আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

ফাল্গুনী শুভেচ্ছা!

শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ  

পহেলা ফাল্গুন আর ভালোবাসা দিবস। দু’টি দিনই আমাদের অনেক কাঙ্ক্ষিত। এখন তো এক প্রকার উৎসবে রূপ নিয়েছে। আর দুটি দিনই আসে প্রায় একই সঙ্গে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। পরপর দুই দিনই আমাদের জন্য বিশেষ। আজ পহেলা ফাল্গুন।

ষড় ঋতুর পরিক্রমায় প্রকৃতিতে এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। সেই ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন আজ। পাতার আড়ালে আবডালে লুকিয়ে থাকা বসন্তের দূত কোকিলের মধুর কুহু-কুহু ডাক। প্রকৃতির সবুজ অঙ্গন ছেয়ে যাবে রঙিন ফুলে ফুলে। মাঘের শেষ দিক থেকেই গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। বসন্তের অলৌকিক স্পর্শে জেগে উঠেছে কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, নাগলিঙ্গম। বাতাসে ভেসে আসা ফুলের গন্ধে বসন্ত জানিয়ে দিচ্ছে, সত্যি সত্যি সে ঋতুর রাজা। মন তাই গেয়ে উঠবে ‘ওরে ভাই ফাগুন লেগেছে বনে বনে/ ডালে ডালে ফুলে ফুলে পাতায় পাতায় রে...’।

বাঙালির জীবনে বসন্তের উপস্থিতি অনাদিকাল থেকেই। কবিতা, গান, নৃত্য আর চিত্রকলায় আছে বসন্তের বন্দনা। সাহিত্যের প্রাচীন নিদর্শনেও বসন্ত ঠাঁই করে নিয়েছে তার আপন মহিমায়। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর থেকে শুরু করে আধুনিককালের বাউল কবির মনকেও বারবার দুলিয়েছে ঋতুরাজ বসন্ত। বসন্ত শুধু অশোক-পলাশ-শিমুলেই উচ্ছ্বাসের রঙ ছড়ায় না। আমাদের ঐতিহাসিক রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে শহীদদের রক্তরঙিন পুষ্পিত রক্তের স্মৃতির ওপরও রঙ ছড়ায়।

১৩৫৮ বঙ্গাব্দের ৮ ফাল্গুন ঘটেছিল মহান ভাষা আন্দোলন। যা আজ বিশ্বব্যাপী ২১ ফেব্রুয়ারির মোড়কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। এই ভাষা আন্দোলনের পূর্বাপর কাহিনীকে উপজীব্য করে জহির রায়হান রচনা করেছেন উপন্যাস ‘আরেক ফাল্গুন’।

বাংলা পঞ্জিকা বর্ষের শেষ ঋতু বসন্তের প্রথম দিনকে আমরা পালন করি ‘পহেলা ফাল্গুন-বসন্ত উৎসব’ হিসেবে। এ উৎসব এখন পরিণত হয়েছে বাঙালির নিজস্ব সার্বজনীন প্রাণের উৎসবে। বসন্তের প্রথম মুহূর্তকে ধরে রাখতে তাই তো সবাই মেতে ওঠে নানা উৎসব ও সাজে।

বাসন্তি রঙের শাড়িতে বাঙালি নারীকে অপরূপ দেখায়। এতে পিছিয়ে নেই পুরুষরাও। বসন্ত অনেক ফুলের বাহারে সজ্জিত হলেও গাঁদা ফুলের রঙকেই এদিনে তাদের পোশাকে ধারণ করে তরুণ-তরুণীরা। খোঁপায় শোভা পায় গাঁদা ফুলের মালা। বসন্তের আনন্দযজ্ঞ থেকে বাদ যায় না গ্রাম্যজীবনও। আমের মুকুলের সৌরভে আর পিঠেপুলির মৌতাতে গ্রামে বসন্তের আমেজ একটু বেশিই ধরা পড়ে। বসন্তকে তারা বরণ করে আরও নিবিড়ভাবে।

বাংলায় বসন্ত উৎসব এখন প্রাণের উৎসবে পরিণত হলেও এর শুরুর একটা ঐতিহ্যময় ইতিহাস আছে। মোগল সম্রাট আকবর প্রথম বাংলা নববর্ষ গণনা শুরু করেন ১৫৮৫ সালে। নতুন বছরকে কেন্দ্র করে ১৪টি উৎসবের প্রবর্তন করেন তিনি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বসন্ত উৎসব। তখন অবশ্য ঋতুর নাম এবং উৎসবের ধরনটা এখনকার মতো ছিলো না। তবুও অন্য ঋতুর চেয়ে এই ঋতুকে পালন করা হতো আলাদাভাবে। তাই পহেলা ফাল্গুন বা বসন্ত উৎসব কেবল উৎসবে মেতে ওঠার সময় নয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাংলার গৌরবময় ঐতিহ্য, বাঙালিসত্তা। সে ঐতিহ্যের ইতিহাসকে ধরে রাখতে পারলেই বসন্ত উৎসবের সঙ্গে সঙ্গে নতুন প্রজন্ম ছড়িয়ে দিতে পারবে বাঙালি চেতনাকে।

বঙ্গাব্দ ১৪০১ সাল থেকে প্রথম 'বসন্ত উৎসব' উদযাপন করার রীতি চালু হয়। সেই থেকে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ বসন্ত উৎসব আয়োজন করে আসছে। এছাড়া তরুণ-তরুণীরা বাংলা একাডেমি আয়োজিত একুশের বইমেলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, শাহবাগ, চারুকলা চত্বর, পাবলিক লাইব্রেরি, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ধানমন্ডি লেক, বলধা গার্ডেন মাতিয়ে রাখবে সারাদিন। ফোন, ফেসবুক, টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলে বসন্তের শুভেচ্ছা বিনিময়। দিনভর চলে বসন্ত বন্দনায়।
‘বসন্ত উৎসব’ সম্পর্কে ইতিহাসবিদ ও গবেষকরা জানান, ভারতবর্ষে বসন্তোৎসবের ইতিহাস বেশ পুরানো। হিন্দুদের পৌরাণিক উপাখ্যান ও লোককথাগুলোতেও এই উৎসবের উল্লেখ পাওয়া যায়। হিন্দু বৈষ্ণবরা এ উৎসব বেশ আয়োজন করে পালন করে থাকেন। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির ও গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীদের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। শান্তিনিকেতনে বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্তোৎসব পালনের রীতি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকেই চলে আসছে।

ষড়ঋতুর শেষ ঋতু বসন্ত। আর শীতের তীব্রতার পর বসন্ত যেন স্বস্তি নিয়ে আসে এদেশের মানুষের জীবনে। যদিও এবার বাংলাদেশে (বিশেষত রাজধানী ঢাকায়) শীতের খুব একটা প্রকোপ ছিলো না। সহজ কথায় বসন্ত হচ্ছে রংয়ের ঋতু। তাই এই ঋতুর প্রথম দিনটি পালনও করা হয় দারুণ আনন্দের সঙ্গে। ফাল্গুন মানেই এক সময় চোখে ভাসতো বাসন্তী শাড়ি। সেই ধারনাতেও এসেছে ভিন্নতা। এখন তরুণীরা ফাল্গুনের রং হিসেবে বেছে নিচ্ছেন হালকা হলুদ, কমলা, সবুজ, লাল ইত্যাদি। শুধু মেয়েরাই নয়। বসন্ত পালনে পিছিয়ে নেই ছেলেরাও। পাঞ্জাবি পরে তারাও উদযাপন করছে বসন্ত।

প্রিয়জনের মন রাঙাতে ফুলের কী কোন বিকল্প আছে? বিকল্প নেই বলেই হয়তো পহেলা ফাল্গুন ও ভ্যালেন্টাইনস ডে'কে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করেন দেশের বৃহত্তম ফুল উৎপাদনকারী জেলা যশোরের গদখালীর ফুল চাষী ও ব্যবসায়ীরা। পহেলা ফাল্গুন উপলক্ষে শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করেন যশোরের গদখালীর ফুলচাষীরা। এরই মধ্যে উৎপাদিত ফুলের একটি বড় অংশ পৌঁছে গেছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে। গোলাপ, রজনীগন্ধা, জারবোরা, গাঁদা, গ্লাডিউলাস, কেলেনডোলা, জারবেরা, চন্দ্র মল্লিকাসহ ১১ ধরনের ফুলের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ব্যবসায়ীরা। সারা বছর ফুল সরবরাহ করা হলেও মূলত এ দু'টি দিনকে ঘিরে ফুল বিক্রি করে বেচাকেনার হিসেব মেলান তারা।

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ারস সোসাইটির সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, এই দু’টি দিন উপলক্ষকে ঘিরে প্রতি বছর প্রায় ১২ কোটি টাকার ফুল বিক্রি করেন তারা। যশোরের উৎপাদিত ফুল রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। কিন্তু পরিবহন ব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

বসন্ত ঋতু লুকিয়ে আছে ফাল্গুন ও চৈত্র মাসের ভিতর। তবে অনুভবের জায়গা থেকে বলতে গেলে শুধু ফাল্গুন মাসের কথাই বলতে হবে। বাংলা বছর গণনায় ফাল্গুন ১১তম মাস হলেও কালের আবর্তনে এবং ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এটি শুধু একটি মাসের নামের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। চীনেও বসন্ত বরণ হয়ে থাকে। এই বসন্ত বরণ উৎসব হলো তাদের সবচেয়ে বড় উৎসব। তারা চন্দ্রপুঞ্জিকা অনুযায়ী এ উৎসব করে থাকে। তারা সিন চুন খোয়াইলা বলে পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকে। যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় আপনাকে বসন্তের শুভেচ্ছা।

সারা পৃথিবীর ঋতু বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে এই বসন্ত ঋতু তথা ফাল্গুন মাসে দক্ষিণ এশীয় নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলের পাশাপাশি পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানেই এ সময়টি আশীর্বাদ রূপে আসে। এ সময়টা বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু মানের বর্ষা হয় যার ফলে সেসব স্থানে বৃক্ষরা পত্রপল্লবে নিজেদের জানান দেয়। অন্যদিকে হিমাচল প্রদেশসহ কাশ্মীর অঞ্চলের তুষারপাত ক্রমে কমে আসে এবং মানুষ তাদের স্বাভাবিক কাজকর্মের ভরসা পেতে থাকে।

পৃথিবী সূর্যের দিকে ঢলে পড়ে বলেই শীত তার ইতি-টানতে বাধ্য হয়। এই সময়টাতে প্রাণিকুলের প্রজননের মোক্ষম সময়। পৃথিবীজুড়ে নূতন নূতন প্রাণের সঞ্চার হতে থাকে। তারা প্রকৃতির শ্রী বৃদ্ধির পাশাপাশি টিকিয়ে রাখে পরিবেশ ও প্রতিবেশ।

আমরা ফাল্গুন মাসকে আদর করে ফাগুনও ডেকে থাকি। এতে শ্রুতি শ্রী বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি কাব্যিকের ছন্দের দোলনটাও মসৃণ হয়।

কোন মাসের নামে পিতা-মাতা সন্তানের নাম না রাখলেও এ মাসটির নামে মেয়েদের নাম রাখেন ‘ফাল্গুনি’। এ ক্ষেত্রে আমরা ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়ের নামটি উদাহরণ হিসেবে টানতে পারি।

এই ফাল্গুন মাসকে নিয়ে আমাদের লোক গানের পাশাপাশি সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় রয়েছে নানা রচনা। যেমন বাউল সুরে গাওয়া হয় নারী হয় লজ্জাতে লাল, ফাল্গুনে লাল শিমুল বন, এ কোন রঙে রঙিন হলো বাউল মন..মন রে....এ কোন রঙে রঙিন হলো বাউল মন। নারী লজ্জাতে লাল হয় না পুরুষ লজ্জাতে লাল হয় তা বিতর্কের বিষয়। তবে ফাগুনের মাসে শিমুলের বন যে লাল হয় তাতে কোনো সন্দেহ নেই।

বর্তমান কালের অন্যতম কবি খালেদ হোসাইন লিখেছেন এভাবে...

তুমি ভালো থাকো আর না-থাকো
ফাল্গুন আসবেই এ দেশে।
ফুল যদি ঝরে যায়, নদী যদি মরে যায়
ফাল্গুন আসবেই এ দেশে।

আমাদের মাঝে শুকনো পাতায় ভর করে এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। গাছে গাছে সবুজ পাতা আর নানা রঙ্গের ফুল। শিমুল বন আর কৃষ্ণচূড়ারা সেজেছে সূর্যের সাথে তাল মিলিয়ে রক্তিম রঙে। কোকিলরা গান ধরেছে ভ্রমরের গুনগুনানির তালে তালে। চারদিকে শোনা যায় ঝরা পাতার নিক্বণ ধ্বনি। বসন্ত বারৈ খুঁজে পায় নিজের নামের সার্থকতা।

কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় লিখেছেন- ‘ফুল ফুটুক আর না-ই ফুটুক আজ বসন্ত।’

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ