আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

চিরঞ্জীব শত্রু সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন

রণেশ মৈত্র  

শিরোনামে বর্ণিত আইন দুটির কথা যখনই ভাবি, তখনই দৃষ্টি যতদূর যায় ততদূরই যেন দেখতে পাই একাত্তরের মত দৃশ্য। হাজারে-হাজারে হিন্দুরা ভিটে মাটি ফেলে স¿ী-পুত্র-কন্যা ও কাঁধে কাপড় চোপড়ের একটি পোঁটলা নিয়ে মাঠ-ঘাট নদীনালা পেরিয়ে ক্লান্তিহীন ভাবে হেঁটে চলেছেন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত অভিমুখে। সেখানে কে তাঁদের আশ্রয় দেবেন কে দু‘মুঠি ভাত দেবেন বা কার কাছে চাকুরী বাকুরী বা ব্যবসা বাণিজ্যের সুযোগ করে দেওয়ার কথা বলবেন-তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। স্রেফ হারা উদ্দেশ্যে দেশত্যাগী হওয়া।

না। একেবারে, একাত্তরের মত কিন্তু নয়। শত অত্যাচার তখন ছিল কিন্তু অত্যাচারীর চাইতে আশ্রয় দাতা-সাহায্যকারীর সংখ্যা ছিল বহুগুণে বেশী একাত্তর সালে। আর শত্রু সম্পত্তি আইন জারী এবং জরুরী আইন (Emargency laws) জারী যখন করলো ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ লাগার পর তখন কেমন করে কোন জাদুবলে “শত্রু সম্পত্তি আইন” নামে একটি নজিরবিহীন বৈষম্য মূলক আইন যেই না জারী করা হলো- হিড়িক লেগে গেল হিন্দুদের বাড়িঘরের তালিকা তৈরির।

কেন এমনটা করা শুরু হলো? তালিকা কেন? সরকার রেকর্ড বা খতিয়ানই তো আছে হিন্দুদের বাড়িঘরের যেমন আছে মুসলিমদেরও। জবাব দেয় উপরের হুকুম আর সরকার একটি আইনও করেছে যার কপি এবং গেজেটের কপি এলে সব জানা যাবে। তবে তালিকা অতি দ্রুত প্রণয়ন করার হুকুম এসেছে “উপর” থেকে। এই “উপরটা কে- তা অবশ্য যিনি। যাঁরা তালিকা প্রণয়ন করছিলেন -তাঁরাও বলতে পারেন না যে হুকুমদাতাকে কে হুকুম দিয়েছেন এবং তার বিস্তারিত বর্ণনা কি।

হিন্দুরা রাতারাতি পাকিস্তানের শত্রু হয়ে গেলেন। মানুষও যেন তাই ভাবলো। বিষয়টা, আগেই সম্ভবত বলেছি, ১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট। ঐ যুদ্ধ তো স্থায়ী ছিল মাত্র ২৭ দিন। কিন্তু আজ তার পর ৫১ টি বছর চলে গেল যে পাকিস্তান সরকার এই আইন করেছিল সেই পাকিস্তান সরকারও আর নেই পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রটিও নেই। বাঙালিরা পাকিস্তানকে তালাক দিয়েছে দেহের রক্তের আখরে লেখা তালাক নামার মাধ্যমে। আজ সেদিনকার পাকিস্তানী সেই লৌহ শাসক বলে তৎকালে অভিহিত শাসকটিও বেঁচে নেই। বাঙালি তাদেরকে পরিত্যাগ করে একাত্তরে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে এক স্বাধীন, সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ অর্থনীতি সহ তাবৎ ক্ষেত্রে সকল প্রকার শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্য মুক্ত, আধুনিক নবীন রাষ্ট্র বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটিয়েছে। এই রাষ্ট্রটির মৌল চরিত্র পাকিস্তান রাষ্ট্রের মৌল চারিত্রের সম্পূর্ণ বিপরীত।

পাকিস্তান ছিল “ইসলামী প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র” আর বাংলাদেশ হলো “ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র” যেখানে ধর্মের নামে সংগঠন গড়া তার মাধ্যমে রাজনীতি করাকে ঘোষণা করা হয়েছিল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। মানুষে মানুষে, তার ধর্মবিশ্বাসের কারণে, লিঙ্গজনিত ভিন্নতার কারণে বিরাজমান যুগ-যুগান্তরের বৈষম্যকেও সংবিধানে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয় ১৯৭২ সালে। আইন সবার জন্য সমান, আইনরে চোখে সকলে সম-সুযোগ পাবেন এমন কথাগুলিও ঘোষিত হলো। মোট কথা, একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সকল বৈশিষ্ট্য সম্বলিত সংবিধান প্রণয়ন ও অনুমোদন করে দেশে ব্যাপকতম ঐক্যের আবহ রচনা করা হলো।

কিন্তু শত্রু সম্পত্তি আইন? যা জারী করেছিল ১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের প্রথম সামরিক শাসক জেনারেল আইউব খান? সে আইন এবং তার বিস্ময়কর দ্রুততার সাথে প্রয়োগ অব্যাহত রাখা হলো। শুধুমাত্র একটি পরিবর্তন করা হলো আইনটির নামে। রাতারাতি ঐ আইনটির নাম “শত্রু সম্পত্তি আইন” এর পরিবর্তে রাখা হলো “অর্পিত সম্পত্তি আইন”। কিন্তু শত্রু সম্পত্তি আইনের প্রতিটি বাক্য, শব্দ, অক্ষর দাঁড়ি, কমা, সেমিকোলন এই “নতুন আইন” অর্পিত সম্পত্তি আইনে দিব্যি বহাল রাখা হলো। পাকিস্তান আমলে ‘শত্রু’ দের সম্পত্তি বলে বলা হলো-স্বাধীনতার পর হলো ‘অর্পিত’ সম্পত্তি। এ এক অদ্ভুত পরিবর্তন। কিন্তু প্রশ্ন তো করা যেতেই পারে ঐ নতুন আইনভূক্ত সম্পত্তি কি আদৌ কেউ কাউকে অর্পণ করেছে? করে থাকলে তার একটি পূর্ণাঙ্গ গেজেট প্রকাশ করা হোক। আর না করে থাকলে কোন অধিকারে ঐ সম্পত্তিগুলিকে “অর্পিত সম্পত্তি” নামে অভিহিত করা হলো তাও স্পষ্ট করে জানান হোক দেশবাসীকে।

এতদিন পরে কেন এ কথা বলছি তার কারণ নীচে বর্ণনা করছি।

পাকিস্তান সরকারকে ও তার নীতিকে আমরা সবাই জানতাম-জানতাম তারা পরিপূর্ণ এবং সকল অর্থেই সাম্প্রদায়িক ভেদবুদ্ধি দ্বারা পরিচালিত হতো। তারা ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়সমূহকে হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ধর্মাবলম্বীদেরকে শত্রু হিসেবেই চিহ্নিত করেছিলো। তারা ঐ সম্প্রদায়ের মানুষগুলিকে “পাকিস্তান ও ইসলামের শত্রু” বলে প্রকাশ্যেই বলতো। তাই তাঁদের কাছে “শত্রু সম্পত্তি” আইন হিসেবে নামকরণকে অস্বাভাবিক বলে ভাবার কোন কারণ নেই। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের পর যখন স্বাধীন বাংলাদেশে অর্জন করা হলো পাকিস্তান ও সতার বিভেদাত্মক ও ধর্মভিত্তিক চরিত্র, চেহারা, নীতিমালা ও আদর্শকে পরাজিত করে, তখন যে বাংলাদেশ অর্জিত হলো হিন্দু-মুসলিম ও অন্যান্য সকল ধর্মাবলম্বী মিলিত রক্তস্রোতে তখন তো এদেশের কোন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মানুষকেই ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে শত্রু মনে করার কোন কারণ থাকল না। শুধু তাই নয়,যেহেতু বাহাত্তরের সংবিধান দেশটাকে “ধর্মনিরপেক্ষ” বলে ঘোষণা করা হলো এবং বলা হলো এদেশের সকল নাগরিক আইনের চোখে সমান বলে বিবেচিত হবেন-সুতরাং পাকিস্তানের ঐ বৈষম্যমূলক আইনটির অস্তিত্ব বজায় রাখার কোন অবকাশই আইনত থাকলো না-আইনটির শিরোনাম অদলবদল করেও না।

যে সম্পত্তি কেউ অর্পণ করলো না-সে সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তি বলে নামান্তরিত হওয়াও বা করারও কোন সুযোগ বা অধিকার থাকলো না। কিন্তু তা স্বত্বেও দিব্যি তা আজও বহাল তবিয়তে বহাল রাখা হয়েছে। তবে ২০০১ সালে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ওই সম্পত্তিগুলি তার বৈধ মালিক বা তাঁদের বৈধ কোন উত্তরাধিকারী বাংলাদেশের স্থায়ী নাগরিক হলে এবং স্থায়ীভাবে এদেশে বসবাস করলে সরকার তাদেরকে ঐ সম্পত্তি প্রত্যর্পণ করবেন বলে আইন প্রণয়ন করলেন। বলা চলে, মাঝখানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছর এবং তার আগে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর এই সাত বছর বাদে ১৬ বছরের মধ্যে নয় বছরই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে এবং স্বভাবত:ই তারা তাদের আইন বাস্তবায়ন করবেন এটাই তো ছিল প্রাসঙ্গিকও প্রত্যাশিত। সে প্রত্যাশা আজও রয়েছে। ওগুলি প্রত্যর্পণ করা হবে এ বিশ্বাসও রয়েছে। কিন্তু বাস্তবের চিত্রটি সম্পূর্ণ বিপরীত।

তার নমুনা হিসেবে অন্যতম জাতীয় দৈনিক “কালের কণ্ঠে” সম্পত্তি “৮,২০০ একর অর্পিত সম্পত্তি গেজেটভুক্তই হয় নি” শীর্ষক একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করছি। তাতে বলা হয়, ভূমি মন্ত্রণালয়ে ৮,২০০ একর জমির তালিকা বাইরে রেখেই অর্পিত সম্পত্তির “ক” তফসিলের গেজেট জারী করেছে। এ ছাড়া একজনের জমি অন্যজনের নামে কিংবা এক দাগের ও খতিয়ানের জমি অপর দাগে ও খতিয়ানে ছাপানো নানা ধরণের ভুল ৯,২০০ একর জমির ক্ষেত্রে হয়েছে। বাদপড়া জমির অপর একই গেজেট কি প্রকাশ করা হবে? ইতোমধ্যে ২০০৮ সালের পর থেকে ছয় দফা সংশোধনী পাশ করা হয়েছে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের। আবারও আমলারা আরও এক দফা সংশোধনী পা কেটে পনিময় তৈরি হয়ে আছেন সম্ভবত সংশোধনী পাশ করানোর লক্ষ্যে। তা হলে প্রত্যর্পণ পাশ করানোর লক্ষ্যে। তা হলে প্রত্যর্পণ হবে কবে? তার কি কোন নির্দিষ্ট সময়সীমা আদৌ ধার্য করে কঠোরভাবে তারমধ্যেই প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার তাগিদ মূলক নির্দেশনা জারী করা হবে? না কি এই প্রত্যর্পণ আইনটি ডীপ ফ্রিজে চলে যাবে? যা ঐ আমলা-সাহেবরা মনে এবং কাজে কর্মে চাইছেন?

গেজেট যেটা প্রকাশ করা হয়েছে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন অনুযায়ী তাতে ৩,০০০ মৌজার ১০,০০০ খতিয়ানের ৯,২০২ একর সম্পর্কিত। এগুলি অত্যন্ত জরুরী ভিত্তিতে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগী হয়ে সংশোধন করা উচিত। কাজটি ভূমি মন্ত্রণালয়ের এবং উপজেলা পর্যায়ের তাদের কর্মকর্তাদের। অভিযোগ আছে বিস্তর, তাবৎ ভুলের মূলেই রয়েছেন চূড়ান্ত রকমের অসৎ জেলা উপজেলা পর্যায়ের বেশীর ভাগে ভূমি দফতরের কর্মকর্তারা। টাকা পেলে সঠিক গেজেট-না পেলেই ভুল গেজেট। এই ভুল গেজেট হয় ও লোকচক্ষুর অন্তরালে কারণ অর্পিত সম্পত্তির তত্ত্বাবধানের সরকারী দায়িত্ব তো জেলা পর্যায়ের রেভিনিউ কর্মকর্তাদের আর কাজের দায়িত্ব মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের। এই মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা যার উপর খুশী হবেন তার কাজ নির্ভুল হবে।

আইনে আছে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইনের (ক) তফশিল বর্ণিত সম্পত্তি যদি কাউকে লিজ দেওয়া হয়ে থাকে এবং সেই সম্পত্তির মালিকের যদি কোন বৈধ ওয়ারিশ নাগরিকত্ব সহ এদেশের স্থায়ী বাসিন্দা না হন-তবে লিজ গ্রহীতা প্রত্যর্পণের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় অগ্রাধিকার পাবেন-যদি তাঁরা দাবী করেন। এই জাতীয় ‘ক’ তফশীলভূক্ত সম্পত্তি বিস্তর আছে যা এই মুহূর্তেই নিষ্পত্তি করা সম্ভব।

কিন্তু আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর জন্য সরকারের উপর তলার আমলারাই যথেষ্ট। অভিযোগ অসংখ্য রয়েছে যে “আইন এখনও স্পষ্ট হয় নি-তাই প্রত্যর্পণের নির্দেশ সম্বলিত সার্কুলার জেলাগুলিতে পাঠানো যাচ্ছে না। এমন কথা গত ৬/৭ বছর ধরেই শুনা যাচ্ছে-তার শেষ হবে কতদিনে তা অনুমান করাও সম্ভব নয়। দফায় দফায় অর্থাৎ তাঁরা অনবরত আইনে সংশোধনী আনতেই আগ্রহী প্রত্যর্পণে আদৌ নয়। তবে আবারও বলি, বর্তমানে আইনটি যেভাবে আছে সেটাই যথেষ্ট কোন সংশোধনী আনা “ক” তফশিলের ক্ষেত্রে আদৌ প্রয়োজন নেই। একটি সুস্পষ্ট এবং কড়া নির্দেশ উপর থেকে দিলে আগামী তিন মাসের (ফেব্রুয়ারি ২০১৭) মধ্যেই “ক” তফশীলভূক্ত সম্পত্তি মালিকদের উত্তরাধিকারী লীজ দেওয়া সম্পত্তি লিজ গ্রহীতাদের মধ্যে প্রত্যর্পণ করা সম্ভব। মহা ধুরন্ধর আমলাদের অতিক্রম করে মন্ত্রীপর্যায়ে এই সার্কুলার প্রদানই একমাত্র সমাধান।

কিন্তু তার কোন লক্ষণ নেই। আইন দুটি কি চিরঞ্জীব?

রণেশ মৈত্র, লেখক, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক; মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক। ইমেইল : [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ