আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

আইনমন্ত্রী ও জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধকরণ

রণেশ মৈত্র  

বিশ্বাস করুন বর্তমান আইনমন্ত্রীর মুখে জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধকরণ সংক্রান্ত কোন কথা শুনলে আমি সত্যি সত্যি আঁতকে উঠে ভাবি, ওদের বৈধভাবে কাজ করার মেয়াদ কমপক্ষে আরও বছর দুয়েক বৃদ্ধি পেল সম্ভবত:। এর কারণটা তিনি নিজেই। তাঁর মুখে এর আগে শুনেছি বহুদিন ধরে যে “জামায়াতকে শীঘ্রই নিষিদ্ধ করা হবে এবং এ কারণে ঐ দলের বিরুদ্ধে একটি আইন প্রণয়নের প্রস্তুতি চলছে। আইন প্রণীত হয়ে গেলেই আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

অত:পর মাসের পর মাস চলে গেল। হঠাৎ একদিন তিনি জানালেন “আইন প্রণয়ন প্রায় শেষের দিকে।” আরও মাস কয়েক পরে তিনি জানালেন, “জামায়াত নিষিদ্ধ করণের জন্য প্রণীত আইন চূড়ান্ত হয়েছে। শীঘ্রই তা অনুমোদনের জন্য মন্ত্রীসভার বৈঠকে পেশ করা হবে। এবং মন্ত্রী সভার অনুমোদন পেলে তা পরবর্তী পার্লামেন্ট অধিবেশনে পেশ করা হবে চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য।” এর পর কমপক্ষে আরও একটি বছর দিব্যি পার হয়ে গেল। কিন্তু জানাই যাচ্ছে না আইনটি কোথায় কিভাবে আছে। অনুমান করি খসড়া ঐ আইনটির অপমৃত্যু ঘটেছে এবং ফলে জামায়াত নতুন করে জীবনী শক্তি ফিরে পেয়েছে।

ইদানীং তিনি আরও বলছেন সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে এবং তার জন্য আইন প্রণয়নের কাজ চলছে। সে আইন প্রণয়ন করতে কতকাল লাগবে এমন কোন প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট কোন জবাব তাঁর বক্তব্যে পাওয়া যায় না। সংবাদপত্র মারফত জানলাম - ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে সংসদের পরবর্তী অধিবেশন সুরু হচ্ছে। চলছে ঈদের জমজমাট কারবার সারাদেশে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ঈদের ছুটির মেয়াদ। ফলে, সেটাই হয়ে উঠতে পারে ঐ আইন প্রণয়ন, মন্ত্রীসভার বৈঠক থেকে তার অনুমোদন গ্রহণ এবং শেষ পর্যন্ত জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তার পেশ ও পাশ করানোর বিলম্বের যুক্তি। ততদিনে চতুর দেশদ্রোহী যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানেরা বা তাদের বংশধরেরা কি চুপচাপ বসে থেকে মজা দেখবে? নাকি সেগুলি হস্তান্তর করে প্রাপ্ত টাকা পয়সা বিদেশে পাচার করে দিয়ে সাধু সেজে বসে থাকবে?

বস্তুত: প্রচারমূখী নেতা আমাদের কর্তাব্যক্তিদের এক দল যাঁরা নিজেদের কাজের চাইতে বেশী বেশী প্রচার - বেশী বেশী বক্তৃতা ভাষণ-এগুলির প্রতিই তাঁদের অসাধারণ মোহ।

মাননীয় আইনমন্ত্রী দেশের একজন খ্যাতনামা আইনবিদ। তিনি তো ভালমতোই জানেন জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার মত উপযুক্ত আইনের অভাব আমাদের দেশে নেই। সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ এ কথা বারবার বলেছেন। কিন্তু যেমন তিনিও মন্ত্রী থাকাকালে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেন নি - তেমনি ইনিও তা করছেন না। তবে বক্তৃতা দিয়ে গরম করে তুলছেন মাঝে মধ্যেই।

আমি একটি সহজ পন্থার সন্ধান দিতে পারি। মাননীয় আইনমন্ত্রী সেই পরামর্শ গ্রহণ করবেন কি?

পরামর্শটা হলো-কোন আইন প্রণয়ন বা কোন মোকদ্দমা জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে দায়ের করে অহেতুক সময়ক্ষেপণের আদৌ কোন প্রয়োজন নেই। খোদ বঙ্গবন্ধু যে পথ অবলম্বন করে জামায়াতে ইসলামী ও ধর্মাশ্রয়ী দলগুলির অস্তিত্ব বিলোপ করেছিলেন সেই সহজ পথটি অবলম্বন করুন। সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনী আনুন এবং সেই সংশোধনীতে জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী ছাত্র শিবির, আওয়ামী ওলামা লীগ এবং ধর্মাশ্রয়ী অপর সকল দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করুন। একইভাবে ধর্মের নামে নতুন কোন দল গঠনকেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করুন। তাদের তাবৎ সম্পত্তি অবিলম্বে বাজেয়াপ্ত করে ঐ সম্পত্তি দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের ও তাদের পরিবারের কল্যাণে ব্যয় করা হবে বলে স্পষ্টাক্ষরে সংবিধান সংশোধনীতে বিধান রাখুন। “বিসমিল্লাহ্‌”-“রাষ্ট্রধর্ম” প্রভৃতিও একই সংশোধনী মারফত প্রত্যাহার করুন। তবেই সংসদের এ অধিবেশনেই এই দীর্ঘদিনের জাতীয় দাবী পূরণ করা সম্ভব, অত্যন্ত কার্যকর ভাবেই সম্ভব।

আজকের যে জঙ্গি উত্থান - তা নিয়ে সরকারী মহলে একটি মাত্র বিতর্ক হামেশাই শুনা যায়। তা হলো বাংলাদেশে আই.এস. এর অস্তিত্ব আছে কি নেই। এই বিষয়ে সরকারের বক্তব্য হলো “বাংলাদেশে আই.এস. এর কোন অস্তিত্ব নেই” এবং যা কিছু জঙ্গিরা বাংলাদেশে ঘটাচ্ছে তা ঘটাচ্ছে এ দেশের কিছু বিপথগামী যুবক। কিন্তু বাংলাদেশের সরকার ব্যতীত পৃথিবীর বাদবাকি সকল দেশই বলে আসছে বাংলাদেশেও আই.এস ঘাঁটি গেড়েছে। দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের তরুণরাই ঘটাচ্ছে-কিন্তু কোন তরুণ বা তরুণী?

সরকারী বা পুলিশি ভাষ্য অনুসারেই শত শত শিক্ষিত ও সচ্ছল ঘরের তরুণ-তরুণীরা নিখোঁজ। তারা অনেকেই ইরাক সিরিয়া গিয়ে আই.এস-এ যোগ দিয়েছে এবং এখনও দিচ্ছে। গোয়েন্দা বাহিনীর তৎপরতা স্বত্বেও তাদের বিদেশ যাত্রা ঠেকানো যাচ্ছে না। ঐ সব দেশ থেকে আই.এস বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীদেরকে অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ দিচ্ছে-টাকা পয়সা অস্ত্র পাতি এবং মানুষ খুন করলেই দ্রুত বেহেস্ত বা আল্লার সাক্ষাত লাভের অলীক মোহ সৃষ্টি করে খুনের তালিকা সহ দেশে ফেরত পাঠাচ্ছে এ সবই তো সকলে জানা তথ্য। এর পর কি বাংলাদেশে আই.এস. নেই দাবী ধোপে টেকে? আই.এসও দাবী করে তারাই জঙ্গি আক্রমণগুলি ঘটাচ্ছে।

যা হোক, সরকার একটি স্বীকার করেছেন যে জঙ্গিপনায় লিপ্ত তরুণ-তরুণীদের বেশীর ভাগই ইসলামী ছাত্র শিবিরের নেতা-কর্মী। অর্থাৎ তাদেরকে রিক্রুট করছে জামায়াতে ইসলামী। এই জামায়াতে ইসলামী ১৯৭১ সালে পাক-বাহিনীকে দিয়ে বা তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে ৩০ লক্ষ বাঙালিকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে, ৪/৫ লক্ষ বাঙালি নারীর সম্ভ্রম লুটেছে, হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ লুণ্ঠন করেছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার চরমতম বিরোধিতা করেছে এবং এখনও তারা তরুণ-তরুণীদেরকে দেশে বিদেশে পাঠিয়ে অস্ত্র প্রশিক্ষণ (এ কাজ দেশের আনাচে-কানাচেও করছে) দিয়ে এনে দেশের অভ্যন্তরে ধ্বংস এবং হত্যালীলা চালাচ্ছে। এর পরও দলটিকে বৈধভাবে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে তাদের অঢেল সম্পদ দিয়ে বহু ধরণের ব্যবসা বাণিজ্য করে বিপুল অর্থ উপার্জনের সুযোগ অব্যাহত রাখা হচ্ছে। কিন্তু কেন?

সে প্রশ্নের উত্তর কোন দিনেই মিলছে না। একই সাথে দেখা যাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধাদের হাজার হাজার নাম সম্বলিত গেজেট বাতলি করতে, তাদের প্রাপ্য ভাতাদি থেকে তাদেরকে বঞ্চিত করতে, বহু মুক্তিযোদ্ধাকে ভিক্ষা করে সংসার নির্বাহ করতে।

সত্য বটে, এই সরকারের আমলেই দেশ-বিদেশের প্রচণ্ড বিরোধিতা স্বত্বেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে। জামায়াতের অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হচ্ছে ও মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দেওয়া চালু করা হয়েছে এবং এ কাজের প্রশংসা করি অকুণ্ঠভাবেই। কিন্তু তার সাথে জামায়াত-শিবির, হেফাজত-আওয়ামী ওলামা লীগসহ তাবৎ ধর্মভিত্তিক সংগঠনকে তাদের আয়ের সকল উৎসকে দিব্যি বহাল রাখা এবং তার মাধ্যমে ঐ সকল জঙ্গি উৎপাদনকারী সংগঠনকে জঙ্গিপনা চালানোর বৈধ সুযোগ বজায় রাখা আদৌ কি সঙ্গতিপূর্ণ? সুতরাং যেভাবে পূর্বে উল্লেখ করেছি-দ্রুত সেইভাবে সংবিধান সংশোধন করে তাদেরকে নিষিদ্ধ করা হোক-তাদের আয়ের সকল উৎসকে বাজেয়াফত করা হোক যুদ্ধাপরাধীদের তাবৎ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে তা মুক্তিযোদ্ধাদের ও তাদের পরিবার-পরিজনের কল্যাণে ব্যয়ের কার্যকর ব্যবস্থা করা হোক এবং ২০১৩ সালের মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা সম্বলিত গেজেটে যাঁদের নাম লিপিবদ্ধ আছে অবিলম্বে তাদের ভাতাদি (খাস-বকেয়া সহ) এবং অপর সকল প্রাপ্য সুবিধাদি প্রদানের ব্যবস্থা করা হোক।

এই কাজ করা হলে তার প্রত্যক্ষ পরিণতি হবে সংবিধানকে প্রকৃত অর্থে একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক সংবিধানে পরিণত করা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মনে একটা আস্থার ভার অনেকাংশে পুনরুদ্ধার করা। ফিরে আনবে দেশকে পাকিস্তান মুখী থেকে ঘুরিয় বাংলাদেশমুখী পথে। সকল সাম্প্রদায়িক শক্তির বিষ দাঁত ভেঙ্গে দেওয়া হবে এবং বঙ্গবন্ধু, শহীদ তাজউদ্দিন, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান, কমরেড মানসিংহ. মোজাফফর আহম্মেদ, দেওয়ান মাহবুব, আলী, শহীদ মাতা জাহানারা ইমাম সহ লক্ষ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধার মনের গভীর লালিত স্বপ্নও পূরণ হবে।

মাননীয় আইনমন্ত্রী হামেশাই দেশে আইনের শাসন প্রচলিত রয়েছে বলে মত প্রকাশ করে থাকেন যার সাথে মৌন দ্বিমত পোষণ করেন সমগ্র সংখ্যালঘু সমাজ এবং আরও অনেকে। ২০০১ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যে সকল সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটেছে তার একটিরও বিচার না হওয়ার নাম কি আইনের শাসন?

“কেউ কোন অপরাধ করলে আইনের হাত থেকে রেহাই পাবে না” এমন দাবী বস্তুত কি বাস্তবতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ?

আসন্ন দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে নির্মীয়মাণ অসংখ্য দেব-দেবীর মূর্তি ভাঙা ও তার জন্য কারও বিচার না হওয়াই বা কি প্রমাণ করে?

এই ক্ষতিগুলি স্থায়ীভাবে মুছে ফেলতে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো এবং যথার্থই আইনের শাসন প্রবর্তন অত্যন্ত জরুরী।

রণেশ মৈত্র, লেখক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক; মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ