আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

‘কুরুক্ষেত্রে’ আওয়ামী লীগের ‘পঞ্চপাণ্ডব’

জুয়েল রাজ  

সর্বশেষ কানাডা ও আমেরিকা সফর শেষে  সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি মন্তব্য নিয়ে আজকের লেখার সূত্রপাত। তাঁর ৭০ বছর জীবনের ৩৫ বছর, উপমহাদেশের প্রাচীন রাজনৈতিক দল  আওয়ামী লীগের  সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার একটু অবসরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। যদিও কোনভাবেই সেটা হবেনা। দলের দ্বিতীয় প্রধান থেকে মাঠের একজন সমর্থকও প্রধানমন্ত্রীর এই ইচ্ছাকে সমর্থন করেছেন বলে মনে হয়না। দ্বিতীয়ত আওয়ামী লীগে এখনো এমন  নেতৃত্ব তৈরি হয়নি। যে আওয়ামী লীগের মতো পুড় খাওয়া বিশাল একটি দলের নেতৃত্ব দিতে পারবে। তাই শেখ হাসিনার অবসরে যাওয়া  আপাত স্বপ্ন ছাড়া আর কিছুই নয়। শেখ হাসিনার  দৃঢ় নেতৃত্বেই  ৭৫-এর  ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিনিক্স পাখি হয়ে  আওয়ামী লীগকে আজকের অবস্থানে এনে দাঁড় করিয়েছেন।

শেখ হাসিনার এই নেতৃত্বের সাথে মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

মহাভারত পৃথিবীতে এযাবৎ কালের সর্ববৃহৎ মহাকাব্য। যদি ও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা  একে ধর্মীয় গ্রন্থের মর্যাদা দিয়ে থাকেন। মহাভারত ১৮ টি পর্বে এক লক্ষ শ্লোক ও দীর্ঘ গদ্যাংশ রয়েছে। এই মহাকাব্যের শব্দসংখ্যা প্রায় আঠারো লক্ষ। মহাভারতের কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের কথা অনেকেই জানেন। কৌরব ও পাণ্ডবদের মধ্যে ১৮ দিনব্যাপী যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত পাণ্ডবরা জয়ী হয়েছিল। নির্বংশ হয়েছিল কৌরব বংশ।

কুরুরাষ্ট্রে সামন্তপঞ্চকে কুরুক্ষেত্র নামে এক পুণ্যক্ষেত্রে মহাযুদ্ধের প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়। পাণ্ডব ও কৌরবদের উদ্যোগে সমস্ত আর্যাবর্তের রাজ্যসমূহ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।

সেই সময়ের সনাতন ধর্মের অবতার শ্রীকৃষ্ণ।  কৃষ্ণ তথা দ্বারকার সাহায্য প্রার্থনায় অর্জুন ও দুর্যোধন উভয়েই একই সময়ে দ্বারকায় যান। কিন্তু কৃষ্ণের ভ্রাতা বলরাম যুদ্ধে অংশ না নিয়ে তীর্থযাত্রার সিদ্ধান্ত নেন। আর কৃষ্ণ উভয় দলের আবেদন রক্ষাহেতু অস্ত্রধারণ না করার প্রতিজ্ঞা করে পাণ্ডবদের পরামর্শদাতা রূপে নিজে পাণ্ডবপক্ষে যোগ দেন এবং কৌরবপক্ষে দ্বারকার দুর্জয় নারায়ণী সেনা দান করেন। আপাতদৃষ্টিতে এতে কৌরবপক্ষই লাভবান হলেও স্বয়ং ধর্মরক্ষক ভগবান বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণ নিজে পাণ্ডবপক্ষে থাকায় তারাই লাভবান হয়।

এদিকে কৃষ্ণ যুদ্ধ অস্ত্র না ধরার প্রতিজ্ঞা করে যুদ্ধ না করলেও যুদ্ধে অর্জুনের রথের সারথির ভূমিকা গ্রহণ করেন। তিনি পাণ্ডবদের শান্তিদূত রূপে কৌরবদের কাছে পাণ্ডবদের জন্য পাঁচটি গ্রাম ভিক্ষা করেন। কিন্তু দুর্যোধন কঠোরভাবে ঐ প্রস্তাব অস্বীকার করে বলেন, “বিনা যুদ্ধে নাহি দেব সূচ্যগ্র মেদিনী”।

অতঃপর যুদ্ধ শুরু হয়। কিন্তু যুদ্ধের প্রাক্কালে নিজের আত্মীয়-স্বজনদের সাথেই সংঘর্ষে লিপ্ত হতে হবে দেখে মহাবীর অর্জুন জাগতিক মোহের বশে পড়ে যুদ্ধ হতে বিরত হবার সিদ্ধান্ত নিয়ে অস্ত্রত্যাগ করেন। এমতাবস্থায় শ্রীকৃষ্ণ তাঁর প্রিয়সখা অর্জুনকে পুনরুজ্জীবিত করবার জন্য কিছু মহান উপদেশ প্রদান করেন ও অর্জুন পুনরায় অস্ত্রধারণ করেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের এই উপদেশগুলিই সনাতন ধর্মাবলম্বীদের  প্রধান ধর্মগ্রন্থ ‘ভগবদগীতা’ হিসেবে গণ্য হয়।
 
যুদ্ধের  তেরো দিনের দিন দ্রোণ চক্রব্যূহের আকারে সেনা সন্নিবেশ করে সেই ব্যূহের মধ্যে কর্ণ, দুঃশাসন কৃপাচার্য, দুর্যোধন, অশ্বত্থামা ও জয়দ্রথকে নিয়ে প্রবল বেগে পাণ্ডবদের সৈন্য সংহার শুরু করলেন। অর্জুন তখন যুদ্ধক্ষেত্রের অন্যপ্রান্তে সংশপ্তকগণের সঙ্গে যুদ্ধে ব্যাপৃত। এই জটিল চক্রব্যূহ ভেদ করতে জানতেন একমাত্র অর্জুন, কৃষ্ণ, প্রদ্যুন্ম আর অভিমন্যু। কিন্তু অভিমন্যু সঙ্কট মুহূর্তে ব্যূহ থেকে নির্গত হওয়ার কৌশলটা জানতেন না। যুধিষ্ঠির ও ভীম অভিমন্যুকে অভয় দিয়ে বললেন যে, অভিমন্যু ব্যূহে প্রবেশ করলেই ওঁরাও অভিমন্যুকে অনুসরণ করবেন। জ্যেষ্ঠতাতদের আশ্বাসে অভিমন্যু চকিতে ব্যূহ ভেদ করে ঢুকলেন। ব্যূহের দ্বার রক্ষা করছিলেন জয়দ্রথ। মহাদেবের বরে সেদিন তিনি ছিলেন অজেয়। তাই ভীম সাত্যকি ইত্যাদি বীররা প্রাণপণ চেষ্টা করেও তাঁকে অতিক্রম করতে পারলেন না।

অভিমন্যু প্রবল বিক্রমে অসংখ্য সৈন্যকে হত্যা করলেন। কৌরবদের সপ্তরথীর প্রত্যেকেই ওঁর ক্ষিপ্রতায় বিপন্ন হলেন। পরে ওঁরা সবাই মিলে একই সঙ্গে রণক্লান্ত অভিমন্যুকে আক্রমণ করলেন। চারিদিক থেকে এইভাবে আক্রান্ত হওয়ায় অভিমন্যুর বর্ম, ধনু ও অন্যান্য অস্ত্রাদি ধ্বংসপ্রাপ্ত হল। দুঃশাসন পুত্র এই সুযোগে গদা দিয়ে ওঁর সারথি ও অশ্বগুলিকে মারার পর ওঁকেও গদাঘাতে নিহত করলেন।

কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে পাণ্ডবদের জয়ের অন্যতম কারণ হল অর্জুনের রণনৈপুণ্য। কৌরবদের বহু বীর যুদ্ধকালে ওঁর হস্তে নিহত হয়েছেন। সম্মুখ সমরে ভগদত্ত, জয়দ্রথ, কর্ণকে তিনি বধ করেছেন। কিন্তু ভীষ্মকে শরশয্যায় নিপাতিত করতে তাঁকে শিখণ্ডীকে সামনে রাখতে হয়েছে। এই অন্যায় যুদ্ধের জন্য বসু দেবতাগণ অর্জুনকে নরকবাসের অভিশাপ দিয়েছিলেন। পরে যুধিষ্ঠিরের অশ্বমেধ যজ্ঞের সময় যজ্ঞিয় অশ্বকে নিয়ে বহুদেশ জয় করে যখন মণিপুরে পৌঁছলেন,তখন নিজ পুত্র বভ্রুবাহনের কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে অর্জুন এই শাপমুক্ত হন। কৃষ্ণের মৃত্যুর পর অর্জুন তাঁর শক্তি হারাতে শুরু করলেন। একদল গোপালক দস্যুরা যখন যাদব বিধবাদের হরণ করে নিয়ে যাচ্ছে, তখন তাঁদের রক্ষা করার জন্য বহু চেষ্টা করেও দিব্যাস্ত্রের প্রয়োগ পদ্ধতি অর্জুন স্মরণ করতে পারলেন না। দস্যুরা সফলকাম হল। অর্জুন যখন ব্যাসদেবকে এর কারণ জিজ্ঞেস করলেন, তখন অর্জুনকে তিনি বললেন দুঃখ না পেতে। অর্জুনদের কাজ শেষ হয়েছে, এখন মহাপ্রস্থানের সময় আসছে। মহাপ্রস্থানের পথে কৃষ্ণা,সহদেব ও নকুলের পরে অর্জুনের পতন হয়। ভীম যুধিষ্ঠিরকে তার কারণ জানতে চাইলে যুধিষ্ঠির বলেন যে, অহঙ্কার ও প্রতিজ্ঞা পালনে অক্ষমতাই অর্জুনের পতনের কারণ।

আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সজীব ওয়াজেদ জয় ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির পর,  আওয়ামী লীগের ২০তম সম্মেলনে কাউন্সিলর হলেন শেখ রেহানা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। শেখ হাসিনা সহ পঞ্চ পাণ্ডবের মতোই একই পরিবারের  মোট পাঁচজন  সক্রিয় হচ্ছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে। দলীয় রাজনীতিতে পদ পদবী কি পাবেন না পাবেন সেটা মুখ্য বিষয় নয়। দলীয় রাজনীতিতে অংশ গ্রহণ করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আগামীর নেতৃত্বের চর্চা করতে পারবেন। এদের একজনই শেখ হাসিনা পরবর্তী আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের ভার গ্রহণ করবেন। উপমহাদেশের রাজনীতিতে  ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতাই  এটা।

১৯৯৬ সালের আওয়ামী লীগের সরকার আর ২০০৮ আর ২০১৪  সালের আওয়ামী লীগের সরকারের আকাশ পাতাল পার্থক্য। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার মধ্যদিয়েই রাজনীতিতে কুরুক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সেখানে  মহাবীর  অর্জুনের  ভূমিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  শেখ হাসিনার এই যুদ্ধে   নির্লোভ সারথি হয়ে যিনি সাথে আছেন তিনি দলটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। একা কোন  যুদ্ধে জয়ী হওয়া যায়না।  শেখ হাসিনার কুরুক্ষেত্রের বিজয় এখনো অর্জিত হয়নি। যুদ্ধটা এখনো চলমান।  ভিশন ২০২১ এর  সাফল্য অর্জনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচার এখনো সম্পূর্ণ রূপে শেষ হয়নি। চলমান যুদ্ধেই এবার সঙ্গী হচ্ছেন বোন ভাগ্নি ছেলেমেয়ে সহ সবাই।  অভিমূন্যের মতো চক্রব্যুহে প্রবেশ করার আগে অভিমূন্যদের ব্যূহভেদ করার  কৌশলটি ও যেন শিখানো হয়।

মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী ও পরাজিত শক্তি কৌরবদের ভূমিকায়। শত ভাইয়ের মতো দেশে বিদেশে তাদের মিত্রদের সাথে যুদ্ধ করছেন শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনার মহাপ্রস্থানের সময় এখনো আসেনি। অনেক কাজ এখনো বাকি শেখ হাসিনা তাঁর প্রতিজ্ঞা  পালনে এখনো দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। অর্জুনের রণকৌশলেই কুরুক্ষেত্রে বিজয়ে হয়েছিল।  আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ হচ্ছে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সুকৌশল ও পরিপক্বতার কারণেই। জীবন কে হাতের মুঠোয় নিয়ে,  ৭৫ পরবর্তী, বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশকে  নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তিনি।

শকুনি মামা ছাড়া মহাভারত উপাখ্যান অপূর্ণ থেকে যায়, যিনি দুর্যোধনকে নানান কুবুদ্ধি দিতেন। কালকূট বিষ প্রয়োগ করে ভীমকে হত্যা, জতুগৃহে কুন্তি সহ পাণ্ডবদের পুড়িয়ে মারা,ইত্যাদি ষড়যন্ত্রে শকুনির সক্রিয় ভূমিকা ছিল। দ্যূতক্রীড়ায় তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। যুধিষ্ঠির দ্যূতপ্রিয় হলেও, ক্রীড়া পটু ছিলেন না। তাই তাঁকে পণ-দ্যূতে আমন্ত্রণ করে সর্বস্বান্ত করার পরামর্শটা তিনিই দুর্যোধনকে দিয়েছিলেন। যুধিষ্ঠির খেলতে এলে কৌরবদের পক্ষ হয়ে দুইবার তিনিই খেলেন। যুদ্ধ শুরু হবার আগে শকুনির পুত্র উলুক দুর্যোধনের দূত হিসেবে দুর্যোধনের শিখিয়ে দেওয়া অভদ্র অশ্লীল কথাগুলো পাণ্ডব পক্ষকে গিয়ে শোনালেন। সহদেব সেই শুনে ক্রোধান্বিত হয়ে শপথ করলেন যে, শকুনির সামনে প্রথমে উলুককে হত্যা করে,তারপর তিনি শকুনিকে বধ করবেন। যুদ্ধের শেষ দিনে সহদেবের হাতেই শকুনি-পুত্র উলুক ও শকুনির মৃত্যু হয়।

আওয়ামী লীগে সেই শকুনি মামাদেরও অভাব নেই। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে জাতির জনক  বঙ্গবন্ধুকে হত্যাকাণ্ডের এক শকুনি মামা ছিল খন্দকার মোশতাক, যাকে বঙ্গবন্ধু অপছন্দ করতেন। কিন্তু শেখ মনি নাকি  মোশতাক মামা বলতে অজ্ঞান ছিলেন। যার জন্য বঙ্গবন্ধু ছাড় দিয়েছিলেন (শোনা গল্প)। এমন  অনেক মামাই আওয়ামী লীগে জন্ম নিয়েছেন। এসব শকুনি মামাদের চিনতে যেন ভুল  না হয়।

আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্বের জন্য আগাম  শুভকামনা।

জুয়েল রাজ, সম্পাদক, ব্রিকলেন; যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি, দৈনিক কালেরকন্ঠ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ