আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

হাজারটা খুনে একটা ফাঁসি, কেন কমবে অপরাধ?

আরিফ রহমান  

২০১৫ সালে বাংলাদেশে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয় ৪ হাজার ২৫টি হত্যা,
২০১৬ সালের প্রথম ৩ মাস ২৬ দিনে-
সারা দেশে খুন হয়েছেন- ১ হাজার ২১৫ জন...
সে হিসাবে প্রতিদিন গড়ে খুনের শিকার হয়েছেন ১১ জন...

আর এই হিসাবটা থানায় দায়ের হওয়া মামলার ভিত্তিতে পুলিশ সদর দপ্তরের তৈরি করা পরিসংখ্যান অনুযায়ী। অর্থাৎ যেসব মামলা হয় না সেসবের কথা বাদই দিলাম। আপনারাই ধারণা করে নিন এই দেশে প্রকৃত হিসাবে প্রতিদিন কতগুলো খুন হয়ে থাকে।
এখানে উল্লেখ করে নেয়া ভালো যেই তিন মাসে থানায় মামলার ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা এসেছে ১,২১৫ সেই একই তিন মাসের পত্রিকায় হত্যাকাণ্ডের খবর এসেছে দেড় হাজারের ওপরে, এবং আমরা এও জানি এই দেশে খুনের খবর পত্রিকা পর্যন্তও আসে না এমন ঘটনাও বিরল নয়।

অর্থাৎ পত্রিকার হিসাব অনুযায়ী-
দেশে প্রতিদিন হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয় ১৪টি...
অর্থাৎ প্রায় প্রতি ১০০ মিনিটে একটি করে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হচ্ছে...

১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ২০১৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এদেশে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে ৪২৮-টি এবং এর মধ্যে ২৪৭-টি মৃত্যুদণ্ড হয়েছে সামরিক আদালতে অর্থাৎ তারা সাধারণ মানুষকে খুন করা সন্ত্রাসীদের নয়। তাহলে দেখা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতরা ফাঁসি পর্যন্ত পৌছতে পেরেছে ২৩৫ জন।

২০১৫ সালের পর বেশ কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি এবং কিছু সাধারণ মৃত্যুদণ্ড বিবেচনা করলে সংখ্যাটা ২৪০ থেকে কিছু বেশি হতে পারে এবং এর মাঝেও কিছু রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড রয়েছে।

অর্থাৎ স্বাধীনতার ৪৫ বছর বাদে-
প্রতিবছর গড়ে হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হচ্ছে: ৪০০০টি
আর প্রতিবছর গড়ে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে: ৪ থেকে ৫টি
অর্থাৎ প্রতি ১০০০ খুনে একজনের ফাঁসি হচ্ছে,
তাও এক-একটা বিচারে সময় লেগে যাচ্ছে ৫ থেকে ১০ বছর...

যদি শতকরা ০.১% অপরাধীকে তার প্রাপ্য শাস্তি বুঝিয়ে দেয়া যায় তাহলে কেন এই দেশে হত্যাকাণ্ড কমবে? আর যেই বিচার ব্যবস্থায় হাজারে একজন প্রকৃত ন্যায়বিচার পায়- সেই বিচারের ওপর কিংবা সেই আইনের শাসনের ওপর মানুষ কিভাবে আস্থা রাখবে? আর অপরাধীরা যখন বুঝেই ফেলবে অপরাধ করলে তাদের প্রকৃত শাস্তি হবার চান ০.১% তখন অপরাধীরাই বা কেন অপরাধকম্মে নিবৃত্ত হবে?

সূত্র:
dw.com, benarnews.org, bangladesh24online

আরিফ রহমান, লেখক, অনলাইন এক্টিভিষ্ট

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ