আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

সিটি নির্বাচন-২০১৫: একজন গণমাধ্যমকর্মীর চোখে!

এমদাদুল হক তুহিন  

কী করে গণমাধ্যমকর্মীর খাতায় নাম লিখিয়ে ফেললাম জানি না। এর আগের সবকটি নির্বাচন সাধারণের কাতারে থেকে দেখেছি। গ্রামেই আমার এই অভিজ্ঞতা বেশি। সিটি নির্বাচন ব্যতীত ঢাকায় একটি নির্বাচন দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। 

২০০৯ সালের সে নির্বাচনে ছিল তারুণ্যের জয় জয়কার। সেদিনও আমরা মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তির পক্ষে দাঁড়িয়েছিলাম। তেজগাঁওয়ের যে কেন্দ্রে আমি ভোট দিই, সে আসনের এমপি এখন স্বরাষ্ট্র-প্রতিমন্ত্রী। অন্য রকম উচ্ছ্বাস নিয়ে প্রথমবার তাঁকেই ভোট দিয়েছিলাম। এছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুনের নির্বাচনী প্রচারণায় সরাসরি অংশও নিয়েছি একসময়। উত্তরার বিভিন্ন অলিগলিতে সাহারা আন্টির ভাগ্নে নাহিয়ান ভাইয়ের সাথে বেশ কয়েকটি মিছিলে অংশ নিয়েছি। অন্য রকম একটা সময় ছিল ওটা। রাজনীতির দিকে অন্য রকম সেফ একটি কর্ণার কাজ করতো। কলেজে প্রথম দুই বছর সক্রিয় ছিলাম। যাই হোক পুরনো কথা বাদ। সিটি নির্বাচন নিয়ে গণমাধ্যম-কর্মী হিসাবে নিজের অভিজ্ঞতার কথাগুলো বলতে হয়। 

সকাল ৭:৪৫। বিছানা ছেড়ে তৈরি হয়ে সোজা ভোট কেন্দ্রে। গলায় ঝুলছে সংবাদকর্মীর কার্ড। তেজগাঁও গির্জার পাশে তেজগাঁও হোম বটমূলী স্কুল। ভোটার হিসাবে এ কেন্দ্রেই ভোট দিতে হবে। গলায় ঝুলানো কার্ড সমেত ঢুকে পড়লাম। বাধা আসলো পুলিশের কাছ থেকে। জানতে চাওয়া হল, আমি ভোটার কিনা? কিন্তু পুলিশের সে কনস্টেবল গলায় ঝুলানো কার্ড দেখতে অপারগ। আমাকে মুখ দিয়েই বলতে হবে, আমি সাংবাদিক। বললাম, গলায় ঝুলানো কার্ড দেখা যায় না? তখন নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত অন্যান্য সদস্যরাও এলেন। বললেন, সবার কার্ডই তো একই রকম। এই হচ্ছে আমাদের দেশের পুলিশ!  



প্যান্টের পকেটে আমার হাত ঢুকানো। বাবার বয়সী এক পুলিশ সদস্য আমার হাত ধরে বললেন, প্যান্টের পকেট থেকে হাত বের করেন। আমি কোনভাবেই বুঝতে পারলাম না, আমার প্যান্টের পকেটে হাত থাকবে না বের করা থাকবে এতে তাঁদের সমস্যাটা কি? আপনার যা ইচ্ছা তাই করেন, বলে সামনে যেতে দিলেন। এই কেন্দ্রের কয়েকটি বুথ ঘুরে দেখলাম। সকাল ৮:১৫ মিনিটের দিকে লাইনে বেশ মানুষ। প্রতি বুথে ভোট পড়েছে ১৫-২০ টি করে। কোন রকম ঝামেলা নেই কোথাও। সংবাদকর্মী হিসাবে কাজ শেষ করে, ওই কেন্দ্রের যে রুমে ভোট দিবো সেখানে আমার কার্ডটি খুলে রাখলাম। অতপর আনন্দঘন পরিবেশে জীবনে দ্বিতীয়বারের মত ভোট দিলাম। ভোট দেওয়া ও প্রথম কেন্দ্র পরিদর্শনের তিক্ত অভিজ্ঞতা মুহূর্তেই ভুলে গেলাম। 

নাস্তা, চা ও বিড়ি খেয়ে অপেক্ষা করছি আমাদের ক্রাইম রিপোর্টার গাফফার খান চৌধুরী ভাইয়ার জন্যে। সিএনজি আমাকে ফার্মগেট থেকে তুলে নিলো। এবার ফটোগ্রাফার কে এইচ জসিম ভাইকে তুলতে রওনা দিলাম কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে। পথিমধ্যে দুটি কেন্দ্রে মানুষের অনেক বড় বড় লাইন দেখতে পেলাম। যেন এক উৎসব! শান্তিনগরে পৌঁছা মাত্র দেখতে পেলাম রাস্তায় বহু লোকের জটলা। তারা অনেকটা মিছিলের মত করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। 

কাকরাইলের কয়েকটি কেন্দ্রেও দেখলাম মানুষের বেশ উপস্থিতি। জসিম ভাইকে উঠিয়ে আমাদের মূল যাত্রা শুরু হল। নাজিরাবাজার ইসলামিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যেখানে ভোট দেবেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী সাইদ খোকন। ওই স্কুল আমাদের মূল উদ্দেশ্য। তিনি ভোট দেবেন সাড়ে দশটায়। ফকিরাপুল পানির ট্যাংকের কাছের কেন্দ্রটিতে ঢুকলাম। সুষ্ঠুভাবেই ভোট হচ্ছে। ভোটার ব্যতীত অন্য কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বুথ থেকে শুরু করে সিল মারার স্থান পর্যন্ত দেখালাম। বেশ ভালোভাবে লাইন ধরে সবাই ভোট দিচ্ছেন। 

সিএনজি ছুটছে পুরান ঢাকার উদ্দেশ্যে। পথিমধ্যে সুরিটোলা মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাইমারী স্কুল। মূল ফটকের সামনে প্রচুর মানুষ। সবাই টিভি ক্যামেরায় নিজের মুখ দেখাচ্ছেন এবং নানা ধরণের আপত্তিকর কথা জানাচ্ছেন। শুনলাম এই কেন্দ্রের ভোট হয়ে গেছে। আক্রমণ করে 'কে বা কারা' ব্যালট বাক্স ভেঙে ফেলেছে। এই বিদ্যালয়ে মোট তিনটি কেন্দ্র। আনুমানিক ৯-১০ টার মধ্যে কোন এক সময় পুরো কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। অফিসে অন লাইন ডিউটির দায়িত্বে থাকা অর্থনৈতিক রিপোর্টার জসিম ভাইকে নিউজ জানালাম। কয়েকবার ফোন দিয়ে বিরক্ত করতে হয়েছে তাকে। মুহূর্তেই ওই নিউজটি জনকণ্ঠের অন লাইনে আপলোড হয়। নিউজ জানিয়ে আমরা মূল উদ্দেশ্যের দিকে রওনা দিলাম। 

১০:৪০ মিনিটে আমরা পৌঁছালাম কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে। নাজিরাবাজার ইসলামিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে ঢুকছেন সাইদ খোকন। ফটোগ্রাফার জসিম ভাই দৌড়ে চলে গেলেন। সিএনজি রেখে আমিও ঢুকলাম। ঘিঞ্জি রাস্তায় উপরের ফ্ল্যাট থেকে ফুলের পাপড়ি ছিটানো হচ্ছে, যেন বিয়ে বাড়ি। সাইদ খোকনের দলবল অতিক্রম করে সামনে গেলাম। তিনি কেন্দ্রে ঢুকেছেন। ভোট দিচ্ছেন। সাংবাদিকরা ভিডিও করতে গিয়ে এক থেকে দুটি ক্যামেরা নিজেদের ঠেলাঠেলিতে ভেঙ্গে যায় বলেও শুনতে পাই। প্রথম আলোর প্রতিনিধিকেও দেখতে পেলাম। তার গলায় আলাদা করে প্রথম আলোর কার্ড ঝুলছে। অন্যান্য সাংবাদিকদের নিজস্ব অফিসের কার্ড ঝুলাতে তেমন একটা দেখতে পাই নি। প্রথম আলোই হয়ত এক্ষেত্রে একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল! 

সাইদ খোকন ভোট দিয়ে বের হয়ে আসলেন, সাংবাদিকদের হুড়াহুড়ি। কার আগে কে কমেন্ট নেয়। আমিও কমেন্ট নিতে সমানে দাঁড়িয়ে। কোন সাংবাদিক গিয়ে পড়লেন সাইদ খোকনের সামনে। তার নিরাপত্তায় নিয়োজিতরা তাকে টেনে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেন। কিন্তু সাইদ খোকন ওই লোকটিকে পাঁশে টেনে নিলেন। উনার এই আচরণ আমার হৃদয়কে আকর্ষণ করে। তিনি দৃঢ় প্রত্যয়ে বক্তব্য দিলেন, মাত্র দুই থেকে তিন লাইন বললেন। জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী সাইদ খোকন তিনবার ইনশাল্লাহ বলে তার বক্তব্য শেষ করলেন । বের হয়ে অফিসে এই নিউজ জানিয়ে আবারো বন্ধ হয়ে যাওয়া সেই সুরিটোলায় গেলাম।

বন্ধ হয়ে যাওয়া এই কেন্দ্রের তিন তলায় উঠে গেলাম। কারো কমেন্ট নিতে পারলাম না। বের হয়ে আসার সময় ফটকের মুখে খুব সম্ভবত যমুনার টিভির ক্যামেরায় ধরা দিলাম। কারণ নেমে আসার পথে অন্য আর কোন রাস্তা ছিল না। বাধ্য হয়ে আমাকে ওখানে এক মিনিটের মত দাঁড়িয়ে থাকতে হল। পরবর্তীতে সরে আসি। এখানের কাজ শেষ করে যাত্রা করি লালবাগের উদ্দেশ্যে। ঢাবি হয়ে যাওয়ার পথে উদয়ন হাই স্কুল যাত্রাপথে সামনে পড়ল। সিএনজি রেখে দ্রুত কেন্দ্রে ঢুকলাম। ঘড়ির কাটায় তখন ১২ টা। মূলত ঢাবির হলে বসবাসকারী ছাত্র-ছাত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা এই ভোট কেন্দ্রের ভোটার। তাই ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম। দেখা হল কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে। কমেন্ট নিলাম। প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে কর্মরত ব্যক্তিটির আচরণে মুগ্ধ হতে হল। 

কেন্দ্র থেকে বের হয়ে আসা মাত্রই দেখা হল বড় ভাই সাংবাদিক হাবিবুল্লাহ মিজানের সাথে। তিনি হাঁটছেন কেন্দ্রের বাইরে। জড়িয়ে ধরলাম তাকে। সাংবাদিকতার জগতে প্রবেশের পূর্বে নিউজ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি আমাকে যথেষ্ট হেল্প করেছেন। তার প্রতি ওই সব কারণে আমি যথেষ্ট কৃতজ্ঞ। এছাড়াও আমরা এক সময়ের সহযোদ্ধা। মিজান ভাইয়ের কাছেই প্রথম নিউজ পেলাম, বিএনপি নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছে। চট্টগ্রামে অলরেডি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। নিউজটা শুনার পর নিউজ সংগ্রহেও কেমন জানি আলসেমি এসে গেল। মাঝপথে বর্জন!! এ আবার কেমন কথা? ফটোগ্রাফার জসিম ভাই বললেন, কবি নজরুলে মারামারি হচ্ছে। আমরা দ্রুত সেখানে মুভ করলাম। 

কবি নজরুলের কলেজের ওই কেন্দ্রের সামনের রাস্তায় ছুড়ে মারা ইট পড়ে আছে। সদ্য ঘটে যাওয়া মারামারির ছাপ এখানে স্পষ্ট। কোন অপেক্ষা না করে কলেজে ঢুকে গেলাম। কলেজের প্রথম বিল্ডিংয়ের নিচ তলায় দাঁড়িয়ে ছাত্রলীগের এক নেতার কমেন্ট নিচ্ছিলাম। ৫-৬ হাত দূরে কলেজের মাঠ। ওখানে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় বিকট শব্দে পরপর দুটি ককটেল ফুটল। সবাই দূরে সরে গেলেন। কেউ কেউ দৌড়ে ককটেল ছুড়ে মারা স্থানের দিকে। আবার কেউ পিছনের দিকে। আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। ককটেল ফুটেছে কি আর এমন! 

ফটো সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যানদের দৌড়ে ভিতরের দিকে আসতে দেখলাম। এর মধ্যে জনকণ্ঠের তরুণ ভাইকেও লক্ষ্য করলাম। মিডিয়াকর্মীদের অনেক চেষ্টার পরও ওয়ারী জোনের ডিসি মোশতাক আহমেদ কোন কমেন্ট দিলেন না। তবে স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতারা বলছিলেন, সেলিম হাজী নামক বিএনপি-জামাত সমর্থিত এক কাউন্সিলর প্রার্থী কেন্দ্রে আক্রমণ করে। আর এতে করেই এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে তাঁদের রুখে দেয়। পরবর্তীতে পাল্টা জবাব দিতেই, জামাত-শিবির ওই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় বলেই আমার মনে হয়। 

এই কেন্দ্রের কাজ শেষে আমরা সিএনজিতে উঠে রিপোর্টার্স ইউনিটিতে চলে গেলাম। দুপুরের খাবার শেষে আবারো বের হলাম। এবার উদ্দেশ্য খিলগাঁও। পোষ্ট অফিস হাই স্কুলে গেলাম। সংবাদ ছড়িয়েছে ভোটকেন্দ্রে সংবাদিকদের প্রবেশ নিষেধ। আমি প্রচণ্ড রকমের ত্যাড়া। বললাম কোন কেন্দ্রে সমস্যা; ওই কেন্দ্রেই যাবো। উহ হ্যাঁ। রিপোর্টার্স ইউনিটিতে একজনের জামা কাপড় ছেড়া অবস্থায় দেখতে পাই। তিনি যুগান্তরের রিপোর্টার। পোষ্ট অফিস স্কুলের ওই কেন্দ্রে যখন ঢুকলাম তখন দুপুর তিনটা। লোক তেমন নেই। অনেকটা ফাঁকা। সকালের ভিড় নেই বললেই চলে। 

অনেক জায়গায় লম্বা লাইন থাকলেও এখানে কোন লাইনই ছিল না। তবে প্রতিটি বুথেই ভোটার রয়েছেন। ভোট দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছেন। এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মজিবুর রহমান বললেন, প্রায় ৫০-৬০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। বের হয়ে খিলগাঁওয়ের মির্জা আব্বাস কলেজে গেলাম। প্রবেশে কোন বাধা পেলাম না। এই কেন্দ্রে নাকি ছাত্রলীগের নেতারা হামলা চালিয়েছে এমন খবর শুনতে পেলাম। তবে তাঁদের উপস্থিতি দেখতে পাই নি। কেন্দ্রের বেতরে বাইরে লোক সমাগম আছে। লাইন ধরে ভোট দিতে দেখা গেল বেলা ৩:৩০ মিনিটেও। তবে সবগুলো বুথ এক করে একই রুমে ভোট নেওয়া হচ্ছে। 

সব মিলিয়ে অন্তত বিশটি কেন্দ্র ঘুরা হয়েছে। সুরিটোলা ও কবি নজরুল কলেজের কেন্দ্র ব্যতীত আর কোথাও তেমন কোন খারাপ অবস্থা চোখে পড়েনি। সংবাদকর্মী হিসাবে তথ্য সংগ্রহেও বাধা পাইনি, যদিও সুরিটোলায় কিছুটা ব্যতিক্রমি ঘটনা ঘটেছিল। কারণ ওই কেন্দ্রটি বন্ধ করে দেওয়া পর পুনরায় চালু করা হয়। তিনটি কেন্দ্রের দুটিতে দুপুর বারোটার দিকেও ভোটগ্রহণ চলতে দেখা গেছে। আর একটি অনির্দিষ্ট কালের জন্যে নির্বাচন কমিশন থেকে বন্ধ করা হয়। এখানেই যমুনা টিভির ক্যামেরায় আমি বন্দি হই। টিভির স্ক্রলে দেখাচ্ছিল ক্যামেরা ছিনতাই। কিন্তু তেমন কোন ঘটনা আমার চোখে পড়েনি। 

সর্বোপরি বলতে চাই, বিশটি কেন্দ্রের মধ্যে দুটি কেন্দ্রে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। সাংবাদিক প্রবেশে সাময়িক সময়ের জন্যে থাকতে পারে বাধাও। দু-একজন সাংবাদিক মার খেতেও পারেন। প্রথম আলোর অনেক সাংবাদিক আহত হয়েছে বলে জানলাম। কিন্তু তাঁদের এমন কি দরকার ছিল যে, নির্বাচন কমিশনের কার্ড থাকা সত্ত্বেও আলাদা করে প্রথম আলোর কার্ড ঝুলাতে হবে? মানুষ তো তাদের প্রতি ক্ষিপ্তও। অনেকেই আছেন প্রথম আলো হাতেও নেয় না। তাহলে! 

তবে আমার দৃষ্টিতে সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার পথে বিএনপিই অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তারা মাঝপথে নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে অবস্থাটা অন্যরকম হতে পারতো। বিএনপি শেষ পর্যন্ত নির্বাচন থেকে সরে না দাঁড়ালে অন্তত একটি রায় তাদের পক্ষে যেতই যেত। কিন্তু আবারো সেই ভুল। কে শুধাবে তাদের এ ভুলের মাসুল! প্রতিপক্ষ সরে দাঁড়ালে মাঠ তো ফাঁকাই হয়ে যায়, এটাই তো ধ্রুব সত্য! তবে আর নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার কিই বা আছে!

 

এমদাদুল হক তুহিন, ব্লগার, কবি ও সংবাদকর্মী। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ