আজ শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাস্তবতা ও প্রায়োগিক প্রসঙ্গ

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ  

মানুষ মাত্রই স্বাধীনতার পূজারী। ব্যক্তি-মানুষের জীবনে স্বাধীনতার গুরুত্ব অপরিসীম। স্বাধীনতা ব্যক্তি-মানুষকে পরিপূর্ণ করে তোলে। তবে স্বাধীনতা শুধু একজন ব্যক্তি-মানুষের জীবনেই প্রয়োজনীয় তা কিন্তু নয়। তার সমষ্টিগত জীবনেও স্বাধীনতা এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই সমাজ, জাতি বা রাষ্ট্রীয় ক্ষেত্রে স্বাধীনতার স্বাদ ব্যক্তি-মানুষকে পরিপূর্ণতার এক অনন্য মার্গে উন্নীত করে।

স্বাধীনতা শব্দটির বহুমাত্রিক অন্তর্নিহিত তাৎপর্য রয়েছে। এ কারণে ভিন্ন ভিন্ন পরিসরে স্বাধীনতা শব্দটির তাৎপর্য বিভিন্নভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে ওঠে। রাজনৈতিক স্বাধীনতা, সামাজিক স্বাধীনতা, অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, সাংস্কৃতিক অথবা ব্যক্তি ও বিবেকের স্বাধীনতা- এর প্রত্যেকটি ভিন্ন ভিন্ন মাত্রায় এবং ভিন্ন ভিন্ন আলোকে স্বাধীনতা শব্দটিকে অর্থবহ করে তোলে। একই রকমভাবে রাষ্ট্রজীবনে স্বাধীনতা ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে এক নতুন মাত্রার সংযোজন করে।

একটি রাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র মূলত সেই রাষ্ট্রের প্রকৃতিগত বৈশিষ্ট্য ও রাষ্ট্র পরিচালনার ভিত্তিকে সুস্পষ্ট করে তোলে। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র যে কোন রাষ্ট্রের জন্য একটি মহামূল্যবান দলিল। তবে প্রতিটি রাষ্ট্রের একটি স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র থাকতে হবে ব্যাপারটি এমনও নয়। মূলত যেসব রাষ্ট্র পরাধীনতার শিকল ভেঙ্গে স্বাধীনতা অর্জন করেছে তাদের জন্য এটি একটি অনন্য ঐতিহাসিক দলিল।

বিশ্বে প্রথম স্বাধীনতার ঘোষণার দলিলের নজির পাওয়া যায় স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে। এটি DECLARATION OF ARBROATH নামে পরিচিত। ১৩২০ সালের ৬ এপ্রিল একটি চিঠির আকারে এই ঘোষণাপত্রটি স্বাক্ষরিত হয়। তবে উল্লেখযোগ্য যে, এই স্বাধীনতার দলিলটি মূলত স্কটল্যান্ডের প্রশাসনিক স্বাধীনতার সূচনা করে, সার্বভৌম স্বাধীনতার যে স্বরূপ তা এখানে অনুপস্থিত।

১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই তারিখে প্রণীত আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণার দলিলটি বিশ্বের ইতিহাসে একটি নতুন মাইলফলকের সৃষ্টি করে। এই দলিলটির মাধ্যমে আমেরিকার ১৩টি উপনিবেশ অধ্যুষিত অঞ্চল তাদের রাজনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করে। পরবর্তী পর্যায়ে বিশ্বের যে সকল রাষ্ট্র ঔপনিবেশিক নিয়ন্ত্রণ থেকে নিজেদের স্বাধীন করতে সক্ষম হয়েছে তাদের জন্য আমেরিকার স্বাধীনতার দলিলটি একটি আন্তর্জাতিকভাবে অনুকরণীয় দলিলে পরিগণিত হয়।

২০১৪ সালের ১১ মার্চ তারিখ পর্যন্ত বিশ্বের মোট ৯৫টি রাষ্ট্র তাদের নিজ রাষ্ট্রের জন্য স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ রাষ্ট্র তার স্বাধীনতা ঘোষণা করে। ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি তৎকালীন মুজিবনগর সরকার জারি করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি বিভিন্ন কারণে বিশ্বের ইতিহাসে ব্যতিক্রমী একটি ধারার জন্ম দেয়। বাংলাদেশ হলো বিশ্বের প্রথম রাষ্ট্র যে নাকি সফলভাবে আত্মনিয়ন্ত্রণের আইনানুগ অধিকার প্রয়োগ করে একটি নতুন রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছে। আর তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি একটি অনন্য ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে পরিগণিত।

বাংলাদেশের ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে ঘোষিত এবং জারি করা হয়। একজন ব্যক্তি-মানুষ যেমন জন্মগতভাবে স্বাধীন, একটি জাতিগোষ্ঠীও তেমনি স্বাধীনতার দাবিদার। এই মূলমন্ত্রটির বহিঃপ্রকাশই ঘটেছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই জারিকৃত যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের আদলে অনুপ্রাণিত। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি মূলত একটি অনুকরণীয় মডেল, যা নাকি বিশ্বে স্বাধীনতা অর্জনের মাধ্যমে নতুন রাষ্ট্র সৃষ্টির ক্ষেত্রে এক বিশাল প্রভাব বিস্তারে সক্ষম হয়েছে। ১৭৭৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণার ১৩ বছর পরেই ১৭৮৯ সালে ফরাসী স্বাধীনতা ঘোষণাপত্রে যদিও আমরা একই রকম স্বাধীনতাকামী চেতনার উন্মেষ দেখতে পাই, তবে ভাষাগতভাবে যুক্তরাষ্ট্রের এবং ফরাসী স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বেশ পার্থক্য রয়েছে। তবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি হওয়ার পূর্বে বিশ্বের অন্য অনেক নতুন রাষ্ট্রই তাদের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে যুক্তরাষ্ট্রের মডেল সরাসরিভাবে অনুকরণ করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১৭৯০ সালের প্রভিন্স অব ফ্যান্ডার্সের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, ১৮১১ সালের ভেনিজুয়েলার স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, ১৮৪৭ সালের লাইবেরিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, ১৯৪৫ সালের ভিয়েতনামের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ইত্যাদি।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটির খসড়া প্রণয়ন করেন ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী গণপ্রতিনিধি ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটির বিশ্লেষণে দেখা যায় যে, এতে মোট ৫টি গুরুত্বপূর্ণ অংশ রয়েছে। প্রথম ভাগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার ঐতিহাসিক কারণসমূহ বিধৃত হয়েছে। দ্বিতীয় ভাগে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তৃতীয় ভাগে নতুন রাষ্ট্রের সরকারের রূপরেখার বিবরণ দেয়া হয়েছে। চতুর্থ ভাগে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপট উল্লিখিত হয়েছে। পঞ্চম ভাগে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটির কার্যকর হওয়ার তারিখ নির্দিষ্ট করা হয়েছে।

প্রথম ভাগে উল্লেখ করা হয়েছে যে, কেন, কি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির জন্ম অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। এই ভাগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চে ‘বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ কর্তৃক স্বাধীনতা ঘোষণার ব্যাপারটির সর্বজনবিদিত স্বীকৃতি। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের প্রথম ভাগটিকে পাকিস্তান রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগনামা হিসেবেও চিহ্নিত করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রেও কিন্তু একই রকমভাবে রাজা তৃতীয় জর্জের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের অবতারণা করা হয়েছে। এই ধরনের অভিযোগনামার অবতারণা করা স্বাধীনতাকামী নতুন রাষ্ট্রের জন্য আসলে খুব জরুরী। কেন জরুরী? কেননা যদি নতুন রাষ্ট্রটি তার স্বাধীনতা দাবির সপক্ষে জোরালো যুক্তি উপস্থাপন না করতে পারে, তবে তাদের পদক্ষেপকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অপপ্রয়াস বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

ঔপনিবেশিক প্রভুর কর্তৃত্ব থেকে যখন কোন রাষ্ট্র তার স্বাধীনতা দাবি করে তখন ব্যাপারটি আন্তর্জাতিক বিষয় বলেই ধরে নেয়া হয়। কেননা ঔপনিবেশিক সম্পর্ক মূলত দুটি রাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে ঘিরেই গড়ে ওঠে। কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠিত-স্বীকৃত রাষ্ট্রের কোন অভ্যন্তরীণ জনগোষ্ঠী যখন ওই রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষণা করে তখন ব্যাপারটি মূলত ওই রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ফলে ওই জনগোষ্ঠীর স্বাধীনতার দাবিকে আন্তর্জাতিক মহল বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন বলে ধরে নেয় এবং দাবিকৃত নতুন রাষ্ট্রকে কখনই স্বীকৃতি দিতে চায় না। যেমন : কাতাঙ্গা যখন ১৯৬০ সালে কঙ্গোর বিরুদ্ধে অথবা বায়াফ্রা যখন ১৯৬৭ সালে নাইজেরিয়ার বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষণা করে তখন তাদের স্বাধীনতা ঘোষণাকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অপপ্রয়াসরূপে চিহ্নিত করা হয় এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ব তাদের রাষ্ট্ররূপে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে।

১৯৭১ সালে যখন পাকিস্তান রাষ্ট্রের অন্তর্গত বাঙালী জনগোষ্ঠী ঠিক একই রকমভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়, তখন তারা সফল হয় এই স্বাধীনতার পক্ষে জোরালো যুক্তি উপস্থাপন করতে। ফলে, বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটিকে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয় আন্তর্জাতিক বিশ্ব। এদিক থেকে দেখতে গেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের প্রথম ভাগে স্বাধীনতা ঘোষণার যে যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে, তার নিঃসন্দেহে ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে।

আমি অভিভূত হই যখন দেখি আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাধীনতা ঘোষণার সপক্ষে যে যুক্তি তুলে ধরা হয়েছে তা অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে, সহজ ভাষায়, অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত ধারায় এবং ন্যুনতম প্রয়োজনীয় শব্দের ব্যবহারে উপস্থাপন করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা ঘোষণাপত্রে স্বাধীনতার দাবিকে দার্শনিক ব্যাখ্যা দিয়েছেন টমাস জফারসন। তার দার্শনিক রূপরেখা বিশ্ববাসীকে চমকিত করেছে এ ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই। অপরদিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাধীনতাকে মূর্ত করা হয়েছে একটি বাস্তবিক প্রয়োজন হিসেবে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র তাই আন্তর্জাতিক বিশ্বে একটি যুগান্ত সৃষ্টিকারী অবদান রেখেছে। আজকের উন্নয়নশীল বিশ্বে স্বাধীনতাকে দর্শনের বেড়াজালে আর আবদ্ধ রাখা সম্ভব নয়। স্বাধীনতা আজ পৃথিবীর যে কোন জাতিগোষ্ঠীর একটি জীবন্ত প্রয়োজন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণাপত্র প্রথমবারের মতো বিশ্বে এই ধ্রুব সত্যটি সার্থকভাবে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে।

দার্শনিক রুশো প্রতিষ্ঠা করেছিলেন যে, একজন ব্যক্তি-মানুষ জন্মগতভাবেই স্বাধীন। আর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র প্রতিষ্ঠা করেছে একটি জাতিগোষ্ঠী তার জাতিসত্তার উন্মেষ থেকেই স্বাধীন। স্বাধীনতার এই যে ব্যক্তি থেকে জাতিগোষ্ঠীর পরিমণ্ডলে উত্তরণ তাকে আমি দার্শনিক জয়যাত্রা হিসেবে দেখি না। আমি মনে করি ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের খসড়াতে স্বাধীনতা চেতনার একটি নতুন দিক উন্মোচন করেছেন। স্বাধীনতাকে তিনি দর্শনের প্রাসাদ থেকে মুক্ত করে তার জীবন্ত ও প্রায়োগিক (Pragmatic) ব্যবহারের মাধ্যমে সাধারণ জনপদের দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজন হিসেবে স্থাপন করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি এই কারণেই বিশ্বে অনন্য।

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, আইনজীবী ও আইনের অধ্যাপক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ