আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

অসভ্যতার খতিয়ানের দিকে তাকিয়ে

ফকির ইলিয়াস  

বাংলাদেশ জয়ী হলে আমরা আনন্দিত হই। আর বাংলাদেশ হেরে গেলে আমরা হই বিমর্ষিত। ক্রিকেট এখন বাঙালির একটি মহামিলনের মাধ্যম। যখনই বাংলাদেশ জিতে, সবাই উল্লাস করি। তেমন সম্মিলিত উল্লাস করার কথা ছিল পহেলা বৈশাখেও।

না- বাঙালি জাতি তা পারেনি। কেন পারেনি? কারণ কিছু হায়েনা ওই একাত্তরের কায়দায় হামলে পড়েছিল নারী সমাজের ওপর। আরেকটি ঘটনা ঘটেছে ঢাকায়। বিএনপি নেত্রী, খালেদা জিয়ার গাড়ির বহরের ওপর হামলা করা হয়েছে। কারা হামলা করেছে, কিংবা কারা দায় স্বীকার করছে, সে বিষয়ে নানা খবর প্রকাশিত হয়েছে মিডিয়ায়।

এরা কারা? কি তাদের আসল পরিচয়। পালিত অজগরের মতো এরা এমন করে হামলে পড়ছে কেন? দেশের মানুষ স্থিতিশীলতা চান। আর স্থিতিশীলতার জন্য চাই রাজনৈতিক সহিষ্ণুতা। বিএনপি-জামায়াত জোট দেশে তিন মাসেরও বেশি সময় জ্বালাও-পোড়াও করেছে। এই দাবি সরকারের, দেশের মানুষের। সরকারের উচিত যারা দোষী তাদের আইনের আওতায় আনা। তা না করে ‘মানুষ পাল্টা আক্রমণ করছে’- এমন তত্ত্ব বিতরণ কতটা যুক্তিযুক্ত? এই বিষয়ে ভাবতে হবে।

খালেদা জিয়া একটি রাজনৈতিক দলের প্রধান। তাকে নিরাপত্তা দেয়া সরকারের দায়িত্বের আওতায় পড়ে। এখানে কোনো লুকোচুরির সুযোগ নেই। কারা তার গাড়িতে হামলা করেছে, কে গুলি করেছে এসব গণমানুষের সামনে পরিষ্কার করা সরকারের দায়িত্ব। টিএসসিতে যা হয়েছে তা পুরো জাতি এখন জানে। তা এক ভয়ানক বিবরণ। মিডিয়ায় যা প্রকাশিত হয়েছে, তার খণ্ডচিত্র এখানে তুলে ধরা দরকার মনে করি।

সন্ধ্যা সাড়ে ছটার দিকে টিএসসির মোড়ের সামনে প্রচুর ভিড় লেগে যায়। এমন সময় মাইক্রোবাসের সামনে জটলা দেখে এগিয়ে যায় লিটন নন্দীসহ কয়েকজন। জটলার ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয় একটি মেয়ে আর তার স্বামীকে। ২৬-২৭ বছরের মেয়েটিও নববর্ষের শাড়ি পরে ঘুরতে বের হয়েছিলেন স্বামীর সঙ্গে। সেখান থেকে যখন তাকে উদ্ধার করা হয় গায়ে কোনো শাড়ি ছিল না মেয়েটির। স্বামীকে মারা হচ্ছিল বেধড়কভাবে। সম্ভ্রম বাঁচাতে উদ্ধারকারীদের মধ্যে একজন মেয়েটিকে তার গায়ের পাঞ্জাবি খুলে পরিয়ে দেন। আক্রমণকারীদের একজন তখন বলছিল এমন দৃশ্য আর পাওয়া যাবে না। ভিডিও কর তাড়াতাড়ি।

আরেকটি ঘটনা আরো জঘন্য। ছোট ছেলে আর মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে এসেছিলেন টিএসসিতে একজন রমণী। তাকে আক্রমণ করা হয়। তিনি চিৎকার করে বলছিলেন.. ‘ভাই, আমার সঙ্গে আমার বাচ্চা আছে, আমাকে ছেড়ে দেন’। এমন আরো অনেক ঘটনাই পহেলা বৈশাখে ঘটেছে গতকাল টিএসসিতে। ১৫-২০ জনের কম করে হলেও ৫-৬টা গ্রুপ ছিল গতকাল টিএসসির আশপাশে। হতভাগ্য মেয়েগুলোকে ঘিরে উচ্চস্বরে বাজানো হচ্ছিল উৎকট বাজনা। আর্তচিৎকার যাতে বাইরে শোনা না যায়। পুলিশ জানিয়েছিল-১৯টা সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল সেখানে। অথচ পুলিশ ছিল নিষ্ক্রিয়। কিছু মানুষ আক্রমণকারীদের কয়েকজনকে পাকড়াও করে পুলিশে দিয়েছিলেন। পুলিশ ওদের ছেড়ে দেয়। পরে পুলিশের বড়কর্তারা বলেছেন, শ্লীলতাহানির কোনো ঘটনা ঘটেনি! জানতে চাই- আর কেমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটলে তাকে শ্লীলতাহানি বলবে বাংলাদেশের পুলিশ?

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে নারীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা অমার্জনীয়। রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে ‘নৌকা সমর্থক গোষ্ঠী’ আয়োজিত চলমান রাজনীতি বিষয়ক আলোচনা সভায় তিনি আরো বলেন, আসামি হাতে ধরিয়ে দিল আর পুলিশ তাদের ছেড়ে দিয়ে মিডিয়াতে বললেন নির্দেশনা নেই। এই অজুহাত সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য ও ভিত্তিহীন। এই ঘটনা যারা ঘটিয়েছে সে যেই হোক তাদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে শুধু বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে বসে থাকলে হবে না, দায়িত্ব নিতে হবে। ব্যবস্থার বিষয়ে স্পষ্ট বক্তব্য দিতে হবে। এই যদি হয় সরকারের নীতিনির্ধারকদের হতাশা, তাহলে দেশের মানুষ কোথায় দাঁড়াবে? অন্যদিকে একটি বিষয় আমরা খুব গভীরভাবে লক্ষ করছি। তা হলো, একটি চক্র এই আক্রমণকে মৌন সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ওদের বক্তব্য হলো- মেয়েরা বৈশাখী মেলায় যাবে কেন?

এই যে মৌলবাদী, হীনমন্য শক্তি এরা খোঁড়া যুক্তি অতীতেও নানা ছলছুতোয় হাজির করেছে। এদের কেউ কেউ এমনো বলেছে, বৈশাখী অনুষ্ঠান সনাতন ধর্মাবলম্বীদের। এই তো সেই নপুংসকরাই- যারা বলেছে হিন্দু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা জাতীয় সঙ্গীত মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশ কেন গ্রহণ করল! বৈশাখ উদযাপনে ন্যক্কারজনক হামলা আমাদের ওদের মুখোশই আবার চিনিয়ে দিয়েছে। এরা কারা? কোন সুযোগ পেয়ে মাঝে মাঝেই ওরা ফণা দেখায়? এদের ছবি মিডিয়ায় এসেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এদের স্থিরচিত্র দেখে আমরা স্তম্ভিত হয়েছি। তারপরও এদের গ্রেপ্তার করা হয়নি কেন?

দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের শিল্পীরা স্লোগান তুলছেন, ‘তারুণ্য আরো একবার রুখে দাঁড়াও এই শহরে পুরুষ নামের নপুংসকদের বিরুদ্ধে, নারী নিগ্রহের বিরুদ্ধে হোক প্রতিবাদ।’ পহেলা বৈশাখে নারীদের যৌন হয়রানির ঘটনায় প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছেন সাংস্কৃতিক অঙ্গনের শিল্পীরা। অনুষ্ঠিত হয়েছে মানববন্ধন। মানববন্ধনে যৌন হয়রানির ঘটনাকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ উল্লেখ করে অবিলম্বে দোষীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন দেশের বরেণ্য শিল্পীরা। একই সঙ্গে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে না পারলে অবস্থান ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথাও জানিয়েছেন। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের নাম না নিয়েই বলতে চাই- এরা কোনোও দলের লেজুড় হতে পারে না। যদি কোনো দল এদের গ্রহণ করে, তবে নিজেদের পায়েই তারা কুড়াল মারবেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী, আরকটি প্রধান রাজনৈতিক দলপ্রধান, মাননীয় স্পিকার- এরা সবাই যে দেশে নারী, সেই দেশে এমন বর্বরতার কি সুবিচার হবে না? নাকি এরা রাজনৈতিক পরিচয়ে পার পেয়ে যাবে?

অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন নেতা লিটন নন্দী প্রতিবাদ ভাষণে বলেছেন, যৌন হয়রানির ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তারের চেয়ে নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষায় ব্যস্ত আছে পুলিশ ও ঢাবি প্রশাসন। যে কারণে ঘটনার কয়েকদিন পার হওয়ার পরও বখাটেদের কাউকে আটক করা যায়নি।

লিটন নন্দী বলেন, ঢাবি কর্তৃপক্ষের ভাব এ রকম যে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ঢাবির প্রক্টর ড. এ এম আমজাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, প্রক্টর বিভিন্ন মাধ্যমে বলেছেন যৌন হয়রানির ঘটনা শুধু লিটনই জানে আর কেউ জানে না। তিনি বলেন, ঘটনার সময় আমি তাকে ফোনে জানিয়েছিলাম। তিনি বলেছেন, এতে আমার কি করার আছে। তিনি তখন আমাকে বলেছেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঢাবি এলাকার দুই নম্বর গেট তো বন্ধ থাকার কথা। এ ছাড়া ঢাবি এলাকায় তো গাড়ি চলাচল করার কথা না। প্রক্টর আমার কাছে জানতে চেয়েছেন, গাড়ি কি চলছে ওই এলাকায়। লিটন নন্দী বলেন, বর্ষবরণ উপলক্ষে ঢাবি এলাকায় গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও ওই দিন গাড়ি চলাচল করেছে। উদ্যানের গেট খোলা ছিল। কিন্তু অবাক ব্যাপার হলো প্রক্টর তা জানেন না।

প্রক্টরের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ করে লিটন নন্দী বলেন, আমার হাত ভেঙে যাওয়ার পর ওইদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাই আমি। তখন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবির সাধারণ সম্পাদক তুহিন কান্তি দাশসহ কয়েকজন প্রক্টরের সঙ্গে দেখা করতে গেলে তারা দেখতে পান প্রক্টর দাবা খেলছেন। লিটন বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এত বড় একটা ন্যক্কারজনক ঘটনা জানার পরও তিনি কোনো ভূমিকা রাখেননি। বরং অফিসে বসে তিনি দাবা খেলছিলেন। এর চেয়ে নির্মম পরিহাস কি হতে পারে। পুলিশ সম্পর্কে তিনি বলেন, ঘটনার সময় মিলন চত্বরে, ঘটনাস্থল থেকে ২৫ গজ দূরে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের বুথের পাশে অনেক পুলিশ ছিল। ঘটনাস্থলে দুজন পুলিশ ছিল। তিনি ও তার সঙ্গী অমিত এবং সুজন সেন নারীদের কান্না শুনে এগিয়ে যান। লিটন বলেন, স্যাটেলাইট চ্যানেলে হায়েনাদের তাণ্ডব দেখেছি। তারা কিভাবে শিকার করে সেই দৃশ্য দেখেছি।

হ্যাঁ, তা আজ গোটা বিশ্বের বাঙালির জন্যই একটি অসভ্যতার খতিয়ান। এ ঘটনা কি প্রমাণ করে বাংলাদেশ এগিয়েছে? হয়তো কিছু কালোটাকার মালিকদের মহোৎসবের ভেলা এগিয়েছে। না বাঙালির মানসিক দীনতা এখনো কাটেনি। যদি কাটতো, তবে এভাবে হনুমানের মতো পুরুষ হামলে পড়ত না নারীর ওপর। কী সাহিত্য, কী সংস্কৃতি, কী পার্বণ, কী সমাজ-জীবন- কিছুই আজ ওদের ছোবলমুক্ত নয়। দানবরা তাদের বাহু দেখাচ্ছে মানুষকে। মনে রাখতে হবে একদিন কাউকেই এরা আঘাত হানতে বাকি রাখবে না।

একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এখানে শেয়ার করতে চাই। কয়েকজন সাহিত্যমোদী একটি ওয়েবম্যাগ চালান। তাদের মাঝে ছেলেমেয়ে উভয় লিঙ্গেরই আছেন। মাতৃমাটি, প্রকৃতি, ভূগোল- ‘মা’-এর প্রতীক। সেই হিসেবে ওরা যখন তাদের ফেসবুক পেজ করেন- তখন তারা রেজিস্ট্রেশনের সময়- লিঙ্গ-মহিলা লিখেছিলেন। আর যায় কোথায়! ওই ওয়েবম্যাগের ফেসবুক পাতা খুললেই ওদের ওপর হামলে পড়ে কিছু বখাটের দল। সাহিত্যালাপের চাইতে বরং রসাত্মক যৌনালাপেই ওরা ব্যস্ত হয়ে ওঠে।

‘তুমি কই থাকো’, ‘তোমার ছবি দাও’- ইত্যকার আলোচনায় ব্রতী হয়ে ওঠে ওই হায়েনারা। একদিন প্রধান সম্পাদক আমাকে ইনবক্সে জানালেন তাদের ওই দুঃখের কথা। তাদের একজন মেয়ে মডারেটর এসব আচরণে একদিন কেঁদে দিয়েছিলেন, বললেন প্রধান সম্পাদক। একটি সাহিত্যপত্রের নামেই একাউন্ট। তারপরও এমন আচরণ? অনলাইন আমাদের এই শিক্ষার আলো দিচ্ছে?

প্রধান সম্পাদক আমার পরামর্শ চাইলেন। আমি বললাম- সেটিংয়ে গিয়ে লিঙ্গ পরিবর্তন করে ফেলুন। ‘মেইল’ লিখুন। তিনি বললেন, তাহলে তো হেরে গেলাম ইলিয়াস ভাই! আমি বললাম- আরো অপেক্ষা করতে চান? করুন। এরপরের ঘটনা আরো জঘন্য। একদিন নাকি ফেসবুকে চ্যাট করতে এসে একজন আবারো শুরু করে যৌনালাপ। ওই সময় দায়িত্বে ছিলেন একজন নারী মডারেটর। তিনি নিজের পরিচয় শুধু ‘মডারেটর’- দিয়েই কথা চালিয়ে যান। বলেন, এটা ওয়েবম্যাগ। লেখা পাঠাতে চান? অপরপক্ষ থেকে তখন পাঠিয়ে দেয়া হয়- একটা শিশ্নের ছবি। সঙ্গে সঙ্গে চেয়ার বদল করেন একজন পুরুষ মডারেটর। তিনি শুরু করেন তুমুল অনলাইন ঝগড়া ওই হায়েনার সঙ্গে। তারপরও সে মানতে নারাজ- এটা ওয়েবম্যাগ একাউন্ট। যেহেতু- ‘নারী’ লিঙ্গ লেখা আছে! এর কয়েকদিন পর ফিরতি ইমেলে প্রধান সম্পাদক আমাকে জানিয়ে দেন- ‘আমরা লিঙ্গ পরিবর্তন করেছি- ইলিয়াস ভাই ! আমরা হেরে গেছি ! সত্যি হেরে গেছি !’

– না আমি অবাক হইনি। কারণ আমি আমাদের অসভ্যতার খতিয়ানগুলো চিনি। জানি, যতই বিজ্ঞান-সভ্যতা-প্রযুক্তির অগ্রগতির কথা বলা হোক না কেন, আমাদের চারপাশের এক ধরনের কীট, কিছুই শুনতে চাইবে না। কিছুই মানতে চাইবেন। এবং এটাও বলে রাখি, রাষ্ট্র-রাজনীতি-সমাজপতিরাই মূলত এদের প্রতিপালক। বৈশাখী অনুষ্ঠানে হামলা কিংবা বেগম খালেদা জিয়ার গাড়ির বহরে হামলাকারীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। এসব কাজের পৃষ্ঠপোষক কোনো সভ্য মানুষ হতে পারে না। রাষ্ট্রকেই এর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ঢেকে দিতে হবে আমাদের অসভ্যতা, বর্বরতার ধারাবাহিক খতিয়ান। আজ প্রজন্মকে দাঁড়াতে হবে এসব অপকর্মের প্রতিপালকদের বিরুদ্ধেই। বলে দিতে হবে, সমাজ মানুষের জন্য। এখানে বাস করতে চাইলে সুসভ্যতার দিকেই এগোতে হবে। জঙ্গলিপনার দিকে নয়।

ফকির ইলিয়াস, কবি ও কলাম লেখক। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ