আজ মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪

Advertise

জলাবদ্ধতা : বিভীষিকাময় ‘রোমান্টিকতা’

শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ  

বৃষ্টির সাথে ‘রোমান্টিক’ শব্দটি অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। ভোরের বৃষ্টি, দুপুর-বিকেল কিংবা সন্ধ্যার বৃষ্টি। সব বৃষ্টির রয়েছে ভিন্ন ধরণের রোমান্টিকতা। রয়েছে আলাদা আবেদন। সেই আবেদন কিংবা রোমান্টিকতা বুমেরাং হয়ে যায় বৃষ্টির পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায়। নোংরা-ময়লা পানিতে ধুয়ে যায় আমাদের মতো সাধারণ মানুষের রোমান্টিকতা। জীবিকার তাগিদে, বেঁচে থাকার অভিলাষে, বিসর্জিত হয় আবেগ। বিবেককে পুঞ্জিভূত করে লিপ্ত হতে হয় বিড়ম্বিত নাগরিক জীবনে।

কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতেই ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় হাঁটুসমান পানি জমার দৃশ্য নতুন নয়। বরং এই দৃশ্যে নতুনত্ব যোগ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। আমরা দেখেছি, একটি শিশুকে গলা সমান পানি ডিঙ্গিয়ে স্কুলে যেতে। আমরা দেখেছি, একটি তরুণীকে রিকশা থেকে চলন্ত বাসে লাফ দিয়ে উঠতে। আমরা দেখেছি, মোটর সাইকেল বর্ষার পানিতে ডুবে গোসল করতে। আমরা আরও দেখেছি, একটি বহুল প্রচারিত পত্রিকার সম্পাদককে ভ্যানে চড়ে ৫ তারকা হোটেলে যেতে। এমন অসংখ্য দৃশ্য আমরা দেখি।

সংসদ ভবনের চারপাশে অথৈ পানি। ধানমণ্ডিতেও কোমর সমান পানি, মতিঝিলে কোনো কোনো ব্যাংক শাখায় পানি, গুলশানেও পানি, কারওয়ান বাজারে সোনারগাঁও হোটেলের সামনেও হাঁটুপানি। এ যেন এক নতুন ঢাকা। অনেকটা এতিম। যেন ঢাকাকে দেখারও কেউ নেই। অথচ এই ঢাকার একটি নয়, দুই-দুইটি পিতা। যাদের আমরা নির্বাচন করেছি। ভোট দিয়েছি। সন্তানের একাধিক পিতা থাকার পরও, তাকে কী ‘এতিম’ হিসেবে গণ্য করা যায়?

রাস্তায় চলতে গিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়৷ স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী,অফিসগামী লোকজনকে নোংরা পানিতে চলাচল করতে হয়৷ যানবাহনে দিতে হয় অতিরিক্ত ভাড়া৷

এ ছাড়া জলাবদ্ধ রাস্তায় চলতে গিয়ে বিভিন্ন যানবাহনের ইঞ্জিনে পানি ঢুকে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়৷ এ কারণে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট৷ একই সঙ্গে অদৃশ্য খানাখন্দে পড়ে রিকশা ও ট্যাক্সিক্যাব উল্টে যায়৷

রাজধানীর উন্নয়ন বিশেষত ড্রেনেজ ও পয়োনিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়নে কত ব্যয় হয় বা হয়েছে, সেটার ফিরিস্তি পাওয়া কঠিন। কারণ সরকারি, বেসরকারি, সিটি কর্পোরেশন, বিদেশি আরও কতো-শত প্রতিষ্ঠান-ই না ব্যয় করছে রাজধানীকে উন্নত (!) করতে।

পত্রিকান্তরে জানা গেছে, মাত্র ৩ দশক আগেও রাজধানীর ঢাকা ও আশপাশে ৪০টি খাল ছিলো। এর মধ্যে বর্তমানে ১২টির অস্তিত্ব থাকলেও ক্রমশ তা ভরাট হচ্ছে। কোনোটি এরই মধ্যে সরু নালায় পরিণত হয়েছে। জলাভূমিগুলোর অবস্থাও একই। আর ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা নিচুভূমি তথা প্লাবিতভূমিগুলোর অস্তিত্বই পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। সব মিলিয়ে সাড়ে ৩ দশকে ১০ হাজার হেক্টরের বেশি জলাভূমি, খাল ও নিম্নাঞ্চল হারিয়ে গেছে।

এর প্রভাব দেখা যাচ্ছে রাজধানীতে। সামান্য বৃষ্টিতে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে, মাত্র ৪২ মিলিমিটার বৃষ্টিতে রাজধানীর অর্ধেক সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ার দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়েছে।

ইন্সটিটিউট অব ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডব্লিউএম) সমীক্ষায় উঠে এসেছে রাজধানীর বিভিন্ন জলাভূমি, নিচুভূমি ও খাল হারিয়ে যাওয়ার চিত্র। এতে বলা হয়, ১৯৭৮ সালে ঢাকা ও আশপাশে বিভিন্ন এলাকায় জলাভূমির পরিমাণ ছিলো ২ হাজার ৯৫২ হেক্টর ও নিচুভূমি ১৩ হাজার ৫২৮ হেক্টর। সে সময় ঢাকা ও আশপাশে খাল ও নদী ছিলো ২ হাজার ৯০০ হেক্টর। ফলে বৃষ্টির পানি চলে যেত রাজধানীর চারপাশে ছড়িয়ে থাকা খাল ও এরপর নদীতে।

২০১৪ সালে ঢাকা ও আশপাশে জলাভূমি কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৩৫ হেক্টর, নিচুভূমি ৬ হাজার ১৯৮ হেক্টর এবং নদী-খাল ১০০২ হেক্টর। অর্থাৎ ৩৫ বছরে জলাশয় কমেছে যথাক্রমে ৩৪ দশমিক ৪৫,৫৪ দশমিক ১৮ ও ৬৫ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

সম্প্রতি বিবিসি বাংলার একটি খবরের শিরোনাম ছিলো ‘ঢাকায় প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে গেছে ফেসবুক’। এতেই উঠে এসেছে রাজধানীর নতুন চেহারা। টিভি চ্যানেলগুলোতেও জলাবদ্ধ ঢাকার ছবি মানুষ দেখেছে। সেখানে দেখা গেছে রিপোর্টাররা হাঁটুপানিতে নেমে রিপোর্ট করছেন।

যদিও সংবাদকর্মীদের হাঁটুপানি পাড়ি দিয়ে সংবাদ প্রচার এখন অনেকটা স্বাভাবিক ঘটনা। বৃষ্টি হলেই সাংবাদিকদের সংবাদ সংগ্রহ করতে হয় নিদারুণ ঘটনার। জলাবদ্ধতার ভয়াবহতা প্রচার এবং প্রকাশ পায়। সাধারণ মানুষও এগুলোতে ভুক্তভোগী। তারা পত্রিকা কিংবা টিভি চ্যানেলে বৃষ্টির ভয়াবহতার দৃশ্য দেখেন। যেটির শিকার কম-বেশী আমরা অনেকে-ই। তবুও টনক নড়ে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। একের পর এক মিথ্যা আশ্বাস তারা দিতে থাকেন। লজ্জাহীনভাবে। রোমান্টিক ভঙ্গিতে!

ওয়াসার তথ্যমতে, বর্তমান ড্রেনেজ ব্যবস্থা ঘণ্টায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি ধারণ করতে পারে। কিন্তু বর্ষায় ধারণ ক্ষমতার প্রায় ৫ গুণ বেশি বৃষ্টি হয়। রাজধানীতে অন্তত ২৬০ বর্গকিলোমিটার পানি নিষ্কাশন লাইন থাকা দরকার,কিন্তু সেখানে আছে মাত্র ১৫০ বর্গকিলোমিটার। আবহাওয়াবিদরা হিসেব করে দেখিয়েছেন,মাত্র ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলেই রাজধানীতে অবর্ণনীয় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। উত্তরের তুলনায় দক্ষিণের নগরবাসীর এই সমস্যা অত্যন্ত প্রকট।

এবারের কোরবানির ঈদের দিন (১৩ সেপ্টেম্বর) বৃষ্টির পানি ও পশুর রক্ত মিশ্রিত ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে জনমনে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। রাজধানীতে সামান্য বৃষ্টিপাতের কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির অন্যতম প্রধান কারণ হলো ড্রেনেজ সিস্টেমের নাকাল অবস্থা। ঢাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা অতি পুরনো। রাজধানীতে অন্তত ২৬০ বর্গকিলোমিটার পানি নিষ্কাশন লাইন থাকা দরকার, কিন্তু সেখানে আছে মাত্র ১৫০ বর্গকিলোমিটার।

ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার সুয়ারেজ লাইন রয়েছে। এর বাইরে ২ কর্পোরেশনের রয়েছে আরও আড়াই হাজার কিলোমিটার ভূ-উপরিস্থ ড্রেনেজ লাইন। ফলে বৃষ্টি হলেই রাজধানীর মৌচাক, শান্তিনগর, মালিবাগ, মতিঝিল, জুরাইন ও পুরান ঢাকাসহ নগরীর বহু সড়কে তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজধানীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রয়োজন। তবে সর্বাগ্রে যে কাজগুলো করা দরকার সেগুলো হলো, রাজধানীর যেসব খাল দখল হয়েছে সেগুলো অবিলম্বে দখলমুক্ত করা, ড্রেনেজ লাইন বাড়িয়ে কমপক্ষে ২৬০ বর্গকিলোমিটার করা। এছাড়া সরু সুয়ারেজ লাইন বড় করা,নিয়মিত ড্রেন পরিষ্কার করা,বাসাবাড়ির ময়লা সময়মতো অপসারণ,উন্মুক্ত সুয়ারেজ লাইনে আবর্জনা না ফেলা ইত্যাদি কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, গত বছরের তুলনায় এবার জলাবদ্ধতা ৫০ ভাগ কমিয়ে আনতে কাজ চলছে। প্রতিটি ওয়ার্ডের ড্রেনগুলো পরিষ্কার করা হচ্ছে। তবে খাল ও ড্রেন পরিষ্কারের দায়িত্ব যেহেতু ওয়াসার, সেহেতু তাদের সঙ্গে সমন্বয়হীনতার কারণে সমস্যা হচ্ছে। ঢাকা ওয়াসার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন,ওয়াসার জবাবদিহিতা সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্ত করা অথবা ওয়াসাকে সিটি কর্পোরেশনের অধীনস্থ করা হলে জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব হবে।

গত ৫ মার্চ রাজধানীর মুগদায় ওয়াসা রোডে আয়োজিত ‘জনপ্রতিনিধি জনতার মুখোমুখি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মেয়র এ কথা বলেন। একই অনুষ্ঠানে, স্থানীয় সংসদ সদস্য সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন,এলাকার বাসিন্দারা রাস্তার দু’পাশ থেকে কিছু জায়গা ছেড়ে দিলে আমি রাস্তা চওড়া করে দেয়ার উদ্যোগ নেবো।

মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকনের ‘সমন্বয়হীনতার কারণ’ এর সাথে একমত পোষণ করেছেন স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন। গত ২২ মে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন,সিটি কর্পোরেশন ও ওয়াসার সমন্বয়হীনতার কারণেই রাজধানীর সড়কগুলোর জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়নসহ খাল ভরাটের কারণে এ সমস্যা আরও প্রকট হচ্ছে।

সবচেয়ে দুঃখজনক হলো,সঠিক পরিকল্পনার অভাবে নগরবাসীর আজ এ দুর্গতি। সঠিক ব্যবস্থাপনার অভাবে রাজউক সিটি কর্পোরেশনকে দায়ী করে আর সিটি কর্পোরেশন দায়ী করে ওয়াসাকে। একে অপরকে দায়ী করার এই রেওয়াজ থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

রাজধানীর জলাবদ্ধতা অসহনীয় মাত্রায় পৌঁছলেও আপাতত এর কোন সমাধান নেই দুই নগর পিতার কাছে। দুই মেয়র-ই বলেছেন, এই ভোগান্তি থেকে রেহাই পেতে রাজধানীবাসীকে অপেক্ষা করতে হবে। এদিকে,জলাবদ্ধতা নিরসনে সমন্বিত উদ্যোগের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের আশংকা,অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে,দিন দিন পরিস্থিতি হবে আরও ভয়াবহ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন,সকল প্রতিষ্ঠানের সমন্বিত উদ্যোগে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

রাজধানীবাসী এমনিতেই নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। এসব সমস্যার অন্যতম জলাবদ্ধতা। যা ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে। শুধু বর্ষাকাল নয়। সামান্য বৃষ্টিতেই এখন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সেটি অবর্ণনীয়। এই অবর্ণনীয় সমস্যা সমাধানে তেমন কোন কার্যকর পদক্ষেপ আমাদের নজরে আসেনি। আমরা শুধু আশ্বাসের বাণী শুনছি। বিবিধ পরিকল্পনার কথা শুনছি। দেখে-শুনে আশায় বুক বাধছি। প্রতি নিয়ত এই আশায় গুঁড়েবালি পড়ে। বৃষ্টি হয়। সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। আমারা আশাহত হই। মনে প্রশ্ন জাগে, এর থেকে কী আমাদের মুক্তি নেই? জনগণের প্রত্যাশায় কী আর কতো হতাশা যুক্ত হবে?

অল্প বৃষ্টিতেই এখন পত্রিকার শিরোনাম হয়, ‘রাজধানীর জলাবদ্ধতা অসহনীয় মাত্রায়’ ‘জলাবদ্ধতায় নাকাল নগরবাসী’ ‘জলাবদ্ধতায় জনজীবন বিপর্যস্ত’। সর্বশেষ এবং ভয়ংকর শিরোনাম হয়েছে, ‘রাজধানীর শান্তিনগরে ‘রক্তাক্ত জলাবদ্ধতা’।

বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। প্রশাসনিক সব কার্যালয়ের কেদ্রবিন্দুও। ওয়াসা, রাজউক, সিটি কর্পোরেশন আরো কত প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এ রাজধানীকে সেবা দিতে। পাশাপাশি দেশের সব সরকারি-বেসরকারি, বিদেশি প্রতিষ্ঠান তো রয়েছেই। এত সব প্রতিষ্ঠানের ‘উন্নয়নের চাপে’-ই কী রাজধানীর ‘উন্নয়ন’ থমকে গেছে?

অপরিকল্পিত নগরায়ণ, জলাভূমি ভরাট করে গৃহনির্মাণ, নালা-নর্দমায় পলিথিনের কারণে জলাবদ্ধতার তীব্রতা জলাবদ্ধতার চিহ্নিত সমস্যা। এছাড়াও বর্ষাকালে ঢাকার বিভিন্ন রাস্তায় খোঁড়াখুঁড়ি,উড়ালসেতুর নির্মাণকাজ এ অবস্থার অসহনীয়তার মাত্রায় ভিন্নতা যোগ করে। যে ভিন্নতায় শান্তি নেই, আছে ভোগান্তি।

বৃষ্টির আমেজে ভেজা মাটির সেদো গন্ধের পরিবর্তে নাক জ্বলে ওঠে নর্দমায় তীব্র দুর্গন্ধে! যান্ত্রিক জীবনে বৃষ্টি এখন শান্তি বয়ে আনে না। প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী বৃষ্টি আসে। আমাদের আবেগ-বিবেক শান্তি খোঁজে। প্রতিবছরই এই ‘জলাবদ্ধতা’ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা, তর্ক-বিতর্ক হয়; কিন্তু এর কোনো সুরাহা হয় না৷

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কী পারে না বিষয়টি আমলে নিতে? আমাদের একটু শান্তিতে থাকতে দিতে?

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অধ্যাপক ডা. শেখ মো. নাজমুল হাসান ২৭ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৮ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৪ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৪ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০৯ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪২ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩২ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪৩ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯৩ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ২১ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ শাখাওয়াত লিটন শাবলু শাহাবউদ্দিন