আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

কিশোরী ফুটবলারদের অনিরাপদ যাত্রা এবং বাফুফের বাস্তবতা বিবর্জিত ব্যাখ্যা

ফরিদ আহমেদ  

মাত্র দুইদিন আগে ঢাকায় শেষ হয়েছে এএফসি অনূর্ধ্ব ষোলো প্রমীলা ফুটবল টুর্নামেন্টের বাছাই পর্বের খেলা। বাংলাদেশসহ মোট ছয়টা দেশ অংশ নিয়েছে সেই খেলায়। এই টুর্নামেন্টে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়ে বাংলাদেশের কিশোরীরা জিতে নিয়েছে শিরোপা। শিরোপা জিতে এশিয়ার সেরা সাত দলের সাথে চূড়ান্ত পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নিয়েছে তারা এখান থেকেই। চূড়ান্ত পর্বে তারা চিন, জাপান, দুই কোরিয়া, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার মতো এশিয়ান সুপার পাওয়ারদের সাথে খেলবে।

এই শিরোপা যাত্রায় তারা ধরাশায়ী করেছে ইরান, তাইপের মতো শক্তিশালী দলকে। শুধু শিরোপা জেতার কারণেই নয়, যেভাবে বাংলাদেশের মেয়েরা দাপটের সাথে আক্রমণাত্মক খেলা খেলেছে, যে কলাকৌশল, গতি, এবং স্ট্যামিনা তারা দেখিয়েছে এই টুর্নামেন্টে তা রীতিমত বিস্ময় হয়ে এসেছে দেশবাসীর কাছে। আমাদের মেয়েরাও এমন ফুটবল খেলতে পারে, এটা চোখের সামনে দেখেও অনেকেই বিশ্বাস করতে পারেনি।

মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই এই কিশোরীরা সকলের নয়নের মণিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের পুরুষ ফুটবল দল যখন ক্রমে নিচে নামতে নামতে তলানিতে চলে যাচ্ছে, মালদ্বীপের কাছে পাঁচ গোল খেয়ে আসছে, ভুটানের সাথে নিজের মাঠে ড্র করছে, আর এগুলো দেখে লোকজন সবাই হতাশায় মুষড়ে পড়ছে, তীব্র যন্ত্রণায় দগ্ধ হচ্ছে তাদের করুণ পারফরম্যান্স দেখে, ঠিক সেই সময় মেয়েদের এই অভাবনীয় সাফল্য এসেছে অনাবিল আনন্দের স্রোতধারা হয়ে। পুরুষ দলের বিপর্যতা দেখে, তাদের বিফলতায় তিক্ত, বিরক্ত এবং হতাশ হয়ে মানুষ আশ্রয় খুঁজতে চেয়েছে মেয়েদের সোনালি সাফল্যের ছাতাতলে। এর কারণ হচ্ছে, প্রতিটা মানুষই সাফল্য-প্রত্যাশী, সাফল্য তাকে আনন্দিত করে, অনুপ্রেরণা যোগায় সামনের দিকে এগিয়ে যেতে।

বাংলাদেশের এই দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই এসেছে প্রত্যন্ত এলাকার এক গ্রাম থেকে।  ঢাকা থেকে অনেক দূরের এক মফস্বল শহর ময়মনসিংহ। সেই ময়মনসিংহ থেকেও আড়াই ঘণ্টার দূরত্বের এক সীমান্তবর্তী অজ পাড়াগাঁ। সেই পাড়াগাঁটির নাম কলসিন্দুর। ওই কলসিন্দুর গ্রামের একজন দরিদ্র স্কুল শিক্ষক, যাঁর নিজের কোনো ফুটবল ব্যাকগ্রাউন্ড নেই, তিনিও ফুটবল নিয়ে একদিন স্বপ্ন দেখেছিলেন। দেখেছিলেন তাঁর স্কুলের মেয়েরা একদিন ফুটবল খেলবে। এমন দিবাস্বপ্ন বহু মানুষই দেখে। দেখে, তারপর আবার ভুলেও যায়। কিন্তু, তিনি এই দিবাস্বপ্নকে স্বপ্ন হিসাবে রাখেননি। বাস্তব করতে মাঠে নেমে পড়েছিলেন তাঁর স্কুলের বাচ্চা মেয়েদের নিয়ে।

প্রবল দারিদ্র, কুসংস্কার, মেয়েদের প্রতি সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লড়াই এর সমস্ত সাহস নিয়ে মাঠে নেমে এসেছিলেন তিনি। দরিদ্রতাজনিত অপুষ্টির শিকার একদল মেয়েকে তিনি ফুটবলে লাথি দেওয়া শিখিয়েছিলেন। তারপর দিনের পর দিন পরম মমতা দিয়ে তৈরি করেছেন তাদের ফুটবলার হিসাবে। এই যাত্রাটা আমার এই বর্ণনার মতো সহজসাধ্য ছিল না। বাধা এসেছে নানাদিক থেকে। সেই সব বাধা অতিক্রম করে গেছেন তিনি সাফল্যের সেতু তৈরি করে করে। যে মেয়েদের তিনি একদিন তৈরি করেছিলেন কঠিন পরিশ্রম, অধ্যবসায় এবং পরম ভালবাসা দিয়ে, সেই মেয়েরা আজ এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে চমকে দিয়েছে গোটা দেশবাসীকে।

আমাদের মেয়েরা এশিয়ার সেরা সাত দলের সাথে পাল্লা দিয়ে লড়বে এশিয়ান শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের রঙ্গমঞ্চে, এর চেয়ে রোমাঞ্চকর আর কী হতে পারে? শুধু এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে অংশ নিয়েই তারা থেমে থাকবে না। একদিন তারা  বিশ্বকাপেও খেলবে বলে স্বপ্ন দেখছে দলের ব্যবস্থাপকেরা।

টুর্নামেন্ট শেষ হবার পর, শিরোপা জেতার আনন্দ নিয়ে কলসিন্দুরের এই মেয়েরা বাড়িতে ফিরে যাচ্ছিল। অনেকদিন ধরেই তারা পরিবার-পরিজন বিহীন পড়ে রয়েছে ঢাকা শহরে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন কলসিন্দুরের এই মেয়ে ফুটবলারদের লোকাল বাসে করে যাবার ব্যবস্থা করে দেয়।

স্বাভাবিকভাবেই এই যাত্রা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়েছে মেয়েরা। পথে তাদের শিকার হতে হয়েছে ইভ টিজিং এর। কটূক্তি করেছে তাদের  প্রতি কিছু লোক, কেউ কেউ গালিগালাজও করেছে  তাদের। গাড়ি একটু পর পর থেমেছে, বিচিত্র ধরনের লোকজন উঠে এসেছে বাসে। নিরাপত্তাহীন এক অবর্ণনীয় দুর্দশার মধ্যে মেয়েগুলো বাড়ি পৌঁছেছে সারাদিনের ভ্রমণের পরে। মেয়েদের এই দুর্দশার কথা হয়তো আমরা জানতেই পারতাম না। পথের মধ্যে যমুনা টিভির রিপোর্টার হাসান শাহেদ উঠেছিলেন তাঁর ক্যামেরাম্যানকে সাথে নিয়ে। শিরোপাজয়ী দলের কিশোরী ফুটবলারদের যাত্রাপথের দুর্ভোগ দুর্দশা, ভোগান্তি এবং লাঞ্ছনার কথা তিনি দেশবাসীর সামনে প্রচার করে  দেন অনতিবিলম্বেই। কোনো অভিভাবকবিহীন  মেয়েদের এই যাত্রা যে প্রচণ্ড রকমের অনিরাপদ ছিল সেটা বলতেও ভুল করেননি তিনি।

হাসান শাহেদের এই রিপোর্ট প্রচার হবার পরেই সারাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। ক্ষিপ্ত লোকজন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের এই দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং  অসংবেদনশীল আচরণের কঠোর সমালোচনা করে। এই মেয়েদের কিছু হলে, কে এর দায় নিতো সেই প্রশ্নও অনেককেই করতে দেখা যায়। মানুষজনের এই তীব্র এবং কঠোর প্রতিক্রিয়ার পরে টনক নড়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের। মেয়েরা কেন লোকাল বাসে করে গেলো, সেই বিষয়ে যুক্তি হাজির করে তাঁরা। তবে, সেই যুক্তি দেখার পরে  মানুষের রাগ এবং ক্ষোভ প্রশমিত হবার বদলে আরো শতগুণে বৃদ্ধি পায়। কী কারণে সেটা বলছি।

সমালোচনার হাত থেকে বাঁচার জন্য এবং মেয়েদের লোকাল বাসে  করে যাবার বিষয়ে কোনো দায় নেই, এটা বলতে গিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন তাদের ফেসবুক পেজে একটা বিবৃতি দেয়। সেই বিবৃতিতে অনেক কিছুই লেখা আছে, নিজেদের রক্ষা করার কথাবার্তা আছে, আছে দায় এড়ানোরও অপচেষ্টা। সেখানে তারা লিখেছে,, “অনূর্ধ্ব-১৬ মেয়েদের শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত  মাইক্রোবাসের ব্যবস্থা করেছিল বাফুফে, কিন্তু  স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করায় এসি গাড়ি চড়তে তারা রাজি হয়নি। পরে বাফুফে তাদের জন্য ভালো মানের একটি বাসের ব্যবস্থা করেছিল কিন্তু তারা  লোকাল বাসে করে নিজ নিজ এলাকায় পৌঁছার আগ্রহ দেখানোয় বাফুফে সেটা মেনে নেয়।” (BFF wants to clear everyone concerned that the girls were offered air conditioned microbus, but they refused since they are not comfortable with that. Then BFF arranged good-quality bus for them, however, they ultimately demanded direct local bus to reach their neighborhood for their ease and BFF arranged so considering the hassle they would have face to change carriers during journey.)

এই রকম হাস্যকর ব্যাখ্যা কেউ দিতে পারে, আমি কল্পনাও করি নাই।  এসি বাস রেখে, ভালো বাস রেখে, ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের এক গহীন প্রান্তে যাবার জন্য মেয়েরা লোকাল বাস বেছে নেবে, কোনো পাগলেও তা বিশ্বাস করবে না। মেয়েরাও হাসান শাহেদের সাথে কথা বলার সময় বলেছে যে, বাফুফেই তাদের এই ভোগান্তিময় যাত্রার ব্যবস্থা করেছে।

এই মেয়েগুলোর বিদেশে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। বিমানে চড়েই তারা বিদেশে গেছে,  দেশে ফিরে এসেছে। দেশি বিদেশি হোটেলেও তারা থেকেছে নানা সময়ে। এসিতে তারা একেবারেই স্বাচ্ছন্দ্য নয়, কিংবা একেবারেই অপরিচিত এমন কিছু নয়। তারপরেও কথা হচ্ছে, এরা চাইলেই বাফুফে এদেরকে এমন খারাপ জিনিস কেন ব্যবস্থা করে দেবে? মেয়েগুলো সব নাবালক, ষোল বছরের নীচে বয়স সবার। এদেরকে অভিভাবকহীনভাবে ছেড়ে দেবার অর্থটাই বা কি? এটাতো রীতিমতো অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। এদের বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানকে বিশ্বাস করে জিম্মা রেখেছে বাফুফের কাছে। অথচ বাফুফে সেই বিশ্বাসের মর্যাদা রাখছে না। এই মেয়েদের যাত্রাপথে কোনো ক্ষতি হলে, তার দায়-দায়িত্ব কে নিতো?

লোকাল বাসে  ছাড়লেও, সেটাকে যাত্রীশূন্য করে শুধু কিশোরী ফুটবলারদের জন্য করে দিতে এবং সাথে একজন বা দুজন অভিভাবক পাঠালে কি খুব বেশি খরচ হতো বাফুফের? হলোই বা খরচ কিছুটা, তারা নিশ্চয় টাকার দোহাই দিয়ে নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না? এরা তো যেন তেন কোনো মেয়ে নয়, দেশের সম্পদ এরা, একদিন আরো বড় কোনো সুনাম বয়ে আনবে হয়তো এরা দেশের জন্য। সেই সম্ভাবনা তাদের মধ্যে রয়েছে।

বাঙালির ফুটবল বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন যদি কেউ সফল করতে পারে কোনোদিন, সেটা পারবে এই সোনার টুকরো মেয়েগুলোই। শুধু বিশ্বকাপে খেলা কিংবা ফুটবল সাফল্য নয়, এই মেয়েগুলো হয়ে উঠবে আগামী দিনে আমাদের দেশের মেয়েদের মুক্তির প্রতীক। আমাদের দেশটা যখন ক্রমান্বয়ে দখলে চলে যাচ্ছে ধর্ম ব্যবসায়ীদের হাতে, তখন এই মেয়েগুলোই এসেছে সাহসী বার্তা হাতে নিয়ে।  ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার, পশ্চাদপদতা এবং প্রতিক্রিয়াশীলতার বিরুদ্ধে যুদ্ধে নারীই সবচেয়ে কার্যকর শক্তি। আর এরাতো অমিত শক্তিধর কুশলী নারী। এদের সাহসী এবং সাফল্যমণ্ডিত পায়ের যাদু দেখে একদিন নিজেদের পায়ের বাঁধন  খুলে ফেলবে অসংখ্য শৃঙ্খলিত নারী।

আজ সেই মেয়েদের, যারা পাখা নিয়ে আকাশে ডানা মেলার স্বপ্ন দেখছে নিজেরা, অন্যকেও স্বপ্ন দেখাচ্ছে, তাদের ডানা ভেঙে দেবার চেষ্টা চালাচ্ছে বাফুফে দায়িত্বজ্ঞানহীন, দয়ামায়াবিহীন অসংবেদনশীল আচরণের মাধ্যমে। নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়া উচিত তাদের এই মেয়েগুলোর কাছে। পরিষ্কার করে বলা উচিত, এই ভুল ভবিষ্যতে আর কোনোদিন হবে না। বাফুফের উপলব্ধি করার দরকার রয়েছে যে, এই মেয়েগুলো শুধু সোনার টুকরো নয়, একেকজন আসলে হীরের টুকরোও বটে। এদের যত্ন নিতে হবে গভীর ভালবেসে, পরম মমতা দিয়ে। সামান্যতম শৈথিল্যে হীরক  হারাতে পারে তার ঔজ্জ্বল্য।

ফরিদ আহমেদ, কানাডা প্রবাসী লেখক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ