প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Advertise
রণেশ মৈত্র | ০২ আগস্ট, ২০১৬
ভয়াবহ জঙ্গি উত্থানে, তাদের বর্বরোচিত একের পর এক হামলা ও হুমকিতে, একের পর এক হত্যাকাণ্ড ঘটানোর ফলে বাংলাদেশ বহুমুখী এবং বহুমাত্রিক আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছে। আমাদের কর্তাব্যক্তিরা ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় ভিন্ন ভিন্ন সুরে গেয়ে চললেও সত্য তো কদাপি গোপন থাকে না এবং এ ব্যাপারেও থাকছে না। ভয়াবহ আকারেই জঙ্গি উত্থান ঘটলো তার নমুনা প্রদর্শিত হলো গুলশানে এবং শোলাকিয়ায়।
এ উত্থান আজকের নয়। সেই “বাংলাভাই”-দের আমল থেকে। ন্যুনতম দু’দুটি দশক আগে থেকে। কিন্তু আমরা যেন দিব্যি ইতিহাসকে ভুলে যাচ্ছি। তখন বিশেষ ক্ষমতাবান নেতা জামায়াতে ইসলামীর ফাঁসি প্রাপ্ত আমীর মতিউর রহমান নিজামী বলেছিলেন, বাস্তবে বাংলাদেশের কোথাও “বাংলা ভাই”-দের অস্তিত্ব নেই- এটা মিডিয়ার সৃষ্টি”। রাজশাহী শহরে ব্যানার নিয়ে তারা মিছিল করলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নির্দেশে কাউকে ধরা হলো না বরং ঐ মিছিলের পর বাংলাভাই সহ তার দলীয় (সন্ত্রাসী) অপর নেতাদের সাথে রাজশাহীর তৎকালীন পুলিশ সুপার তাঁর অফিস কক্ষে আলোচনায় বসলেন-খানাপিনা হলো না-তাও নয়। অবশেষে জনগণ ও ঐ মিডিয়ার নিরন্তর চাপে “বাংলাভাই”-দেরকে পাওয়া গেল-গ্রেফতার ও বিচার করতে ঐ সরকারই বাধ্য হলো- বিচারে ফাঁসির আদেশ হলো এবং তা কার্যতও করতে হলো ঐ সরকারকেই বেগম খালেদা জিয়াকেই।
আজ বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘকাল যাবত ক্ষমতার বাইরে। সরকার বিরোধী অবস্থানে। সেদিন যাঁরা বিরোধী অবস্থানে থেকে সন্ত্রাসী বাংলাভাইদের গ্রেফতারের দাবীতে সোচ্চার ছিলেন-সেই আওয়ামী লীগ আজ ক্ষমতায়। বিশ্বব্যাপী আই.এস ভয়াবহ হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে সংশ্লিষ্ট দেশগুলির সরকার ব্যাপক তদন্ত শেষে বলছেন- আই.এস ঘটিয়েছে। আমরা ইউরোপীয় দেশগুলিতে একের পর এক এমন ভয়াবহ হত্যালীলা ঘটে যেতে দেখছি। দেখছি আফ্রিকায় তথা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতেও। প্রতিবেশী ভারত সরকার দিব্যি বলছেন, যে দেশে আই.এস ক্রিয়াশীল এবং তাঁরা তার প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের সাথে পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করে উভয় দেশ থেকে তাদের ও সকল প্রকারের সন্ত্রাসের অবসান ঘটাবে। আমাদের সরকার বলছেন, তাঁরা সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন এবং তাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে বদ্ধ পরিকর। কিন্তু বলছেন-এদেশে আই.এস নেই স্থানীয় জঙ্গিরাই গুলশান, শোলাকিয়া প্রভৃতি ঘটিয়েছে। তাদের সকলের নাম ধাম উদ্ধার করা হয়েছে-গ্রেফতার করা শীঘ্রই। তাঁরা আরও বলছেন, আরও জঙ্গি হামলা হবে-এমন খবর আছে।
দেখছি, ঐ গুলশানের হলি অর্টিজন বেকারিতে ভয়াবহ হামলার পর থেকে আমাদের নিদ্রামগ্ন সরকারের টনক নড়তে শুরু করেছে, ঘুম ইতোমধ্যেই খানিকটা হলেও ভেঙেছে। তার বহি:প্রকাশ দেখি খোদ ঢাকা শহরের কল্যাণপুরের সুবিশাল জাহাজ বাড়িতে সফল অভিযান চালাতে, দেখি সুদূর চর এলাকাগুলি থেকেও জঙ্গিদের গোপন আস্তানা, অস্ত্রোপচার ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলতে, স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে জঙ্গি বা জঙ্গি পরামর্শদাতাদেরকে চিহ্নিত করতে সর্বত্র জঙ্গি বিরোধী শান্তি রক্ষা কমিটি গঠন করতে, কোন কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিতে এবং যতবার খসড়া তৈরি করে তা পাঠের ব্যবস্থা দেশের সকল মসজিদে বাধ্যতামূলক করতে এবং সর্বশেষ ২৮ জুলাই সকালেই জানতে পারলাম ১৯৭১ এর ডিসেম্বরে আটক ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী পাক-সেনার বিচারের লক্ষ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের অত্যন্ত আকাঙ্ক্ষিত ও দীর্ঘ প্রতীক্ষিত খবরটি। শত সহস্র অভিনন্দন জানাই সরকারকে এ জাতীয় কঠিন পদক্ষেপ দৃঢ়তার সাথে নেওয়ার জন্য।
কিন্তু শরীরে ঘা একবার হলে তা কিন্তু সহজে শুকায় না। ক্ষত একবার যদি দেহে সৃষ্টি হয়-সে ক্ষতের উপশম ঘটাতে কখনও কখনও massive surgery প্রয়োজনীয়তাও দেখা যেতে পারে।
কি করে কতদিনে এবং কোন শক্তির উৎসাহে, কাদের প্ররোচনা ও পরামর্শে, কাদের আর্থিক সহযোগিতায়, কোথা থেকে অস্ত্র ও সরঞ্জামাদির সরবরাহ ঘটছে-এ সবই আজও কিন্তু অনুদঘাটিত অন্তত: জনগণের কাছে। পুলিশ অবশ্য দাবী করছে- সব তথ্যই তারা সংগ্রহ করেছে, সবই তাদের হাতে পৌঁছেছে এবং উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। এই কথাগুলি আপাত: মধুর ঠেকলেও-স্বস্তিতে ঘুমানোর মত এখনও কিছু ঘটেনি বরং উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। বাড়ছে এ কারণে যে প্রকৃত প্রস্তাবে জাতীয় ঐক্য আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি বিভেদাত্মক রাজনীতি, সামাজিক বিভেদ মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ-চেতনাকে আজও লোক চক্ষুর অন্তরালে রাখবার হীন প্রচেষ্টা রীতিমত দৃশ্যমান।
অনেকটা নিরাপত্তারোধের সৃষ্টি হতে পারে চলমান পুলিশি অভিযানগুলি অব্যাহত রেখে, তাকে আরও প্রত্যন্ত অঞ্চল সমূহে প্রসারিত করে, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্র শিবির, হেফাজতে ইসলাম, আওয়ামী ওলামা লীগ সহ তাবৎ ধর্মাশ্রয়ী সংগঠন সমূহকে বে-আইনি ঘোষণা করলে, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্র লীগে মহাধূমধামে জামায়াত ও শিবিরের যারা ঢুকেছে এবং ঢুকানো হয়েছে অবিলম্বে তাদের বহিষ্কার করা-যারা দাঁড়িপাল্লা ত্যাগ করে সহসাই নৌকায় উঠে বসেছে এবং মনোনয়ন নিয়ে নানা পদে নির্বাচিত হয়েছে-তাদেরকে প্রতারণা ও রাষ্ট্র দ্রোহিতার অপরাধে গ্রেফতার ও পদ থেকে অপসারণ করা, সকল সরকারী চাকুরী থেকে জামায়াত হেফাজতপন্থীদের অবিলম্বে বহিষ্কার করে তাদের প্রাপ্ত সরকারী সকল সুযোগ-সুবিধা প্রত্যাহার করে নেওয়া, স্কুল- কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে থেকে কালবিলম্ব না করে ঐ পন্থীদের চাকুরীচ্যূত করে এবং পঞ্চদশ সংশোধনী থেকে জিয়ার সৃষ্ট “বিসমিল্লাহ” ও এরশাদের অবদান “রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম” বাতিল করা। আর বঙ্গবন্ধুর প্রণীত বাহাত্তরের সংবিধান অবিকল পুন:স্থাপন করে বাংলাদেশের বিকাশমান অর্থনীতির বর্তমান হাল সম্পর্কে সরকারীভাবে ধারণা দেওয়া হচ্ছে “সব কুছ ঠিক হ্যায়” “নো চিন্তা ডু ফুর্তি” ধরণের। অর্থাৎ মন্ত্রী মহোদয়েরা ঠেকুর তুলে বলছেন, এই জঙ্গি হামলাগুলির ফলে এবং তাদের দ্বারা বেশ কিছু বিদেশী নিহত হলেও তার দ্বারা দেশের আমদানি রফতানি ব্যাহত হবে না। কিন্তু বাস্তবটা কি তাই?
দৈনিক যুগান্তর ২৪ জুলাই তারিখে “জঙ্গি হামলার পর ভুক্তভোগী ও বিশ্লেষকদের প্রক্রিয়া বিপর্যস্ত গার্মেন্টস খাত” শীর্ষক প্রকাশিত খবরে বলেছে,“গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার পর অর্থনীতিতে বড় ধরণের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে দেশের রফতানি আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস গার্মেন্টস খাত ভয়াবহ খারাপ অবস্থায় মোড় নিয়েছে। এ ঘটনার পর আতংকের অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছে না বিদেশী ক্রেতারা। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যে তাদের ক্রয় আদেশ বাতিল করেছে। যারা এখনও বাতিল করেনি, তারাও আলোচনার জন্য এবং নতুন অর্ডার দিতে বাংলাদেশে আসতে চান না। সংশ্লিষ্ট গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের ভারত, সিঙ্গাপুর এবং ব্যাংককে যেতে বলছে ।
সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা বলেন এ দুটি সন্ত্রাসী হামলার পর শুধু গার্মেন্টস খাত নয়, নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে পুরো অর্থনীতি জুড়ে। শিল্পে বিনিয়োগসহ দেশের অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য খাত, পর্যটন, পরিবহন, হোটেল-রেস্তোরাঁর ব্যবসায়, শপিং মল বিপণি বিতান এবং বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও বেহাল অবস্থা বিরাজ করছে। সরকারী বিদেশী বিনিয়োগ এফ.ডি.আই কমে যাচ্ছে । কমে গেছে বিদেশ থেকে আসা যাত্রী সংখ্যাও। অর্থনৈতিক বিশ্লেষণ ও পর্যবেক্ষক মহল আশংকা করছেন, জঙ্গি রাষ্ট্র হিসেবে এভাবে বদনাম ছড়ালে জনশক্তি নেওয়ার ক্ষেত্রেও বিদেশীরা আরও সতর্ক হবে। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এমন এক সময় এ হামলা হলো যখন বায়ারদের অর্ডার দেওয়ার মৌসুম। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে খুব অল্পদিনের মধ্যেই জঙ্গি হামলার নেতিবাচক প্রভাব দৃশ্যমান হয়েছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দেশের অর্থনীতিতে চরম দুর্গতি নেমে আসবে।
বিশ্বব্যাংকের লিড ইকোনমিষ্ট ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য অংশই কোন না কোনভাবে আন্তর্জাতিক অর্থনীতির সাঙ্গে সম্পৃক্ত। আর অর্থনীতির বড় শত্রু হলো আতংক ভীতি এবং অনিশ্চয়তা। পর পর দুই দফা জঙ্গি হামলার মধ্য দিয়ে বড় ধরণের ভীতি তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, যেসব ইতালিয়ান নাগরিক মারা গেছেন, তারা সবাই গার্মেন্টস খাতে কাজ করতেন। আর যেসব জাপানী নাগরিক তাদের সাথে গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে মারা গেলেন তারা মেট্রোরেলের মত উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করতেন। এই ঘটনার মধ্য দিয়ে বিশ্বে প্রমাণ হয়েছে, বাংলাদেশের সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য হলো বিদেশীরা। এজন্যই বিভিন্ন দূতাবাসে সতর্কতা জারী হয়েছে।
সূত্র বলছে, দেশের গার্মেন্টস পণ্যের অন্যতম ক্রেতা ইতালি-ইউরোপের এক প্রভাবশালী দেশ। তারা গার্মেন্টস মালিকদের বলেছেন , তোমরা দিল্লি বা সিঙ্গাপুরে আসো। অর্থাৎ ক্রেতাদের মধ্যে একটি আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি বিজনেস টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে জঙ্গি হামলার পর তিন হাজার কোটি ডলারের পোষাক খাত হুমকির মুখে। গার্মেন্টস মালিকদের সংগঠন বি.জি.এম.ই এ সূত্র জানায়, সম্প্রতি কানাডার ব্রান্ড সিয়ার্সের একটি প্রতিনিধি দলের থাইল্যান্ড, ভারত ও বাংলাদেশ সফরের কথা ছিল। কিন্তু তারা বাংলাদেশ সফর বাতিল করে সংশ্লিষ্ট রফতানি কারককে ভারত বা থাইল্যান্ডে যেতে বলেছে।
অপরপক্ষে ১৮ জুলাই অনুষ্ঠিত ইউ.এস. কটন কাউন্সিলের ঢাকায় পূর্বনির্ধারিত বৈঠক বাতিল হয়েছে। আগামী সেপ্টেম্বর ঢাকায় বিপুল সংখ্যক দেশী বিদেশীর অংশগ্রহণ বড় আকারের প্রদর্শনীর উদ্যোগ নিয়েছিল বাংলাদেশের অন্যতম বড় ক্রেতা প্রতিষ্ঠান এইচ এন্ড এম। সম্প্রতি এই অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে। কমে গেছে বিদেশ থেকে আসা বিমানের যাত্রী সংখ্যাও জানা গেছে, ১৬ জুলাই শুক্রবার লন্ডন থেকে ৪১৯ আসনের বিমান মাত্র ৬২ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসে অথচ স্বাভাবিক সময়ে বিমানটির যাত্রী সংখ্যা কখনোই ৪১০ এর নীচে নামতো না।
অপর এক পত্রিকার খবরে জানা যায়, গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় পবিত্র ঈদের জামাতে জঙ্গি হামলার পর বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতিতেও তীব্র সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। ঐ খবরে জানা যায়, ফল-মূল, শাক-সবজি রফতানি প্রায় ৭০ ভাগ হ্রাস পেয়েছে। ফলে একদিকে রফতানিকারকেরা অপরদিকে তাদেরকে সরবরাহকারীরা এবং শেষ বিচারে ঐ ফল-মূল শাক-সবজীর উৎপাদক কৃষকেরা সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন-পানির দামে ফসল বিক্রি করে দিতে হচ্ছে আধুনিক,বিজ্ঞান সম্মত সংরক্ষণ ব্যবস্থার অভাবে। ঐ পণ্যগুলির বহনকারী পরিবহন মালিক শ্রমিকরাও আয় হ্রাসের কবলে।
পর্যটন শিল্প সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্যে আরও জানা যায় যে গত বছর ঈদের সময় প্রায় ২৫০ জন বিদেশী পর্যটক সুন্দরবন দেখতে এসেছিলেন কিন্তু এবারে সংখ্যাটি ভয়াবহভাবে নেমে যায় মাত্র আট জনে। এখন পর্যন্ত মন্দা চলছে দেশের পাঁচতারা হোটেল ও উন্নতমানের রেস্তরাঁ গুলিতেও। গুলশানের পাঁচ তারকা মানের হোটেল ওয়েষ্টিনের বুকিং অর্ডার নেমে এসেছ ১২ শতাংশে। সোনারগাঁও হোটেলের বুকিং ২০ শতাংশ কমেছে। গেস্ট হাউসগুলির অবস্থাও হয়ে পড়েছে সঙ্গিন। এখাতের বেসরকারি উদ্যোক্তারা বলছেন, গুলশান, বারিধারা ও বনানী এলাকায় ছোট বড় মিলিয়ে ৭০ টি গেস্ট হাউস রয়েছে। এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মিলিয়ে ১৫০০০ মানুষের কর্মসংস্থান, নির্ভরশীল। এগুলির কাষ্টমার মূলত: বিদেশীরা-কিন্তু এখন তাদের যাতায়াত ও বুকিং ভয়ানক ভাবে হ্রাস পেয়েছে।
এক কথায় সার্বিক অর্থনীতিতেই একটি প্রচণ্ড আঘাত লেগেছে যার কারণটি হলো জনমনে সৃষ্ট আতংক আর বিদেশীদের মনের ভীতি। এহেন পরিস্থিতির হাত থেকে যত দ্রুত সম্ভব আমাদেরকে রেহাই পেতেই হবে। আর তার জন্য বহুমুখী ব্যবস্থা গ্রহণ অপরিহার্য এবং অত্যন্ত জরুরী।
এ কারণে:
দ্রুত এই কাজগুলিতে হাত দেওয়া হোক; মিডিয়ার বিজ্ঞাপনেই শুধুমাত্র ফল পাওয়া যাবে-ব্যাপারটা এমন নয়-অনেক গভীরে!
মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
আপনার মন্তব্য