আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

দরকার সৎ উদ্যোগ

কবির য়াহমদ  

বাংলাভাই মিডিয়ার সৃষ্টি- বহুল প্রচারিত সে অস্বীকার তত্ত্ব এক সময় মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। দেশে জঙ্গি নাই, দেশে আইএস নাই, জঙ্গিরা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে- এধরণের বায়বীয় উক্তিও খুব কম সময়ের মধ্যেই মিথ্যা প্রমাণ হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় দেশিয় জঙ্গিদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের কোন যোগাযোগ নাই এমন অস্বীকার তত্ব ফাঁপা-বুলি সেটাও প্রমাণের অপেক্ষায়।

এটা অস্বীকার করার উপায় নাই যে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের শেকড় ক্রমে বিস্তৃত হয়েছে। এক সময় মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থায় অংশ নেওয়া লোকজনদের কেউ কেউ জঙ্গিবাদী কার্যক্রমে অংশ নিয়ে বাংলাদেশে ইসলামী খেলাফত প্রতিষ্ঠার দুঃস্বপ্ন দেখত, এখন সেটা রূপান্তর হয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় পর্যন্ত। মাদরাসা থেকে তালেবান আদর্শে উদ্ধুব্ধ লোকজনের বেরিয়ে আসার পেছনে কারণ ছিল যখন আফগানিস্তানে তালেবানরা ক্ষমতা দখল করে, আল কায়েদার জঙ্গিরা কথিত ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্যে সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম চালাচ্ছিল। এই অঞ্চল তুলনামূলকভাবে অর্থ-সম্পদের দিক থেকে পিছিয়ে থাকার কারণে হয়ত মাদরাসার শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ তালেবানদের স্বজাতি মনে করত এবং একইভাবে তালেবান হওয়ার আজগুবি স্বপ্নে বিভোর ছিল। অতঃপর তালেবান কিংবা আল-কায়েদার দুর্দিনের কারণে এখন আর কেউ তালেবান আর আল-কায়েদার জঙ্গি হতে উদ্ধুব্ধ হচ্ছে না।

আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পর বাংলাদেশের অনেকের "মহানায়ক" লাদেনের পতন হয়েছে এর আগে ভূপাতিত হয়ে গেছে বাংলাকে আফগান বানানোর স্বপ্ন। তবে এরপরেও জঙ্গিবাদী সে কার্যক্রম পিছিয়ে নেই। ইরাক ও সিরিয়াভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস (ইসলামিক স্টেট অব ইরাক এন্ড সিরিয়া)-এর সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম মিডিয়ায় প্রচারের সঙ্গে সঙ্গে জঙ্গিবাদী আদর্শে দীক্ষিতরা তাদের "কেবলা" পরিবর্তন করেছে। তালেবান হওয়ার স্বপ্ন আইএস হয়ে ইসলামি খেলাফত প্রতিষ্ঠায় রূপ নিয়েছে। আগের মত মাদরাসার কিছু শিক্ষার্থীও এ পথে পা বাড়িয়েছে, এবং এর সঙ্গে যোগ হয়েছে অপেক্ষাকৃত শিক্ষিত, সচ্ছল পরিবারের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্ররা। এতে করে জঙ্গিবাদের সঙ্গে অর্থনৈতিক ও পারিবারিক স্ট্যাটাসের যোগ ঘটেছে। জঙ্গিবাদ বিষয়টি অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া অংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে উচ্চবিত্তের অধিকারীদের ঘর পর্যন্ত পৌঁছেছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদী কার্যক্রমে যুক্ত করছে প্রধানত হিযবুত তাহরির, যাদের অনেকেরই মুল জামায়াত-শিবির। নিষিদ্ধ ঘোষিত এ সংগঠনটি নিজেরা অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল, এবং তাদের টার্গেট পিপলও একই ধরণের। হিযবুত তাহরিরের সাথে সম্পর্কিতরা নিজেরা অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল পরিবারের সন্তান হওয়ার কারণে তাদের সাথে বিত্তবান পরিবারের সামাজিক ও পারিবারিক যোগাযোগের সূত্র তাদের জন্যে সহায়ক হয়ে উঠেছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কিংবা ইংলিশ মিডিয়ামের শিক্ষার্থীদের বেশিরভাগই রাজনীতিবিহীন সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে। এরা পরিবার থেকে শুরু করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোথাও রাজনীতির সংস্পর্শে আসে না, অথবা সে সুযোগ পায় না। এদের মধ্যে অনেকেই আবার "হেইট পলিটিক্স" ধারণা নিয়ে বেড়ে উঠছে।

হিযবুত তাহরির সহ ধর্মীয় জঙ্গি সংগঠনগুলোও রাজনীতিবিরোধী। তাদের কাছে গণতন্ত্র হচ্ছে শরীয়া বিরোধী কার্যকলাপ। গণতন্ত্র হচ্ছে আল্লাহর আইনের বিরুদ্ধাচরণ। এমন অবস্থায় "হেইট পলিটিক্স প্রজন্ম" ও ধর্মীয় জঙ্গি সংগঠনের আদর্শ অনেকটাই মিলে যায়। ফলে খুব সহজেই হিযবুত তাহরির সহ জঙ্গি সংগঠনগুলো এধরণের ছেলেদের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। তাছাড়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা মাদরাসায় কোন ধরণের প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের রাজনৈতিক কার্যক্রম না থাকার কারণে রাজনীতির প্রতি আগ্রহহীন প্রজন্ম সহজেই বিভ্রান্ত হচ্ছে।

আগে যেখানে কেবল দরিদ্র পরিবারের সন্তানেরা জঙ্গিবাদী কার্যক্রমে জড়াত এখন সে চিত্র অনেকটাই পাল্টে দিয়েছে এই হিযবুত তাহরির। এখন এই মুহূর্তে বাংলাদেশে একটা ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়িয়েছে যে শেষ বয়সে ধর্মের প্রতি অনুরক্ত হয়ে যাওয়া। এমন উদাহরণ ভুরিভুরি যে বিত্তবান পরিবারের অনেকেই অসৎ উপায়ে অর্জিত সম্পদের খরচটা একটা সময়ে ধর্মের নামে ব্যয় করা শুরু করে। হুট করে ধর্মের প্রতি বায়বীয় অনুরাগ দেখানোর এ প্রবণতা পরিবারের সকলের মাঝেই বিস্তার লাভ করায় তরুণ সন্তানদের কেউ যদি জঙ্গি সংগঠনগুলোর সঙ্গেও জড়িত হয়, তবু পরিবারের অভিভাবকদের চোখে সেটা ধরা পড়ে না। কারণ জঙ্গিবাদী কার্যক্রম শুরু আগে এরা সমাজের চোখে ভালো ছেলে হিসেবে নিজেদের পরিচিত করার মানসে প্রবল ধর্মীয় আচার পালনে মনোনিবেশ করে। সেক্ষেত্রে অভিভাবকরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, ধর্মের প্রতি আচমকা অনুরাগের কারণে তখন সন্তানের জঙ্গি হয়ে উঠা তাদের চোখে পড়ে না, তাদের চোখে ধর্মের প্রতি অনুরাগটাই কেবল প্রকাশ পায়। এতে করে প্রারম্ভিক আশ্রয়ের বিষয়টি পরিবারের কাছ থেকে ঘটে থাকে। এবং একটা সময়ে জঙ্গি হয়ে উঠা ছেলেটি নিজেই নিজের পথ বেছে নেয়।

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গুলশান জঙ্গি হামলায় যারা অংশ নিয়েছে তাদের মধ্যে মাদরাসা ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উভয়েই ছিল। তবে এ ঘটনার পর ঢালাওভাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে দায়ি করানোর একটা প্রবণতা লক্ষণীয়। এ ধরণের প্রচার যারা চালাচ্ছে তারা খুব কৌশলে মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা থেকে উঠে আসা জঙ্গিদের আড়াল করতে চায়, আবার একইভাবে কেউ কেউ এজন্যে মাদরাসাকে দায়ি করছেন। এই দুদল একতরফাভাবে স্ব-স্ব অপছন্দের শিক্ষাব্যবস্থাকে দায়ি করে নিজেরা বিজয়ী হতে চায়। অথচ এখানে এককভাবে কোন ব্যবস্থাকে দায়ি করা অনুচিত, যেহেতু আমরা ক্রমবিকাশমান এ জঙ্গিবাদকে আস্কারা দিয়ে এমন অবস্থায় নিয়ে এসেছি।

এটা অস্বীকার করার উপায় নাই যে বাংলাদেশ বড় ধরণের জঙ্গি হামলার আশঙ্কার মুখে দাঁড়িয়ে আছে। কেবল বাংলাদেশই নয়, পুরো বিশ্বই এমন আশঙ্কায়। সাম্প্রতিক সময়ে ফ্রান্স বারবার আক্রান্ত হচ্ছে, সেখানকার সরকার বারবার ব্যর্থ হচ্ছে মোকাবেলায়। কিন্তু ফ্রান্সের ক্ষেত্রে ইতিবাচক দিক হচ্ছে তারা জঙ্গিবাদের এ উত্থানকে অস্বীকার করছে না, বরং হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছে ক্রমাগত। অপরদিকে, বাংলাদেশের অবস্থা ভিন্ন। বাংলাদেশের সরকার কোনমতেই মানতে রাজি নয় যে বাংলাদেশে আইএস থাকতে পারে। বাংলাদেশে জঙ্গি আছে এটা তারা শর্তসাপেক্ষে মানতে রাজি। জঙ্গি আছে, তবে আইএস নেই; জঙ্গিরা সব প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে- এমন উদ্ভট বাক্যগুলো সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের মহাপরিদর্শক সহ দায়িত্বশীলরা আওড়ে থাকেন। তারা অস্বীকার করেন জঙ্গি আছে, অথচ ঘোষণা দিয়ে জঙ্গিবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেন। তারা মানতে রাজি নন বাংলাদেশে আইএস জঙ্গি আছে, অথচ জঙ্গিদের কেউ জঙ্গিবাদ থেকে ফিরে এলে তাদেরকে ১০ লক্ষ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়ার মত স্ববিরোধী বক্তব্য দেন।

কেবল বাংলাদেশই নয়, সারাবিশ্বে ধর্মীয় জঙ্গিরা ইসলাম ধর্মের নামে নাশকতা চালাচ্ছে। লেখক, ব্লগার, অনলাইন এক্টিভিস্ট, গণজাগরণ আন্দোলন কর্মী, প্রকাশক, ইমাম, মুয়াজ্জিন, পুরোহিত, এলজিবিটি কর্মী সহ বাংলাদেশে অনেকেই ধর্মীয় সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়েছেন। ওসব ঘটনায় ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর পক্ষ থেকে দায় স্বীকারের খবর দিয়েছে সাইট ইনটেলিজেন্স, সরকার তবু গুরুত্ব দেয় নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রতি খুনের ঘটনার পর বিতর্কিত ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে কখনও একে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলেছেন, আবার কখনওবা খুনের শিকার হওয়া লোকগুলোর লেখালেখি যাচাই করে দেখার কথা বলেছেন; আবার কখনও বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে উচিত-অনুচিত নিয়ে ঢালাও মন্তব্য করেছেন। তাঁর এধরণের মন্তব্য সমস্যাকে আরও গভীরে প্রোথিত করেছে। খুনিরা যে এসব মন্তব্য থেকে উৎসাহী হবে না- তা বলবে কে?

সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং স্বীকার করে বলেছেন, গত কয়েক বছরে ভারতে আইএস-এর ভাবধারা ছড়িয়ে পড়ছে; আইএস মনোভাবাপন্নরা সব দেশেই আছে, এবং ভারতও এ থেকে নিরাপদ নয়। বাংলাদেশের গুলশান থেকে ফ্রান্সের নিস সাম্প্রতিক এই জঙ্গি হামলাগুলোর মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে বলেও মনে করছেন তিনি। ভারতের নাগরিকদের জন্যে এটা ইতিবাচক দিক যে তাদের দায়িত্বশীল মন্ত্রী দায়িত্বশীল মন্তব্যই করছেন বিশ্বব্যাপী হুমকি হয়ে ওঠা উগ্রবাদীদের সম্পর্কে। অথচ উলটো দিক আমাদের এখানে। আমাদের মন্ত্রী ও দায়িত্বশীলরা জঙ্গি হামলার পর পর ব্যস্ত হয়ে পড়েন এসব দেশিয় জঙ্গিদের কর্তৃক ঘটনা ঘটেছে বলে। আর দুই সপ্তাহ পর বলেন আমাদের কাছে তথ্য ছিল।

সারাবিশ্বের জন্যে হুমকি হয়ে উঠা উগ্র ধর্মীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো দরকার সরকার, প্রশাসন, রাজনৈতিক দল ও জনগণ সকল ক্ষেত্রেই। এক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। তার আগে সরকার ও প্রশাসনকে প্রচলিত ধারার অস্বীকার তত্ত্ব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। জঙ্গিবাদ এখন জাতীয় সঙ্কট, এটা অনুধাবন করতে হবে। এক্ষেত্রে শর্তসাপেক্ষ স্বীকার সমস্যার সমাধান করবে না।

আমাদের কাছে তথ্য ছিল; তথ্য ছিল তবে কোথায় ছিল সেটা ছিল না; জঙ্গি আছে তবে আইএস নেই; জঙ্গিরা নিয়ন্ত্রণে- এধরণের বক্তব্যকে আর যাই হোক দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের বক্তব্য বলে মেনে নেওয়া কষ্টকর। জঙ্গিবাদ যখন আমাদের জাতীয় সঙ্কট ও হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে তখন একে রাজনীতির বৃত্তে না রেখে জঙ্গিবাদ নির্মূলে অগ্রাধিকারভিত্তিক কার্যকর, সৎ ও সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

কবির য়াহমদ, প্রধান সম্পাদক, সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর; ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ