আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

‘মালাউন’ নয়, আমরা নাগরিক

জুয়েল রাজ  

হবিগঞ্জের মাধবপুরে মন্দিরে হামলা দিয়ে শুরু হওয়া সংখ্যালঘু নির্যাতন উৎসব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর হয়ে সুনামগঞ্জের ছাতক, গোপালগঞ্জ, বগুড়া, ফরিদপুর পর্যন্ত পৌঁছেছে। সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন পৌঁছতে খুব বেশিদিন লাগার কথা না।

সত্যি বলতে এসব নিয়ে লিখতে আর ইচ্ছা করেনা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর নির্যাতন, লুট ও মন্দির ভাঙা উৎসব আমাকে খুব বেশী নাড়া দিতে পারেনি। আমি ব্যক্তিগতভাবে ধরেই নিয়েছি, বাংলাদেশে যতদিন ভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষজন থাকবে, নিয়মিতভাবে এসব নির্যাতন, লুটপাট থাকবেই। সেটাই স্বাভাবিক। যদি তা না ঘটে, তাহলে সেটা অস্বাভাবিক। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে আমার এক বন্ধু সুন্দর মন্তব্য করেছে, "বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হইল কেকের মতো। বিয়ে, জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী, আকিকা কিংবা খৎনা- কাটো কেক’’। বাংলাদেশে হলো- মারো সংখ্যালঘু।

চলতি বছরের বাজেটে মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয় অবশ্য কেকের জন্য দুইশত কোটি টাকা বিনোদন বাজেট হিসাবে বরাদ্দ রেখেছেন। মাননীয় আইনমন্ত্রীও প্রশাসনকে বকে দিয়েছেন। বলেছেন- যা ঘটেছে ঘটেছে, আর যেন না ঘটে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও মাননীয় প্রাণীসম্পদ মন্ত্রীও বলেছেন- খুব বেশী ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। মালাউনের বাচ্চারা বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে। আর এ ঘটনাকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে প্রচার করে অতিরঞ্জিত করেছে সাংবাদিকরা। অথচ ঘটনা কিছুই নয়। কয়েকটি মন্দিরে হামলা ছাড়া কিছুই হয়নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সর্বশেষ বলেছেন নাসিরনগরে হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনায় পুলিশের গাফিলতি ছিল না। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল হক হানিফ বলেছেন, আমাদের পর্যবেক্ষণ টিম গিয়েছে। যার যা ক্ষতি হয়েছে, আমরা তা পুষিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। মন্দিরের জন্য কোথাও কোথাও পাঁচ, দশ হাজার করে টাকা দিয়ে পোষানো হয়েছে। তাহলে তো আর কোন সমস্যা রইল না।

এমনিভাবে সবকিছু যদি পোষানো যেত, আমরা ৭১-এর ক্ষতি পুষিয়ে নিতাম। ৭৫-এর ১৫ আগস্টের ক্ষতিটুকু পুষিয়ে নিতাম। ৩ নভেম্বরের জেলহত্যার ক্ষতিটুকু পুষিয়ে নিতাম। খাদিজা কিংবা ৫ বছরের ধর্ষিত পূজার ক্ষতিটুকু পুষিয়ে দিতাম। সব ক্ষতি সব সময় পোষানো যায় না। সংখ্যালঘু নির্যাতন মন্দির ভাঙা, মূর্তি ভাঙা ইস্যু আগামী সপ্তাহে আর আলোচনায় থাকবে না। সেখানে হয়ত নতুন ইস্যু- মোনায়েম খানের বাড়ি কিংবা ক্রিকেটার মিরাজের নতুন বাড়ি নির্মাণ আলোচনায় চলে আসবে। কিন্তু সংখ্যালঘুদের মনের ভীতি থেকে যাবে। রাতের আঁধারে তারা হয়ত নিজের জন্ম মাটি পিছনে রেখে দেশান্তরী হয়ে যাবে। এই শূন্যতার ক্ষতি কোনভাবেই পোষানো যাবে না।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ও মন্দিরে ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনা ছিল সুপরিকল্পিত। একটি চক্রান্তকারী গোষ্ঠি দেশে অরাজকতা তৈরির জন্য এ ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রশাসন ও পুলিশ বাহিনীর দূরদর্শিতার অভাব এবং অবহেলার কারণে এ ঘটনা ঘটে।

এই সব ঘটনা যারা ঘটায় তাদের কোন দল নেই, আদর্শ নেই, নীতি নেই। সব রাজনৈতিক দলেই এরা আছে। এরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এসব ঘটনা ঘটায়। রামুর বৌদ্ধ বিহারে হামলার সময় একই ধরণের ঘটনা ঘটিয়েছিল। সেখানে আওয়ামী লীগ-বিএনপি-জামায়াত-হেফাজত সবই জড়িত ছিল। একই চিত্র নাসির নগরের ক্ষেত্রেও। সেখানে খোদ আওয়ামী লীগের নেতা থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ওসি সাহেবও উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভারতীয় উপমহাদেশে ধর্মান্ধতা, ধর্ম ভীরুতা, ধর্মীয় রাজনীতি একাত্ম হয়ে গেছে। এই বেড়াজাল ছিন্ন করে বের হয়ে আসা খুব সহজ হবে না জানি। নৃতাত্ত্বিক ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে হলেও বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের টিকিয়ে রাখা দরকার।

সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রতিরোধ শুধুমাত্র রাষ্ট্রের বা সরকারের একার দায় নয়। আপনার, আমার, আমাদের সবার দায়িত্ব। দায়বদ্ধতা এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই আমাদের। যে কোন ধর্মের অবমাননাকারীর ও বিচার হওয়া জরুরী। কিন্তু সেটা কোনভাবেই ধর্মীয় উন্মাদনা ও উন্মত্ততা দিয়ে নয়। এবং শুধুমাত্র সংখ্যাগুরুর হিসাবে একতরফা হিসাব করলে ন্যায়বিচার হয়না। একই যাত্রায় দুই ফলের মতো রসরাজ দাস নামের পড়ালেখা না জানা পেশায় জেলে ৫ দিনের রিমান্ডে থাকে। অন্যদিকে পড়ালেখা জানা একজন শিক্ষক জহিরুল ইসলাম বাবলু জামিনে বের হয়ে আসে।

ধর্মীয় উন্মত্ততা ও উন্মাদনা প্রতিরোধে এখন সবচেয়ে বেশি জরুরী সামাজিক প্রতিরোধ। সেই প্রতিরোধের কাজটাই আমাদের সম্মিলিতভাবে করতে হবে। জন-সম্পৃক্ততা ছাড়া শুধুমাত্র প্রশাসন কিংবা সরকারের পক্ষে সম্ভব নয় এদের প্রতিরোধ করা। বিগত দিনে জঙ্গিবাদের মতো বিষয় দেশের সাধারণ মানুষ ও সরকার শক্তভাবে মোকাবেলা করেছে। তাহলে সংখ্যালঘু নির্যাতন প্রতিরোধ করা সম্ভব হবেনা কেন? বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ নিশ্চয়ই ধর্মান্ধ নয়। জঙ্গিবাদে জড়িত সন্তানের লাশ পর্যন্ত নিতে রাজি হয়নি তাদের জন্মদাতা মা-বাবা। দেশের স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু করে পেশাজীবীরা পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেছেন। কিন্তু সংখ্যালঘু নির্যাতনের ক্ষেত্রে সব শ্রেণির মাঝেই এক ধরণের নির্লিপ্ততা কাজ করে। যেন কিছুই হয়নি এমন একটা ভাব।

মানুষের চিকিৎসা থেকে শুরু করে বহু ব্যক্তিগত বিষয়েই সবাই প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। প্রধানমন্ত্রীও কাউকে ফিরিয়ে দিতে দেখিনি। কিন্তু কোন সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনায় কাউকে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বলে দেখিনি।
গোপালগঞ্জের যে মাটি বুকে ধরেছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে, সেই জেলায় যখন হিন্দু নারীদের উত্যক্ত করার প্রতিবাদে আক্রান্ত হয় হিন্দু পরিবার, তখন ভয় হয়। সংখ্যালঘু এই মানুষগুলো তাঁদের দেবতার পাশে অন্য একজন ব্যক্তির পূজা করে, তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শত অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করার পরেও বিশ্বাস করে শেখের বেটি তাঁদের দেখবেন, রক্ষা করবেন। শুধু এই একটি বিশ্বাস থেকে মাটি কামড়ে পড়ে থাকে। সংখ্যালঘু পরিবারে কেমন করে জানি বঙ্গবন্ধু দেবতার মতো প্রবেশ করে ফেলেন। মানুষগুলোও অন্ধের মতো ভক্তি করে যায়। বিশ্বাস করে- উনি আমাদের মুক্তিদাতা।

নাসিরনগরে যাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর হয়েছে, জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে, সেখানে জাতির জনকও ছিলেন। জাতির জনকের ছিন্ন-ভিন্ন ছবিটি মাটিতে লুটিয়েছিল। ঊর্ধ্বমুখী ছবিটিতে হয়তো অবাক হয়ে তিনি ভাবছিলেন, নিজের জীবন-যৌবন তুচ্ছ করে যে দেশটি স্বাধীন করেছিলাম, অসাম্প্রদায়িক, ধর্ম নিরপেক্ষ একটা দেশ গড়তে চেয়েছিলাম, সেই দেশেই সাম্প্রদায়িকতার ভয়ংকর তাণ্ডবে আমিও রক্ষা পাইনি!

ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে না হয় একটা অজুহাত দাঁড় করানোর সুযোগ থাকে, অন্য কোথাও সেই সুযোগও নাই। একতরফাভাবেই নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এতো কিছুর পরেও খুব বিশ্বাস করতে ইচ্ছা করে- বাংলাদেশ কখনো সাম্প্রদায়িক দেশ হতে পারে না, হাজার হাজার সাধু-সন্ন্যাসী, পীর-ফকির, আউলিয়া-দরবেশের দেশ বাংলাদেশ, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জীবনানন্দ, জসীম উদ্দিনের কাব্য স্রোতধারা বহমান আমাদের অস্তিত্বে। ভাইয়ের মায়ের স্নেহের দেশ বাংলাদেশ। মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত দেশ আমাদের বাংলাদেশ। হাজার বছরের সেক্যুলার ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব আমাদের। মানুষ জাগলে পরিবর্তন অনিবার্য।

নিজের জীবন তুচ্ছ করে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কয়েকজন মুসলমান যুবক সেদিন হিন্দুদের রক্ষায় দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে নাসির নগর সদর হাসপাতালের স্টোরকিপার জামাল উদ্দিন ও স্থানীয় স্কুলের লাইব্রেরিয়ান আব্দুল মজিদ নামের দুইজনের বক্তব্য আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও প্রচার হয়েছে। শত শত মানুষের উন্মত্ততায় তাঁরা শেষ রক্ষা করতে পারেননি। তবু আশার আলোটুকু জ্বালিয়ে রেখেছেন। জামাল উদ্দিন, আব্দুল মজিদের মতো বুক পেতে দেয়ার মতো সাহসী আমরা না। কিন্তু প্রতিবাদটুকু করার ক্ষমতা আমাদের আছে।

ধর্মান্ধ স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়ে আসছি বারবার। কোন এক অদৃশ্য কারণে এদের সাজা হওয়ার কোন উদাহরণ বাংলাদেশে সৃষ্টি হয়নি। ফলশ্রুতিতে অপরাধীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বারবার একই ঘটনার জন্ম দিচ্ছে।

মাননীয় মন্ত্রী, মালাউনরা এই মাটির সন্তান, এই দেশের জন্য রক্ত ঝরিয়েছে। মালাউন হিসেবে নয়, নাগরিক হিসেবে। মালাউনদের ভোটেই আপনি বারবার এমপি নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের জন্য এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি নির্যাতন এই মালাউনরাই সহ্য করে যাচ্ছে। ২০০১ সালের নির্বাচন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা- সবই সহ্য করতে হয়েছে তাঁদের।

জুয়েল রাজ, সম্পাদক, ব্রিকলেন; যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি, দৈনিক কালেরকন্ঠ

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ