন তৈরি করেছে; আলোচনা করেছে। কিন্তু আঞ্চলিক এই মিডিয়াগুলো তাদের জঙ্গি হামলা কাভার করার মানকে আঞ্চলিক পর্যায় থেকে আন্তর্জাতিক স্তরে উন্নীত করতে পারেনি। রয়ে গেছে ব্রেকিং নিউজ আর রেটিং-এর মাদকাসক্তিতে। আর্টিজান রেস্তোরায় ঘটে যাওয়া জঙ্গিহামলা কাভারেজ দেখে যে কোন সাধারণ দর্শক তা উপলব্ধি করতে পেরেছেন। যে কারণে মিডিয়ার পেশাদারিত্ব নিয়ে অসংখ্য প্রশ্ন উঠেছে।

সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে মিডিয়াগুলোর ঔদাসীন্য এই সমসাময়িক বিপর্যয়ের প্রধান কারণ। সমসাময়িক মিডিয়া প্রশিক্ষণে এক একটি ঘটনার কেসস্টাডি দিয়ে প্রতিবেদকদের শেখানো হয়; কোন পরিস্থিতির কাভারেজ কৌশল কেমন হবে। আর্টিজানে যে জিম্মি অবস্থাটি তৈরি করা হয়েছিলো এটি পৃথিবীতে নতুন কোন ঘটনা নয়। অসংখ্য জিম্মি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে; সেখানে মিডিয়া কীরকম আচরণ করেছে; তার কেসস্টাডি জমা রয়েছে। সেসব দৃষ্টান্ত সামনে রেখেই প্রতিবেদকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার কথা।

যে কোন জিম্মি পরিস্থিতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিম্মিদের জীবন। আর সেই জীবন বাঁচানোর কাজটি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর। এখানে মিডিয়ার ভূমিকা আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ও সরকারের সহযোগী হওয়া। এই নৈতিকতা আক্রান্ত জনপদের প্রতিটি নাগরিকের জন্যই প্রযোজ্য। একটি উদ্ধার অভিযানের লাইভ কাভারেজের প্রকরণ/আঙ্গিক কেমন হবে তা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রতিবেদকদের গত প্রায় দুই দশকের অভিজ্ঞতালব্ধ মিডিয়ার নিশ্চিত করার কথা ছিলো।

উদ্ধার অভিযান লাইভ কাভার করে ভেতরের জঙ্গিদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর পদক্ষেপ জানিয়ে দেবার আত্মঘাতী সাংবাদিকতা ভুল প্রমাণিত হয়েছিলো ভারতের মুম্বাই হামলার লাইভ কাভারেজে। পরে লাইভ কাভারেজ বন্ধ করে দেয়া হয়। যে সাংবাদিকটি জঙ্গিবাদ বিষয়ক প্রতিবেদন করেন; তিনি কেবল প্রশিক্ষণের মুখাপেক্ষীই বা থাকবেন কেন। অন্তর্জালের যুগে নিজে নিজেই শেখার সুযোগ অবারিত। যে ভুল মুম্বাই হামলার লাইভ কাভারেজে হয়েছে; বাংলাদেশের পিলখানা হামলার লাইভ কাভারেজে হয়েছে; সে ভুলের পুনরাবৃত্তি গুলশানের রেস্তোরা হামলায় ঘটলে সাংবাদিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হবেই।

একই প্যাটার্নের হামলা প্যারিসের রেস্তোরায় ঘটেছিলো; তার লাইভ কাভারেজ কেমন ছিলো তা দেখার সুযোগ সবার ঘটেছে। প্যারিস হামলার বিবিসি কাভারেজ দেখে বাংলাদেশের প্রতিবেদকদের কাছে এটা স্পষ্ট হয়ে যাবার কথা যে ঘটনাস্থল থেকে একটি সুনির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়িয়ে স্টুডিওর সঙ্গে সংযুক্ত হতে হয়। প্রতিবেদকের কণ্ঠে ও চেহারায় যথাসম্ভব স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে হয়। কারণ এরকম পরিস্থিতিতে কোন রকম ভীতি সঞ্চার না করে শ্রোতা-দর্শকের মনে আস্থা তৈরির কাজটিও সংকট ও সংঘর্ষ প্রশমন প্রক্রিয়ার অংশ।

স্টুডিওর সংবাদ ও আলোচনা উপস্থাপকের দায়িত্বও একি। উত্তেজনা প্রশমন; প্রয়োজনের বেশী একটি কথাও না বলা; শুধু ততটুকু তথ্যই পরিবেশন করা যতটুকু জানা জনগণের জন্য যথেষ্ট। কারণ ঐ মুহূর্তে জিম্মিদের বা হামলার স্বীকারদের স্বার্থ ছাড়া আর কারো স্বার্থ দেখার প্রয়োজন কারো নেই।

মিনিটে মিনিটে নতুন নতুন খবর দেয়ার চমক ঐ মুহূর্তে খুবই অপ্রাসঙ্গিক; কারণ ওখানে কোন ক্রিকেট ম্যাচ হচ্ছে না। মানুষ হত্যা চলছে। এই স্পর্শকাতরতার জায়গাটি তো কমনসেন্স। আবার পরিমিত লাইভ কাভারেজ বন্ধ রাখারও কোন কারণ নেই। একটি নিউজ চ্যানেল তো আর সংবাদ বিশ্লেষণ না করে ভক্তিমুলক সংগীত পরিবেশন করবে না। তবে অন্যান্য খবরের ফাঁকে ফাঁকে বিবিসি যেভাবে গুলশান হামলার লাইভ কাভারেজ করেছে; সেভাবে প্রশমিত মস্তিষ্কে নির্মেদ লাইভ কাভারেজ চালিয়ে যাওয়া যেতো। তাহলে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে এসে অনুরোধ করতে বাধ্য হতো না; লাইভ কাভারেজ বন্ধ করেন।

স্টুডিওতে যে সংবাদ বিশ্লেষণ হয়; সেখানে সংকট পরিস্থিতিতে অভিজ্ঞ-পরীক্ষিত উপস্থাপক ও বিশ্লেষক মোতায়েন মিডিয়ার দায়িত্ব; যারা শান্ত-সৌম্য-স্থিতধী ভঙ্গিতে গুছিয়ে কাজের কথা বলতে জানেন। নিজের কৃতিত্ব প্রদর্শনের মুহূর্ত তো সেটি নয়; অপারেশন থিয়েটারে অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকেরা যেরকম গভীর মনোযোগের সঙ্গে কাজ করেন; ঐ মনোভঙ্গিটি খুবই জরুরী সংকটকালীন সংবাদ বিশ্লেষণে।

বাংলাদেশ তথা দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর মিডিয়াকে তথ্য না দেয়ার একটি বাতিক রয়েছে। কিন্তু গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিতার সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত দেশগুলোতে সংকটকালীন তথ্য দেবার কাজটিকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী তার দায়িত্বের অংশ মনে করে। আর অনুন্নত দেশে হয় নিজের হিরোইজম দেখাতে এগিয়ে আসে অথবা তথ্য দিয়ে কৃপা করছে এমন ভাব দেখায় অথবা কোন তথ্য না দেয়াকে বিরাট কৃতিত্ব মনে করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর বেশীর ভাগ সদস্য। ফলে সাংবাদিকদের মরিয়া হতে হয় তথ্য পেতে; বা বিকল্প পথ খুঁজতে হয় তথ্য জোগাড়ের। এই ক্ষেত্রে একটি সভ্য বোঝা পড়া হওয়া খুবই জরুরী।

বিকল্প পথে তথ্য জোগাড় করতে গিয়ে জিম্মি অবস্থায় কারো কাছ থেকে ভেতরের তথ্য জানার চেষ্টা অতি-আগ্রহী মনোভাব। কারণ ভেতরের তথ্য ঐ মুহূর্তে জানার প্রয়োজন দেশবাসীর নেই। আর জঙ্গিরা যেরকম টেকস্যাভি; যেভাবে হত্যা করে ছবিসহ প্রতিবেদন পাঠিয়ে দেয় জঙ্গি ওয়েব পোর্টালে; তাতে “ক্যানিবাল জার্নালিজম” বা “নরভোজী সাংবাদিকতা”র নতুন ধারা সংযোজন করেছে জঙ্গিরাই।

এই ক্যানিবাল জার্নালিজমের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন যে সিটিজেন জার্নালিস্টরা; যারা মূলধারার সাংবাদিকদের সমালোচনা করেছেন পুরো সময় জুড়ে; তারা হচ্ছে এ যুগের গোদের ওপর বিষফোঁড়া। এদেরও ব্রেকিং নিউজ ও লাইকের নেশা রয়েছে। বানভাসি মানুষ, বস্তিপোড়া দুখী মানুষের বুক চাপড়ে কান্না খুবই সঙ্গত ও বাস্তব। কিন্তু টেক স্যাভি নাগরিক সাংবাদিকদের এরকম সংকটের মুহূর্তে উথাল-পাথাল মন্তব্য, গালিগালাজের আকুলি-বিকুলিতে যে অসভ্য গ্রাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তৈরি করেছে; বিশ্বগ্রামে তা বিরল। এরা ক্রিকেট ম্যাচ দেখার সময় মনে করে; ক্রিকেটার ভিরাট কোহলির চেয়ে বেশী ক্রিকেট খেলতে পারে তারা; টিভি দেখার সময় সাংবাদিক রবার্ট ফিস্কের চেয়েও বড় সাংবাদিক তারা; যে কোন অভিযান চলার সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর চেয়ে বড় যোদ্ধা তারা। এবং অবধারিতভাবেই একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস গালি দিয়ে শেষ করা যে কোন ঘটনাতেই প্রতিক্রিয়া দেবার নিয়মিত অনুশীলন তাদের। এতোগুলো মানুষ অবধারিত মৃত্যু সামনে নিয়ে রেস্তোরায় আটকে আছে; সেই মুহূর্তে বিন্দুমাত্র মানবিক ও সভ্যতার চিহ্ন থাকলে এমন আচরণ মানুষ করতে পারে না। যে কোন কথাই যে একটু ভদ্রভাবে বলা যায় একথাটা কোনভাবেই এইসব বোধশূণ্য ফেসবুকারের মাথায় প্রবেশ করানো যেন অসম্ভব।

যে জঙ্গিরা জনমানুষকে হত্যার উদ্দেশ্যে রেস্তোরায় প্রবেশ করেছে তারা মানবিকতার শত্রু, জীবনের শত্রু, দেশের শত্রু, সভ্যতার শত্রু এটি জনমনে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এবং এদের প্রতি সামষ্টিক প্রত্যাখ্যানই হওয়া উচিত ছিলো সিটিজেন জার্নালিজম বা ফেসবুকিং-এর মূল লক্ষ্য। কিন্তু সেই সময়টি সিটিজেন জার্নালিস্টরা পুরোটাই ব্যয় করেছেন সাংবাদিক ও মিডিয়াকে গালি দিয়ে। আর কিছু বাঁধা দলদাস তো আছেই; যারা পৃথিবী উলটে গেলেও নিজের দলের প্রতিপক্ষকে গালিগালাজের একটি সুযোগও হাতছাড়া করে না। ফলে সন্ত্রাসীদের প্রতি জনপ্রত্যাখান স্পষ্ট হয়না। পুরো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের স্ট্যাটাসগুলো পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে; যারা অপরাধী; যারা হত্যাকারী; তাদের সমালোচনা বা তাদের প্রত্যাখ্যানের চেয়ে ইতস্তত: এ ওকে দায়ী করা; বুক চাপড়ানো; গালিগালাজ; ফেসবুকে বসে মুক্তিযুদ্ধ করার ছদ্ম শিহরণ প্রবণতাটিই বেশী।

যুগটি যেহেতু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের তাই সংকট মুহূর্তে মূলধারার মিডিয়ার মতো সমান দায়িত্বশীলতা ফেসবুকার বা সিটিজেন জার্নালিস্টদের কাছ থেকেও প্রত্যাশিত। মিডিয়া মূল্যায়ন করতে গেলে টিভির লাইভ কাভারেজ ও মূলধারার অন্যান্য মিডিয়ার ভুল- ভূমিকা যেমন আলোচিত হবে; সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভুল- ভূমিকাও একইভাবে আলোচিত হবে। এই পর্যালোচনা নির্দিষ্ট কাউকে দোষী সাব্যস্ত করে দোররা মারার লক্ষ্যে নয়; বোধের উন্মেষ ঘটিয়ে-বিরল কমনসেন্স রপ্ত করে
ভবিষ্যতের যে কোন সংকটের সময় সামষ্টিক আচরণে সংযত হবার প্রয়োজনে খুবই প্রাসঙ্গিক এক আত্ম-সমালোচনা।

মাসকাওয়াথ আহসান, সাংবাদিক, সাংবাদিকতা শিক্ষক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ