আজ শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

নারীর প্রতি জঙ্গিদের আক্রোশ এবং একটি আয়না

শারমিন শামস্  

দৈনিক পত্রিকায় রসায়ে রসায়ে লেখা রিপোর্ট পড়লাম। গুলশানের হলি আর্টিজানে যাদের খুন করেছে অত্যাধুনিক জঙ্গিরা, তাদের মধ্যে যারা নারী, তাদের প্রতি জঙ্গি ছেলেগুলোর নৃশংসতা সীমা ছাড়িয়ে গেছে। গুলি করার পরও তারা নিহত মেয়েদের শরীর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতে আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করেছে। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের বয়ান দিয়ে রিপোর্টার লিখেছেন, নারীদের প্রতি চরম আক্রোশ ছিল যেন জঙ্গিদের।

রিপোর্টটা পড়ে আঁতকে উঠেছি আমরা। জঙ্গিদের মনস্তত্ত্বের চুলচেরা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছি। বলেছি, এরা এতোটাই খারাপ যে গর্ভবতী নারীকেও আঘাত করে, এরা এতটাই জঘন্য যে ফুলের মত সুন্দর অল্পবয়সী মেয়েগুলোকে হত্যার পরও তাদের রাগ মেটে না; গলা, বুক, পেট, হাত, পা মুখমণ্ডল ক্ষতবিক্ষত করে তারা উল্লসিত হয়। এরা এত নীচ, হীন, এরা কাপুরুষ!

জঙ্গিবাদ, আইএস, শিক্ষিত ধনী পরিবারের স্মার্ট তরুণ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, সন্ত্রাস, চাপাতি, জবাই, অস্ত্র, ক্যাপ্টাগন-এইসব শব্দ নিয়ে খাবি খাচ্ছি। যেকোনো মুহূর্তে পরিস্থিতির শিকার হবো যে কেউ, সেও জানি। এই রক্তলোলুপ উগ্রবাদীদের থাবার নিচে আজ প্রিয় স্বদেশ। অথচ যে বিষবৃক্ষ নিজ হাতে পুঁতেছি ঘরের উঠোনে, আজ তা মহীরুহ হয়ে যে ফল দিচ্ছে, তা আমারই।

দিনের পর দিন চোখের সামনে এরা তিলতিল করে সাম্রাজ্য গড়লো, আমরা কি তখন চোখ বুজে ছিলাম? তখন কোথায় ছিল আমাদের আজকের এই আতঙ্ক এই ভয় এই নিরাপত্তাহীনতা? যখন ক্রিকেটার নাসিরের বোন, সাকিব বা তামিমের স্ত্রীর ছবিতে অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে, কেন তাদের স্ত্রীরা হিজাব পরে না, এই বলে যখন তাদের নোংরা গালি দেয়া হয়েছে, তখন কোথায় ছিল আমাদের বিবেক, আমাদের বোধ?

যখন শফী হুজুর বিশাল জনসমাগমে তেঁতুলের সাথে তুলনা দিয়েছিল মেয়েদের, তাদের পড়ালেখা বন্ধ করে ঘরে রাখার নিদান দিয়েছিল, তখন কোথায় ছিল সরকার, যারা নারী উন্নয়ন, নারী স্বাধীনতা আর নারীর সম্মানের কথা বলে বলে মুখে ফেনা তোলে?

পাড়ায় মহল্লায় গ্রামেগঞ্জে সাঈদীর মত হাজার হাজার ভণ্ড হুজুর ওয়াজ মাহফিলে নারীর প্রতি চরম বিদ্বেষপূর্ণ কথা বলে গেছে দিনের পর দিন, সেইসব ওয়াজ কি কারো কানে ঢোকে নাই?

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যখন একের পর এক নারী নিগ্রহের ঘটনা ঘটে চললো, সিপি গ্যাংয়ের নোংরা উক্তিতে শিউরে উঠলাম আমরা, তখন কোথায় ছিল ক্ষমতাবানরা যারা নারীকে সম্মান দিতে সদা প্রস্তুত বলে হুংকার দেয়?

পয়লা বৈশাখে প্রকাশ্যে খুলে নিলো নারীর পোশাক, টেনেহিঁচরে নির্যাতন করলো লাখো লোকের উপস্থিতিতে, সেই ঘটনার বিচার কেন হলো না? কেন তনু হত্যা তদন্তে কোন অগ্রগতি নেই, কেন মিতু হত্যার কোন কূলকিনারা নেই? এর বদলে কেন সবখানে ছড়িয়ে পড়লো মিতুর চরিত্র নিয়ে মনগড়া কাহিনী?

সেইসব কাহিনীর পাঠক কারা? লেখক কারা? ফেসবুকে সেইসব রুচিহীন নিউজের শেয়ারদাতা কারা? সাগর রুনি হত্যার পর রুনির চরিত্র হনন করলো যেসব গণমাধ্যম, তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা রুমানা মঞ্জুরের চোখের ভিতরে নখ ঢুকিয়ে অন্ধ করে দিলো স্বামী লোকটা, তখন সেই খুনির পক্ষ নিয়ে কি কথা বলেনি বহু লোক? রুমানার চরিত্র খারাপ এই তথ্য তুলে এনে, তাকে অন্ধ করে দেয়াই সঠিক হয়েছে, এই কথা কি বলেনি কোন লোক এই দেশে?

এই সমাজ এই দেশ এই দেশের কোটি কোটি মানুষ প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তেই রক্তাক্ত করে এদেশের প্রত্যেকটা মেয়েকে, নারীকে। আর সেই সমাজেরই অভিশপ্ত সন্তান ওই নিব্রাস, রোহান, মুবাশ্বের। ধর্মকে বর্ম করে ওরা নারীকে রক্তাক্ত করেছে, খুন করেছে, জিঘাংসা মিটিয়েছে।

ওদের প্রশিক্ষণ দিয়ে অস্ত্র দিয়ে যারা হত্যার উদ্দেশে পাঠিয়েছে, তারা তাদের কানে এই মন্ত্র ঢেলে দিয়েছে- নারী মানে পাপ, নারী মানে অপবিত্র, নারী মানে অনিষ্ঠ। নারীর আধুনিক পোশাক, নারীর স্বাধীন চলা, স্বাবলম্বনকে তারা অবৈধ ঘোষণা করেছে। নিজেদের অতৃপ্তি আর অপ্রাপ্তির থেকে পাওয়া প্রতিশোধস্পৃহা নিয়ে নিব্রাস রোহানরা বাড়তি জোশে ঝাঁপিয়ে পড়েছে মেয়েদের উপরে। ক্ষতবিক্ষত সেই মৃতদেহের বর্ণনা দিতে গিয়ে কেঁপে উঠেছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকও।

এই অসভ্য বর্বরের দেশে ভালোবেসে বিয়ে করা স্ত্রীকে মেরে বুক পিঠ হাত পা’র হাড় ভেঙে দেয় স্বামী, তিন লাখ টাকা যৌতুক পায়নি বলে। আজও যারা মেয়েদের ভাবে নিতান্ত পণ্য, কিংবা ঘরের আসবাব, কিংবা ঘটি বাটি, ময়লা ফেলার পাত্র, নিজের সম্পত্তি এবং প্রয়োজনে সেই সম্পত্তিকে পিটিয়ে সোজা ও শায়েস্তা করা যায় এবং এর সবই জায়েজ। তার চেয়ে বড় কথা, চাইলেই আইনের ফাঁক ফোকর গলে বেরিয়েও যাওয়া যায়।

দিনের পর দিন যে সমাজকে আমরা গড়ে তুলেছি নারী বিদ্বেষী রূপে, নারীর চরিত্রহনন যে সমাজের একটি বিরাট অংশের অবসরের সেরা বিনোদন, ঘর থেকে বেরোলে যে সমাজ নারীর মুখ নয় বুকের দিকে তাকিয়ে কথা কয় এবং এর প্রতিবাদ করলেই যারা তিনহাত উঁচু ঝলমলে হিজাব ও নারীর চলাচল সীমিত করাকেই সমাধান বলে মানে, যে সমাজে গর্ভবতী নারীকে দেয়া হয়না কোন বাড়তি সম্মান মর্যাদা, যে সমাজে ধর্ষিত তনুর কয়টি মোবাইল সিম ছিল, নিহত রুনির বাড়িতে কারা আসতো আর মিতুর প্রেমিক ছিল কোন দামপাড়ার ব্যবসায়ী সেটাই আলোচ্য; সেই সমাজে বেড়ে ওঠা নিব্রাস, মোবাশ্বের রোহান নারীর বুক পেট গলা চাপাতি দিয়ে খুঁচিয়ে আরাম পাবে, এতে অবাক হবার কিছু নাই।

আইএস এদের মধ্যে সম্ভাবনা দেখেছে। আইএস বুঝেছে, এইসব ধনীর দুলাল, বাপ মায়ের সাহচর্যহীন, মাথামোটা, অথর্ব ছেলেগুলোকে বাগে পাওয়া সহজ। তাই তাদের দিয়েছে ধর্মের নামে বিভ্রান্তি, তাদের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা নৃশংসতা ও বিকৃতিকে এরা টেনে বের করে এনেছে, প্রশিক্ষণ আর মাদক দিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে মানুষ হত্যার মিশনে।

নিব্রাস, রোহানরা এই সমাজের কুৎসিত রূপটুকু ভালোমতো গিলে খাওয়া এবং এই গলিত ক্লেদের ভিতরে ডুবে থাকা সেইসব ছেলে, যারা চিরকালই জেনে এসেছে, নারী পণ্য, নারী অপবিত্র, নারী অকল্যাণ। তাদের এই চিন্তায় ঘি ঢেলেছে তাদের নিয়োগকর্তা, তাদের প্রশিক্ষণদাতা।

ইরাক সিরিয়ায় আইএস অধ্যুষিত এলাকায় নারীদের রাখা হয় যৌনদাসী করে। তাদের হাতে পায়ে শিকল পরিয়ে হাটে বেচা হয়। হোয়াটসঅ্যাপে বিজ্ঞাপন দেয়া হয় ১২ বছরের মেয়ের শারীরিক বর্ণনা দিয়ে। যৌনদাসী হতে রাজী না হলে পুড়িয়ে মারা হয় শত শত মেয়েকে। অর্থাৎ নারী নির্যাতন আইএস’র জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ব্যাপার।

আজ যে চরম দুঃসময়ের মুখোমুখি আমরা, তা কারো একটি ফু’য়ে একদিনে তৈরি হয়নি। দিনের পর দিন মানহীন, সামঞ্জস্যহীন শিক্ষা দিয়ে, নিজের সাহিত্য সংস্কৃতি থেকে শত হাত দূরে রেখে, খেলার মাঠহীন পরিবেশ দিয়ে, ফাস্টফুড আর প্রযুক্তি আসক্ত একটা প্রজন্ম আমরা তৈরি করেছি। ফলে বিক্ষিপ্ত বিভ্রান্ত লক্ষ্যহীন এই প্রজন্মকে যখন ধর্মের নামে রঙিন মোড়কে মোড়ানো রাশি রাশি মিথ্যা দিয়ে আকৃষ্ট করা হয়েছে, তারা ছুটে গেছে সেই দিকে। দিনের পর দিন তারা নানাভাবে, নানা স্থানে নিজেদের বিকৃতি, বিভ্রান্তিগুলো অনুশীলন করেছে। নানা ভাবে দলে টেনেছে আরো মানুষকে। তাদেরকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে একটি বিশাল স্বার্থান্বেষী মহল। আর এইসব যাদের নজরদারি করার দায়িত্ব ছিল, এগুলো যাদের প্রতিহত করার কথা ছিল, তারা সযত্নে তা এড়িয়ে গেছেন। কিংবা তারা হাত দিতে চাননি সেই জায়গাটিতে, যেখানে হাত দিলে একটি অশিক্ষিত ধর্মান্ধ অংশের সমর্থন পেতে অসুবিধা হয় বলে তারা ধারণা করেন।

ধর্ম চিরকাল আত্মার বিকাশের জন্য এবং এটি মানুষের ব্যক্তিগত চর্চার বিষয়। সেই ধর্মকে দেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য আর জাতীয়তাবাদের অংশ করে তুলে ধর্ম এবং জাতীয়তাবাদ উভয়েরই সর্বনাশ করেছে এদেশের রাজনীতি। এই রাজনীতির ছত্রছায়ায় বিভ্রান্ত, বিকৃতমনা, কূপমণ্ডূক, মধ্যযুগীয় চেতনাধারী একটি অংশকে গড়েপিটে তেল মালিশ করে বড় করে তোলা হয়েছে। তারা যত্রতত্র ধর্মকে ব্যবহার করেছে, ফতোয়া দিয়েছে। নারী ও আমাদের সংস্কৃতির ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের উদ্দেশ্য আর লক্ষ্য নিয়ে নানাভাবে একটু একটু করে এগিয়েছে তারা। আজ যখন দেশে জঙ্গিবাদের ভয়াবহ রূপ কাঁপিয়ে দিচ্ছে ভিত, তখন আজ হঠাৎ আমরা এতো হতবাক কেন- এই প্রশ্নের উত্তর আমি সত্যিই খুঁজে পাই না।

একটা সুন্দর দিনের প্রত্যাশায় হয়তো আজো স্বপ্ন দেখছি আমরা। খুঁজছি সমাধান। কিন্তু আমরা জানি না তা কীভাবে সম্ভব। যে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক নৃশংসতার বর্ণনা দিতে গিয়ে চোখের জলে ভেসেছেন, আমার কাছে এই মুহূর্তে ওই জলটুকুই শেষ ভরসার জায়গা। যদি এদেশের মানুষ বাঁচিয়ে রাখতে পারে এদেশের হাজার বছরের সংস্কৃতিকে, যদি সংগ্রাম করে যায় আমাদের অসাম্প্রদায়িক জাতীয়তাবাদের জন্য, যদি আপামর জনগোষ্ঠীর মনে ও মননে, চিন্তায়, শিক্ষায় আসে পরিবর্তন, যদি তারা ঝেড়ে ফেলতে পারে পুরুষতান্ত্রিকতার আদিম লোভ, যদি সভ্য জাতির মত সম্মান দিতে জানে নারীকে, শিশুকে, সকলকে; যদি সহমর্মিতা আর সহনশীলতাই হয় তাদের প্রকৃত ধর্মচর্চা, তবেই টিকে যাব আমরা, জিতে যাব, বেঁচে উঠবো মাথা উঁচু করে।

আর যদি তা না হয়, তবে তলিয়ে যাব তাদের সাথে, যারা তলিয়ে গেছে অন্ধকারের অতলে, মৃত্যুতে, বীভৎসতায়!

শারমিন শামস্, লেখক, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ