প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Advertise
রেজা ঘটক | ০৭ জানুয়ারী, ২০১৭
নতুন ইংরেজি বছরের প্রথম দিন সরকার সারা দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে বই উৎসব করেছে। গত রোববার বই উৎসবে প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত দেশের কোটি শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বোর্ডের নতুন পাঠ্যবই তুলে দেওয়া হয়। এ বছর ৪ কোটি ২৬ লাখ শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের জন্য ৩৬ কোটির বেশি পাঠ্যবই ছাপানো হয়েছে।
মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতি বছরের শুরুতেই শিশু-কিশোরদের হাতে বই তুলে দেওয়ার ব্যাপারটি ছিল খুবই প্রশংসনীয়। কিন্তু এবার সেই বই উৎসব ঠিক থাকলেও বইয়ের ভেতরে ঢুকে গেছে হেফাজতে ইসলামের শর্তপূরণ! কোমলমতি শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের বইয়ের কনটেন্টের ভেতরে কৌশলে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে ধর্মীয় জুজুর অসংখ্য টপিকস!
গত বছরের ৮ এপ্রিল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এক যৌথ বিবৃতিতে পাঠ্যপুস্তকের বাংলা বই থেকে বাদ পড়া ১৭টি গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধের তালিকা প্রকাশ করেছিল। বাদ পড়া সেই ১৭টি গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ এবার ২০১৭ সালের বইয়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। ওই বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম তখন যে ১২টি গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ-নিবন্ধকে নাস্তিক্যবাদী ও হিন্দুত্ববাদী হিসেবে অভিযুক্ত করেছিল, এবারের ২০১৭ সালের বই থেকে সেগুলোকে কৌশলে বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে ২০১৭ সালের শিক্ষাক্রমে পুরোপুরি হেফাজতে ইসলামীর শর্তপূরণ হয়েছে বলে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, অধ্যাপক ও গবেষকগণ মন্তব্য করেছেন।
প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকে রয়েছে নজিরবিহীন ভুল, পাশাপাশি সেখানে সাম্প্রদায়িক বিষয়-আশয়, লিঙ্গ বৈষম্য সৃষ্টি করাসহ অসংখ্য অসঙ্গতি দেখা গেছে। ২০১৭ সালের প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তকের ১ম শ্রেণিতে ও-অক্ষর চেনাতে ‘ওড়না চাই’ বলা হয়েছে। অ-অক্ষর চেনাতে অজ (ছাগল) গাছে উঠে আম খায়-এর মত হাস্যকর বিষয় সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া পাঠ্যসূচি থেকে অনেক লেখকের মননশীল লেখা বাদ দিয়ে তার পরিবর্তে সেখানে ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয়বস্তু খুব কৌশলে যুক্ত করা হয়েছে। যা শিশু-কিশোরদের শৈশবেই সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি ও লিঙ্গ বৈষম্য শেখাতে উদ্বুদ্ধ করবে!
দ্বিতীয় থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তকের বাংলা বই থেকে ২০১২ সালে যে বিষয়গুলো বাদ পড়েছিল, সেই বিষয়গুলো এবার আবার ২০১৭ সালের সংস্করণে ফিরে এসেছে। আবার ২০১২ সালের বইয়ে নতুন যে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল, সেগুলো কৌশলে বাদ দিয়ে তার পরিবর্তে ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয়গুলো ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই পরিবর্তনের ফলে পাঠ্যপুস্তকে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে প্রণীত শিক্ষাক্রম আবার চালু হয়েছে। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে ২০০৩ সালে পাঠ্যপুস্তকে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছিল। তখন প্রতিটি শ্রেণির বাংলা সাহিত্যের বইয়ে বিতর্কিত ধর্মীয় বিষয় ও ভাবধারা যুক্ত করা হয়েছিল।
২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নতুন করে পাঠ্যপুস্তক সংস্কারের কাজ শুরু হয়। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর, অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর নেতৃত্বে যে শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়েছিল, সেই কমিশন জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়ন করে। কবীর চৌধুরী কমিশনের আলোকে নতুন পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করা হয় ২০১২ সালে, যা শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছায় ২০১৩ সালে। তখন সরকারিভাবে বলা হয়েছিল, বাংলা বিষয়কে সাহিত্যসমৃদ্ধ এবং সর্বজনীন করার জন্য ধর্মীয় বিষয়গুলো সরিয়ে সেগুলো ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষাসহ অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বইয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু ২০১৭ সালে শিক্ষার্থীদের হাতে যে বই তুলে দেওয়া হয়েছে, সেখানে হেফাজতের শর্তপূরণ করতে গিয়ে বিএনপি-জামায়াত জোটের করা বিতর্কিত সেই পাঠ্যক্রম আবার ফিরে এসেছে।
২০১৭ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক স্তরের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তকের ‘আমার বাংলা বই’য়ে পরিমার্জন করা হয়েছে। দ্বিতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ে ‘সবাই মিলে করি কাজ’ [হজরত মুহাম্মদ (সা.) জীবনচরিত], তৃতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ে ‘খলিফা হযরত আবু বকর (রা.)’, চতুর্থ শ্রেণির বাংলা বইয়ে ‘খলিফা হযরত ওমর (রা.), পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বইয়ে ‘বিদায় হজ’ ও ‘শহিদ তিতুমীর’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বইয়ে কবি গোলাম মোস্তফা রচিত ‘প্রার্থনা’ কবিতার পরিবর্তে কবি কাদের নওয়াজ রচিত ‘শিক্ষাগুরুর মর্যাদা’ কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
ষষ্ঠ শ্রেণির বাংলা পাঠ্যপুস্তক চারুপাঠ থেকে এস ওয়াজেদ আলীর ‘রাঁচি ভ্রমণ’ বাদ পড়েছে। যুক্ত হয়েছে সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘নীল নদ আর পিরামিডের দেশ’। সানাউল হকের কবিতা ‘সভা’ বাদ পড়েছে, সেখানে যুক্ত হয়েছে জসীমউদ্দীনের ‘আসমানী’। আনন্দপাঠ থেকে বাদ পড়েছে সত্যেন সেনের গল্প ‘লাল গরুটা’, যুক্ত হয়েছে মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’র ‘সততার পুরস্কার’।
সপ্তম শ্রেণির বাংলা বই সপ্তবর্ণার গদ্যে হাবীবুল্লাহ বাহারের ‘মরু ভাস্কর’ যুক্ত হয়েছে এবং দ্রুতপঠন আনন্দপাঠ বই থেকে শরত্চন্দ্রের ‘লালু’ বাদ পড়েছে। অষ্টম শ্রেণির বাংলা সাহিত্য কণিকা থেকে কাজী নজরুল ইসলামের একটি গদ্য বাদ নিয়ে নতুন একটি যুক্ত করা হয়েছে। কায়কোবাদের ‘প্রার্থনা’ ও কালিদাশ রায়ের ‘বাবুরের মহত্ত্ব’ যুক্ত করা হয়েছে কিন্তু বাংলা দ্রুতপঠন আনন্দপাঠ থেকে উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরীর ‘রামায়ণ-কাহিনী’ (আদিকাণ্ড) বাদ দেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন প্রবোধ দিয়ে অষ্টম শ্রেণির বাংলা বই থেকে হুমায়ুন আজাদের ‘বই’ কবিতা বাদ দেয়া হয়েছে।
নবম শ্রেণির বাংলা বই মাধ্যমিক বাংলা সাহিত্য থেকে একটি গদ্য ও পাঁচটি কবিতা বাদ পড়েছে এবং পাঁচটি কবিতা যুক্ত করা হয়েছে। বাদ পড়া ভ্রমণ কাহিনীটি হচ্ছে সজীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘পালামৌ’ এবং কবিতা হচ্ছে জ্ঞানদাসের ‘সুখের লাগিয়া’, ভারতচন্দ্রের ‘আমার সন্তান’, লালন শাহর ‘সময় গেলে সাধন হবে না’, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘স্বাধীনতা’ ও সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘সাঁকোটা দুলছে’। যুক্ত হয়েছে শাহ মোহাম্মদ সগীরের ‘বন্দনা’, আলাওলের ‘হামদ’, আব্দুল হাকিমের ‘বঙ্গবাণী’, গোলাম মোস্তফার ‘জীবন বিনিময়’ ও কাজী নজরুল ইসলামের ‘উমর-ফারুক’।
নবম শ্রেণির বইয়ে মোতাহার হোসেন চৌধুরীর প্রবন্ধ ‘লাইব্রেরি’ ও সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ‘মে দিবসের কবিতা’ যুক্ত হয়েছে, এই দুটি লেখা আগে সপ্তম শ্রেণির বইয়ে ছিল। এ ছাড়া রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর ‘খতিয়ান’ কবিতার পরিবর্তে ‘মিছিল’ যুক্ত হয়েছে।
পাঠ্যবইয়ে এমন পরিবর্তনের পাশাপাশি অসংখ্য বানান ভুল ধরা পড়েছে। পঞ্চম শ্রেণির বইয়ে ‘ঘোষণা’ বানান ‘ঘোষনা’, ‘সমুদ্র’ বানান ‘সমুদ’ লেখা হয়েছে। তৃতীয় শ্রেণির হিন্দু ধর্ম শিক্ষা বইয়ের শেষ পৃষ্ঠায় ইংরেজি নীতিবাক্য লেখা হয়েছে ভুল বানানে। 'কাউকে কষ্ট দিও না'-এর ইংরেজি লেখা হয়েছে- DO NOT HEART ANYBODY. প্রথম শ্রেণির বাংলা বইয়ে ছবি দিয়ে দেখানো হয়েছে ছাগল নাকি গাছে উঠে আম খায়। তৃতীয় শ্রেণির বাংলা বইয়ে কুসুমকুমারী দাশের ‘আদর্শ ছেলে’ কবিতায় ‘আমাদের দেশে হবে সেই ছেলে কবে’ পঙক্তি'র বদলে লেখা হয়েছে ‘আমাদের দেশে সেই ছেলে কবে হবে’। কবিতার চতুর্থ লাইনে ‘মানুষ হইতে হবে-এই তার পণ’-এর ‘হইতে’ শব্দটিকে পাল্টে লেখা হয়েছে ‘হতেই’। নবম লাইনে ‘সে ছেলে কে চায় বল কথায়-কথায়’-এর ‘চায়’ শব্দটির বদলে লেখা হয়েছে ‘চাই’। পঞ্চদশ লাইনে ‘মনে প্রাণে খাট সবে শক্তি কর দান’-এর ‘খাট’ এর বদলে লেখা হয়েছে ‘খাটো’। আর কবিতাটির একাদশ থেকে চতুর্দশ লাইনগুলো পুরোপুরি উধাও।
প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যবইয়ে এমন স্পর্শকাতর পরিবর্তন ও ভুল বানান ছাড়াও কৌশলে বইয়ের উপরের ও শেষের পৃষ্ঠায় যে সকল কোটেশন ব্যবহার করা হয়েছে, তা আসলে নির্লজ্জ দলীয় প্রচারণা। তাই ২০১৭ সালের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যসূচিতে করা এই পরিবর্তনকে অনেকে হেফাজতের শর্তপূরণ ও ধর্মীয়করণ করার কথা বলছেন। কেউ কেউ বলছেন, শিশু-কিশোরদের ভেতরে নির্লজ্জ দলীয় প্রচারণা চালানোর কৌশলটি দেখিয়ে সরকারকে খুশি রেখেই কৌশলে এসব ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয় পাঠ্যসূচিতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদদের মতে, প্রকৃতপক্ষে দেশের সার্বিক শিক্ষা কাঠামো এখন পুরোপুরি পচনশীল। একদিকে শিশু-কিশোরদের কোমল মনে ধর্মের জুজু ঢুকিয়ে দিয়ে গোটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ‘মুসলমানি’ করানো হয়েছে। অন্যদিকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিএসসি) এবং জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা (জেএসসি) চালু করে শিশু-কিশোরদের শিক্ষার প্রতি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত চাপ তৈরি করা হয়েছে। যা তাদের শিক্ষাজীবনের কোথাও কোনো কাজে লাগবে না। বরং যারা খারাপ রেজাল্ট করছে, সেসব শিশু-কিশোরদের প্রতি তাদের অভিভাবকরা বাড়তি চাপ তৈরি করে শিশু-কিশোরদের মনে শিক্ষা সম্পর্কে একটা ভীতির রাজত্ব তৈরি করছে। যা স্বাধীনভাবে বেড়ে ওঠার জন্য শিশু-কিশোরদের জন্য বৈরি পরিবেশ তৈরি করছে। শিক্ষার নামে ধর্মীয় জুজু ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করে শিশু-কিশোরদের স্বাভাবিক বৃদ্ধির (শারীরিক ও মানসিক গঠন) ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে।
গবেষকদের বিভিন্ন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দেশের অধিকাংশ রাজনীতিবিদ, আমলা, ব্যবসায়ী ও ক্ষমতাবানদের সন্তানরা বিদেশে ভালো শিক্ষা নিয়ে মানুষ হচ্ছে। আর দেশের অভ্যন্তরে সাধারণ মানুষের ছেলেমেয়েদের জন্য একটা জগাখিচুড়ি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রেখে, তা দিয়ে রাজনীতি করার সুবিধা সৃষ্টির সুদূরপ্রসারী কৌশল নিয়েছে সরকার। যে কারণে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগি করার প্রতি সরকার ও শাসকদের প্রকৃতপক্ষেই কোনো আগ্রহ নাই। কারণ, সাধারণ মানুষের ছেলেমেয়েরা ভালো শিক্ষা পেলে, এসব অপশাসনের কৌশলগুলো সম্পর্কে এদের চোখ খুলে যাবে।
বিশ্বের কোথাও শিক্ষা নিয়ে এমন অপরাজনীতির নজির নাই, যা কেবল বাংলাদেশে একুশ শতকে এসে চালু করা হয়েছে। একটি শিক্ষিত জাতিই কেবল পারে একটি সঠিক ও আধুনিক দেশ গঠনে নেতৃত্ব দিতে। দেশের সর্বত্র সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে যে অপরাজনীতি ও দুর্বৃত্তায়ন করা হয়েছে, হেফাজতের ইচ্ছাপূরণ করতে গিয়ে শিক্ষা ব্যবস্থায় আসলে তারই ষোলকলা এবার পূর্ণ করেছে সরকার।
মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
আপনার মন্তব্য