আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ

বন্যা আহমেদ  

আক্রমণের সময়টার কোনো স্মৃতি নেই আমার। কিন্তু যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন ইন্টারনেটের এই ছবিগুলো - আমার স্বামীর রাস্তার ওপর মুখ থুবড়ে পড়ে-থাকা রক্তাপ্লুত, নিথর দেহ, তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে সাহায্যের জন্যে আমার কাতর অনুনয়, আমার মাথায় চাপাতির চারটে লম্বা আঘাতচিহ্ন আর চাপাতির কোপে আলাদা হয়ে-যাওয়া বুড়ো আঙুলের ছবিগুলো - ক্রমাগতভাবে আমায় মনে করিয়ে দেবে ওই ঘৃণা আর অসহনশীলতার কথা যেটা চিরতরে আমার জীবনটা বদলে দিয়েছিল।

২০১৫-এর ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা দেশে গিয়েছিলাম বইমেলায় যাব বলে। ২৬ ফেব্রুয়ারি বইমেলায় ওঁত পেতে থাকা ইসলামি মৌলবাদীরা চাপাতি হাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল আমাদের ওপর - তারা সেদিন আমার স্বামী অভিজিৎ রায়কে খুন করে আর আমাকে মারাত্মকভাবে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। আমাদের দোষ? মৌলবাদীরা আমাদের বিজ্ঞান, দর্শন আর ধর্মীয় মতবাদের সমালোচনামূলক লেখালেখিগুলো হুমকি হিসেবে দেখেছিল, তারা আমাদের চিহ্নিত করেছিল ইসলামের শত্রু হিসেবে।

এ সপ্তায়, অভিজিতের মৃত্যুর দ্বিতীয় বার্ষিকী পালনের জন্য আমি নেদারল্যান্ডসের হেগে এক বইমেলায় গিয়েছিলাম। বাৎসরিক এই বইমেলাটি দ্য হেগ পিস প্রজেক্ট আর মুক্তমনার (যে-ব্লগটা অভিজিৎ একটা মুক্তচিন্তকদের মিলনমেলা হিসেবে গড়ে তুলেছিল) যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে। এবারের বইমেলাটা এমন এক সময়েই হল, যখন আমাদের পৃথিবীর মেরুকরণটা যেন চরমে পৌঁছেছে।

দেখে মনে হতে পারে ওখানে বিভিন্নরকমের লোকের উপস্থিতি ঘটেছে – অভিজিতের ভাগ্যবরণ এড়াতে দেশত্যাগকারী নাস্তিক ব্লগারের দল, মুসলিম বিশ্বের নানাপ্রান্ত থেকে-আসা এলজিবিটি (LGBT=Lesbian, Gay, Bisexual, Transgender, অর্থাৎ, সমকামী, উভকামী, তৃতীয় লিঙ্গ) এক্টিভিস্টরা, নেদারল্যান্ডসের প্রান্তিক মুসলিম অভিবাসীরা, উদ্বিগ্ন ওলন্দাজ এক্টিভিস্ট আর বুদ্ধিজীবী– একটু খেয়াল করে দেখলেই বোঝা যাবে যে আমরা সবাইই আসলে একইরকমের ঘৃণা আর আতঙ্কের শিকার। কারণ আমরা আজ বিশ্বজুড়ে একদিকে যেমন দেখছি পৃথিবীর নানাপ্রান্তে ধর্মীয় উগ্রবাদের উত্থান, অন্যদিকে তেমনি আবার ঘটছে পাশ্চাত্যে উগ্র-জাতীয়তাবাদের পুনর্জাগরণ। যদিও এদেরকে আপাতভাবে দুই মেরুর মতন বিপরীতমুখী ঠেকে, বস্তুত তাদের অনেক কেন্দ্রীয় বিশ্বাস আর কার্যকলাপ একইরকম।

ধর্মীয় মৌলবাদী আন্দোলনগুলো প্রতিক্রিয়াশীল। তারা একটা বা একদল শত্রু (বাস্তব, অর্ধবাস্তব, বা কল্পিত) চিহ্নিত করে যাদের প্রতি তারা ভীষণভাবে আগ্রাসী হয়ে ওঠে, তারা নিজের অস্তিত্বের জন্যে হুমকি হিসেবে দেখে তাদের। মৌলবাদীরা দুনিয়াটা দ্বি-বিভাজিত করে দেখতে পছন্দ করে যেন এর মাঝামাঝি আর কিছু নেই: আমরা বনাম ওরা, ভালো বনাম মন্দ, নৈতিক বনাম অনৈতিক, ঠিক বনাম ভুল।

একইরকমের যুক্তি কি আমরা ইংল্যান্ডের ব্রেক্সিটের সময় শুনিনি? শুনিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় কিংবা ফ্রান্সের মারিন লে পেন, জার্মানিতে ফ্রাউকে পেট্রি কিংবা নেদারল্যান্ডসের গিয়ার্ট ওয়াইল্ডারসের মতন ইউরোপের অতি-ডানপন্থী নেতাদের বক্তব্যে? আমি মনে করি তাদের মতবাদের ভিত্তি এক। কারণ তারাও তাদের চোখে ‘ইসলামি মৌলবাদ’ নামের একটা শত্রুর প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে – বাস্তবে যদিও সেটা অভিবাসী, সংখ্যালঘু, বা যাই বলেন না কেন, সবার প্রতি শত্রুতার বহিঃপ্রকাশ।

ধরুন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্রাভেল ব্যানের কথাটাই। ওই সাতটা দেশের তালিকা থেকে সৌদি আরব আর ইউনাইটেড আরব আমিরাত বাদ পড়ল কেন যেখানে নাইন ইলেভেনের হামলাকারীদের ১৯ জনের ভেতর ১৭ জনই এই দুটো দেশ থেকে এসেছিল? কারণ কী এটাই যে, এই দেশগুলো বিপুল পরিমাণে ধনী, আমেরিকার ব্যবসায়িক বা রণকৌশলগত স্বার্থের জন্যে জরুরি? কেন ট্রাম্প ক্ষমতায় এসেই এই ব্যানটা একটা গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করলেন? কারণ আর কিছুই নয় - এহেন জনচিত্ততোষিণী সিদ্ধান্তগুলো তাকে মূল ডানপন্থী ভোটারদের মনের ভিতরের ভীতিগুলো সার্থকভাবে কাজে লাগাতে সহায়তা করে।

আমরা যদি মনে করি ইসলামিক স্টেট বা আল-কায়দা পাশ্চাত্য ‘আধুনিকতা’, পুঁজিবাদ আর জাতীয় ও সাংস্কৃতিক ক্ষোভের প্রতি প্রতিক্রিয়াশীলতা দেখাচ্ছে, ট্রাম্প কি একইভাবে এই ইসলামিক মৌলবাদের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে না? প্রেসিডেন্ট সায়েব একই ফর্মুলা অনুযায়ী একরাশ শত্রুও বানিয়েছেন। ট্রাম্পের মতে, মার্কিনিরা মুসলিমদের দ্বারা আক্রান্ত, মেক্সিকান ধর্ষক আর ‘ব্যাড ওম্ব্রে’ (খারাপ হিস্পানিক মানুষ)-রা তাদের চাকরি চুরি করছে যা যুক্তরাষ্ট্রের জন্যে তৈরি করছে এক অস্তিত্বের সংকট।

ডোনাল্ড ট্রাম্প 'আমরা' বনাম 'ওরা' নিয়ে একটা ধ্রুপদি দ্বৈতবাদী ধারণা পোষণ করেন। নানা রূপ ধরতে পারে ওটা: পাশ্চাত্য বনাম মুসলিম, মার্কিনি বনাম অভিবাসী, উদারনৈতিক গণমাধ্যম বনাম তিনি, সফল পুরুষ বনাম নারী। তাঁর বিশ্বদৃষ্টিতে, সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় মৌলবাদী দেশগুলোয় দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে বসবাস করতে বাধ্য। একই ভয় তিনি সফলভাবে ঢুকিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সংখ্যালঘু গোষ্ঠীদের ভেতরে, যাদের মধ্যে আছে মুসলিম মার্কিনি, আফ্রিকান মার্কিনি আর লাতিনোরা। আর ঠিক যেভাবে ওয়াহাবি মৌলবাদ মুহম্মদের সেই সময়ে ফেরত যেতে চায় - যখন দুনিয়া চলত একটা কট্টর নৈতিক অনুশাসনের আওতায় যারাই শুধু পারবে ইসলামকে আবার সুমহান করে তুলতে - ঠিক তেমনি ট্রাম্পও চায় আমেরিকাকে আবার সুমহান (Make America great again) করে তুলতে।

ইউরোপেও আমরা শুনছি একইরকমের আলোচনা: নিয়ন্ত্রণ ফিরিয়ে দাও, ফিরিয়ে দাও ইউরোপীয় সার্বভৌমত্ব, হল্যান্ড ফিরিয়ে দাও ডাচদের হাতে, এমনি আরো কত কিছু। ব্রেক্সিট আর ট্রাম্পের জয় এই ভুযো ধারণাটা আরও বৈধতা দিতে সহায়তা করছে যে জঙ্গিবাদ, অভিবাসন, আর উদ্বাস্তুরাই বুঝি পশ্চিমা বিশ্বের সবচে বড় সমস্যা। এখন সারা পৃথিবীজুড়ে ঘৃণাবাদী প্রতিক্রিয়াশীল জনচিত্ততোষিণীরা যেন বিশ্বব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার হুমকি দিচ্ছে।

আমাদের অনেকের কাছে এটা অবাস্তব ঠেকতে পারে, কিন্তু আসলে এতে অবাক হবার কিছু নেই। ইতিহাসের পথজুড়ে এই নকশাটা আমরা বারবার দেখেছি, যে সৃজিত সমস্যাক্রান্ত সময়ে অন্ধ মতবাদ আর ঘৃণা বাস্তবকে টেক্কা দেয়।

পুঁজিবাদী নিওলিবারেল নীতি আর বিশ্বায়ন এবং শ্রম, তথ্য, আর পুঁজির বৈশ্বিক প্রবাহের কারণে দুনিয়াভর এক আধুনিক অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তারই প্রতিফলন দেখতে পাচ্ছি উপার্জন-অসাম্যের অতলস্পর্শী মাত্রা। এই অর্থনৈতিক মডেলটা পৃথিবী জুড়ে দরিদ্রতম দেশগুলোয় বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকেদের জন্যেই যে স্রেফ ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে তাইই নয়, বরং পাশ্চাত্যের শ্রমজীবী শ্রেণির জন্যেও একই সংকট এনে দিয়েছে। পশ্চিমে মূলধারার রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি এই জনগোষ্ঠীর এক অপরিমেয় অবিশ্বাসেরও জন্ম হয়েছে এখান থেকেই। অন্যদিকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোও নিজেদের সমস্যায় নিমজ্জিত। উপনিবেশোত্তর সামাজিক ও অর্থনৈতিক উত্তরাধিকার এবং ধর্ম আর তেলের সাম্রাজ্যবাদী রাজনীতির মিলন তো আছেই, সেই সাথে ইসলামের অন্তর্নিহিত সংস্কারের অভাবও মৌলবাদের উত্থানের একটা বড়সড় নিয়ামক। তারই ফলে আজ পূর্ণবিকশিত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর অভাবওয়ালা অনেক দেশেই ইসলামি মৌলবাদ জাঁকিয়ে বসেছে।

আমি চোখের সামনে দেখেছি কিভাবে বাংলাদেশের মতন একটা নবীন ও দুর্বল রাষ্ট্র আস্তে আস্তে চলে যাচ্ছে মৌলবাদের করাল গ্রাসে, যতটা না ধর্মের টানে তারচে অনেক বেশি স্থানীয় আর জাতীয় রাজনৈতিক অক্ষশক্তির স্বার্থসিদ্ধির কারণে। ভয় হচ্ছে আমরা সবদিক থেকেই যেন সেই ক্ষতিকারী ‘সভ্যতার’ লড়াইয়ের ধারণার নবজাগরণ দেখছি (হান্টিংটনের মত টেকনোক্র্যাট এবং বুশের মত নিও-কনদের দেওয়া ‘ক্লাস অফ সিভিলাইজেশনে’র উপাত্ত)। ওসামা বিন লাদেনও এই অগ্নিতেই ঘৃতাহুতি দিয়েছিল। কিন্তু তাদের মূল যুক্তিগুলো একটু ভালোভাবে বিশ্লেষণ করলে এটা স্পষ্ট হয় যে আমরা আসলে এখানে 'সভ্যতার সংঘর্ষ' দেখছি না, বরং দেখছি দুই জনপ্রিয় ও প্রতিক্রিয়াশীল আদর্শের লড়াই, আজকের বৈশ্বিক সংকটের কারণে এখন যেটা আরও দানা বেঁধে উঠছে।

পরিহাসটা এখানেই যে নানারকম বাগবিস্তারের অলঙ্কার করলেও, তাদের ভিত্তিভূমি অনেক দিক থেকেই মূলত এক।

Two sides of the same coin অবলম্বনে ভাষান্তর: হিল্লোল দত্ত

বন্যা আহমেদ, লেখক, ব্লগার; ভিজিটিং রিসার্চ স্কলার, ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস, অস্টিন।

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ