আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

এতো খণ্ডিত বঙ্গবন্ধু...বঙ্গবন্ধু কই?

ইমতিয়াজ মাহমুদ  

(১)
বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুতে আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতি যেটা হয়েছে সেটা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতি- বঙ্গবন্ধু আর নেই। না, শারীরিকভাবে বঙ্গবন্ধু নেই সে তো একটা ক্ষতিই আরকি। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর এই শারীরিক অনুপস্থিতির সুযোগে শয়তান প্রকৃতির লোকেরা যার যার মত একেকটা বঙ্গবন্ধু বানাচ্ছে। এইটা শুরু হয়েছে আজকে থেকে না, একদম ১৯৭৬ সনের শুরু থেকেই এই কুকর্মটা শুরু হয়েছে। জিয়াউর রহমান শুরু করেছে, তার পছন্দমত আর প্রয়োজনমত বঙ্গবন্ধুর একটা নেতিবাচক ইমেজ তৈরির কাজ শুরু করে দিয়েছিল ১৯৭৬ সন থেকেই। যার যার পছন্দমতো বঙ্গবন্ধু তৈরির কাজ কিন্তু আজকেও অব্যাহত আছে। আজকেও দেখবেন লোকে যার যার মত একেকটা বঙ্গবন্ধু বানায় আর জোরে জোরে মাইক পিটিয়ে বলতে থাকে যে এটাই বঙ্গবন্ধু। সম্প্রতি এইরকম একটা প্রবণতা চালু হয়েছে বেশ প্রবলভাবে একজন মুসলমান বঙ্গবন্ধু তৈরি করার। এর সবচেয়ে অধঃপতিত রূপটা হচ্ছে আওয়ামী ওলামা লীগের 'হযরত বঙ্গবন্ধু রাদিয়াল্লাহু আনহু'।



ছোট একটা প্রশ্ন করতে পারে। আজকে এই পনেরই আগস্টে কেন জিয়াউর রহমান নামক ঐ লোকটার নাম উচ্চারণ করছি? এইসব নাম বলতে হয়। যীশু খৃস্টের কথা বলতে গেলে জুডাসের নামও আসে। জুলিয়াস সিজারের নাম বললে ব্রুটাসের নামও আসে।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আড়াল করার চেষ্টায় জিয়াউর রহমান যেসব কুকর্ম করেছিল সেগুলি তো আপনারা এখন জানেনই। আমি নিজেও এই নিয়ে কয়েকটা পোস্ট দিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর বাঙালীর জীবন থেকে বঙ্গবন্ধুকে আড়াল করার জন্যেও কিন্তু এই জিয়াউর রহমান খুব কায়দা করে চিন্তা ভাবনা করে নানান রকম পদক্ষেপ নিয়েছিল। সেইগুলি একটু বলি।

(২)
১৯৭৫ সনের ৩১শে ডিসেম্বর জিয়াউর রহমান যে কাজটা করেছে সেটা আপনার ইতিমধ্যে জানেন। সেদিন একটা অধ্যাদেশ জারি করে দেশে সেই সময় চলমান রাজাকারদের সব বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করে দিল। ইতিমধ্যেই রাজাকারগুলি ধীরে ধীরে জেলখানা থেকে বা লুকিয়ে থাকার জায়গাগুলি থেকে বের হয়ে এসেছে। বঙ্গবন্ধুর নামে নানাপ্রকার কুৎসা রটনা তো শুরু হয়ে গিয়েছিল তার আগেই। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর ইত্তেফাক আর দৈনিক বাংলা মিলে শুরু করলো মৃত বঙ্গবন্ধুর চরিত্র হনন। এইসব করেও ওরা ক্ষান্ত হয়নাই। জিয়াউর রহমান আর ওর সহযোগীরা ওরা জানতো যে রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু হলেই মানুষের সামনে সত্য চলে আসবে আবার। সেইটা বন্ধের জন্যেও কায়দা করলো জিয়াউর রহমান ১৯৭৬ সনে। রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরুর প্রাক্বালে ১৯৭৬ সনে যে পলিটিক্যাল পার্টি রেগুলেশন করলো জিয়াউর রহমান, সেখানে সে একটা বিধান ঢুকিয়ে দিল যে মৃত কোন রাজনৈতিক নেতার প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তৈরি হয় সেরকম কোন কাজ বা কাজের পরিকল্পনা করা যাবে না। তার মানে দেশে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু হলেও বঙ্গবন্ধুর প্রশংসা করে কোন কথা বলা যাবেনা। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নিন্দা করতে কোন বাধা থাকলো না। আইন করেই জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ভাল কথা বলা বন্ধ করেছিল।


এর পরের বছরগুলিতে কি হয়েছিল আপনারা জানেন। বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে কুৎসা করেছে রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের টেলিভিশন রেডিও, আর রাষ্ট্রের প্রশ্রয়ে থেকে একদল ক্রিমিকিট। ইত্তেফাক ছিল ওদের নেতৃত্বে। প্রতি বছর পনেরই আগস্ট এলেই ইত্তেফাকে ডেমোক্রেটিক লিগ, জাতীয় লীগ, জাসদ, শ্রমিক কৃষক সমাজবাদী দল, শফিউল আলম প্রধানের দল এরা উৎসব করতো। আপনি এখনো কোন জাসদ বা বাসদ নেতাকে জিজ্ঞাসা করলে জানবেন, ওরাও এইরকম উৎসবই করতো। আওয়ামী লীগের লোকেরা কর্মসূচী করতো বটে, সেগুলিতে পুলিশ বাধা দিত, সরকারী দল হামলা করতো, এরপরও যেসব কর্মসূচী হতো সেগুলির খবর কাগজে আসতো খুব ছোট করে। এখনো আপনি যে কোন লাইব্রেরীতে গিয়ে ৭৬, ৭৭, ৭৮, ৭৯ বা ৮০ সনের ইত্তেফাক, দৈনিক বাংলা বা অন্য কাগজ খুললে এইসব খবর দেখবেন। ঐসব বছরের ১৬ই আগস্টের কাগজ খুললেই দেখতে পাবেন কারা কারা সেদিন নাজাত দিবস ইত্যাদি পালন করতো। বড় কাগজের মধ্যে শুধু দৈনিক সংবাদ কিছুটা শোকের আবহ প্রচার করতো।



(৩)
কথা হচ্ছিল বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতি নিয়ে আর যার যার মত বঙ্গবন্ধু তৈরির চেষ্টার কথা। আপনি দেখবেন আজকে যারা বঙ্গবন্ধুর নানাপ্রকার ইমেজ তৈরি করছে, এরা কিন্তু সকলেই নানাপ্রকার উপাদান দেখাবে আপনাকে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও তাঁর বক্তৃতা বিবৃতি থেকেই। ফটোও দেখাবে নানাপ্রকার। এবং এগুলি কোন বানানো উপাদান না, এগুলি সবই সত্যি কথা এবং সত্যি ছবি। দেখবেন যে কেউ বঙ্গবন্ধুকে সেক্যুলার বানাচ্ছেন তো কেউ মৌলানা। এই যে এরা একেকজন একেক রকমের বঙ্গবন্ধু তৈরি করে এরা আসলে নিজেদের ক্ষুদ্রতা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে খণ্ডিত করে আর এইভাবে সম্পূর্ণ বঙ্গবন্ধু আমাদের জীবন থেকে আড়াল হয়ে যান। বঙ্গবন্ধু এতো বড় ছিলেন যে এইসব ক্ষীণদৃষ্টি সংকীর্ণমনা লোকদের পক্ষে সম্পূর্ণ বঙ্গবন্ধুকে দেখা সম্ভব হয় না। এইজন্যে এরা বঙ্গবন্ধুকে সবসময়ই খণ্ডিত করে।

আমাদের শিক্ষিত মধ্যবিত্তের মধ্যে এই প্রবণতা আছে, নিজেদের মাপে বঙ্গবন্ধুকে মাপতে যান। আপনি মাঝে মাঝেই দেখতে পাবেন এইরকম লোক, বিজ্ঞের মত আপনাকে জ্ঞান দিতে আসবে, বঙ্গবন্ধু অনেক বড় নেতা ছিলেন তবে... ইত্যাদি। এই গাধাগুলির মধ্যে এইটুকু ইয়েও নাই যে বঙ্গবন্ধু যে কতো বড় ছিলেন সেটা সম্পূর্ণ অনুধাবন করবে।

শোনেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আমাদের একজনই 'কমপ্লিট ন্যাশনালিস্ট লিডার' ছিলেন যার দক্ষতা সক্ষমতা প্রজ্ঞা ছিল তাঁর জনগণের সকলের চেয়ে বেশী। তার চেয়েও বড় যেটা ছিল, আমাদের এই এলাকার হতভাগা মানুষগুলিকে বঙ্গবন্ধুর চেয়ে বেশী কেউ ভালোবাসেনি। বঙ্গবন্ধুর এই ইন্টেলেকচুয়াল সুপিরিওরিটি আর মানুষের প্রতি এইরকম দিওয়ানার মত ভালোবাসার কথা জানে দুই ধরনের মানুষ। একদল হচ্ছেন আমাদের দেশের সবচেয়ে দক্ষ, বিজ্ঞ ও প্রতিভাবান মানুষগুলি, যারা বঙ্গবন্ধুর সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। আমি এইরকম দুই একজনের সাথে কথা বলার এবং কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। বঙ্গবন্ধু নিজে প্রজ্ঞার দিক দিয়ে বড় ছিলেন বলেই তিনি অবলীলায় দেশের সবচেয়ে প্রতিভাবান মানুষগুলিকে দেশের প্রয়োজনে নিজের মতো করে ব্যাবহার কতে পারতেন। আর তিনি নিজে অনেক বড় বলেই তিনি এইরকম প্রতিভাবান লোকদের সম্মান করতে পারতেন আর এজনেয় এইসব পণ্ডিতরাও বঙ্গবন্ধুকে এখনো সম্মান করেন নতমস্তকে।

পণ্ডিতদের বা প্রতিভাবানদের প্রসঙ্গ একেই আমার দুইটা আফসোস হয়। প্রথম আফসোস, সেই মাপের বুদ্ধিবৃত্তিক মান আমাদের এখানে আজকালা আর খুব একটা দেখা যায় না। এখন দুনিয়ার সব চাটুকার ধরনের প্রফেসর সাহেবেরা আর লেখক শিল্পীরা সরকারী আনুগত্যের জন্যে শেখ হাসিনার বা খালেদা জিয়ার চামচামি করতে থাকে। আরেকটা আফসোস হচ্ছে আমাদের প্রধানমন্ত্রী কি পণ্ডিতদেরকে কিভাবে দেশের কাজে ব্যবহার করতে হয় সেটা সম্ভবত জানেন না।

(৪)
আরেক ধরনের মানুষ আছেন যারা জানেন বঙ্গবন্ধু কি মাপের মানুষ ছিলেন। এরা হচ্ছে বাংলাদেশের খুবই সাধারণ মানুষ। বঙ্গবন্ধু প্রসঙ্গে এরা আপনাকে আমার মত কায়দা করে এইভাবে বলতে পারবে না। কিন্তু বুকের গহীন ভিতরে এরা সকলেই একটা সত্য জানেন, আমাদের দেশে একজন মানুষই ছিল যার উপর দেশের সকল মানুষ ভরসা করতে পারতো, যাকে দেশের সকল মানুষ বিশ্বাস করতে পারতো, যার হাতে দেশের সকল মানুষ নিজের ভাগ্য সমর্পণ করতে পারতো। এরা এখনো জানে, ওদেরকে বঙ্গবন্ধু ছাড়া কেউ এইরকম ভালোবাসেনি। এরা এখনো শেখ হাসিনার মধ্যে বঙ্গবন্ধুকে খোঁজেন আর বঙ্গবন্ধুর প্রতি একধরনের জান্তব অব্যক্ত ভালোবাসা থেকেই এরা বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে একান্ত আপনজন মনে করেন।

এইরকম লোকজন আপনি আপনার আশেপাশেই পাবেন। আওয়ামী লীগের কোন কর্মসূচীতে কোন সভা সমাবেশে কিছু সংখ্যক বয়স্ক লোকদের দেখবেন। সাধারণ কাপড়চোপড়, রোদে পুড়ে সংসারের ঘাট প্রতিঘাতে রুক্ষ চেহারা। কারো গায়ে হয়তো একটা পুরনো তেল চিটচিটে মুজিব কোট আছে। দেখবেন এমনি এলোমেলো হেঁটে বেড়াচ্ছে, বাদামের খোসা ছড়াচ্ছে বা হয়তো পান চিবুচ্ছে। দল সরকারে আছে কি বিরোধী দলে তাতে ওদের কিছু যায় আসে না। কোন কমিটিতে আছে কি নাই তাতেও ওদের কিছু যায় আসে না। ওরা বঙ্গবন্ধুর নামে আসে, বঙ্গবন্ধুর নামে শ্লোগান দিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে দেখে আর বঙ্গবন্ধুর জনী চোখের পানি ফেলে। আপনি বঙ্গবন্ধুর নাম করে যদি ঠিক মতো চাইতে পারেন, তাইলে একটা মুহূর্ত দ্বিধা না করে নিজের কলজে খুলে আপনার হাতে দিয়ে দিবে।

হাটে মাঠে ঘাটে যে কোনখানে যদি বেশ কিছু মানুষ একসাথে জড়ো হয়, সিনেমা হলে বা স্টেডিয়ামে বা গনের জলসায়, হঠাৎ একবার জয় বাংলা বলে শ্লোগান দিয়ে দেখতে পারেন। দেখবেন কিছু লোক আপনার শ্লোগানে নিজের অজান্তেই সারা দিয়ে দেবে। শ্লোগানের সময় দেখবেন এদের চোয়াল দৃঢ় হয়ে গেছে, হাত মুষ্টিবদ্ধ, চোখের দৃষ্টি উদ্ভাসিত- এরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। সৈনিক না বলে বলতে পারেন ফিনিক্সের দল- এক প্রজন্ম মরে যায় আর ওদের ভস্ম থেকে জন্ম নেয় আরেক প্রজন্ম। ওদের সাথে কথা বলে দেখতে পারেন- বঙ্গবন্ধুর জন্য নিপাট ভালোবাসা ছাড়া আর কিছু নাই। ওরা আপনাকে হয়তো যুক্তি দিয়ে বুঝাতেও পারবে না বঙ্গবন্ধুকে কেন ভালোবাসে। জেনে রাখবেন, ওদের এই অবোধ ভালবাসা বঙ্গবন্ধুর প্রগাঢ় ভালবাসারই প্রতিদান। এই ভালোবাসায় জীবনপাত তো তুচ্ছ ব্যাপার।

(৫)
আমি বুক ঠুকে বলি আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি। চামড়ার চোখে বঙ্গবন্ধুকে আমি দেখেছি একবার- খুবই ছোট ছিলাম তখন, অনেক দুর থেকে দাঁড়িয়ে দেখেছি কক্সবাজার এয়ারপোর্টে ছোট্ট একটা প্লেন থেকে নামছেন বিশাল এক মানুষ। সবার উপরে ওঁর মাথা- এছাড়া আর কোন কিছুই আমার মনে নাই। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে আমি দিনের পর দিন বছরের পর জেনেছি। একসময় নিরাসক্ত নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে শুনতাম বঙ্গবন্ধুর কথা। এখন সম্ভবত আর সেরকম নিরপেক্ষ আর আমি নাই- বঙ্গবন্ধুর প্রতি একরকম ভালোবাসা জমেছে বুকে। কেননা আমার বিদ্যাবুদ্ধি মেধা অভিজ্ঞতা সবকিছু দিয়ে আমি জানি, আমাদের এই বাঙালী কওমে এতো বড় মানুষ আর হবেনা।

এই যে আপনারা নানারকম খণ্ডিত বঙ্গবন্ধু বানাতে চেষ্টা করছেন, মেহেরবানী করে এইসব বাতুলতা বন্ধ করেন। আপনাদের এইসব নানারকম পরিচয়ে আপনারা বঙ্গবন্ধুকে সরিয়ে দিচ্ছেন, বঙ্গবন্ধুর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করছেন। আপনাদের সেই সামর্থ্য নাই যে বঙ্গবন্ধুকে আপনারা গ্লোরিফাই করবেন। বঙ্গবন্ধু আপনাদের এইসবে চেয়ে অনেক অনেক অনেক বড়। বাঙ্গালীদের মধ্যে তিনি হচ্ছেন একমাত্র নেতা যিনি তার প্রায় সকল জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছিলেন। এই কাজটা তিনি আপনাদের ঐসব খণ্ডিত ধারনা বা খণ্ডিত পরিচয় দিয়ে অর্জন করেননি।

না, আমি বলছি না যে বঙ্গবন্ধুর বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠা কেবল তাঁর নিজের যোগ্যতায় হয়েছে। ইতিহাসে এইরকম অনেক দেখবেন, সময়ই এইরকম নেতাকে তাঁর উচ্চতা প্রদান করে। কিন্তু ইতিহাস বঙ্গবন্ধুকে তৈরি করুক বা বঙ্গবন্ধুই ইতিহাসকে তৈরি করুক, বঙ্গবন্ধু বাঙালীর সবচেয়ে আপনজন আর সবচেয়ে ভালোবাসার মানুষ। আমরা এই মানুষটাকে মেরে ফেলেছি। এ যেন যীশু খৃস্টেরই পুনরাবৃত্তি। ঈশ্বর তাঁর আপন পুত্রকে পাঠিয়েছিলেন মানুষের মুক্তির জন্য, আর সকল মানুষকে প্রেম দিয়ে মানুষের সকল পাপের দায় নিজের কাঁধে নিয়ে তিনি চলে গেছেন পিতার কাছে।

ইমতিয়াজ মাহমুদ, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ