আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

মীর্জা শামসুল ইসলামকে ভুলতে পারি না

রণেশ মৈত্র  

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর একদিকে কলকাতার পত্র-পত্রিকা আসা ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যাওয়া, ঢাকা থেকে নতুনভাবে সংবাদপত্রের প্রকাশনা শুরু হলেও মফস্বল শহরগুলিতে সাংবাদিকতা এবং সাংবাদিক হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যে মারাত্মক শূন্যতার সৃষ্টি হয় পাবনাতে অন্তত: সেই শূন্যতা কাটানোর দায়িত্ব আমাদের কাঁধে পড়ে।

আমি তখন এডওয়ার্ড কলেজের ছাত্র। ভাষা আন্দোলন শেষ হয়েছে দেশে নতুন করে রাজনীতির জোয়ার বইতে শুরু করেছে কিন্তু সাংবাদিক গড়ে ওঠার জোয়ার সেভাবে সৃষ্টি হচ্ছিল না। আন্দোলনের খবরাখবর পাঠানোর দায়িত্বে নিষ্ঠাবান সাংবাদিক এবং তা প্রকাশের নিশ্চয়তা সম্বলিত পত্র-পত্রিকায় আত্মপ্রকাশ খুব একটা ঘটেনি। এই পরিস্থিতিতে ১৯৫৩ সালে সিলেট থেকে প্রকাশিত প্রগতিশীল সাপ্তাহিক ‘নওবেলাল’ পত্রিকার পাবনাস্থ সাংবাদিকতা শুরু করি। উদ্দেশ্যের মধ্যে ছিল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের খবর পরিবেশন।

এ ব্যাপারে আমার অগ্রজ ছিলেন প্রয়াত সাংবাদিক এ কে এম আজিজুল হক - যিনি ছিলেন পাবনা জেলা মুসলিম লীগের নেতৃস্থানীয় একজন-আবার একই সাথে তখন ঢাকার পত্র-পত্রিকায় একমাত্র সাংবাদিক। তাই হক সাহেবকে আমার বিবেচনায় পাকিস্তানোত্তর প্রথম যুগের পাবনার অগ্রজ সাংবাদিকের মর্যাদা দেওয়া উচিৎ। যদিও তখনও ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক “অমৃত বাজার” পত্রিকার পাঠাচ্ছে সংবাদদাতা পণ্ডিত সারদা চরণ রায় (দধি দা) তখন পর্যন্ত জীবিত সর্বপ্রাচীন এবং পুরনো সাংবাদিক। তিনি ছিলেন পাবনার স্থানীয় পত্রিকা “সুরাজ” এর সম্পাদক। অত্যন্ত নম্র, বিনয়ী, আত্মপ্রচার-বিমুখ-সাদামাটা জীবন যাপনে অত্যন্ত, পক্বকেশ এবং রীতিমত ফর্সা চেহারার রাজপুত্রের মত চেহারা ছিল তাঁর। তিনি পাবনার স্বনামধন্য শিল্প সঞ্জীবনী হোসিয়ারী ফ্যাক্টরির ম্যানেজার ছিলেন। পঞ্চাশ দশকের গোড়ার দিকে তিনি স্থায়ীভাবে মুর্শিদাবাদ চলে যান। ঐ শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে বা বিক্রি হয়ে যাওয়ার কারণে।

এছাড়াও দৈনিক ‘আনন্দবাজার’, ‘যুগান্তর’ কোলকাতার এসব পত্রিকার সংবাদদাতাও ছিলেন। প্রেসক্লাবে তখন পাবনাতে ছিল বলে শুনিনি। তবে প্রায় প্রতি সন্ধ্যায়ই দেখতাম এখন সম্ভবত: গহনার দোকান-নবীন ফার্মেসীতে তাঁদের ও জনাকয়েক শিক্ষকের আড্ডা বসতো। তবে পাকিস্তান হওয়ার পর পর ঐ অন্ধকার যুগে পাকিস্তান, বিশেষ করে পাবনার মত ছোট শহর থেকে ভারতের পত্রিকায় সংবাদ পাঠানো এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ ছিল যে স্রেফ নিরাপত্তার কারণেই তাঁরা সাংবাদিকতা কার্যত: ছেড়েই দেন এবং এক পর্যায়ে দেশত্যাগীও হন। দাধি দা ব্যতীত আর একজন ছিলেন সন্তোষ বসাক। অপরজন ছিলেন এডওয়ার্ড কলেজের তৎকালীন জনপ্রিয় বেরানী (নামটা স্মরণে আনতে পারলাম না।)। এঁদের মধ্যে বয়োজ্যেষ্ঠ ছিলেন পণ্ডিত সারদা চরণ রায় দধি দা আবার তিনিই একমাত্র সাহস করে অমৃত বাজারে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই পাবনার খবর পাঠাতেন যা যত্ন সহকারে ছাপাও হতো।

মীর্জা শামসুল ইসলাম সম্পর্কে লিখতে বসে এত বড় ভূমিকা দিলাম নতুন প্রজন্মের সাংবাদিকদেরকে পাবনার সাংবাদিকতার একটি সময়ের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস জানানোর উদ্দেশ্যে। পাবনার সাংবাদিকতার শুরু নিশ্চয়ই আরও অনেক আগের কিন্তু সে সময়ের ইতিহাস অজানা থাকায় তা লেখার লোডটুকু স্মরণ করতে হলো। যদিও তার ঐতিহাসিক প্রয়োজন অনস্বীকার্য। এ ব্যাপারে কেউ উদ্যোগ নিলে সর্বাত্মক সহযোগিতা দিব দেশে ফিরে। পূর্ণাঙ্গ একটি বই-ই এ নিয়ে প্রকাশ করা অত্যন্ত জরুরী। প্রয়াত শিবাল এ নিয়ে কিছু গবেষণা করেছিল বলে মনে পড়ে। বাংলা একাডেমীও কিছুটা সহায়ক হতে পারে।

এবার ফিরে আসি বর্তমানের দিকে। ১৯৬১ সালে আমরা “পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক সম্মেলন” অনুষ্ঠিত করি পাবনাতে। ওই সম্মেলনের এক সপ্তাহ আগে ১ মে তারিখে মে দিবসকে সম্মান জানিয়ে আজিজুল হক সাহেবের বাস ভাবনের বৈঠকখানায় প্রেসক্লাব উদ্বোধন করি। তার কিছু আগে বহুবার আনোয়ার হক সাংবাদিকতায় যোগ দেন দৈনিক ইত্তেফাকের পাবনার সংবাদদাতা হিসেবে। উল্লেখ্য, ১৯৫৫ সালে আমি দৈনিক ‘সংবাদ’ এর পাবনাস্থ সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগপত্র পাই এবং তার কিছু পরে পাই পাকিস্তান অবজারভার পত্রিকার পাবনাস্থ সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগপত্র।

যা হোক, ঐ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে পাবনার সাংবাদিকের সংখ্যা ১৯৬১-তে এসে দুইজন থেকে বেড়ে তিনজন হলাম। এর পর আসেন হাসনাতুজ্জামান (প্রয়াত), রবিউল ইসলাম, আবদুল মতিন খান, প্রয়াত আব্দুল আউয়াল খান প্রয়াত বানু প্রমুখ।

১৯৬২ - ৬৬ সালে পাকিস্তান সরকার “দৈনিক পাকিস্তান” নামে একটি পত্রিকা বের করেন ঢাকা থেকে। পাকিস্তান প্রেস ট্রাস্টের মালিকানায় প্রকাশিত ঐ পত্রিকাটিতে এক ঝাঁক অভিজ্ঞ এবং প্রগতিমনা সাংবাদিক যোগ দেন-পত্রিকাটি দ্রুতই বেশ জনপ্রিয়তাও অর্জন করে।

মীর্জা শামসুল ইসলাম এই দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকার শুরু থেকেই পাবনাস্থ সংবাদদাতা হিসেবে কাজে যোগ দেন। এর পর পরই তার সাথে পরিচয় ঘটে প্রেসক্লাবে (তখন প্রেসক্লাব বর্তমান ভবনে স্থানান্তরিত হয়েছে)। তবে মীর্জা শামসুল ইসলামের সাংবাদিকতার হাতেখড়ি হয় আরও আগে। মীর্জার বাড়ী বেড়া থানা আমিন পুরে হলেও লেখাপড়ার কারণে বেশ আগে থেকেই পাবনা শহরে চলে আসে এবং পাবনা এডওয়ার্ড কলেজের তৎকালীন রসায়ন শাস্ত্রের অধ্যাপক আবদুল হামিদের মালিকানায় প্রকাশিত “আমার দেশ” পত্রিকাতে কাজ শুরু করে। সেখানেই ঘটে তার সাংবাদিকতার হাতে খড়ি কিন্তু আমাদের সাথে পরিচয় হয় দৈনিক পাকিস্তানে যোগ দেওয়ার পর থেকে।

প্রথম অবস্থায়, যখনই জানতে পারলাম যে মীর্জা শামসুল ইসলাম আইয়ুবের কনভেনশন মুসলিম লীগের খুব একটা নৈকট্য সহসাই গড়ে তুলতে মন চাইতো না। কিন্তু দ্রুতই মীর্জা নিজ স্থানে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবেই সবার সাথে মিশতে শুরু করে। ছিলো রসিক এবং গল্পিক। তাকে ঘিরে প্রেসক্লাবের পূর্ব দিকের বিশাল ছাদে রোজ সন্ধ্যায় বেশ একটা আসরই বসে যেত। তার রসিকতা এবং তার অফার করা চায়ের কাপও কম আকর্ষণীয় ছিল না।

দৈনিক পাকিস্তান সামরিক সরকারের পত্রিকা কিন্তু সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে পত্রিকাটি গণতান্ত্রিক আন্দোলনের খবরগুলি সরকারের ব্যর্থতার দিকগুলি ঘুষ-দুর্নীতি, অভাব-অভিযোগের খবরগুলি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়মিত প্রকাশ করতো এবং সে কারণে পত্রিকাটির প্রচার সংখ্যাও রীতিমত বৃদ্ধি পেয়েছিল। মীর্জা শামসুল ইসলাম পত্রিকার এই নীতির সদ্ব্যবহার করতে কসুর করে নি। ফলে তার খবর ভাল কভারেজ পেত নিয়মিত ভাবেই। তা ছাড়া একদিকে দৈনিক পাকিস্তানের নীতি,অপরদিকে পাবনায় অনুষ্ঠিত মফস্বল সাংবাদিক সম্মেলনের প্রভাবে ঢাকার পত্রিকাগুলি মফস্বলের গুরুত্বপূর্ণ খবর পেলেই তা দিব্যি প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশ করতো। পত্রিকাটির এই নীতি এবং স্বীয় যোগ্যতার গুনে মীর্জার খবর সপ্তাহে কমপক্ষে চারদিনই প্রথম পৃষ্ঠায় স্থান পেত অনেকক্ষেত্রে ছবি সহ। ফলে, দ্রুত প্রদেশব্যাপী মীর্জা শামসুল ইসলাম একজন সুপরিচিত ও দক্ষ সাংবাদিক হিসেবে খ্যাত অর্জন করতে সক্ষম হয়।

মীর্জার এই খ্যাতি অর্জনের পেছনে, তার যোগ্যতা, দক্ষতা, সংবাদ তৈরির ক্ষেত্রে মুনশিয়ানা, খবর সংগ্রহের ক্ষেত্রে তৎপরতা-পত্রিকায় তা পাঠানোর ক্ষেত্রে দ্রুততা এগুলি কাজ করেছে। আবার সরকারী পত্রিকার রিপোর্টার হওয়াতে সরকারী অফিস-আদালতেও তার ছিল অবাধ প্রবেশাধিকার। সেই সুবাদেও “উন্নয়ন সংবাদ” সংগ্রহের ক্ষেত্রে তার ছিল বিস্তর সুবিধা। তারও সদ্ব্যবহার করতে ক্লান্তি ছিল না।

মীর্জা একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করেছিল “প্রবাহ” নামে। বলা চলে নিজেই সে ছিল প্রকাশক, সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, প্রতিবেদক সব কিছু। মাঝে মাঝে আমাকেও কিছু সম্পাদকীয় লিখে দিতে হয়েছে। মীর্জা সর্বদা ফিটফাট থাকতে ভালবাসত। প্যান্ট, সার্ট, শীতকালে গরম সোয়েটার, কোট, টাই যেন এক সাহেব। সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। সাংবাদিকতাই ধ্যান-জ্ঞান। আজও “পাবনা মানসিক হাসপাতাল” এর নানা দিক নিয়ে তার দীর্ঘতম সিরিজ প্রতিবেদনের কথা (দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত) মনে পড়ে। এই সিরিজটি তার পরিচিতিকে তুঙ্গে নিয়ে যায়। আসলে সিরিজ প্রতিবেদন পাবনার বহু বিষয় নিয়েই লেখা যায়। যেমন পৌর নাগরিক জীবন, ইছামতি, রেল ও সড়ক যোগাযোগ, কুটির শিল্প বিশেষত: তাঁত শিল্প, শিক্ষা প্রভৃতি। তরুণ সাংবাদিকের সংখ্যা এখন পাবনাতে ৪০ অতিক্রম করেছে। আশা করি তাঁরা এদিকটায় পাবনার স্বার্থে, নিজের সাংবাদিক হিসেবে উৎকর্ষ সাধনের জন্য এগিয়ে আসবেন।

মীর্জা শামসুল ইসলাম দু‘তিন দফায় পূর্ণ মেয়াদে পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এতেই সাংবাদিকদের মধ্যে তার জনপ্রিয়তার নজির মেলে।

প্রতিবেশী হিসেবে উভয়ে একসাথেই বেশীরভাগ রাতে হেঁটে বাসায় ফিরতাম বিশেষত: শীত কলে। আমি যদি রিকশা নিতে চাইতাম বাধা দিত মীর্জা। বলতো হেঁটে যাওয়াটা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। তাই কখনও আগ্রহের সাথে আবার কখনও বা অনিচ্ছা সহকারে হেঁটেই ফিরতাম রাত দশটার দিকে। কমরেড প্রসাদ রায় ছিলেন প্রেসক্লাবের সম্মানিত সদস্য। তাঁর সাথে মীর্জার এক কানা-কড়ার মিলও ছিল না রাজনীতি বা আদর্শ নিয়ে। কিন্তু দুজনের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত গভীর সহৃদয়তাপূর্ণ।

মীর্জা শামসুল ইসলাম আজ নেই। তাঁকে হারিয়েছি বহুদিনই হয়ে গেল। হৃদরোগ তাকে ছিনিয়ে নিয়েছে অকস্মাৎ। সকালে নাস্তার পর চেয়ারে বসে চায়ে এক চুমুক দেওয়ার পরই অজানার উদ্দেশ্যে চলে গেল আমাদের মীর্জা শামসুল ইসলাম। কিন্তু তার অকালমৃত্যু পাবনার সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে যে শূন্যতার সৃষ্টি করেছিলো আজও তা অব্যাহত।

রণেশ মৈত্র, লেখক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক; মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ