আজ বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

Advertise

যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর বিচার: বিবিধ বিভ্রান্তি ও প্রত্যাশা

আরিফ রহমান  

আর সব যুদ্ধাপরাধীর তুলনায় দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে আলোচনা একটু কম হওয়ার কারণ বোধ করি বেশ কয়েকটা আছে। এই লেখার শুরুতে একটা কথা পরিষ্কার বলে দেই, সাঈদীকে আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে; এর মানে কিন্তু এই না যে "এই সাঈদী সেই সাঈদী না তত্ত্ব সঠিক"।

আমাদের বিচারিক আদালতে ফাঁসি এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দুটোই সর্বোচ্চ শাস্তি, দুটোর মানই আইনের কাছে সমান। ফাঁসি আর যাবজ্জীবন নির্ভর করে একেবারেই বিচারকদের ওপরে। ট্রাইব্যুনালের মত আপিল বিভাগও বলছে যে এই সাঈদীই সেই সাঈদী। শুধু মাত্র ফাঁসির দণ্ড প্রদানের ক্ষেত্রে অধিকাংশ মতৈক্যে পৌছাতে পারেননি। কিন্তু এই সাঈদী যে সেই দেলু সেটা আদালত সন্দেহের ওপরেই মেনে নিয়েছে। সুতরাং এখনো ফাঁসিতে ঝুলেনি বলে সাঈদী রাজাকার নয় এটা বলা অযৌক্তিক।

প্রথমে যেটা বলছিলাম- সাঈদীকে নিয়ে আমরা কথা একটু কম বলতেই পছন্দ করি,
প্রথমত একটা বড় কারণ দেশের মোট জনগোষ্ঠীর বড় অংশ (ইভেন নন জামায়াতি) সাঈদীকে পছন্দ করে তাই সাঈদীর বিপক্ষে লেখা মূলস্রোতের জনমতের বিরুদ্ধে যায়।

দ্বিতীয়ত সাঈদী সম্পর্কে লিখলে গালি/হুমকি খেতে হয় বেশি (একেবারে লিখে দিতে পারি, দুই দিন পর এই পোস্টের নিচেও দেখবেন- নিশ্চিতভাবেই বলা যায়)।

তৃতীয়ত সাঈদী আসলেই অপরাধী কি না সেটা নিয়ে অনেকে সন্দিহান কারণ অন্যসব রাজাকারের হাতে গণ্যমান্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকাণ্ড/নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে, সেইসব অপরাধের বিচারের পর টেলিভিশন/টক-শো গুলোতে আমরা দেখি সেসব মামলার বিভিন্ন সাক্ষিরা উপস্থিত থেকে কথা বলেন।

যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা) রায়ের পর কিছুদিন সাকার হাতে নির্যাতিত কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাদের বক্তব্য পত্র-পত্রিকা-টেলিভিশনে খুব প্রচার হচ্ছে। কাদের মোল্লার সময় একজন প্রধান সাক্ষী বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল হক মামাকেও আমরা সহজেই ধরতে পারতাম কাদেরের অপরাধ ভেরিফাই করার জন্য। কামারুজ্জামানের বেলার তার নিজের ভগ্নিপতি লাশ দাফন করতে দেবেন না বলেছিলেন এটাও খুব ভালো প্রভাব ফেলেছিল জনমনে।

নিজামি/ গোলাম আযম/ মুজাহিদ এদের বেলায় তো কোন কথাই নাই। দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান শহিদ বুদ্ধিজীবীদের পরিবার আদালতে দাঁড়িয়ে তাদের সনাক্ত করে। মুক্তিযুদ্ধ গবেষকেরা সমস্ত প্রমাণ তুলে দিয়ে আসেন আদালতে বিচারকদের হাতে।

সাঈদীর বেলায় এত আলোচনা নেই কারণ বিশাবালি কিংবা শেফালী ঘরামী সেলিব্রেটি ছিলেন না। দয়া করে শব্দকে ভুল বুঝবেন না, আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ যথেষ্ট খেটেছে মামলার জন্য। ট্রাইব্যুনালের বিচারকেরাও রায় লিখেছেন অনবদ্য ভাষায়, এটা সবচেয়ে দীর্ঘ রায়গুলোর একটা। বিশ্বাস করবেন না কেবল নাবালক সাক্ষির জন্য মামলা বাতিল হয়েছে, চোখের ডাক্তার সাক্ষ্য দিয়েছে যে একটা নির্দিষ্ট দূরত্বের বাইরে থেকে কিছু দেখলে সেটাতে ভুলও থাকতে পারে- শুধু এই আশঙ্কা থেকে মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন বিচারকেরা, তারপরেও এত সাক্ষ্য প্রমাণ ছিলও যে ফাঁসির রায়ই এসেছিলো। অর্থাৎ ট্রাইব্যুনাল তাদের সবটুকুই করেছে নিঃসন্দেহে বরং অনেক বেশি করেছে।

আমি আলোচনার কথা বলছি আমাদের সাধারণদের কথা বোঝাতে। অথচ এই ধর্ম ব্যবসায়ি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী উচ্চস্বরে ওয়াজ করেছে;

"জাহান্নামের ইমাম;
চেনেন তো...
চেনেন না...
ঐ যে রাজাকারের নাকি বিচার করবে,
মিথ্যুক...
আলেমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী এই মহিলা। দেখেন না আলেমদের নামে মিথ্যা বলার কারণে আল্লাহ তার জবান কেড়ে নিয়েছেন। তার মুখে ক্যান্সারের খবর আপনারা জানেন..."

বলাবাহুল্য সেই জাহান্নামের ইমাম হচ্ছেন আমাদের আম্মা জাহানারা ইমাম। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আহবায়ক, গণ আদালতের স্বপ্নদ্রষ্টা, গণজাগরণের প্রেরণা, স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচারের দাবীতে গড়ে ওঠা এই পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গণ-আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি ক্র্যাক প্লাটুনের দুর্ধর্ষ যোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা শাফি ইমাম রুমি (বীর বিক্রম) -এর মা। এই মায়ের অপরাধ একটাই, তাঁর ছেলের মৃত্যুর বিচার চেয়ে আন্দোলন করা।

ঠিক তার কয়েক বছর পরের কথা; আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে রাষ্ট্রপক্ষ- দেলু, দেইল্লা বলে ডাকায় উত্তেজিত সাঈদী বিচারকদের তিরস্কার করে বলেন;

‘মাননীয় বিচারক, আমাকে এখানে আনার পর প্রসিকিউটর আমার নাম বিকৃত করে বলেছিলো। আমি আশা করেছিলাম আপনি এর প্রতিবাদ জানাবেন। কিন্তু আপনি সেটা করেননি। আপনি আদেশ দেয়ার সময় একই বিকৃত নাম বলেছেন। 'সুরা হুজরাতের ১১নং আয়াতে নামের বিষয়ে বলা আছে- কোনও মানুষকে বিকৃত করে ডেকো না।'

মানুষ কি বুঝে উঠতে পারে না সূরা হুজুরাতের এগারো নাম্বার আয়াত-  একান্ত সাঈদীর ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়।

এরপর রটনা রটলো সাঈদী নাকি যুদ্ধের সময় দুগ্ধপোষ্য শিশু ছিলো। এতকম তার বয়স- যে তার পক্ষে যুদ্ধাপরাধ করা সম্ভব নয়। ট্রাইব্যুনালেও খুব জল ঘোলা করার চেষ্টা হয়েছে বয়স নিয়ে কিন্তু সাঈদীর হিসাব গোলমাল করলো তার নিজের একটা সাক্ষাৎকার, নিজের কণ্ঠে স্বীকার করলো তার জন্ম পিরোজপুর জেলায়, ১/২/১৯৪০ সালে, যদিও পরবর্তীতে সে এফিডেভিট করে জন্ম তারিখ বানায় ১/১/১৯৪৫ সাল। তার মানে এফিডেভিটের সাপেক্ষে হিসাব করলেও ১৯৭১ সালে ২৬ বছরের তাগড়া জোয়ান।

রটনা রটলো সাঈদী জামায়াতে ইসলামের সাথে যুক্ত ছিলো না ১৯৭১ সালে। কিন্তু দেখা গেলো নিজ মুখেই এক সাক্ষাৎকারে বলেছে সে সত্তরের দশকে জামায়াতের একজন উচ্চতর পর্যায়ের রোকন ছিলো। মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে খবরা-খবর রাখা যে কোন মানুষ নিঃশঙ্কচিত্তে বলে দিতে পারে ১৯৭০ সালে জামায়াত করা একটা মানুষ কী করতে পারে ১৯৭১ সালে। আর যেহেতু সাঈদী মুক্তিযুদ্ধের পরেও দল পরিবর্তন করেনি, সুতরাং ১৯৭১ সালে দল পরিবর্তনের প্রশ্নই আসে না।

টোকিও ট্রায়ালের মত আমরা যদি সরাসরি সুপিরিয়র নেতৃত্বের বিচার করতে পারতাম তাহলে পিরোজপুরে ১৪,০০০ মানুষের গণহত্যার দায়ে তার বিচার করতে পারতাম শুধু '৭০ সালে জামায়াতের রোকন ছিলো' এই একটা তথ্যেই ওপরে দাঁড়িয়ে।

উল্লেখ করা প্রয়োজন, পিরোজপুরে এখনো ৪টা বধ্যভূমি আছে। সুতরাং ১৯৭১ সালে সাঈদীর পিরোজপুরে জামায়াতের রোকন পর্যায়ের নেতার অবস্থান এবং সেখানে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিলো এই দুটো তথ্যেই কোন সাক্ষী প্রমাণ ছাড়া আমি সাঈদীর গা থেকে রক্তের গন্ধ পাচ্ছি। আর আদালতে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ সাক্ষ্য দিয়েছিলো।

একজন সাক্ষীকে খুন পর্যন্ত করা হয়েছিলো...

মনে পড়ে সাঈদীকে সনাক্ত করে সাক্ষী দেয়ার অপরাধে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী গোলাম মোস্তফাকে ঘরের সিঁধ কেটে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিলো? গোলাম মোস্তফার স্ত্রী স্বামীকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাঁকেও কুপিয়ে আহত করা হয়?

গোলাম মোস্তফা ছিলেন বিশাবালি হত্যা মামলায় আট নম্বর সাক্ষী। আদালতে উপস্থিত থেকে আসামী সাঈদীকে সনাক্ত করেন তিনি এবং একই সাথে এই হত্যা মামলা সাঈদী জড়িত থাকার পক্ষেও সাক্ষ্য দেন তিনি। সেই বিশাবালি হত্যা মামলায়ই সাঈদীর মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলো নিম্ন-আদালত।

সবকিছু বাদ দিয়ে একটু ঘুরে আসি নিহত গোলাম মোস্তফার পরিবারের কাছ থেকে। মোস্তফা ছিলেন তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি, তাঁকে হত্যার পর তিন মেয়ে ও দুই ছেলে নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে তাঁর স্ত্রীর। কেউ তাঁদের পাশে নেই। গোলাম মোস্তফার মৃত্যুর পর তাঁর ছোট ছেলে হাফিজুল বাজারে একটা ছোট চায়ের দোকান দেয়। এখনো নিয়মিত হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে তাকে। রায়ের আগের দিন পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছিলো হাফিজুলকে।

গোলাম মোস্তফা মারা যাবার পর পাড়েরহাট বন্দরে ছোট চায়ের দোকানের আয়েই কোনো রকমে সংসার চলছে। কিন্তু রায়ের পরবর্তী সহিংসতার আশংকায় কয়েকদিন সেই চায়ের দোকান বন্ধ থাকায় তাঁদের খাবারের বন্দোবস্ত হয়নি।

আজ রাতও এই পরিবারটির হয়তো ভাত জুটবে কি না জানি না...

কেন জানি না এই লেখাটা লিখতে লিখতে চোখে পানি আসে...

আর ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিতে এসে সাক্ষীরা একে একে মরে যায়... সাক্ষ্য দেওয়ার অপরাধে মৃত সাক্ষ্যদাতার পুত্রটিও মৃত্যুর হুলিয়া নিয়ে ঘুরে বেড়ায়... মৃত সাক্ষীর পরিবার অভুক্ত-অর্ধভুক্ত থাকে দিনের পর দিন... আর সাঈদীদের জন্য প্রতিদিন হরেক রকম খাবার... মণ্ডা মিঠাই, মধু আর অলিভ অয়েল...

৬ এপ্রিল যুদ্ধাপরাধী সাঈদীর রিভিউকে আমরা যেন না ভুলে যাই...

এটুকুই কেবল কামনা...

যেন সমস্ত বাঁধা পেরিয়ে পুনর্বহাল হয় মৃত্যুদণ্ড!

আরিফ রহমান, লেখক, অনলাইন এক্টিভিষ্ট

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ১৯ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৮৯ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ