আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

জীবন থামার নয়, সে কথা জেনেও…

ফকির ইলিয়াস  

শুরু হলো বাংলা নতুন বছর। ১৪২২ সন। বাংলা বছর ১৪২১ ছিল বাঙালি জাতির জন্য উল্লেখযোগ্য বছর। এ বছরে এই দেশের মানুষ কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়েছে। টানা তিন মাসেরও বেশি সময় মানুষ অবরুদ্ধ ছিল। তারপরও জীবন থেমে থাকেনি। প্রাণহানি হয়েছে। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে বাস-ট্রাক-টেম্পো-রিকশা। চলেনি মিল-কারখানা। তারপরও মানুষ সামনে এগোতে চেয়েছে। এই বছরেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়াগুলো এগিয়েছে সাহসিকতা নিয়ে। অনেক কাঠ-খড় পুড়িয়ে আরেকজন যুদ্ধাপরাধী মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।



বাঙালি জাতির জীবন সংগ্রামের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে, যুদ্ধ করেই দাঁড়িয়েছে এই বদ্বীপের মানুষ। একাত্তর ছিল সেই যুদ্ধের মাইলস্টোন। এই একাত্তরেই শেরপুরের সোহাগপুর গ্রামে কী ঘটেছিল, তা আরেকবার ফিরে দেখা যাক।



শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নিভৃতপল্লীর নাম সোহাগপুর গ্রাম। একাত্তরের ২৫ জুলাই সকালবেলা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সোহাগপুর গ্রামে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ১৮৭ জন নিরীহ পুরুষ মানুষকে নির্মমভাবে গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। সম্ভ্রমহানি করে ১৪ নারীর।



উপজেলার কাকরকান্দি ইউনিয়নের সোহাগপুর গ্রামে মুক্তিযোদ্ধারা আশ্রয় নিয়েছে এমন একটি সংবাদের ভিত্তিতে হানাদার বাহিনী রাজাকারদের সহায়তায় সোহাগপুর গ্রামের প্রফুল্লর দীঘি থেকে সাধুর আশ্রম পর্যন্ত এলাকা ঘিরে ফেলে। তিন-চার ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়ে খুঁজতে থাকে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের আশ্রয়দাতাদের। এ সময় প্রাণের মায়া ত্যাগ করে এগিয়ে আসেন আলী হোসেন ও জমির আলী। কিন্তু বেশিদূর এগোতে পারেননি তারা। এক রাজাকার গুলি করে ওই দুজনকেই হত্যা করে। শুরু হয় নারকীয় তাণ্ডব। মাঠে কর্মরত রমেন রিছিল, চটপাথাং, সিরিল গাব্রিয়েল নামে তিন আদিবাসী গারোকেও হত্যা করা হয়। এরপর একে একে হত্যা করা হয় আনসার আলী, লতিফ মিয়া, ছফর উদ্দিন, শহর আলী, হযরত আলী, রিয়াজ আহমেদ, রহম আলী, সাহেব আলী, বাবর আলী, উমেদ আলী, আছমত আলী, মহেজ উদ্দিন, সিরাজ আলী, আবুল হোসেনসহ ১৮৭ জন নিরীহ পুরুষ মানুষকে।



সে দিন সকালে গ্রামের মানুষ লাঙল-জোয়াল নিয়ে ক্ষেতে রোপা আমন লাগানোর জন্য যাচ্ছিলেন। কেউ কেউ কাজ করছিলেন বাড়িতেই। সিরাজ আলী বসেছিলেন ক্ষেতের আইলে। হঠাৎ গুলির শব্দে চমকে উঠে তাকিয়ে দেখেন বিলের ভেতর থেকে এগিয়ে আসছে ঘাতক হানাদার বাহিনী। ভয়ে সবাই দৌড়ে পালিয়ে যেতে চাইলেও হাসান আলী বললেন, তোমরা যার যার কাজ কর দৌড়ালেই বরং গুলি করবে। কথা শেষ হতে না হতে মুহূর্তেই হানাদার বাহিনী কিশোর সিরাজ আলী ছাড়া সবাইকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে। সেদিন লাশ হলো সবাই, রক্তে লাল হলো আমন ধানের ক্ষেত। আস্তে আস্তে সবাই লুটিয়ে পড়ল সোহাগপুরের মাটিতে।



এই সোহাগপুর নামধারণ করেছে বিধবাপল্লী। মানবেতর জীবনযাপন করেছেন এই পল্লীর বিধবারা। এখন আছেন ৩৭ জন বিধবা। দারিদ্র্য তাদের নিত্যসঙ্গী, বেড়েছে বয়সও। স্বাধীনতার পর স্বামী-সন্তানহারা এসব বিধবার খোঁজখবর কেউ রাখেনি। মনের ভেতর শোক চেপে তারা জীবন কাটাতে থাকলে আশার আলো দেখতে পান ১৯৯৬ সালে। তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী নিজ মন্ত্রণালয়ের তহবিল থেকে তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়ান। প্রত্যেককে দুটি করে ছাগল, শাড়ি ও চাল-ডাল দেন। ক্ষমতা বদলের পর তাদের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। তখন তারা যাপন করেন মানবেতর জীবন।



তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে স্থানীয় সাংবাদিকরা পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করলে তাদের বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়। যৌথবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তাদের জন্য কৃষি সমন্বয়ক পাওয়ার টিলার, মাশরুম চাষ ও বনায়নসহ তিনটি প্রকল্প চালু করা হয়। কিন্তু সঠিক তদারকির অভাবে প্রকল্পটি স্থবির হয়ে পড়ে। তাদের এই সংকটাকীর্ণ অবস্থায় একটি বেসরকারি ব্যাংক এগিয়ে আসে। ব্যাংকটি ওই ৩৭ বিধবাকে আজীবন এক হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা এবং ২৪টি শহীদ পরিবারকে পাঁচ বছর পর্যন্ত এক হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা প্রদানের ঘোষণা দেয়। এ ছাড়া তাদের জন্য এককালীন সাত হাজার টাকা, প্রত্যেককে একটি করে শাড়ি, চাদর ও সোলার চার্জার বাতি দেয়া হয়।



জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে স্বামীর শোক বুকে চেপে তারা যেন একটু ভালো-মন্দ খেয়ে-পরে বেঁচে থাকতে পারেন- এটাই চান সোহাগপুরের বিধবাপল্লীর বিধবারা। বিধবা জাবেদা বেগম বলেন, ‘খুব কষ্টে আছিলাম। বৃষ্টির পানি ঘরে পড়ত। খাবার নাই, তেল-সাবান নাই, খুব কষ্টে দিন গোনতাছিলাম। আল্লাহ রহম করছে।’



বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের এমনই দশা। অন্যদিকে রাজাকার-আলবদর-আলশামস নামের হায়েনারা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। এরা সাংবাদিক নামের ‘কলঙ্ক’ হয়ে বাড়ির মালিক হয়েছে মিরপুর সাংবাদিক পল্লীতে। কী আজব আমাদের পথচলা! কী করুণ আমাদের মুক্তি সংগ্রামের ফসল! বাংলাদেশে কেমন অনিরাপত্তায় আছেন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ তার একটা ঘটনা উল্লেখ করা যাক।



‘কামারুজ্জামানের ফাঁসি না হলে আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলা হতো। আমাকে ১০ লাখ টাকা দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। পাঁচ লাখ টাকা পকেটে ঢুকিয়ে দিয়ে বলা হয়েছিল, সাক্ষ্য দিলে লাশ হয়ে যাবে। এমনকি ট্রাইব্যুনালে কামারুজ্জামানের নিযুক্ত আইনজীবীরা পর্যন্ত আমাকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল।’ মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কামারুজ্জামানের ফাঁসির পর এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করছিলেন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী মজিবর রহমান পানু।



রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী বলেন, ‘শেরপুরে ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। সেই পতাকা আমার হাতে তৈরি হয়েছিল। ওই অপরাধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে কামারুজ্জামান ও তার সহযোগীরা আমাকে ধরে নিয়ে যায়। চরম নির্যাতনের পর আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ঝিনাইগাতীর আহমদনগর ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কামারুজ্জামানের নির্দেশে আমাদের সাত সহযোগীকে গুলি করা হলে আমি ও লিয়াকত অলৌকিকভাবে বেঁচে যাই। যুদ্ধ চলাকালে আমি দেখেছি, কামারুজ্জামান কী নৃশংসভাবে মোস্তফা এবং ফুটবলার কাজলকে মেরেছে।



কামারুজ্জামানের নির্যাতনের শিকার শেরপুরের প্রবীণ শিক্ষক ভাষাসংগ্রামী সৈয়দ আবদুুল হান্নানের মেয়ে সৈয়দা শাহনেওয়াজ লতিকা বলেন, ‘একাত্তরের দিনগুলোর কথা মনে হলে এখনো শরীরে কাঁটা দিয়ে ওঠে। আব্বার ওপর সেদিন যে নিষ্ঠুর নির্যাতন করা হয়েছে, তা মনে হলে চোখের পানি ধরে রাখা যায় না। তাকে ফায়ারিং স্কোয়াডে পর্যন্ত নেয়া হয়েছিল। এ সবকিছু করেছে কামারুজ্জামান। ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় আজ যে শান্তি পাচ্ছি, তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।’



ন্যায়বিচারের পথেই বাংলাদেশকে এগোতে হবে। বাংলাদেশে যখন ১৪২২ বরণ চলছে- তখনই ঘটেছে একটি নারকীয় ঘটনা। হিন্দুদের ভারতে তাড়ানোর হুমকির পোস্টার লাগিয়ে নীলফামারীর ডিমলায় একটি দুর্গা মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করেছে দুষ্কৃতকারীরা। খালিশাচাপানী ইউনিয়নের কাকিনা চাপানী সার্বজনীন পুরাতন দুর্গা মন্দিরে এ ঘটনা ঘটে। আগুনে মন্দিরের তেমন ক্ষতি না হলেও হুমকির ঘটনায় গ্রামের অন্তত ৪শ হিন্দু পরিবারে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পোস্টারে অন্যান্য কথার মধ্যে রয়েছে- ‘পূজা-পার্বণ চলবে না? হরি মন্দির/দুর্গা মন্দির থাকবে না। হিন্দু বেটা পালাও -ভারতে।’



এই কি একাত্তরের বাংলাদেশের চেতনা? একটি ভয়ানক কথা বলেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের বিরোধিতা করেন না। কিন্তু কামারুজ্জামানকে ফাঁসির দড়িতে ২০ মিনিট ধরে ঝুলিয়ে রেখে যে মানবতাবিরোধী অপরাধ এই সরকার করেছে তার জন্য তাদের উচিত অপরাধীর পরিবারের কাছে ক্ষমা চাওয়া। কী বলছেন তিনি? কথাটা খুব ঘুরিয়ে না বলে সরাসরি বললেই পারতেন। এই ব্যক্তিটি বাংলাদেশে যে ঘাতক-দালালদের পারপাস সার্ভ করেন, তা অজানা নয় কারো। তারপরও কচ্ছপের মতো কথা বলছেন কেন? বাংলাদেশের সাংবিধানিক, চিকিৎসাভিধানিক প্রক্রিয়ায় ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। সেই মোতাবেক রীতি পালন করেন কারা কর্তৃপক্ষ। ঘোলা জলে মাছ শিকারের আর মওকা পেলেন না ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী?



আগেই বলেছি, জীবন থেমে থাকে না। নববর্ষে সোহাগপুরের সেই বিধবাপল্লীতে গিয়ে পান্তা-ইলিশ আর মুড়ি-মুড়কির স্বাদ ভাগাভাগি করেছেন যুদ্ধাপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলনরত গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। পরে ৩২ জন বিধবাকে উপহার সামগ্রী তুলে দেন গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষে ইমরান এইচ সরকার।



করিমান বেওয়া (৬৮) নামের এক বিধবা জানিয়েছেন, একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে তার আট বছরের এক ছেলে ও তিন বছরের এক মেয়ে ছিল। গর্ভে ছিল আরেক সন্তান। তিনি বলেন, ‘একদিন কামারুজ্জামানের লোকরা বাড়িতে এসে আমার স্বামী হোসেন মিয়াকে বুকে অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। এরপর পাঁচ মাস বেঁচে ছিলেন। কিন্তু ঘর থেকে বেরোনোর ক্ষমতা ছিল না তার।’ সাহারা খাতুন (৬৪) জানান, ‘যুদ্ধের সময় পাঞ্জাবিরা আমার জামাইকে (স্বামী) ঘর থেকে উঠোনে নিয়ে মেরে ফেলে। এরপর থেকে অসহায় জীবনযাপন করছি।’ একাত্তরে স্বামীহারা মমতা বেগম (৭০) বলেন, ‘পাকিস্তানিরা নয়, এ দেশের লোকরাই আমার চোখের সামনে আমার স্বামীকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরেছিল।’



আমার একটি প্রশ্ন বারবার মনে জাগে। খালেদা জিয়া এই দেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় দীর্ঘসময় ধরে ছিলেন। তিনি কি এই মহিলাদের কথা একটিবারও শোনেননি? খালেদা জিয়া বৈশাখ উৎসব পালন করেছেন জাসাসের অনুষ্ঠানে। রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ অনুষ্ঠানে হরতাল-অবরোধ ডেকে সরকারের পতন ঘটাতে ব্যর্থ খালেদা জিয়া আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে ‘নীরব বিপ্লব’ ঘটানোর আহ্বান জানিয়েছেন। না- তিনি নিহত সেই দিনমজুরদের কথা একটিবারও বলেননি। খালেদা জিয়া বিশ্ব ইজতেমায় মানুষকে নাজেহাল করেছেন। একুশে ফেব্রুয়ারি, স্বাধীনতা দিবসে অবরোধ রেখেছেন। কি পেলেন তিনি? এত রক্তের বন্যা বইয়ে দিতে তার হাত কেন কাঁপছে না?



সিটি নির্বাচন তো তিনি ঠিকই করছেন। তাহলে এত নৈরাজ্যের মদদ দেয়ার কি দরকার ছিল? আবারো বলি, জীবন থামার নয়। মানুষ এগোবেই। জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিকাশ ঘটবেই। সত্যের জয় হবে। বিনাশ হবে অসত্যের। পরাজিত হবেই সব অসভ্য বর্বরতা। এটাই হোক বাংলা নববর্ষ ১৪২২ এর প্রত্যয়।

 

 

ফকির ইলিয়াস, কবি ও কলাম লেখক। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ