প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Advertise
রণেশ মৈত্র | ১০ আগস্ট, ২০১৬
এক অস্বাভাবিক পরিস্থিতির কবলে পড়েছে বাংলাদেশ। মন্ত্রীসভার সদস্যদেরকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সদ্য পাওয়া খবরে জানা গেল, জয়পুরহাট জেলাতেও হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি দিয়েছে জঙ্গি একটি বাহিনী। বহু মন্দিরের পুরোহিতকে (বরিশালে তো জেলার সকল মন্দিরের সকল পুরোহিত কেই) প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকির কবলে পড়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারাও।
মন্ত্রীসভার সদস্যদেরকে সতর্ক থাকা এবং সতর্কতার সাথে চলাফেরার আবেদন জানিয়েছেন পর্যটন ও বিমানমন্ত্রী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। দেশ জুড়ে বিশিষ্ট জনেরা একই ধরণের হুমকির কবলে। প্রধানমন্ত্রী বলছেন, গুলশানের চাইতেও ভয়ংকর হামলা ঘটার আশংকা- তিনি বলেছেন পুলিশ বাহিনীকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত শিক্ষায় প্রশিক্ষণ নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে জঙ্গিদেরকে প্রতিরোধ করার জন্য।
যৌথবাহিনী নানা জায়গায় এমন কি, বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে গিয়েও জঙ্গিদের আস্তানার সন্ধান পাচ্ছেন একের পর এক। উদ্ধারও হচ্ছে কিছু কিছু অস্ত্র, মুখোশ, নানা জাতীয় পোশাক-তবে জঙ্গিরা ধরা পড়ছে সে তুলনায় কম। কিন্তু তৎপরতার গতি ও গভীরতা গোয়েন্দা বাহিনীর তরফ থেকে যতই বৃদ্ধি পেতে থাকবে ততই গ্রেফতারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং নতুন নতুন তথ্যও উদঘাটিত হবে। অস্ত্র উদ্ধার গ্রেফতার ও বাড়তে থাকবে বলে সবারই ধারণা।
একটি তথ্য জানতে ইচ্ছে করে। গত এক বছরে এ জাতীয় হুমকি পেয়ে দেশের কতগুলি থানায় কতগুলি জিডি হয়েছে। জানতে আরও ইচ্ছে করে যারা এই জিডিগুলো করেছেন তার মধ্যে কোন পেশার কতজন আছেন। এ প্রসঙ্গে প্রাসঙ্গিক ভাবেই আরও জানতে ইচ্ছে করে- যাঁরা জিডি করলেন তাঁদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য পুলিশের তরফ থেকে কিকি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং কতজন পুলিশ কর্মকর্তা ও কনস্টেবল ঐ দায়িত্বে নিয়োজিত হয়েছেন।
ইতোমধ্যে অত্যন্ত ভদ্র, স্বল্পভাষী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফ একটি অত্যন্ত আতঙ্কজনক কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন- সকলে সতর্ক থাকুন, ১৯৭৫ এর পুনরাবৃত্তি ঘটে যেতে পারে। আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, সতর্ক আছি তবে আতঙ্কিত নই। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা জঙ্গি হামলার শিকার হতে পারেন। র্যাব অতি সম্প্রতি পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী ২৬২ জন তরুণ-তরুণীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার তালিকা প্রকাশ করেছে।
এবারে সরকারী সূত্রে বাংলাদেশের সংবাদপত্রগুলিতে প্রকাশিত ঐ খবরের সাথে ২০ জুলাই তারিখে কলকাতা থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত খবরটিরও উল্লেখ করতে চাই পয়েন্ট আকারে কারণ খবরটির বিস্তারিত বিবরণের প্রিন্ট আমার হাতে নেই।
সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী কর্তৃক গোপনসূত্রে সংগৃহীত খবরের ভিত্তিতে মাস কয়েক আগে (২০১৫ সালের শেষ দিকে) পশ্চিমবাংলা থেকে গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশের একজন পালিয়ে থাকা জঙ্গি মসিউদ্দিন মুসা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে যে তথ্য দিয়েছে সে অনুযায়ী সাতক্ষীরা নিবাসী সুলেমান হলো বাংলাদেশের আইএস প্রধান। উভয় বাংলাতেই নাকি সুলেমান “বাংলার বাঘ” নামে সংশ্লিষ্ট মহলগুলিতে পরিচিত। সুলেমান মালদহে গিয়ে উভয় বাংলার আইএস জঙ্গি নেতাদের সাথে এক বৈঠকেও মিলিত হয়েছেন। অবশ্য সুলেমানই যে বাংলাদেশে আইএস এর প্রধান-এ নিয়ে বাংলাদেশের গোয়েন্দা মহল নাকি এখনও কিছুটা সংশয়ে আছে। তাঁরা মনে করেন আবু ইব্রাহিম আল হানাফি ও হতে পারেন-তবে বেশীর ভাগ সম্ভাবনা সুলেমানই বাংলাদেশে আইএস এর প্রধান। তারা দুইবাংলা মিলে মিশে তাদের কাজ কর্ম পরিচালনা করছে মর্মে ভারত ও বাংলাদেশী গোয়েন্দা মহল নাকি অনেকাংশে নিশ্চিত।
গুলশান ও শোলাকিয়া হত্যালীলার পর বহুলাংশে ঘুম ভাঙলেও এখনও বাংলাদেশ সরকার আইএস এর অস্তিত্ব স্বীকার করছেন না প্রকাশ্যে কিন্তু আইএস স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা নথিপর্বে-ভারতের গোয়েন্দা তথ্যেও তার স্বীকৃতি প্রকাশ্যেই পাওয়া যাচ্ছে।
সর্বাধিক আতঙ্কজনক তথ্য “বর্তমান” পত্রিকার খবরেই জানা গেল, ২০১২ সালের জানুয়ারিতে মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক নাকি সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাতের এক ব্যর্থ প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি পাকিস্তানে অবস্থান করছেন। তাঁরই উদ্যোগে গুলশান হত্যালীলা ঘটে থাকতে পারে-এমন চিন্তা আগে করলেও বাংলাদেশের গোয়েন্দা বাহিনী নাকি সে চিন্তা থেকে সরে এসে সাতক্ষীরার সুলেমানকেই চিহ্নিত করেছে। এই খবরগুলি একত্র করে একটি মালা গাঁথলে তা কেমন দাঁড়ায়? কেমন একটা চিত্র আমাদের সামনে ভেসে ওঠে আমাদের মাতৃভূমি প্রিয় বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে।
এহেন পরিস্থিতিতে চলছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে। বিএনপি হঠাৎ করেই প্রস্তাব দিয়েছে জঙ্গি উৎখাত প্রশ্নে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার উপর। কিন্তু যেহেতু বিএনপি জামায়াতে ইসলামীর সাথে দীর্ঘদিন যাবত জোটভুক্ত-তাই তাদের প্রস্তাবের কোন ইতিবাচক প্রভাব জনগণের উপর পড়ছে না। এমতাবস্থায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বেগম জিয়া জানিয়েছেন, ঐক্য প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়ে আওয়ামীলীগ তাদের কাছে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ছাড়ার কথা বললেই তারা জামায়াতকে পরিত্যাগ করবেন।
এর প্রতিক্রিয়া স্বরূপ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গি দমনে জাতীয় ঐক্য তো প্রতিষ্ঠিত হয়েই গেছে। আবার তাঁর মন্ত্রীসভার কোন কোন সদস্য বলেছেন, জঙ্গি-বিরোধী অভিযান ঠেকাতেই খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের কথা বলতে শুরু করেছেন। তাদের কৌশলগত কারণেই সম্ভবত: বিএনপি নেতারা বলছেন না, জামায়াতকে সরকারীভাবে যে আইনি ঘোষণা করলেই তো ল্যাটা চুকে যায়।
বস্তুত: দেশ যখন গভীর অস্থিরতার মুখে, নানা অপশক্তি যখন দেশের আনাচে কানাচে ধর্মের নামে ব্যাপক গণহত্যা, নানা ঐতিহ্যমন্ডিত মন্দির মসজিদ ধ্বংসের কাজে নিয়োজিত, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা যেখানে গভীর অনিশ্চয়তার মুখে নিপতিত, তখনও জাতীয় ঐক্য নিয়ে এমন বাহাস কল্পনার বাইরে। এর দ্বারা বৃহত্তর পরিসরে ঐক্য গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা গঠন বিষয় বলে প্রতিপন্ন হচ্ছে। আমাদের রাজনীতির এই পঙ্কিলতা, সংকীর্ণতা কতদিনে দূর হবে, কতদিনে আবার মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে-তা আরও অনিশ্চয়তার কবলেই নিপতিত হচ্ছে। হতাশাগ্রস্ত হচ্ছে মানুষ-নেতৃত্বের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে কোটি কোটি শঙ্কিত মানুষ।
আমার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের অভিজ্ঞতায় বলতে পারি-এহেন অনাস্থা ও হতাশাব্যঞ্জক পরিস্থিতিতে প্রকৃত অর্থে যে রাজনৈতিক শূন্যতা পরিলক্ষিত হয়-অরাজনৈতিক শক্তি তখন মুচকি হাসি হেসে দেশের রাজনৈতিক শক্তিকে আঘাত করে, ফলে সব কিছু উল্টে পাল্টে যায়। গণতন্ত্র? গণতন্ত্রের সামান্য নাম নিশানাও থাকে না-উধাও করে দেওয়া হয়। এমনটি ঘটতে আমরা পাকিস্তান আমলে প্রথম দেখেছি ১৯৫৮ সালে, পরবর্তীতে ১৯৬৯ সালে, মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশেও দুবার দেখলাম ১৯৭৫ এ ১৯৮০-৮১তে। সেই অন্ধকার দিনগুলিকে কি আমরা ভুলে যাব? অতীতের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিয়ে অগ্রসর মুখী পদক্ষেপ গ্রহণে এবারে ব্যর্থ হলে দেশটি কতকালের জন্য গভীর অন্ধকারময় বিপর্যয়ের মুখে পড়বে তা একান্তই অনিশ্চিত।
তাই ঘরে বসে থাকা নয়। আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম যে সংকটময় পরিস্থিতির দিকে অঙ্গুলি হেলন করেছেন, দেশের বাম-প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তিগুলি যে দুঃসহ পরিস্থিতির আশংকা করছেন-তাকে যথাসাধ্য গুরুত্ব দিয়ে আত্মরক্ষামূলক নয়, আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিতে হবে সামান্যতম কালবিলম্ব না করে।
সেই আক্রমণাত্মক ভূমিকা কি-তা কারও অজানা নয়। দেশের পরিস্থিতি এবং ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতেই হবে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আর সে জন্য আমার সাত দফা সুপারিশ উত্থাপন করছি-
এক. অবিলম্বে সন্ত্রাস বিরোধী, সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির একটি জাতীয় মহাসম্মেলন আহবান করা হোক। সেখানে আলোচনা করে স্থির করা হোক কি কি পন্থায় সন্ত্রাসবাদ-জঙ্গিবাদ সাম্প্রদায়িকতা দূর করা যায়।
দুই. এই জাতীয় মহাসম্মেলনে ধর্মনিরপেক্ষ এবং বাহাত্তরের মূল সংবিধানে বিশ্বাসী সকলকেই আহবান করা হোক-ঐ সংবিধানে অবিশ্বাসী কাউকে আহবান না করাই হোক সুস্পষ্ট নীতি। বিএনপি নিয়ে প্রশ্ন আছে সঙ্গত কারণেই। তবুও বিএনপিকে ডাকা যেতে পারে যদি তারা নিম্নোক্ত পূর্বশর্ত মেনে নেওয়ার প্রকাশ্য ঘোষণা দেয়-
(ক) তারা ১৯৭২ এর মূল সংবিধানে সুস্পষ্ট আনুগত্য প্রকাশ করছে এবং
(খ) জামায়াতে ইসলামীসহ অপরাপর ধর্মাশ্রয়ী দলগুলিকে সঙ্গে নিয়ে রাজনৈতিক জোট গঠন করে তারা যে ভুল করেছে-তার জন্যে অকপটে দুঃখ প্রকাশ করে তাদের সকলকে ২০-দলীয় জোট থেকে বের করে দিতে হবে এবং
(গ) একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী দুইজনকে অতীতে তথাকথিত চার দলীয় জোট সরকারের মন্ত্রীপদে অধিষ্ঠিত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতি যে অবমাননা প্রদর্শন করেছিল তার জন্যও জাতির কাছে প্রকাশ্যে দুঃখ প্রকাশ করা।
এই তিনটি পূর্বশর্ত মেনে ঐ জাতীয় মহাসম্মেলনে আসতে সম্মত হলে বিএনপিকে ও সম্মেলনে যোগদান করার আমন্ত্রণ জানানো হোক। এতে বাংলাদেশের রাজনীতির মৌলিক, ইতিবাচক পরিবর্তন হবে এবং দেশ ও জাতি উপকৃত হবে-দিবারাত্র পারস্পরিক দোষারোপের রাজনীতি ও বন্ধ হবে বলে অনুমান করি।
তিন. জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশন দীর্ঘায়িত করে এই অধিবেশনেই সংবিধান সংশোধন করে পঞ্চদশ সংশোধনীতে গৃহীত “বিসমিল্লাহ,” জামায়াতে ইসলামীসহ ধর্মাশ্রয়ী দলের অস্তিত্ব বিলুপ্ত করা এবং তেমন দল গঠন করা সংবিধান-বহির্ভূত ও বে-আইনি হবে বলে ঘোষণা করা, “রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম” প্রভৃতি অংশগুলি বাতিল ঘোষণা করা হোক।
চার. দেশের প্রতিটি জেলায় (সম্মেলন সমাপ্তির পরে) সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দলগুলির প্রতিনিধি সমবায়ে যৌথ টিম গঠন করে সকল জেলা ও থানায় সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী জনসভা, মিছিল প্রভৃতি করা হোক।
পাঁচ. অবিলম্বে বাহাত্তর সংবিধানে আস্থাশীল সকল বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলিকে নিয়েও দেশব্যাপী একই লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক অভিযানও পরিচালনার ব্যবস্থা করা হোক। এদেরকে ঐ সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানান হোক।
ছয়. নানা সময়ে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনার ব্যাপারে (২০০১ সালের নির্বাচনপূর্ব ও পরবর্তীকালসহ) মোকদ্দমা দায়ের করা হোক এবং বিশেষ আদালত গঠন করে সেগুলির দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
সাত. দেশব্যাপী সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হোক।
বস্তুত: যে জাতীয় জাগরণ ঘটানো আজ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে ক্রম বর্ধমান সংকটময় পরিস্থিতির সফল মোকাবিলার জন্য ক্ষুদ্র বিবেচনা শক্তি নিয়ে যা করা প্রয়োজন মনে করলাম তারই সুপারিশ জানিয়ে নিবন্ধটিতে ইতি টানলাম।
মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
আপনার মন্তব্য