প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Advertise
শুভাশিস ব্যানার্জি শুভ | ০২ এপ্রিল, ২০১৭
‘অটিজম’ শব্দটির সাথে সবাই পরিচিত হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা যথেষ্ট নয়। মস্তিষ্কের স্নায়ুবিক সমস্যা যা মস্তিষ্কের সাধারণ কর্মক্ষমতাকে ব্যাহত করে,তার নামই অটিজম। যার আরেক নাম অটিজম স্পেকট্রাম সিনড্রোম (ASD)। শিশুকালের শুরুতেই এর বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যায় এবং তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই জন্মের ৩ বছরের মধ্যে বিস্তারিত প্রকাশ পায়। আরো সহজভাবে বলা যায় শৈশবের কোন পর্যায়ে বুদ্ধিমত্তার স্বাভাবিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হলে, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় তাকে অটিজম বলে। ২০০৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘ ২ এপ্রিলকে সারা বিশ্বের জন্য অটিজম সচেতনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এর পর ২০০৮ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী অটিজম সচেতনতা দিবস পালিত হয়ে আসছে।
প্রতি বছরের মতো এবারও ২ এপ্রিল পালিত হচ্ছে দশম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। পালনের প্রতিপাদ্য বিষয়, "Toward Autonomy and Self Deterination." দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি স্কুল ও কলেজে ২ এপ্রিল বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০১৭ পালনে বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সাংবাদিক নঈম নিজাম ১ এপ্রিল নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “কুমিল্লার সন্তান হিসেবে আমি গর্বিত। কবি নজরুলের প্রেম ভালোবাসার শহর আমাদের কুমিল্লা। এই কুমিল্লায় এক সময়ে সুরের ঝংকার তুলতেন শচিন দেব বর্মন,কাজী নজরুল। কুমিল্লার ওস্তাদ আলা উদ্দিন খাঁ বিশ্ব কাঁপিয়েছেন। ভাষা আন্দোলনের সাড়া জাগানো ধীরেন্দ্র নাথ দত্তের প্রাণের শহর কুমিল্লা। একাত্তরে পাকিস্তানী সেনারা তাকে কুমিল্লায় হত্যা করে। এই উপ মহাদেশের নারী জাগরণের প্রথম ইতিহাস সৃষ্টিকারী নবাব ফয়জুননেছাও কুমিল্লার সন্তান। মুক্তিযুদ্ধে দু'টি সেক্টর সম্পৃক্ত ছিলো কুমিল্লার সঙ্গে। দেশের যেসব এলাকায় সবচেয়ে বেশি যুদ্ধ হয়েছে কুমিল্লা তার অন্যতম। কুমিল্লার মানুষের দরজা খোলা থাকতো,মেলাঘরে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। কুমিল্লার সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য অনেক পুরাতন ও সমৃদ্ধশালী। কুমিল্লার সন্তান হিসেবে অবশ্যই আমার মাঝে এক ধরনের গর্ব রয়েছে”।
বাংলাদেশে শিশুদের মধ্যে অটিজমের হার প্রায় ০.৮ শতাংশ,অর্থাৎ প্রতি হাজারে ৮ জন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং আমেরিকান সাইকিয়াট্রিক এসোসিয়েশনের বিভিন্ন রোগ সনাক্ত করণের পদ্ধতিতে অটিজমকে একটি ব্যাপক বিকাশজনিত সমস্যা হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করেছে। দেশে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুর সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৮৩। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে এই হার ২.৮৭ শতাংশ। অথচ অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের সহায়তার জন্য দেশে তেমন কোনো বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান নেই!
সম্প্রতি অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন শিশুদের বিশেষ শিক্ষা প্রদানের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকা সেনানিবাসে ‘প্রয়াস’ নামক একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জানিয়েছেন, দেশের অন্যান্য সেনানিবাসে ‘প্রয়াস’-এর শাখা খোলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। এ ছাড়া সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন ক্যাম্পাসে অটিজম রিসোর্স সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এই সেন্টার থেকে অকুপেশনাল থেরাপি,স্পিচ অ্যান্ড ল্যাংগুয়েজ থেরাপি, কাউন্সেলিংসহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা নির্ণয়ের জন্য যে জরিপ পরিচালিত হয় তাতে দেশে ১৪ লাখ ৮৯ হাজার ১৩০ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২.৮৭ শতাংশ হচ্ছে অটিজম বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ১.৫ শতাংশ শিশুর মধ্যে অটিজম পাওয়া গেছে। যুক্তরাজ্যের ১৮ বছর বয়সী এবং তারও ওপরের বয়সীদের মধ্যে এর প্রবণতা ১.১%। তবে এ বিষয়ে আশ্চর্যজনক তথ্য পাওয়া গেছে যে,১৯৮০ সাল থেকে শুরু করে অদ্যাবধি তা দিনদিন বেড়েই চলেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন,চিকিৎসা করালে অটিজমে আক্রান্তদের সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও পুরোপুরি সেরে ওঠা কঠিন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের তথ্য ও ধারণামতে মায়ের গর্ভাবস্থায় ঠিকমতো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত চিকিৎসা ও ওষুধ সেবন করা না হলে কিংবা প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার না খেলে গর্ভের শিশুদের পূর্ণাঙ্গ বিকাশ হয় না বলে জানা গেছে। সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দেশে ‘জিকা’ নামক এক প্রকার মারাত্মক ক্ষতিকর ভাইরাসের আক্রমণে গর্ভের শিশুদের মস্তিষ্ক স্বাভাবিকের চেয়ে ছোট এবং অপুষ্ট হয়ে থাকার কথা জানা গেছে। সেই ‘জিকা’ ভাইরাসে আক্রান্ত মায়ের গর্ভ হতে ভূমিষ্ঠ শিশুও অটিস্টিক হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৩ সালের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যায়,সারা বিশ্বে অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা ২১.৭ মিলিয়ন,২০১০ সালের হিসাবে এ সংখ্যা সারা বিশ্বে প্রতি হাজারে এক বা দু’জন। বিশ্বে প্রতি ১১০ জনে ১ জন শিশু এ সমস্যায় ভুগছে।
রোগ নির্ণয়,আচরণ পরিমার্জন,সঠিক প্রশিক্ষণ,স্পিচ থেরাপি, অকুপেশনাল থেরাপি ইত্যাদি অটিস্টিক শিশুদের সামগ্রিক উন্নতির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ও স্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে হবে। তাদের প্রতিবাদ ও সীমাবদ্ধতাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে একটি যুগোপযোগী শিক্ষা কার্যক্রমকে সম্পৃক্ত করতে পারলে এই শিশুরা বিশেষভাবে উপকৃত হতে পারবে। বিশ্বের অনেক নামীদামী ও বিখ্যাত ব্যক্তিরা কর্তৃক সমাজে পিছিয়ে পড়াদের নিয়ে অনেক কাজ করার কথা শোনা যায় এবং যার অনেক প্রমাণও রয়েছে।
আশির দশকে ব্রিটিশ রাজ-পরিবারের বউ হয়ে আসা প্রিন্সেস ডায়নার কথা এখানে প্রাসঙ্গিকভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি ব্রিটিশ রাজকীয় আরাম আয়েশকে তুচ্ছজ্ঞান করে, শিষ্টাচারের বাইরে গিয়ে কাজ করতেন অসহায় ও সমাজের পিছিয়ে পড়া শিশুদের নিয়ে। তার সেই কাজের জন্য তিনি বিশ্বজুড়ে অনেক নন্দিত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে যখন ফ্রান্সে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন,তখনো তিনি বিশ্ববাসীর অনেক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পেয়েছিলেন। আমাদের দেশে কী সে রকম ব্যতিক্রমধর্মী কাজের জন্য ভালোবাসার উদাহরণ সৃষ্টি হতে পারে না?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি নিয়ে বিদেশে পড়াশোনা করে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে অটিজম বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করছেন দীর্ঘদিন থেকে। তিনি অটিজম এবং নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার সম্পর্কিত জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন হিসেবেও কাজ করছেন। তা ছাড়া তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্যসম্পর্কিত ২৫-সদস্যবিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলের একজন সদস্য।
অটিজম শিশুর বাবা-মাকে এ রকম অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। অনেক সংগ্রাম করতে হয় তার পরিবারের সঙ্গে, সমাজের সঙ্গে এমনকি নিজের সঙ্গেও। এসব বাবা-মাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হয় বিশেষ স্কুলগুলোকে। সংশ্লিষ্ট অটিস্টিক শিশুর বাবা-মা যাতে এমন স্বস্তি অনুভব করেন যে, তাদের সন্তানের স্কুল সহনশীল, উদার, ধৈর্যশীল এবং যেকোনো বিপদে হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মতো অবস্থার সৃষ্টি হয়, তাই প্রতিষ্ঠানকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
সাংবাদিক দেবাশিস রায় গত ২০ মার্চ নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “আমি তখন দেশটিভি'তে কাজ করি, লাভলি সকালে ফোন করে বলল, তোমার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়েছি, কাল মুক্তা আপার ছোটভাই আসবে তাকে দিয়ে দিও!... মুক্তা আপার নাম জানা ছিল... লাভলির বিএড কোর্সের সহপাঠী বড় আপা! ঘটনা এরকম যে তার বাবা হাসপাতালে ভর্তি, ভাইয়েরা আমেরিকা প্রবাসী, সে একটা কলেজে প্রভাষক, ভাইদের কাছ থেকে সাড়া না পেয়ে বাবার হার্ট সার্জারির টাকার জন্য কেঁদে বেড়াচ্ছে! ... তার বেশ কিছুদিন পর লাভলি দেশে গেলে সেই বাবা-মেয়ে দু'জনের সাথেই দেখা হোল... তখনি দেখলাম তার একটা অটিস্টিক বাবু আছে... তার জামাই তার সাথে থাকেনা... ছেলেটাকে নিয়ে তার দৌড়াদৌড়ির শেষ নেই ... ছেলেটা অমন বলে তার জামাই একসাথে থাকার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে... ছেলে এবং সংসারের দায়িত্ব সে নেয়নি!!! যথার্থ বাবা সন্দেহ নেই... কুমিল্লা শহরে অটিস্টিক বাবুদের কোন বিদ্যালয় না থাকায় মুক্তা আপা নিজেই একটা বিদ্যালয় খোলার চেষ্টা করেন... তার সামান্য আয়ের পুরোটা দিয়ে একটু একটু করে সেই বিদ্যালয় চলতে শুরু করে... এবার দেশে গিয়ে দেখি সেই বিদ্যালয় চালাতে গিয়ে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে মুক্তা আপা ... নিজের আয়ের টাকা দিয়ে একটা বিদ্যালয় চালানো কি অতো সহজ... অনেকটা রিকশা চালিয়ে হাঁসপাতাল চালানোর মতো!!! ছেলেটাও সময়ে সাথে সাথে বড় হয়েছে! অতটা কথা বলতে পারেনা ঠিকই কিন্তু বোঝে এবং সাড়া দেয়! রূপাইকে দেখে সে খুব খুশি! কিন্তু আমি যখন রূপাইকে কোলে নিয়ে আদর করছিলাম তখন সে একেবারে চুপ করে গিয়েছিলো, রূপাইকে কাঁধে নিয়ে আমি যখন ওদের বাসা থেকে চলে আসছিলাম তখন সে অপলক তাকিয়ে ছিল ... লাভলির কাছে শুনেছি কারো বাবা তাদের বাবুকে আদর করলে সেটা দেখে ও স্থির হয়ে যায়... মায়ের কাছে এসে ফোন এগিয়ে দেয় বাবার সাথে কথা বলতে চায়... হায় সেই বাবার ইচ্ছে করেনা তার সাথে কথা বলার!!! মাঝে মাঝে ভাবি পৃথিবী কি নিষ্ঠুর বাস্তবতা তৈরি করে রাখে কারো কারো জন্যে!!! বাবার চিকিৎসা করার টাকা পাঠানোর সামর্থ্য থাকেনা আমেরিকায় থাকা কুলাঙ্গার পুত্রের!!! আবার বাবার সময় নেই নিজের 'ভালকরে কথা বলতে না পারা ছেলে'র সাথে কথা বলার!!! এতো মানুষের পৃথিবীতে এমন নিঃসঙ্গ একাকী মুক্তা আপারা এক বৈষম্যের লড়াই চালিয়ে যান... যেতে হয়, উপায়হীন... পৃথিবী আসলেই অনেক অমানবিক!!!”
এ লেখায় সাংবাদিক নঈম নিজাম-এর ফেসবুক স্ট্যাটাস উল্লেখ করেছি। যেখানে তিনি কুমিল্লা’র সন্তান হিসেবে নিজেকে গর্বিত মনে করেন। এমন গর্বিত বহুজন আছেন। যাদের জন্ম কুমিল্লায়। কুমিল্লা নিবাসী হয়েও যে কাজটি ‘একাকী মুক্তা’র জন্য যতোটা দুরূহ, সেই কাজটি কুমিল্লার প্রভাবশালী সন্তানদের জন্য ততোটা কঠিন হয়তো নয়। আমরা আশা করবো, অটিস্টিক শিশুদের জন্য দেশের প্রতিটি জেলা শহরে অন্তত একটি স্কুল নির্মাণ করা হবে।
অটিস্টিক শিশু মানে বোকা বা পাগল নয়। অটিজম শিশুরা স্কুল-কলেজ এমনকি ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করে সফলতার সঙ্গে ডিগ্রি অর্জন করার যোগ্যতা রাখে। বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী লেডি হাক এবং ডারিল হান্না_অটিস্টিক ডিসঅর্ডার তাদের সফলতার জন্য বাধা হতে পারেনি। আইনস্টাইন, আইজাক নিউটন, চার্লি চ্যাপলিন, পাবলো পিকাসো,এডলফ হিটলার,মাইকেল জ্যাকসন,পকিমন কার্টুন ছবির আবিষ্কারক সাতসি তাহেরিসহ বহু বিখ্যাত ব্যক্তি কোনো না কোনো অটিস্টিক ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত ছিলেন।
আটিজম চিকিৎসায় এখনও বিশেষ কোন ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো কোর্সও নেই। তাই অটিস্টিক শিশুদের জন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষণ,সহযোগিতা ও সহমর্মিতা। এই প্রয়োজনটুকু’র যোগান দিতে কী আমরা এগিয়ে আসতে পারি না?
মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
আপনার মন্তব্য