আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

অসাম্প্রদায়িক গঙ্গায় শেষ হলো বঙ্গের ‘পূজা-উৎসব’

সাব্বির খান  

শারদ উৎসবের স্নিগ্ধ আমেজ শুরু হতে না হতেই শেষ হয়ে গেল। বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। খুব নিকট অতীতেও যখন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায়, বিশেষ করে বাংলাদেশে ধর্মীয় গোড়ামির উপর খুব বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হতোনা এবং ধর্মীয় মৌলবাদের ডালপালাও যখন সেভাবে গজায়নি, তখন সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন পূজার উৎসবে মেতে উঠতো শহর- ও গ্রামবাসী। ধর্মীয় মতবাদ বা ভেদাভেদ ভুলে সবাই যোগ দিত উৎসবে। মানুষের জীবনের দৈনন্দিন কাজের একঘেয়েমিতা কেটে যেত এসব আনন্দোৎসবের আয়োজনে, যার প্রধান আকর্ষণই ছিল রকমারি খাবারের সমাহার, খেলাধুলা, থিয়েটার সহ বিভিন্ন আয়োজন।

এঅঞ্চলের প্রাচীনতম উৎসবগুলোর মধ্যে দুর্গাপূজা অন্যতম এবং এউৎসব কত প্রাচীন, তাও নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন। প্রাচীনকালের দুর্গাপূজার রূপ ও প্রকৃতি ছিল ভিন্ন। বর্তমানে বাংলাদেশে যে দুর্গাপূজার প্রচলন তা মোটা দাগে বঙ্গীয় চর্চা বললেও অত্যুক্তি করা হবেনা। প্রাচীনতম লৌকিকরূপই বর্তমান বাংলার শারদীয় উৎসব। অতীতে দুর্গাপূজা উদযাপিত হতো বসন্তকালে, যা ছিল দেবীপূজার প্রশস্ত সময়। কিন্তু রামায়ণে রাম কর্তৃক শরৎকালে দেবীপূজার প্রাসঙ্গিকতা থেকেই শারদীয় পূজার প্রচলন শুরু হয়।

উপলক্ষ ভিন্নতর হলেও মাধ্যম হিসেবে যেকোনো উৎসবের উদ্দেশ্যই হয় নিটোল-নির্ঝঞ্ঝাট আনন্দ লাভ। উৎসব হয় পরিবার, সমাজ অথবা রাষ্ট্রকেন্দ্রিক। যুগের বিবর্তনের ধারাবাহিকতায় উৎসবের রূপ ও রং বদলায়, বিলুপ্ত হয় কিছু কিছু, আবার সংযুক্তও হয় নতুন আদলে। আঞ্চলিকতার কৃষ্টিয় প্রভাব এবং ধর্মীয় ও রাজনৈতিক যুগান্তরের অনুশাসনের কারণে উৎসবে ভিন্নতার ছাপ বয়ে আনলেও, উৎসবের যে চূড়ান্ত পর্যায়-‘আনন্দ লাভ’, তার হেরফের হয়না পৃথিবীর কোথাও। আনন্দ লাভের যে শৈলী, তার গোড়ার কথাই হচ্ছে ‘যৌথতা’। একক অনুভূতিতে কখনো আনন্দ লাভ সম্ভব হয়েছে বলে শোনা যায়নি। এই যৌথতা কোন একক গোষ্ঠী বা ধর্মের নয়। ধর্ম, বর্ণ, প্রান্তহীন-সমাজের সংঘবদ্ধতার রূপরেখাই সৃষ্টি করে ‘যৌথতা’। বাংলাদেশের উৎসবগুলোর মূল উৎসই হচ্ছে প্রাচীন কালের লোকবিশ্বাস, যা কালক্রমে ধর্মীয় ও লোকজ সংস্কৃতির আওতাভুক্ত হয়েছে। কৃষিপ্রধান দেশ হওয়ায় চন্দ্রমাসের হিসেবে সারাবছরই লেগে থাকে হরেক রকমের উৎসব। প্রকৃতিকেন্দ্রিক উৎসবগুলোর আচরণগত কারণে কালের আবর্তে তা বিভিন্ন ধর্মের বলয়ভুক্ত হয়েছে। অতিপ্রাকৃতিক শক্তিকে বশিভূতকরনের যে তন্ত্রীয় প্রক্রিয়া, কালের আবর্তে তা-ই গোষ্ঠীগত সংস্কৃতিতে পরিণত হওয়ার নজির আছে এই বাংলায় এবং পালিতও হয় সরবে ও সবাই মিলে।

শুধু দুর্গাপূজা নয়; এর ধারাবাহিকতায় অন্যান্য পূজাও পালিত হয় এই বাংলায়। পূজা মানেই উৎসবের বন্যা বয়ে যাওয়া। আশ্বিনের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে দেবীর বোধন হওয়ার পর সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পূজা হয়। বিজয়া দশমীতে হয় বিসর্জন। বিজয়ার পরদিন থেকে পনের দিন ধরে ধুমধামে চলে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়। এর পরের পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মীপূজা। কার্তিক মাসের সংক্রান্তিতে হয় কার্তিকপূজা, মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা। দুর্গার আরেক রূপ কালী পূজা হয় কার্তিক মাসের আমাবস্যা তিথিতে। বাংলার আশ্বিনে দুর্গা পূজা দিয়ে হয় শুরু, আর মাঘে সরস্বতী পূজার মাধ্যমে তার সমাপ্তি ঘটে। এভাবে বারো মাস ধরেই চলে বিভিন্ন পূজার আনন্দোৎসব। বাংলাদেশে মুসলিম প্রধান দেশ হলেও সনাতনী ধর্মের পাশাপাশি আরো অনেক ধর্মীয় উৎসবই পালিত হয় মহাসমারোহে। ধর্ম, বর্ণ, গোত্রের প্রাচীর ডিঙিয়ে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়ার সংস্কৃতিই আবহমান বাংলার সংস্কৃতি, যার ধারাবাহিকতায় বিভিন্নভাবে ছেদ পড়লেও থেমে থাকেনি।

ছোটবেলায় মামাবাড়িতে অনেকবার গিয়েছি। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দেখেছি, মূল পূজা শুরু হওয়ার বেশ আগে থেকেই ঢোলের বাদ্য ও প্রতিমা গড়া দিয়েই শুরু হয়ে যেত পূজোর উৎসব। শরৎকালে বাড়ির পাশের মাঠগুলো জলে পূর্ণ থাকায় এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে যাওয়াই ছিল কষ্টকর। ছোট ছোট ডিঙিই ছিল ভরসা। তবুও সামষ্টিক আনন্দের ফোয়ারায় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়নি প্রকৃতি। পাঁঠাবলির সংখ্যাই তখন নির্ণয় করত গৃহস্থের আর্থিক-সঙ্গতির বিষয়টি। প্রায় সপ্তাহব্যাপী গান, বাজনা, খাবার, বিহারে মাতোয়ারা হতো নারী-পুরুষ, যুবা-বৃদ্ধরা। গ্রামের স্কুলে মঞ্চ বানিয়ে নাটক, কীর্তন, যাত্রা-পালাও হতে দেখেছি। মুসলমান-হিন্দুরা একসাথে অভিনয় করত তখন সেসবে। গ্রামটি জলবদ্ধ হওয়ায় নৌকায় চড়ে মশাল-প্রদীপের আলোতে আনন্দ-মিছিলের কথা আজো চোখের সামনে ভাসে। পূজার আনন্দে কোনদিন ধর্মভেদ দেখিনি।

দুর্গাদেবী বাংলায় ঠিক কবে পদার্পণ করেছিলেন, তার সঠিক ইতিহাস জানা না গেলেও বল্লাল সেন চতুর্দশ শতাব্দীতে ঢাকেশ্বরী মন্দির নির্মাণ করেছিলেন বলে জানা যায় এবং সে ইতিহাসের পথ ধরেই বলা যেতে পারে যে, দুর্গাদেবী তখন থেকেই সদর্পে ঢাকায় অবস্থান নিয়েছিলেন। ঢাকায় যে দুর্গাপূজা হতো, তার বিশদ বিবরণ পাওয়া যায় বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ ভবতোষ দত্তের আত্মজীবনীতে। মৈশুন্ডির বাড়িতে তখন লাল দুর্গা-প্রতিমা তৈরি হতো। ঢাকার সূত্রাপুরে বাবু নন্দলালের বাড়িতে প্রায় দোতলা সমান উঁচু প্রতিমা তৈরি হত। তবে রামকৃষ্ণ মিশনের পূজাই ছিল সবার মুখে মুখে। সেখানে দর্শনার্থীদের বাঁধভাঙা ভিড়ে সন্ন্যাসীরা কীর্তন করতেন। আশির দশকে দৃশ্যমান পূজা-উৎসব অনেকটা শহর বা উপশহর কেন্দ্রিক হতে শুরু করে, যদিও তখনো গ্রাম-গঞ্জেও হতো পূজো। নিয়নবাতির চাকচিক্য, রঙিন কাপড়চোপড়ে বাহারি রংয়ের ঝলকানি, আতশবাজি, গানবাজনায় আধুনিকতার স্পর্শ, এ সবকিছুই গ্রাম ও শহুরে পূজার পার্থক্যের মাঝে সরল রেখা টেনে দেয় আজ। ঢাকায় পূজার যে বড় মেলাটি বসে, তা শাঁখারি বাজারে। হরেক রকমের গজা, মুরালি, সন্দেশ সদৃশ বিভিন্ন মিষ্টান্নের দোকানে ভর্তি থাকে সে মেলা।

মহল্লা- বা এলাকাভিত্তিক মন্দির বা সাময়িকভাবে তৈরি পূজার মঞ্চগুলোকে কেন্দ্র করেও জমে ওঠে পুজাউৎসব। সেখানে ছোট ছোট খালি জায়গায় নাগরদোলা, পুতুল নাচ, রকমারি খেলনার দোকান ছাড়াও কীর্তনের আয়োজন হয়। সাজানো মঞ্চের পূজার বেদিতে বসে থাকেন পুরোহিত ঠাকুর। তিনি প্রণামী নেন, প্রসাদ দেন দেবী-ভক্তদের। প্রসাদ নেয়ার লাইনে কে না দাঁড়িয়েছে! গায়ে যখন কারো ধর্ম, বর্ণ বা গোত্রের নাম লেখা থাকে না, প্রসাদ খেতে অসুবিধা কোথায়! এধরনের পূজা বর্তমানে বনানী মাঠে উদযাপিত হয়। এই পূজায় শুধু সনাতন ধর্মেরই নয়, বিভিন্ন ধর্মের নামকরা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদেরও দেখা যায়। পুরান ঢাকার পূজার সাথে বনানী পূজার পার্থক্যই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় সময়ের তারতম্যকে।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পরে বিশ্বের পরাশক্তিগত ভারসাম্যহীনতার সুড়ং পথ ধরে একটু একটু করে বিশ্বরাজনীতিতে জায়গা করে নিয়েছে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতা, যার প্রভাব থেকে বাংলাদেশেও রেহাই পায়নি। সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত রাশিয়া ভেঙ্গে যাওয়ার পরে উগ্রমৌলবাদ একটি স্বতন্ত্র ‘ইজম’-এর মতই বিশ্ব রাজনীতির মানচিত্রে জায়গা করে নেয়ার চেষ্টা করেছে; বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই প্রবণতা অত্যন্ত প্রকট। সামগ্রিক বিবেচনায় একথা নিশ্চিত বলা যায় যে, বিশ্ব এখন মূলত দুইভাগে বিভক্ত, গণতান্ত্রিক পুঁজিবাদ ও উগ্রমৌলবাদ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর থেকে বাংলাদেশকে একটা সাম্প্রদায়িক, উগ্র পাকিস্তানপন্থী দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে জামায়াত-বিএনপি যেভাবে চেষ্টা করেছে, তাতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের মানুষের অধিকার ও সক্ষমতা শুধু খর্বই হয়নি, একটু একটু করে হারিয়েছে তাঁদের আনন্দোৎসবগুলোর জৌলুশ। তার প্রভাব কিছুটা হলেও বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবগুলোতে আজ বেশ দৃশ্যমান। পুলিশ প্রহরায় ঈদ বা পূজা হয়; আনন্দোৎসব হয়না!

আদিকালে দুর্গাপূজায় ‘কুমারীপুজা’-র প্রচলন ছিল। স্বামী বিবেকানন্দ প্রথম বেলুড় মঠে কুমারীপূজার পূনঃপ্রচলন করেছিলেন। এব্যাপারে আশ্চর্য একটি কাহিনী আছে। স্বামীজির মানসকন্যা নিবেদিতা সহ আরো কয়েকজন শিষ্য নিয়ে কাশ্মীরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে এক মুসলিম নৌকা-মাঝির শিশুকন্যাকে তিনি কুমারীপূজা করেছিলেন, যা দেখে তাঁর পাশ্চাত্য সঙ্গীরা বেশ অবাক হয়েছিলেন। এই কাহিনী যতটা ধর্মীয় তারচেয়ে অনেক বেশি প্রতীকী! একটি পরিপূর্ণ ধর্মীয় আচারে অসাম্প্রদায়িকতার অসাধারণ দৃষ্টান্তস্বরূপ এই ঘটনা। মননশীলতার পরিমাপে বাংলাদেশেও প্রচলন ছিল এই অসাম্প্রদায়িকতার অনুশীলন, যা আজ একটু একটু অবলুপ্ত প্রায়।

পঁচাত্তর পরবর্তীতে একাত্তরের পরাজিত শক্তির উত্থান, ক্ষমতালোভী সামরিক শক্তির অপতৎপরতা, রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে সাম্প্রদায়িকতা ও ধর্মের অপব্যবহার, মৌলবাদের উপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে ধর্মীয় উগ্রবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দান ইত্যাদি সবই নির্বিচারে হয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশে, যার কিছুটা হলেও এখনো চলমান। আদিকাল থেকেই বাংলাদেশের মানুষের জীবনধারা ও সংস্কৃতির মধ্যে এমন কতগুলো দিক আছে, যা বাঙালীদের বিশ্ববুকে একটা স্বতন্ত্র জাতি হিসেবে চিহ্নিত করে।

বাংলার মানুষকে পালনীয় ধর্মের আচার-আচরণের চেয়ে ধর্মের অন্তর্নিহিত মানবতাবাদকে বেশি আকৃষ্ট করেছে সব সময়। সেই ভাবধারার বাঙালী মননশীলতাকে ফেরাতে না পারলে ধর্মীয় আনন্দোৎসবগুলো শুধুই ফ্রেমে বাঁধা ‘করণীয়’-তে পরিণত হবে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের ভাবধারাই পারে তার সুরক্ষা দিতে!

সাব্বির খান, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, কলাম লেখক ও সাংবাদিক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ