টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Advertise
রণেশ মৈত্র | ২৩ অক্টোবর, ২০১৬
ভোরে উঠে নিত্যদিনের অভ্যাসমতই কম্পিউটার রুমে ঢুকে ইন্টারনেটে স্বদেশের সেদিনকার কয়েকটি পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা এবং ফেসবুকের খানিকটা দেখার একটা অভ্যাস গড়ে উঠেছে। এগুলি যখন করি, তখন বাংলাদেশে সবাই তখন ঘুমিয়ে থাকেন কারণ আমি অস্ট্রেলিয়ান সময় সকাল সাতটার দিকে ওই কাজ শুরু করি। কিন্তু বাংলাদেশ সময় তখন রাত তিনটা। তাই যদি এভাবে বলি, বাংলাদেশের সবার অজান্তে নেহায়েত চুপিসারে এই কাজগুলি করে থাকি তা আদৌ বেঠিক কোন কথা হবে না।
ঐ অভ্যাসের বশবর্তী হয়েই গত ২৮ জুন সকাল সাতটায় মুদ্রিত পত্রিকা এবং অনলাইন দু‘একটা পত্রিকা দেখার পর ফেসবুকে একজন শ্রদ্ধেয় লেখকের লেখাটি চোখে পড়ে যায়। অন্তত: দুবার তাঁর লেখাটি পড়ি। তাঁর তুলনায় আমি অতিশয় নগণ্য একজন ব্যক্তি-তদুপরি, সবাই জানেন, আমি স্থায়ীভাবে থাকি পাবনা শহরে আর বিশিষ্টজনেরা থাকেন ঢাকায়। তাই একদিকে নির্জন-অপরদিকে গেঁয়ো। বাড়ী-ঘর-টাকা-পয়সা-ব্যাংক ব্যাল্যান্স-পার্সোনাল কার-কোনটাই নেই। তাই একজন প্রকৃত সাধারণ মানুষই একদিকে; অপরদিকে রাজনীতি করি কিন্তু কোন বড় দলের নয়-অত্যন্ত ছোট হয়ে যাওয়া একটি বামপন্থী দলে। বয়সও ৮৪ হতে চলেছে। তাই ধরেই নিয়েছি, জীবনেও বিশিষ্টজনে পরিণত হওয়ার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা আমার নেই। তাই সাধারণ এবং অতি সাধারণ একজন নাগরিক হিসেবে এই অসাধারণ গুরুত্বপূর্ণ নিবন্ধটি লিখতে বসেছি। পাঠক-পাঠিকার কেমন লাগবে জানি না তবে বিষয়টি সবিশেষ গুরুত্বপূর্ণ আজকের বাংলাদেশের প্রকৃত ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিসমূহের জন্য।
একদিকে চলছে পুরোহিতদেরকে অতর্কিতে বা নোটিশ দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা, অপরদিকে “এ রাষ্ট্রে মুসলমান ছাড়া অন্য কারও ঠাঁই নেই” “জমি-জিরাত-বাড়িঘর” কেড়ে নিয়ে হামেশাই বলা হচ্ছে, “তোমরা হিন্দুরা এগুলো আমাদের কাছে লিখে দিয়ে ভারতে চলে যাও-নয়তো আমরা নিজেরই দখল করে নেবো”। চলছে হিন্দু বিবাহিত/অবিবাহিত নারী ধর্ষণ”। তেমনই খৃষ্টান যাজকদেরর রেহাই নেই, নেই বিদেশী খৃষ্টান-বৌদ্ধ নাগরিকদেরও। আইন? তা নড়েও না-চড়েও না। টাকা থাকলে অবশ্য কিছুটা নড়ানো যায় থানা-পুলিশকে-কারণ আইন নড়া-চড়া করবে কিনা-তা প্রাথমিকভাবে নির্ভর করে থানা পুলিশের উপরই-ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী।
এমন কোন তথ্য পাওয়ার, দেখার বা জানার সুযোগ আজতক হলো না যে সাম্প্রদায়িক অপরাধের জন্য একটি ক্ষেত্রেও বিচার হলো বা কারও বিন্দুমাত্র শাস্তি হলো। সরকারের নানা মন্ত্রীর নানা কথা শুনতে শুনতে, নানা ধরণের ভূমিকা দেখতে দেখতে আজ সবার মনেই-বিশেষ করে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মনে হতাশার অন্ত নেই। অনেকেই এখন আর থানা পুলিশের কাছে যান না-বিচার প্রার্থী হন না-উপযুক্ত পুলিশি তদন্ত হবে না-বিচার তো কোন ছাড়! এ যাবত বাংলাদেশে কি পরিমাণ সংখ্যালঘু নির্যাতিত হয়েছে তার কোন নির্ভরযোগ্য পরিসংখ্যান যদিও নেই-তবুও প্রতিদিনকার সংবাদপত্রে প্রকাশিত বিগত দুই বছরের পরিসংখ্যান দেখলেও রীতিমত আতংকিত হতে হয়।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল তার মধ্যে প্রধানতম বিষয়ই তো ছিল পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক দ্বিজাতিতত্ত্বের চিরস্থায়ী কবর রচনা করে, সাম্প্রদায়িকতার অবসান ঘটিয়ে একটি ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ গঠন করা হবে। আর তা হয়েছিল। ১৯৭২ এর সংবিধানে স্পষ্টতই লিখিত হয়েছিল গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ। বস্তুত: এই ৪৫ বছরে এই চারটি মৌলনীতির যা ছিল বস্তুত: পাকিস্তানের পরাজয়ের এবং বাঙালির বিজয়ের এক গৌরবময় দলিল-তাকেও যে কার্যত: হারিয়েছি তা বুঝতে খুব একটা ভাবনার দরকার পড়ে না।
গণতন্ত্র আজ মুমূর্ষু কারণ ভোটার বিহীন, প্রার্থী-বিহীন ভোট আজ যেন সকলের গা-সহা একটা ব্যাপারে পরিণত। ধর্মনিরপেক্ষতা মুমূর্ষু নয়-কার্যত: মৃত ও কবরস্থ। কারণ ধর্মনিরপেক্ষতা থাকলে কোনক্রমেই “বিসমিল্লাহ্” বা “রাষ্ট্রধর্ম” থাকতে পারে না-নেইও পৃথিবীর কোথাও-এমন কি মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম রাষ্ট্রগুলিতেও। হয় ধর্মনিরপেক্ষতা থাকবে নয়তো রাষ্ট্রধর্ম ও বিসমিল্লাহ্ থাকবে। এই তিনটির সহ-অবস্থান কোনক্রমেই সম্ভব নয়।
কাজেই ধর্মনিরপেক্ষতা গেল। বাকী সমাজতন্ত্র ও বাঙালি জাতীয়তাবাদ। সমাজতন্ত্র তো ১৯৭৫ এই অক্কা পেয়েছে-যেহেতু তাকে “ধর্মহীন” বলা হয়ে থাকে-তাই তাকে কবরস্থ করার কথা বলা যাবে না-তাকে বঙ্গোপসাগরের অথৈ জলে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর বাঙালি জাতীয়তাবাদ? দিব্যি দেখা যাচ্ছে চালু হয়েছে ইসলামী জাতীয়তাবাদ। ব্যস-এবারে বাহাত্তরের সব অর্জন বিদায় নিল। কিন্তু সংবিধানের খোলনলচে বদলানো হলেও তাতো কিছু একটা আছেই। সেটা বাহাত্তরের না হোক-আছে তো। কি আছে, আছে জিয়াউর রহমানের পঞ্চম সংশোধনীর হুবহু নকল খাতে সংবিধানের শুরুতে “বিসমিল্লাহির রাহমানির রহিম” নামে রাজনৈতিক দল/দলসমূহের বৈধতার স্বীকৃতি জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্র শিবির ও হেফাজতে ইসলাম সহ সবার।
অত:পর এলেন আশির দশকের শুরুতেই আলহাজ স্বৈরাচারী হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ। অতীতে কদাপি এমন না করলেও মাথায় টুটি পরে প্রতি শুক্রবারে সরকারী হেলিকপ্টারে সরকারী তেল ব্যয় করে সারা দেশের খ্যাতনামা মসজিদগুলিতে গিয়ে জুম্মার নামাজ আদায়ের পালা। তিনি জোর করে ক্ষমতা দখল করেন জনগণের ভোট না নিয়েই। ঐ অবস্থাতেই সামরিক আইনের আওতায় আনা তাঁর সর্বজন নিন্দিত “বাংলাদেশের রাষ্ট্র ধর্ম হইবে ইসলাম”। ব্যস, সাংগঠনিকভাবে মুক্তিযুদ্ধের মহান বিজয়ী ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রটির পাকিস্তানী করণের আর কি বাকী থাকলো? এরশাদের এই সংশোধনী “অষ্টম সংশোধনী” বলে পরিচিত।
এই সংশোধনী সংবিধানের পরিপূর্ণ ইসলামীকরণ করার পর বাংলাদেশের অমুসলিম জনগণের পর-পরিচিতি কী দাঁড়ালো? তাঁরা হয়ে পড়লেন সংখ্যালঘু-মালাওন মাত্র। এই সংশোধনীর সাথে যখন বঙ্গবন্ধুর বাহাত্তরের সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতাকে যুক্ত করা হয় তখন তার ফলেই কি রাষ্ট্রটি ধর্মনিরপেক্ষ হয়ে যায়? হয়ও , তবে তা ইসলামিক সেক্যুলারিজম।
দুঃখজনক ব্যাপার হলো এই ধরণের রাষ্ট্র বিরোধী মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী, চরম সাম্প্রদায়িক একটি সংশোধনী যখন সংবিধানকে অপবিত্র করলো-তার বিরুদ্ধে বুদ্ধিজীবী-রাজনীতিক সহ তেমন কেউই কোন কঠোর প্রতিবাদ জানালেন না-এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামা তো দূরের কথা। তবে হ্যাঁ, আওয়ামী লীগসহ বামপন্থী দলগুলি পত্রিকার বিবৃতি দিয়ে এর বিরোধিতা করেছেন-ব্যস ঐ পর্যন্ত। স্তম্ভিত হিন্দু সমাজ। তাঁদের নেতারা গঠন করলেন “হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ-যা আর এক ধরণের সাম্প্রদায়িক সংগঠন বলে অনেকের মত আমিও বিবেচনা করি। তাঁদের দাবী “ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ চাই” “রাষ্ট্রধর্ম বাতিল কর “বাহাত্তরের সংবিধান চালু কর।” ইত্যাদি। তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগেরও ইন্ধন ছিল বাংলাদেশ-হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ গঠনের ব্যাপারে অত্যন্ত সক্রিয়ভাবে। হিন্দুধর্মে বিশ্বাসী যাঁরা-নিজের ধর্ম রক্ষার্থে, ধর্মের মর্যাদা বা তার স্বকীয়তা রক্ষার্থে এমনভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া ভিন্ন তাৎক্ষনিকভাবে আর কী-ই বা করার ছিল? কিন্তু এটা যে আখেরি ফল দেবে না-দিতে পারে না-বরং উল্টো ফল ফলতে পারে তা তাঁদের মাথায় খেলে নি সম্ভবত: এটা আমার তখন থেকেই ধারণা এবং সেই ধারণা থেকেই আমি ঐ সংগঠনে বার বার উচ্চ মহল থেকে (এবং সংশ্লিষ্ট সকল মহল থেকে) অনুরোধ আসা স্বত্বেও বিনীতভাবে আমি তা প্রত্যাখ্যান করেছি।
প্রত্যাখ্যানের কারণ হলো-এই ঐক্য জাতীয় ঐক্য গড়তে পারে না কারণ সংখ্যা লঘিষ্ঠ মুসলিম জনগণকেই সংগঠনভূক্ত করা হয় নি। অথচ তাঁদেরকে উপেক্ষা করে বা তাদেরকে বাদ দিয়ে গুটিকতক সংখ্যালঘু মানুষ যে কোন কিছু আদায় করতে পারে না তা অন্তত:পক্ষে নেতৃত্বের বুঝা উচিৎ ছিল। তাই প্রয়োজন ছিল “হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ” বা “সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পরিষদ” বা “বাহাত্তরের সংবিধান পুনরুদ্ধার পরিষদ” নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলে সকল সাম্প্রদায়িক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ও সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলা। দিনে দিনে সে আন্দোলনকে আরও দুর্বার তরে তোলা। এতে আন্দোলন সফল হওয়ার অনেকটা সম্ভাবনা ছিল বলে আজও আমি দৃঢ়মত পোষণ করি। তাঁরা কি করে ভুলে গেলেন যে বাংলাদেশে যথেষ্ট সংখ্যক মুসলমান রয়েছে যাঁরা ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী-বাহাত্তরের সংবিধান অবিকল পুনরুজ্জীবনে বিশ্বাসী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসেরও ঘোরতর বিরোধী।
এর প্রমাণও কম নেই। প্রথমত: ২/৩ টি বাদে বাংলাদেশের সকল সংবাদপত্র এবং সামগ্রিকভাবে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অত্যন্ত প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে চলেছেন এমন কি, মূলধারার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলিও। দ্বিতীয়ত: আমরা দেখলাম নারায়ণগঞ্জের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কুমার ভক্ত যখন স্থানীয় এম.পি. সেলিম ওসমান কর্তৃক নিগৃহীত হলেন, রুখে দাঁড়িয়েছিল হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খৃষ্টান নির্বিশেষে। আমি এই নিবন্ধের সমাপ্তি টানার আগে আরও একটি উদাহরণ দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা রাখি যদি তখন সেটাকে স্মরণে আনতে পারি।
আমি আমার এই নিবন্ধের যে শিরোনাম দিয়েছি তা হলো “বাংলাদেশে কাঠগড়ায় ধর্মনিরপেক্ষতা” অর্থাৎ যাঁরা বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষতার খোঁজ করে কোথাও তা পান না-তাঁরা তা পাবেন আদালতের বিচারের কাঠগড়ায়। না। সাম্প্রদায়িকতা বিচারের আওতায় নেই-সে আওতা বহির্ভূত সাম্প্রদায়িকতা। সংবিধানে যে তাকে রেখেও নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে তা আগেই বলেছি।
এবারে আমি ভারত প্রসঙ্গে। কে না জানে ভারতে বর্তমানে নরেন্দ্র মোদি কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিজেপির নেতা। দলটি হিন্দুত্ববাদে বিশ্বাসী একটি সাম্প্রদায়িক দল। সেখানকার উগ্র সাম্প্রদায়িক বজরং দল ও রাষ্ট্রের সেবক সংঘ বা আর.এস.এস প্রভৃতি হলো বিজেপির মুরুব্বি। তারাই বি.জে.পি.র পরিচালক। এই বি.জে.পি যেহেতু সাম্প্রদায়িক তাই তারাও আশ-পাশের দেশগুলিতে স্বভাবতই সাম্প্রদায়িকতার উস্কানি দেবে। দিচ্ছেও। সেখানকার শিক্ষা-দীক্ষায়, চাকুরী-বাকুরীতে সংখ্যালঘু মুসলিমরা বিস্তর পিছিয়ে। তাই তারা বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের স্বার্থরক্ষার কথা মুখে বলে সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়কে ক্ষুব্ধ করবে-সাম্প্রদায়িকতার শক্তি বৃদ্ধি ঘটাবে এটাই তো স্বাভাবিক। এতে বাংলাদেশের হিন্দু সমাজের সাম্প্রদায়িক অংশ পুলকিত বোধ করতে পারেন এবং হয়তো বা করেনও। তাঁরা এবং আরও অনেকে আবার বিশ্বাস করেন নরেন্দ্র মোদি চাপ দিয়ে বাংলাদেশ সরকারকে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ভূমিকা গ্রহণ করাবে। এদেশের হিন্দুর স্বার্থে নয়।
এগুলি জেনেও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা নাকি বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর নির্যাতনের প্রতিকার চেয়ে গোপনে দিল্লী গিয়েছিলেন। এ নিয়ে বহু কথা-বহু সমালোচনা-বহু নিন্দাবাদ কুড়াতে হয়েছে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদকটির। তিনি অবশ্য অস্বীকার করেছেন। অপরপক্ষে ভারতের হস্তক্ষেপ কামনার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে (আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনালের একজন সরকারী আইনজীবী হওয়া স্বত্বেও) পাকিস্তান আমলের মত রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধে একটি মামলা দায়ের করা হোক-এমন দাবীও স্বার্থান্ধ মহল থেকে করা হলেও একশ্রেণীর বুদ্ধিজীবী এই দাবীকে প্রকারান্তরে যৌক্তিক বলেও অভিহিত করতে চান।
ঐ ঘরানার বুদ্ধিজীবীরা বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনার প্রতি অবিচল আস্থাও রাখছেন আবার জামায়াতে ইসলামী, আওয়ামী ওলামা লীগ জাতীয় ঘোর সাম্প্রদায়িক এবং বাহাত্তরের সংবিধান বিরোধী দলগুলিকে বেআইনি না করার অনুকূলে মত প্রকাশ করে বলতে চাইছেন-ওদের বে-আইনি করলে এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দিলে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতির উদ্ভব হবে তা সামাল দেওয়া যাবে না। অদ্ভুত!
মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
আপনার মন্তব্য