প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Advertise
নাজমুল হাসান | ১৪ নভেম্বর, ২০১৬
গোবিন্দগঞ্জের এমপি ও তার শ্যালক এবং উপজেলা চেয়ারম্যান যদি আওয়ামী লীগের জন্য এতোটাই অপরিহার্য হয় যে তাদের কোনভাবেই দল থেকে বাদ দেওয়া সম্ভব না। তাদের ছাড়া আওয়ামী লীগই অচল হয়ে যাবে। তবে দলের পক্ষ থেকে তাদেরকে ঠাণ্ডা করা হোক, তারা আওয়ামী লীগের বাঘা বাঘা লোকজনকে অন্যভাবে ‘সেবা’ করুক। সেটাও দলের পক্ষে একটা কাজ করা হবে। মানুষ অন্তত বেঁচে যাবে।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সাঁওতালদের বাড়ি করে দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সেটা ভাল কথা। তবে সেটাই যথেষ্ট নয়, যে নৃশংসতা হয়েছে তার বিচার হওয়া উচিৎ। দায়িত্বরত পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট সকল সরকারী কর্মচারীর বিচার হওয়া উচিৎ। কেউ বাদ যাবে না। এটা কোনভাবেই এড়িয়ে যাবার মতো বিষয় নয়। তাহলে রাষ্ট্র বলে কিছু থাকে না।
সাঁওতালদের বাড়ি করে দেওয়ার ঘোষণা যেন ইজ্জত বাঁচানোর জন্য বাহবা পাবার তাৎক্ষণিক ঘোষণা হিসেবে ঘোষণার মধ্যেই সীমাবদ্ধ না থাকে। এটা যেন বাস্তবায়িত হয়। এসব লোকেরা দল থেকে বহিষ্কৃত না হলে বাড়ি করার জন্য বরাদ্দকৃত টাকা নিয়ে হবে আরেক হরিলুট। দলীয় শাস্তি এবং রাষ্ট্রীয় শাস্তি দুটোই ওদের প্রাপ্য।
একাত্তর-একাত্তর করে মুখে ফেনা তুলে ফেলা হচ্ছে। একাত্তর থেকে এ বর্বরতা কম কিসে? এটা আঞ্চলিক এবং নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে করা হয়েছে, এই তো! স্বাধীন ভূখণ্ডে এমন বর্বরতা করার সাহস কোথা থেকে আসে? কেন্দ্র শক্ত হলে তো এমন সাহস পাওয়ার কথা না। তাহলে পুরোটাই কী পচে শেষ হয়ে গেছে? সেদিন মাত্র সম্মেলন হয়ে গেল, এরই মধ্যে সব পচে যায় কেমনে? নাকি সবই 'দুনম্বর মাল' ভরা হয়েছে!
কেন এখনও আওয়ামী লীগ থেকে ঐ সব লোকদের বহিষ্কার করা হয়নি? কেন টিকে আছে ওখানকার ডিসি, এসপি, ওসি এবং চিনিকলের সংশ্লিষ্ট লোকজন?
ভাল মানুষ দেশে বহুত আছে। নমিনেশন দেবার আগে আপনারা তাদের খুঁজে পান না! এসব লোকেরা কেমনে নমিনেশন পায়? কেমনে দলে থাকে? এমন ঘটনা ঘটানোর পরেও তারা কেমনে বহাল তবিয়তে দলে টিকে থাকে এবং এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে? কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ তাহলে কি জন্য আছে? ঐ অঞ্চলের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের কাজ কী? চারজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কেন রাখা হয়েছে?
সংশ্লিষ্ট বিভাগের সচিবরা কী করছেন? স্থানীয় পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তাদের চরম দায়িত্বহীনতা ও ধৃষ্টতার জন্য কী ব্যবস্থা নিয়েছেন? খালি জনগণের রক্ত শুষে খেলে তো হবে না, তাদের সেবক হিসেবে কিছু কাজ তো অন্তত করতে হয়। সারা বছরইতো গায়ে চর্বি জমে, এখন না হয় তা একটু কমান।
অনেক নামের আওয়ামী লীগ বের হয়েছে, এমন অন্যায়কারীদেরকে যদি দলে রাখতেই হয় তবে 'আওয়ামী বর্বর লীগ' নাম দিয়ে নতুন একটা লীগ খুলুন। কাজের সাথে তা মানানসই হবে, অন্তত।
মানবিক হোন, খেলাটা মানুষ নিয়ে! মানুষ ক্ষেপে গেলে তা পারমানবিক বোমার চেয়েও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। সাবধান হোন। অনেক ভাল কাজ করেছেন, আমরা তার প্রশংসাও করেছি। সে সব ধরে রাখার চেষ্টা অব্যাহত রাখুন।
মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
আপনার মন্তব্য