আজ শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

Advertise

আত্মঘাতী জঙ্গি হামলা প্রতিরোধে সরকার কতটা প্রস্তুত

রেজা ঘটক  

প্রতি বছর দেশের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয় কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে। এবারও সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত একমাত্র ঈদের জামাতে শোলাকিয়ায় যখন প্রায় তিন লাখ মুসল্লি ঈদের নামাজ পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, ঠিক তার আধা ঘণ্টা আগে সকাল সাড়ে নয়টায় ঈদগাহ থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে আজিমউদ্দিন স্কুল সংলগ্ন মুফতি মোহাম্মদ আলী মসজিদের সামনে পুলিশের চেকপোস্টে সন্ত্রাসীরা বোমা, দেশীয় অস্ত্র ও গুলি ছুড়ে পুলিশের উপর চড়াও হয়। শুক্রবার গুলশানের রেস্তোরায় নারকীয় সন্ত্রাসী হামলার রেশ না কাটতেই ঈদের দিনে এবার শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটল।

সন্ত্রাসীদের ওই বোমা হামলায় পুলিশের দুই কনস্টেবল জহুরুল হক (৩০) ও আনছারুল (৩৫) নিহত হন। এছাড়া সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময়ের সময় নিজের বাড়িতে নিজের ঘরেই গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন গৃহবধূ ঝর্ণা রানী ভৌমিক। পুলিশের গুলিতে একজন সন্ত্রাসীও নিহত হয়। এছাড়া এই ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন। যাদের মধ্যে অন্তত সাতজন পুলিশ। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক সন্ত্রাসীসহ সন্দেহভাজন আরো তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের হাতে আটক আহত সন্ত্রাসী জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে ওই হামলায় অন্তত আট জন সন্ত্রাসী অংশ নেয়।

ঢাকার একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাসউদ দীর্ঘদিন ধরে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় দেশের বৃহত্তম এই ঈদ জামাতে ইমামতি করেন। সকালে হেলিকপ্টার যোগে মাওলানা মাসউদ শোলাকিয়া যাবার পর ঈদগাহে পৌঁছানোর আগেই ওই সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। নিরাপত্তার কথা ভেবে পুলিশ তাঁকে সার্কিট হাউজে নিয়ে যায়। মাওলানা মাসউদের অনুপস্থিতিতে স্থানীয় জামিয়া ইমদাদিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা সোয়াইব আবদুর রউফের ইমামতিতে ঈদ জামাত সুষ্ঠুভাবেই অনুষ্ঠিত হয়। যদিও পুলিশের অনুরোধে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই নামাজ-খুতবা ও দোয়া শেষ করেন মাওলানা সোয়াইব।

বুধবার সিরিয়ার রাকা থেকে তিন বাংলাদেশী আইএস জঙ্গি ভিডিও বার্তায় হুমকি দিয়ে বলেছিল— গুলাশনের হামলার পরেও একের পর এক হামলায় কাঁপিয়ে দেওয়া হবে বাংলাদেশ। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঈদের সকালে শোলাকিয়ায় জঙ্গিদের এই হামলাকে কোনোভাবেই হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নাই।

২০১৩ সাল থেকে শুরু হওয়া ব্লগার, লেখক, প্রকাশক, শিক্ষক, উন্নয়নকর্মী, নাট্যকর্মী, ভিন্নধর্মাবলম্বী সনাতন, খ্রিষ্টান ও বৌদ্ধ পুরোহিত ও বিদেশীদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনাগুলোকে সরকার বারবার বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে এক ধরনের ধারাবাহিক উদাসীনতা দেখিয়েছে। শুক্রবার গুলশানের বর্বর জঙ্গি হামলার পর সরকার বাহাদুর কিছুটা নড়েচড়ে বসেছেন। কিন্তু সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কার্যত এখন পর্যন্ত এসব জঙ্গিদের হামলার ব্যাপারে শতভাগ ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি জঙ্গিদের হামলার অ্যাডভানস হুমকিও যথাযথভাবে মোকাবেলা করার ক্ষেত্রে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে পুলিশ।

শুক্রবার সকাল এগারোটায় জঙ্গিরা এক টুইট বার্তায় গুলশানে হামলার হুমকি প্রদান করেছিল। রাত পৌনে নয়টায় গুলশানে হামলার আগ পর্যন্ত জঙ্গিদের ওই হুমকির ব্যাপারে পুলিশের আইটি বিভাগের ওয়াচডগ কার্যত পুরোপুরি অন্ধকারে ছিল। তার মানে জঙ্গিদের হামলার হুমকির ঘটনায় পুলিশের আইটি বিভাগের ওয়াচডগের চেয়ে পাবলিক ও বাইরের মিডিয়া এখনো সুস্পষ্টভাবে অনেক বেশি কার্যকর এবং এগিয়ে।

গুলশান ও শোলাকিয়ার জঙ্গি হামলার ঘটনায় এটা এখন একেবারে পরিষ্কার যে, জঙ্গিদের হামলা প্রতিহত করতে পুলিশের সুস্পষ্টভাবেই দক্ষতার অভাব রয়েছে। গুলশানের ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত ও ২৫ জনের উপরে আহত হয়েছে। শোলাকিয়ার ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্য নিহত ও সাত জন আহত হয়েছে। অথচ গুলশানের ঘটনায় মাত্র ছয় জন জঙ্গি এবং শোলাকিয়ার ঘটনায় মাত্র আট জন জঙ্গি অংশ নেয়।

জঙ্গিদের বিপক্ষে দেশের একটি প্রশিক্ষিত বাহিনীর এই যে বড় ধরনের দুর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে এটা থেকেই পুলিশের সার্বিক দক্ষতার ঘাটতি এখন সুস্পষ্ট। পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের অভাব, আচমকা ঘটনাকে সামাল দিতে না পারার দক্ষতার অভাব, কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুলিশের মনোবলের ঘাটতি, হামলা চালানোর সময় জঙ্গিদের থেকে পুলিশের চৌকশ দক্ষতার ঘাটতিসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশের ব্যাপকমাত্রায় দুর্বলতাগুলো জঙ্গি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর, তা এখনই ভেবে দেখার সময় হয়েছে।

গুলশানের জঙ্গি হামলার ঘটনায় পুলিশের প্রশিক্ষিত সোয়াট টিম সারা রাত ঠায় দাঁড়িয়ে থেকে নিজেদের অদক্ষতাই প্রমাণ করেছে। পুলিশের বিরুদ্ধে নানান কিসিমের দুর্নীতি ও অসততার যে চিত্র সারা দেশে বিদ্যমান, তার বিপরীতে পুলিশের জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে এই ব্যর্থতাকে কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। দেশের সাধারণ মানুষ একান্ত দায়ে না ঠেকলে পুলিশের দ্বারস্থ কেন হয় না, এই উপলব্ধি পুলিশ বাহিনী আজ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে অনুধাবন করার চেষ্টা করেনি। পাল্টা বিভিন্ন ঘটনায় পুলিশের কাছ থেকে সাধারণ মানুষ প্রায়ই হয়রানির শিকার হয়। পুলিশের সঙ্গে সাধারণ মানুষের এবং সমাজের সকল স্তরের এই যে বিশাল দূরত্ব তৈরি হয়েছে, এটাই পুলিশের মনোবল দুর্বল হওয়ার প্রধান কারণ।

একই সঙ্গে রাজনীতিতে বিরোধী পক্ষকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা না করে সরকার বাহাদুর পুলিশ বাহিনীকে ন্যাক্কারজনকভাবে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছে, সেটাও পুলিশের নৈতিক মনোবল ভেঙ্গে দেবার জন্য যথেষ্ট। বিভিন্ন সময়ে সারা দেশে জঙ্গি ধরা পরলেও পুলিশ দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অনেক জঙ্গিকে জামিনে মুক্তি দিয়ে দেয়। আইনের ফাঁক গলে বাইরে এসে সে সকল জঙ্গি আবারো সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটাচ্ছে। কোনো কোনো জঙ্গি পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে দেশের বাইরে পালিয়ে গেছে। সেই জামিনে মুক্ত জঙ্গিদের ধরতে পুলিশ আবার নানান নাটক করছে। পুলিশের এই সার্বিক আচরণের কারণে ধীরে ধীরে দেশে জঙ্গিদের অভয়ারণ্য গড়ে উঠতে সহায়ক হয়েছে।

চল্লিশ বছর পর ক্ষমতাসীন সরকার একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি করার পর স্পষ্টত জামায়াতী ইসলামী দেশে নানান মাত্রায় জঙ্গি হামলা করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার পর সরকারের ধীরে চলো নীতির কারণে জামায়াত তাদের ঘর গুছিয়ে নানান মাত্রায় জঙ্গি উৎপাদনের সুযোগ পেয়েছে। কাদের মোল্লার ফাঁসির দাবিতে গড়ে ওঠা সাম্প্রতিক সময়ের শাহবাগ গণজাগরণ আন্দোলনে দেশের সকল স্তরের সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণের চিত্র থেকেও সরকার কার্যত কোনো শিক্ষা নেয়নি। বরং গণজাগরণ আন্দোলনের পাল্টা হেফাজতে ইসলামের আন্দোলন করার সুযোগ দিয়ে এবং গণজাগরণ মঞ্চকে ইনাক্টিভ করার সরকারের সক্রিয় উদ্যোগের কারণে দেশে ধর্মীয় উগ্রবাদ মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। সরকার সেখানে ভোটের রাজনীতির হিসাব নিকাশ করতে গিয়ে হেফাজতের সঙ্গে আপোষ করে ধর্ম রক্ষার নামে কার্যত দেশকেই একটা গৃহযুদ্ধের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।

জামায়াতে ইসলামী তাদের কৌশল পরিবর্তন করে আন্ডারগ্রাউন্ড সন্ত্রাসী দলগুলোকে সক্রিয় করে তুলতে উসকানি যুগিয়েছে। পাশাপাশি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে তাদের প্রধান মিত্র জামায়াতকে সমর্থন যোগানের কারণে স্পষ্টত সরকার বনাম জামায়াত-বিএনপি পক্ষ তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন জেএমবি, হরকাতুল ইসলাম, হিযবুত তাহরীর, আনসারুল বাংলাসহ আন্ডারগ্রাউন্ড নানান নামের সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর সহায়তায় প্রশিক্ষণ পেয়েছে, অস্ত্র পেয়েছে এবং সংগঠিত হবার সুযোগ পেয়েছে। সরকার সেখানে বারবার দেশীয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো'র সঙ্গে বিদেশী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর যোগাযোগকে আমলে নেয়নি বা অস্বীকার করে এসেছে।

কিন্তু গুলশান হামলার পর সরকারের সেসব পুরানো দাবি কার্যত মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। স্বয়ং সিরিয়ার রাকা থেকে তিন বাংলাদেশী আইএস জঙ্গি যখন হামলার হুমকি উচ্চারণ করে, তখন আর দেশীয় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর আন্তর্জাতিক সংশ্লিষ্টতার কথা বিবেচনায় না নেবার উপায় নাই।

নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিক থেকেই এসব সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো'র মুখে দেশের নানান প্রান্তে 'বাংলা হবে আফগান' সংক্রান্ত যেসব শ্লোগান শোনা গেছে, সেসব শ্লোগান যে মোটেও লোক দেখানো ছিল না, বরং ভেতরে ভেতরে এসব সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো তাদের কার্যক্রম অনেক শক্তিশালীভাবেই বিস্তৃত করেছে এবং এখন হামলার হুমকি দিয়ে হামলা করার মত সামর্থ্যও অর্জন করেছে, সরকার এই সত্যকে সিরিয়াসলি যতক্ষণ আমলে না নেবে, ততক্ষণ এদের এই ক্রমবর্ধমান শক্তিশালী হওয়ার স্রোতকে প্রতিরোধ করা যাবে না।

প্যালেস্টাইন, গাজা, ওয়েস্ট ব্যাংক, ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তানের মত আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলার লক্ষণ এখন সারা বাংলায়। বাংলাদেশের গোটা জনপদেই এখন সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য। এমন কি সরকার দলীয় নেতাদের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে এসব সন্ত্রাসীদের বেড়ে ওঠার কাহিনীও প্রায়ই মিডিয়ার খবরে আসে। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত এমন আত্মঘাতী সন্ত্রাসীদের বংশবৃদ্ধিকে সমূলে উৎপাটন করতে না পারলে নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্বপ্ন প্রায় অসম্ভব।

স্বল্পোন্নত আয় থেকে মধ্যম আয়ের দেশে বাংলাদেশ উন্নীত হলেও ভেতরে ভেতরে যে এমন এক ভয়ংকর অনিরাপদ জনপদ গড়ে উঠেছে, সরকারের সেদিকে এক ধরনের গাফিলতি ও আমলে না নেওয়াই মূলত দায়ী। শাক দিয়ে মাছ ঢেকে রাখার রাজনীতি এখন আর কোনো ফল দেবে না। এসব সন্ত্রাসী কার্যক্রমকে শক্ত হাতে দমন করতে না পারলে স্বয়ং সরকারই বাংলাদেশের জন্য এক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ রচনা করে চলেছে। যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না।

সন্ত্রাস এখন আর কোনোভাবেই স্থানীয় ইস্যু নয় বরং এটা আন্তর্জাতিক মাত্রায় উন্নীত হয়েছে। তাই এটাকে মোকাবেলা করার জন্য কঠোর ও শক্ত দমন নীতি ছাড়া কোনো বিকল্প নাই। এক্ষেত্রে সরকারের ধীরে চলো নীতি কার্যত সন্ত্রাসীদের বংশ বিস্তারে আরো সুযোগ তৈরি করে দিচ্ছে। সন্ত্রাস দমনে সরকার যতই ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করবে ততই এর বিস্তার ও মাত্রা আরো ভয়ংকর হবে। তাই সরকারকেই দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে কী উপায়ে কত অল্প সময়ে এই ভয়ংকর বিষফোঁড়া উৎপাটন করবে। মনে রাখতে হবে, সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়। নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য সঠিক সময়ে সরকারকেই সেই কঠোর সিদ্ধান্ত অত্যন্ত কঠোরতার সঙ্গেই পালন করতে হবে। নইলে বাংলাদেশের জন্য স্পষ্টত এক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ উঁকি দিচ্ছে। অতএব সাধু সাবধান।

৮ জুলাই ২০১৬

রেজা ঘটক, সাহিত্যিক, নির্মাতা

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অধ্যাপক ডা. শেখ মো. নাজমুল হাসান ২৭ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৮ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৫ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৪ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৮ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১১০ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪৪ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩২ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪৩ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯৩ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ২৫ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ শাখাওয়াত লিটন শাবলু শাহাবউদ্দিন