আজ মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪

Advertise

সার্টিফিকেট নয়, প্রয়োজন প্রকৃত ‘শিক্ষা’

শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ  

বৈষম্যমূলক শিক্ষা দূর করা, শিক্ষা খাতে বাজেট বাড়ানো এবং শিক্ষা দিবসকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানানো হয়েছে। জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্ট ও ইনিশিয়েটিভ ফর হিউম্যান ডেভেলপমেন্টের যৌথ আলোচনা সভায় ১৭ সেপ্টেম্বর (শনিবার) এসব দাবি জানানো হয়। শিক্ষা দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমদ।

আলোচনা সভায় সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশে জাতীয়ভাবে শিক্ষা দিবস পালিত হয় না। এখন আর গৌরবময় ছাত্র আন্দোলন দেখি না। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলনের মাধ্যমে যে অর্জন,তার চেয়ে আমরা আর বেশিদূর এগোতে পারিনি’। স্কুলে উচ্চ হারে শিক্ষা ফিস আদায়ের সমালোচনা করেন তিনি। এটা কমানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলনের তাৎপর্য উল্লেখ করে বলেন, যে জাতি শিক্ষা নিয়ে ৫৪ বছর আগে চিন্তা করেছে, সেই দেশের শিক্ষা অথচ আশানুরূপভাবে এগিয়ে যায়নি। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় গলদ, দুর্বলতা ও ভুল থাকতে পারে। তা না হলে শিক্ষিত মানুষ সত্যিকার অর্থে ভালো মানুষ হচ্ছেন না কেন? শিক্ষার্থীরা শিক্ষিত না হয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যাচ্ছেন। তারপর তারা জঙ্গি হয়ে এসে মানুষ খুন করছেন কেন?’

১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা দিবস। শিক্ষা ব্যবস্থায় নানামুখী সংকটের মধ্য দিয়ে পালিত হয় মহান শিক্ষা দিবস। পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী, শিক্ষা সংকোচনমূলক শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেয়ার প্রতিবাদে এবং একটি গণমুখী শিক্ষানীতি প্রবর্তনের দাবিতে ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণআন্দোলনের রক্তাক্ত স্মৃতিবিজড়িত দিনের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। অর্ধ শত বছর আগে তৎকালীন পাকিস্তানি সামরিক শাসক আইয়ুব খানের চাপিয়ে দেয়া ‘শরীফ কমিশনে’র শিক্ষানীতি প্রতিহত করতে গড়ে উঠেছিল ছাত্র আন্দোলন। ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন ‘অল পার্টি স্টুডেন্ট অ্যাকশন কমিটি’ দেশব্যাপী হরতাল কর্মসূচির ডাক দেয়।

ছাত্র জনতার আন্দোলনকে দমাতে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা লেলিয়ে দেয় পুলিশ বাহিনী। তারই এক পর্যায়ে ১৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট মোড়ে ছাত্রদের মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে মোস্তফা, বাবুল, ওয়াজীউল্লাহ প্রমুখ শহীদ হন। সেই থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ছাত্র সংগঠন প্রতি বছর এ দিনটিকে ‘মহান শিক্ষা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।

বর্তমানে দেশে শিক্ষায় অংশগ্রহণের সংখ্যা আগের চেয়ে বেড়েছে। কিন্তু এর সাথে পাল্লা দিয়ে কমেনি বেকারত্বের সংকট। বরং শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা আগের চেয়ে বাড়ছে ক্রমেই। চাকরি বাজারের চাহিদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ না হওয়ায় দেশের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থা তরুণদের চাকরির সুযোগ সৃষ্টিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

শিক্ষা ব্যবস্থা ও চাকরি বাজারের লক্ষ্যের সমন্বয়ের দিক থেকে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১০০তম। সম্প্রতি প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের মানবসম্পদ-বিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। শিক্ষাহীন কর্ম বনাম কর্মহীন শিক্ষা নিয়ে বিতর্ক উস্কে দিচ্ছে।

শিক্ষা ও কর্মসংস্থান নীতিমালায় লক্ষ্যগত অমিলের এ প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতিতেও। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ‘দক্ষতা উন্নয়ন: উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের অগ্রাধিকার’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের শিল্পখাতে বিশেষজ্ঞ, দক্ষ শ্রমিক ও ব্যবস্থাপকের অভাব রয়েছে। প্রতি বছর প্রায় ৫০০ কোটি টাকা বিদেশিদের বেতন-ভাতা দিতে হচ্ছে। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় কাঙ্ক্ষিত দক্ষ জনগোষ্ঠীর অভাবে বড় অঙ্কের এ অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে।

বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষার প্রসারে গেল এক দশকে দেশে শিক্ষিতের সংখ্যা বেড়েছে বহুগুণ। তবে শিক্ষা ও কর্মবাজারের সমন্বয়হীনতায় শিক্ষিতদের মধ্যে বাড়ছে বেকারত্ব।

ইকোনমিষ্ট ইনটেলিজেন্স সম্প্রতি বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলংকা ও আফগানিস্তানের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা, শিক্ষার মান ও চাকরির বাজারে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের অবস্থান বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। এতে দেখানো হয়, শিক্ষিত বেকারের তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। স্নাতক পাসের পর দেশটির ৪৭ শতাংশ শিক্ষার্থী চাকরি পায় না। লেখাপড়া জানা মানুষগুলো মোটামুটি ৩০ বছর পর্যন্ত থাকে অভিভাবকের ওপর নির্ভরশীল, তদুপরি অনেকেই চাকরি বা বিদেশে পাড়ি জমানোর লক্ষ্যে ‘সিস্টেম’ বাবদ ১০-১৫ লাখ টাকা তহবিলের যোগান দিতে হয় অভিভাবককে। এতে অভিভাবকের শিক্ষা আকাঙ্ক্ষা ভূলুণ্ঠিত হয়।

সংগত কারণে প্রশ্ন জাগতে পারে, আমরা কি তাহলে উচ্চশিক্ষার বিপক্ষে? অবশ্যই না। আমাদের দাবি যারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের মতো যথেষ্ট মেধাবী, রাষ্ট্র তাদের বাছাই করে শিক্ষার সার্বিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করুক, পরিণত হোক মানবসম্পদে। শিক্ষাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে মেধাবীদের সাপোর্ট দিলে তারা শুধু দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নেই ভূমিকা রাখবে না, বরং আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশকে এগিয়ে নেবে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে। বাকিদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে বিশ্বস্বীকৃত ডিপ্লোমার দিকে।

বর্তমানে আমাদের ডিপ্লোমা শিক্ষাখাতে বরাদ্দ জাতীয় শিক্ষা ক্ষেত্রে মাত্র আড়াই শতাংশের সামান্য বেশি। রাষ্ট্র ও সরকারের এই ভূমিকা খুবই উদ্বেগজনক। জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার সব প্রধান অস্ত্র শিক্ষা। তা না হলে যত ভালো কাজই করা হোক না কেন,এতে জাতির কোনো সুফল হয় না। জাতির সার্বিক উন্নয়ন করতে হলে মেরুদণ্ডকে প্রথমে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে হবে। ডিপ্লোমা শিক্ষা ব্যবস্থার ত্রুটিপূর্ণ দিকগুলো নিয়ে অবশ্য ভাবতে হবে।

বিশেষায়িত শিক্ষাকে পুঁজি করে বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে যেসব বিদেশি কাজ করেন, বেতন বাবদ প্রতিবছর তারা ৫০ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ নিয়ে যান। বাংলাদেশের ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাজেটের পরিমাণ ছিলো ২ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা। সেই হিসেব মতে এটি বাজেটের প্রায় ১০ শতাংশ। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি সিইও বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তৈরি করছে ভারত। আমাদের কয়েকশ’ অদক্ষ শ্রমিক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যে অর্থ উপার্জন করেন,বাংলাদেশে অবস্থানরত একজন বিদেশি তার থেকে অনেক বেশি আয় করেন। এর পেছনে রাজনীতি জড়িত নেই। জড়িত রয়েছে সমসাময়িক শিক্ষা। দুইশ’ বছরের ব্রিটিশ গোলামি এবং দুই যুগের পাকিস্তানি গোলামি থেকে আমরা স্বাধীন হয়েছি। দেশ স্বাধীন হওয়ার ৪৫ বছর অতিবাহিত হচ্ছে কিন্তু জাতিকে অকার্যকর রাখার শিক্ষা ভিত্তি অবলম্বন করছি।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, দেশের জন্য শিক্ষা একধরণের বিনিয়োগ যা মূলত করা হয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। প্রজন্মের ওপর এখন যে জাতি যে বিনিয়োগ করছে,ভবিষ্যৎ উন্নয়নে তারা কার্যকর ভূমিকা রাখার মাধ্যমে উন্নয়নের স্বপ্নযাত্রাকে আরও রঙিন ও সফল করে তুলতে পারে। এ শতকের ডিজিটাল প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মধ্যম মেধার ডিপ্লোমা প্রযুক্তি শিক্ষা। সরকার শিক্ষা সম্প্রসারণে অনেকগুলো স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যা নিঃসন্দেহে আমাদের আশাবাদী করে। আমাদের শহুরের পরিবেশে শিক্ষা উন্নয়নের পাশাপাশি গ্রামীণ পরিসরে শিক্ষা উন্নয়নে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগী বর্তমান সরকার। এক্ষেত্রে শিক্ষার উন্নয়ন প্রশ্নেই করা হয়েছে বহুধা সংস্কার উন্নয়ন। শহর-গ্রামাঞ্চলের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে অবস্থানরত ভাসমান মানুষের শিক্ষা উন্নয়নেও ব্রতী সরকার।

শিশুদের মধ্যে শিক্ষার বিস্তার থেকে শিক্ষার উন্নয়নে গৃহীত সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় একটি বড় স্থান অধিকার করে আছে। কিন্তু ডিপ্লোমা শিক্ষা ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা নীতিমালা পরিচালনা ব্যবস্থাপনার ভিত্তির ব্যাপারে যথারীতি উদাসীন। এজন্য যে মহাপরিকল্পনা ও সুনির্দিষ্ট নীতি থাকার প্রয়োজন, আমরা তা থেকে বঞ্চিত। যখন যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়, তারা নিজেদের মতো করে চিন্তা করে এবং শিক্ষায় নিজের দৃষ্টিভঙ্গি টেনে এনে তা বাস্তবায়ন করতে চায়। এ সুযোগে বেনিয়া সাম্রাজ্যবাদীরা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্বল করে রাখার চেষ্টায় সফল হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবে রূপ দিতে সকল পেশা ও পণ্যভিত্তিক অভিন্ন ডিপ্লোমা কোর্সের মেয়াদ (এসএসসি পাসের পর ৪ বছর) ও মানের তৃণমূলে ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট ও ডিপ্লোমা কোর্স চালু করার লক্ষ্যে উপনিবেশিক আমলে গড়া ডিপ্লোমা শিক্ষা নিয়ন্ত্রণকারী ৭টি প্রতিষ্ঠান যথা কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, আয়ুর্বেদীয় বোর্ড, হোমিওপ্যাথিক বোর্ড, নার্সিং কাউন্সিল, ফার্মেসি কাউন্সিল, রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা অনুষদ, প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি থেকে ডিপ্লোমা শিক্ষা কার্যক্রম পৃথক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকা ডিপ্লোমা শিক্ষা বোর্ড, চট্টগ্রাম ডিপ্লোমা শিক্ষা বোর্ড, খুলনা ডিপ্লোমা শিক্ষা বোর্ড, রাজশাহী ডিপ্লোমা শিক্ষা বোর্ড, সিলেট ডিপ্লোমা শিক্ষা বোর্ড, বরিশাল ডিপ্লোমা শিক্ষা বোর্ড, রংপুর ডিপ্লোমা শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজনীয় নির্দেশনাই দীর্ঘদিনের শিক্ষা দিবস পালনের ভিত্তিমূল হিসাবে সদর্পে আবির্ভূত হবে।

গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, শিক্ষার প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। শিক্ষার মূল লক্ষ্য সার্টিফিকেট নয়। উচ্চ গ্রেড মানেই ওজনদার সার্টিফিকেট নয়- কথাটি আমাদের নীতিনির্ধারক, শিক্ষক ও অভিভাবকদের উপলব্ধি করতে হবে। মানুষ যে সুপ্ত প্রতিভা নিয়ে জন্মায়, তার সর্বোচ্চ বিকাশ সাধন হতে হবে সুশিক্ষার মাধ্যমে। শুধু লিখতে আর পড়তে পারার মধ্যে এটা সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। একজন শিক্ষিত মানুষ সচেষ্ট থাকবে যত বেশি বিষয়ে সম্ভব দক্ষতা অর্জন করতে। শিক্ষিত মানুষ ড্রাইভিং শিখবে, সাঁতার শিখবে, নতুন নতুন ভাষা শিখবে, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেবে, সমাজকল্যাণমূলক উদ্যোগে সক্রিয় হবে, এমনকি রান্নাটাও ভালোভাবে আয়ত্ত করবে, শিক্ষা সংকট উত্তরণের স্বর্ণচাবির দ্বার উদঘাটন করবে।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অধ্যাপক ডা. শেখ মো. নাজমুল হাসান ২৭ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৮ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৪ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৪ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০৯ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪২ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩২ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪৩ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯৩ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ২১ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ শাখাওয়াত লিটন শাবলু শাহাবউদ্দিন