প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Advertise
রণেশ মৈত্র | ০৬ জানুয়ারী, ২০১৭
মুক্তিযুদ্ধে পাবনা বলতে মুক্তিযুদ্ধের পাবনার মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান বলে যদি আমরা মনে করি , আমার বিবেচনায় তা ভুল হবে। হ্যাঁ, মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান অত্যন্ত বড় ও বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় কিন্তু তা অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের সার্বিক চিত্র ফুটিয়ে তুলতে পারে না।
মুক্তিযুদ্ধে সর্বাধিক বড় অবদান ছিল বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের-গ্রামীণ মানুষের। তখন বাংলাদেশের এতটা শহরায়ন হয় নি-শহরায়ন প্রক্রিয়াও শুরু হয় নি। তাই আজ পাড়াগাঁয়ে বাসরত গ্রামীণ কৃষক-খেতমজুর, গ্রামীণ মধ্যবিত্ত ও সামান্য কতিপয় পাকিস্তানের দালাল ব্যতিরেকে বাদবাকি সকল জনগোষ্ঠীই অসাধারণ অবদান রেখেছেন এবং অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন। ফলে ভারতে বা দেশের অভ্যন্তরে গেরিলা বা অস্ত্রচালনা প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত এক লক্ষ নানা মতের নানা দলের বা নির্দলীয় (এঁরাই ছিলেন সংখ্যায় সর্বাধিক) মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর মত উচ্চ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত পেশাদার ও তীব্র বাঙালি বিরোধী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে নয় মাসের মধ্যে বিজয় অর্জন করব আদৌ ছিলো না।
কিন্তু দুঃখ জনক সত্য হলো যে গ্রামীণ এই লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষের কাছে মুক্তিযুদ্ধের পরে আর কোনদিন আমরা যাই নি। যাঁরা ঐ বিপদকে মাথায় নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিলেন, আহারাদির ব্যবস্থা করলেন, শত্রু-বাহিনীর ক্যাম্প কোথায় কোথায় রয়েছে সে সম্পর্কে জানালেন, মারাত্মক ঝুঁকি মাথায় নিয়ে শত্রু-শিবিরগুলির কাছে পথ দেখিয়ে নিয়ে গেলেন-আমরা তাঁদের কাছে পরে কোনদিন যাই নি কেমন আছেন তাঁরা সে খবরটুকুও নেই নি। কোন সভায় আমন্ত্রণ জানিয়ে সসম্মানে এনে তাঁদের কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের কঠিন দিনগুলির কাহিনীও শুনি নি। আজ তাঁরা অনেকেই লোকান্তরিত-অনেকে দেশান্তরিত এবং অনেকে পঙ্গুত্ব ও চরম দারিদ্রের শিকার হয়ে অসহায় জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছেন। ফলে ভলিউমের পর ভলিউম এবং যুক্তিযুক্ত সংক্রান্ত বই প্রকাশিত হলেও তা দেশের তৎকালীন সার্বিক চিত্রকে ধারণ করে না-প্রতিফলিত করে না ভয়াবহ পরিস্থিতিতে দেশবাসীর কঠিন জীবন-যাপনের কথা।
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আমরা শুনে থাকি সেক্টর কম্যান্ডার ফোরামের নেতাদের কাছে, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটির নেতাদের কাছে, খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় থেকে অধঃস্তন নানা কম্যান্ড কাউন্সিলের নেতাদের কাছ থেকে।
হ্যাঁ, তাঁরা অবশ্যই আমাদের গর্বের। সেই গর্বের, সেই গৌরবে, সেই বীরত্ব গাথার সকল ইতিহাসই আমাদের মূল্যবান জাতীয় সম্পদ। সেই মর্যাদাও তাঁদেরকে দিতে কোন প্রকার কুণ্ঠ প্রকাশ করাটা হবে আত্মঘাতী। কিন্তু সাথে সাথে এ কথাও সত্যি যে আমরা আমাদের বহু মূল্যবান সম্পদ হারিয়ে ফেলেছি গ্রামীণ কৃষক খেতমজুর মধ্য ও নিম্নমধ্যবিত্তরা যাঁরা অসাধারণ সাহসের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে অকৃপণ সহযোগিতা করে বিজয় ছিনিয়ে আনতে অকল্পনীয় সাহসের সাথে সহযোগিতা করেছেন নানাভাবে এবং ঐ নয়টি মাস দেশের অভ্যন্তরে থেকে প্রতিটি মুহূর্ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নানাবিধ কাজ করেছেন তাঁদের সাথে সম্পর্ক না গড়ে তুলে।
এই মুহূর্তে এ ব্যাপারে ঐতিহাসিক গবেষকেরা যদি তাঁদের সাথে যোগাযোগ করেন, সামান্য অংশই যদিও বেঁচে আছেন, তথ্য ও ইতিহাস সংগ্রহ করেন-দেশের বহু মূল্যবান সম্পদ এখনও হয়তো সংরক্ষণ করা সম্ভব। বাংলাদেশ সরকার কি এগিয়ে আসবেন এমন একটি প্রকল্প গ্রহণ করে তার বাস্তবরূপ দিতে দেশের বুদ্ধিজীবী, ঐতিহাসিক গবেষকদের হাতে প্রয়োজনীয় রসদ যুগিয়ে দিতে এই লুপ্ত মূল্যবান ইতিহাস সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করতে? তাঁরা কি ঐ গ্রামীণ কৃষক-খেতমজুর ও অন্যান্য যাঁরা অসাধারণ অবদান রেখেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তাঁদের নামের তালিকা সংগ্রহ করে তার গেজেট প্রকাশ করতে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এবং এক একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ-সুবিধা তাঁদের জন্যও বরাদ্দ করতে? তাঁদের প্রতি জাতির ঋণ খানিকটা হলেও শোধ করতে? তা করা হোক, সেই দাবীটা এই প্রসঙ্গে অন্তর থেকে উত্থাপন করে রাখলাম।
এই নিবন্ধের শিরোনাম, “মুক্তিযুদ্ধে পাবনা”। পাবনা বলতে তো পাবনা শহরকে বুঝায় না-বুঝায় পাবনা জেলাকে। পাবনা জেলার তখন ছিল দুটি মহকুমা-পাবনা সদর ও সিরাজগঞ্জ। এই দুটি মহকুমার মধ্যে তখন শুধুমাত্র রেল-যোগাযোগ ছিল কিন্তু তা দুটি মহকুমার প্রধান শহর পাবনা ও সিরাজগঞ্জের সাথে নয়। ছিল ঈশ্বরদী ও সিরাজগঞ্জের সাথে। ঈশ্বরদী পাবনা জেলার অত্যন্ত উন্নত থানা। সেখানে বিমানবন্দর, রেলপথ, সড়ক যোগাযোগ এবং পাকশীর মাধ্যমে পদ্মা নদী দিয়ে জলপথের যোগাযোগ। এই চার ধরণের যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকার এবং ঈশ্বরদীতে বিপুল সংখ্যক বিহারী রেলওয়ে কর্মচারী বিপুল সংখ্যক বিহারী রেলওয়ে কর্মচারী হিসেবে রেলওয়ে কলোনীতে থাকায় সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং কঠিনও বটে। সবদিক দিয়েই সেনাবাহিনী আসতে পারে। তবে তুলনামূলক ভাবে নদীপথটা অনেক নিরাপদ থাকার দলমত নির্বিশেষে তরুণেরা নদীপথে রাতের অন্ধকারে পদ্মা নদী দিয়ে নৌকাপথে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া ও মুর্শিদাবাদের একটি অঞ্চলগুলির ঘাটে (জলঙ্গী) দিব্যি নিরাপদেই পৌঁছে যেতো। নদীয়ার করিমপুরে পৌঁছানোও যথেষ্ট নিরাপদ। তাই ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি ছাত্র ইউনিয়নের যৌথ রিক্রুটিং ক্যাম্প করিমপুর ও জলঙ্গীতে ভালভাবেই জমে উঠেছিল। আবার আওয়ামী লীগের জলঙ্গী ক্যাম্পও।
ঐ অঞ্চলে সর্বাপেক্ষা বড় রিক্রুটিং ক্যাম্পটি ছিল কেচুয়াডাঙ্গায়। এটিই এ অঞ্চলের সর্বাধিক পরিচিতও ছিল বৃহৎ দলের বৃহৎ ক্যাম্প হিসেবে। এটির পরিচালনার প্রধান দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন সুজানগর বেড়া (পাবনা জেলার) নির্বাচনী এলাকায় প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য আহমেদ তফিজ উদ্দিন। এ ছাড়াও তাঁর সাথে আরও কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা তাঁর সাথে ঐ দায়িত্ব পালন করতেন।
ন্যাপ কমিউনিস্ট পার্টির দলীয় সিদ্ধান্ত ছিল মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য একক নেতৃত্ব নয় একটি আওয়ামী লীগ -ন্যাপ-সিপিবি মিলিত একটি যৌথ ফ্রন্টের নেতৃত্বে পরিচালিত হলে দেশে বিদেশে তার অত্যন্ত অনুকূল প্রতিক্রিয়া পড়বে এবং ফলে মুক্তিযুদ্ধে পরিচালনা সহজতর হবে। বাংলাদেশের প্রথম প্রধান মন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ ব্যক্তিগত ভাবে এমত সমর্থন করতেন কিন্তু দলীয় বেশীর ভাগ এম.পি.দের যুক্তি ছিল ঐ দুটি বামপন্থী দলের মধ্যে শুধুমাত্র ন্যাপের একজন এম.পি. ছিল। ফলে পরিচালনার অংশীদার হওয়ার ঐ দল দুটির কোন গণতান্ত্রিক অধিকার নেই। তাজ উদ্দিন বিষয়টি কারও উপর চাপিয়ে দিতেও চান নি কারণ তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে।
এতদসত্বেও ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সর্বত্র আওয়ামী বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার, পারস্পরিক তথ্য বিনিময়ের এবং শত্রুর সন্ধান যতটা সম্ভব সংগ্রহ করার। ফলে মাঝে মধ্যেই কেচুয়াডাঙ্গা ক্যাম্পে যাতায়াত করতাম এবং সাধ্যমত সিদ্ধান্তগুলি কার্যকর করার চেষ্টাও করতাম। সর্বাপেক্ষা বড় বিষয়টি ছিল পরিচিত বহুজনের সাথে ওখানে দেখা-সাক্ষাতের সুযোগ মিলত এবং দেশের ভেতরের খবরাখবরও অনেক সংগ্রহ করা যেত।
কখনও কখনও কেউ কেউ চুয়াডাঙ্গা ক্যাম্প থেকেও করিমপুর ক্যাম্পে আসতো। ফলে একটি যুদ্ধকালীন হৃদ্যতার সম্পর্কও গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছিল আওয়ামী লীগের একাংশের সাথে। মুজিবনগর সরকারের জন্য আওয়ামী লীগের একটি অংশ সমস্যারও সৃষ্টি করেছিল। সেই অংশটি পরিচিত ছিল দক্ষিণপন্থী অংশ হিসেবে। প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিনকে অপসারণ করে মন্ত্রীসভা পুনর্গঠন করা তাদের অন্যতম লক্ষ্য ছিল। এই বিরোধের ব্যাপারটি বহুদূর পর্যন্ত গড়িয়েছিল। যে যুবকেরা গেরিলা বা সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বেরিয়ে আসছিলো তারা আওয়ামী লীগের ন্যাপের বা কমিউনিস্ট পার্টির যে দলেরই হোক না কেন তারা এফ.এফ. নামে (ফ্রিডম ফাইটার) নামে সরকারী ভাবেই অভিহিত হতো। যদিও ন্যাপ কমিউনিস্ট পার্টি ছাত্র ইউনিয়নের বিশেষ গেরিলা বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা কিছুটা পার্থক্য বজায় রাখতেও বাধ্য হয়েছিল আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধে যুদ্ধকালে বিদেশের মাটিতে বসে এমন চিন্তা থেকে।
যা হোক, ঐ বিরোধ থেকেই এবং সম্ভবত: আরও কিছু কারণে আওয়ামী লীগের একটি অংশ “মুজিব বাহিনী” নামে আরও একটি বাহিনী গঠন করে যার ফলে চরম বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। তাজউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকার এই বাহিনীকে কোন স্বীকৃতি দেন নি। স্বীকৃত বাহিনী ছিল এফ.এফ বা বাংলার মুক্তি বাহিনী। ভারত সরকারও শুধুমাত্র মুক্তিবাহিনীকেই স্বীকৃতি দিতেন যদিও ঐ ভারত সরকারেরই দক্ষিণপন্থী একটি অংশ এ বাহিনীর সৃষ্টিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। এমনতর বহুবিধ জটিলতার মধ্যেই তাজউদ্দিন আহমেদ অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেন শেষ দিন পর্যন্ত। যা হোক, পূর্বেই বলেছি, আমজাদ ভাই ও আমি নিজ নিজ পরিবার-পরিজনকে গ্রামের এক বাড়ীতে রেখে স্ত্রী-পুত্র ভাই-বোন বা অন্য কাউকে না জানিয়ে মুক্তিযুদ্ধের দায়িত্বপূর্ণ কাজে কলকাতা যাই সামান্য কয় দিনের জন্যে। কিন্তু অপরিহার্য কারণে আমরা সেখানে আটকে যাই। পরিবার পরিজন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি।
ইতোমধ্যে জুলাই এর দিকে খবর এলো সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়াতে পাক-বাহিনী গণহত্যা চালিয়েছে এবং সেখানে কয়েক হাজার মানুষ নিতে হয়েছে। খবরটি দ্রুত অফিসে ও আকাশবাণীতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করি এবং বি.বি.সি-ভারতের সকল খ্যাতনামা পত্র-পত্রিকায় পরদিন তা প্রকাশিত হয়। বেতারগুলিতে ঐ দিনই প্রচারিত হয় খবরটি।
অপরদিকে আমরা গুজব ধরণের হলেও আগেই খবর পেয়েছিলাম আমরা স্ত্রী পূরবী, ছেলে প্রবীর ও প্রলয়, মেয়ে মধুমিতা ও মালবিকা, ভাই ধীরেশ ও ব্রজেশ এবং তাদের স্ত্রী-পুত্র-কন্যা সাতবাড়িয়াতে কোন এক বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে আছে সন্ধান করে উড়ো খবর পেয়েছে আমি বেঁচে নেই । ফলে উভয় পক্ষে উদ্বেগ উৎকণ্ঠা।
ঐ সময় ছাত্র ইউনিয়ন নেতা রবিউল ইসলাম রবি প্রধানত: ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের পারিবারিক খোঁজখবর আনা-নেওয়া করা, এবং অনেক ক্ষেত্রে পরিবার-পরিজনকে নানা গোপন পথে সীমান্ত পেরিয়ে পশ্চিম বাংলায় নিয়ে আসতো। তাকেই বলা হলো আমার পরিবারটি আনার ব্যাপারে। দিন কয়েক পর ঘুরে এসে জানালো, সাতবাড়িয়াতেই বৌদিরা ছিলেন কিন্তু গণহত্যার পর কোথায় আছেন তা জানা গেল না। ফলে উদ্বেগ আরও বেড়ে গেল।
এর দিনকয়েক পর হঠাৎ করে কেচুয়াডাঙ্গা যুব শিবির থেকে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে সাথে নিয়ে সহধর্মিণী পূরবী ছেলে মেয়েদেরকে সঙ্গে নিয়ে করিমপুরে আমাদের ক্যাম্পে এসে উপস্থিত হলে আনন্দাশ্রুতে সবাই আপ্লুত হয়ে পড়ি। ক্যাম্প অবস্থানকারী তরুণরা ছুটলো যতটুকু সম্ভব ভাল বাজার করতে। মুসলিম ঐ প্রতিবেশী নারী পুরুষেরা ছুটে এলেন দেখতে। সেদিন পূরবী হয়ে দাঁড়ালো বাংলাদেশে চলমান নির্যাতিত বাঙালি মায়ের এক প্রতিচ্ছবি যেন। হাড় জির জিরে শরীর, মাথায় কতকাল তেল দিতে না পারায় এবং সাবান ঘষতে না পারায় কাল চুলগুলি যেন পরস্পর জোড়া লেগে ধূসর বর্ণধারন করেছে। সন্তানেরা শুকিয়ে গেছে। ক্ষুধাতৃষ্ণায় ক্লান্তি ও শঙ্কায় তারা বিবর্ণ।
ক্রমশ...
মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
আপনার মন্তব্য