আজ শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

বৃষ্টি বিলাস, হাওরের কান্না ও একজন রমেলের মৃত্যু

চিররঞ্জন সরকার  

এক.

বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি। আমাদের মধ্যবিত্ত মানস বৃষ্টি এলে কেমন আলুথালু হয়ে যায়। আমরা কবি হয়ে যাই। প্রেমিক হয়ে যাই। ভোজনরসিক হই। ইলিশ-খিচুড়ির সন্ধান করি। টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ শুনে গান-কবিতা রচনা করি।

আমরা ডিজিটাল যুগের আশ্চর্য মানুষ। আমরা সব দেখি। সব শুনি। একটু আহা-উহু করি। তারপর নিশ্চিন্তে নিজেদের আরামদায়ক জীবনে ফিরে যাই। ধানের রাজধানী হাওরাঞ্চলের ফসল ভেসে গেছে বন্যায়। কিন্তু আমরা তার খবর রাখি না। আমরা ভাত খাই বটে, কিন্তু ধান ফলাই না। যাদের আছে স্যাটেলাইট টিভি আর ইন্টারনেট চালানোর খরচ, তারা উটপাখির মতো মুখ লুকাতে পারে টিভিতে আর স্পর্শসুখ পেতে পারে অ্যান্ড্রোয়েড টাচস্ক্রিনের। আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই মাটির সঙ্গে, পানির সঙ্গে, আবহাওয়ার সঙ্গে। চালের দাম বাড়া, ফসলের ক্ষতি আমাদের জীবনে কোনো প্রভাব ফেলে না।

আমরা বড়ই রোমান্টিক। ঝড়-বাদলে আমাদের মন তা তা থই থই করে নেচে ওঠে। বন্যার অপার জলরাশির মোহনীয় সৌন্দর্য আমাদের মুগ্ধ করে। আমরা কাব্য করি। ছবি তুলি। সৌন্দর্যের জয়গান করি। কিন্তু দেশের লাখ লাখ কৃষক যে আসাম ও মেঘালয়ের পাহাড় থেকে নেমে আসা হঠাৎ ঢলের মুখে আল্লাহ-খোদার নাম জপছেন, অনাহারে-অর্ধাহারে বেনোজলে নিজেদের চোখের জল মিশিয়ে কোনো মতে বেঁচে আছেন, তাদের কথা আমরা শুনতে চাই না। তাদের দুঃখ আমরা দেখতে চাই না। আমাদের রোমান্টিক জগৎ থেকে তাদের আমরা প্রবেশ নিষেধ করে রেখেছি!

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরেই চলছে বৃষ্টি। ব্যাপক বৃষ্টিপাতের কারণে দেশের অনেক অঞ্চলে ভয়াবহ দুর্যোগ নেমে এসেছে। অপরিণামদর্শী উন্নয়নের জোয়ারে চট্টগ্রাম নগরী তলিয়ে গেছে। লাখ লাখ মানুষ নিদারুণ কষ্ট ভোগ করছেন। তাদের কষ্ট মোচনের কোনো উদ্যোগ নেই। ওদিকে, এবছর ফলন ভালো হওয়ায় হাওড়ের কৃষকেরা স্বপ্ন দেখছিলেন বাম্পার ফলন ঘরে তুলবেন। কিন্তু ধান পাকার আগেই হঠাৎ করে টানা অকাল বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জের বিস্তীর্ণ হাওর অঞ্চলের হাজার হাজার হেক্টর জমির উঠতি বোরো ফসল তলিয়ে গেছে।

কয়েকদিন আগে যেখানে বোরো ধানের ফসলে বিস্তৃত সবুজের সমারেহ ছিল, সেখানে এখন চারদিকে শুধু পানি আর পানি। ঝড়, বৃষ্টি ও শীলাতে হাওর তীরের বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতিতে কৃষকদের মধ্যে চরম হতাশা বিরাজ করছে। বোরো ধান সম্পূর্ণ তলিয়ে যাওয়ায় হাওর তীরে এবার তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দেবে বলে আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

খবরে বেরিয়েছে, হাওরে বাঁধ ভাঙার জন্য দায়ী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু দুর্নীতিপ্রাণ কর্মকর্তা এবং তাদের সহযোগী ঠিকাদার। প্রকাশিত খবর মতে, ২০ শতাংশ ঘুষ দিয়ে সময়মতো বাঁধ নির্মাণ ও মেরামতের কাজ শেষ করা হয়নি। যে কাজে ২০ শতাংশ ঘুষ দিতে হয়, সেখানে ঠিকাদারের দুর্নীতি কত শতাংশ হবে, তা অনুমান করা কঠিন না। গত বছরও ফসল মারা গিয়েছিল নেত্রকোণা, কিশোরগঞ্জ, সুনামগঞ্জসহ বিশাল হাওরাঞ্চলে। এবার তাই কৃষকেরা আগাম দাবি জানিয়ে আসছিলেন, সময়মতো বাঁধের কাজ যেন শেষ করা হয়। যেন বাঁধ নির্মাণে ফাঁকি ও দুর্নীতি না হয়।

কিন্তু অপ্রতিরোধ্য দুর্নীতির উন্নয়ন সে কথা শোনেনি। কাজ শেষ হয়নি, বিপুল দুর্নীতি হয়েছে এবং ঢলের মুখে সেই বাঁধ ভেসে গেছে। যাদের কারণে এমন সংকট সৃষ্টি হলো, তাদের কি বিচার হবে? তারা চিহ্নিত হবে? নাকি আমরা মেতে থাকবো, হাইকোর্টের সামনে নির্মিত ভাস্কর্যয সরানো না-সরানোর তর্কে?

হাওরাঞ্চলে ফসল একটাই হয়, যাকে বলে বোরো ধান। বাকি সময় এলাকাটা ডুবে থাকে পানির নিচে। সবেধন নীলমণি বোরো মরে গেলে কৃষকের আর কিচ্ছু করার থাকে না। চরম হতাশা আর অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটছে প্রতিটি পরিবারের। চালের আড়তগুলোতে ভিড় বাড়ছে, দাম বাড়ার কারণে অনেকে ভাত খাওয়ার চালটুকুও কিনতে পারছে না। গরু বিক্রির লাইন শুরু হয়ে গেছে হাটে, কে কিনবে? সবার একই অবস্থা।

খেলাপিদের আরও ঋণ দেওয়া হয়, লোকসানের ধোঁয়া তুলে সহায়তা পান বড় শিল্পপতিরা, ঋণ করে অস্ত্রও কিনি, চুক্তি করি। কিন্তু যারা সব সাধকের বড় সাধক, সেই চাষাদের জন্য আমাদের কোনো দরদ নেই। নেই কোনো বিশেষ প্রণোদনা!

মরার উপর খাড়ার ঘা হিসেবে এখন আবার সুনামগঞ্জের হাওড়ের পানিতে মাছ, হাঁসসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণীর মরে পড়ে থাকার দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার দূরে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে রয়েছে ওপেনপিট ইউরেনিয়াম খনি। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, ইউরেনিয়ামের বিষক্রিয়ায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত রামসার সাইট-খ্যাত টাঙ্গুয়ার হাওরের পানিতে জলজপ্রাণীর এমন অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটতে পারে। এমন অবস্থায়, এশিয়ার দুটি বৃহৎ জলাশয় হাকালুকি ও টাঙ্গুয়ার হাওরের জলজপ্রাণীর মৃত্যুর সঙ্গে ভারতের ওপেনপিট ইউরেনিয়াম খনির কোন সম্পর্ক রয়েছে কী না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।

কিন্তু কোথায় রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ? এত বড় দুর্যোগের পরও নীতিনির্ধারকদের কানে পানি যাচ্ছে না কেন?

দুই.

আইনের চোখে সবাই সমান। রাষ্ট্রের সব নাগরিক আইনে সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। কেবল বিধিবদ্ধ আইনই নয়, আমাদের সংবিধানের মাধ্যমেও নাগরিকের সে অধিকারকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। সংবিধানে তৃতীয় ভাগের মৌলিক অধিকার অংশে ২৭ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। এই অধিকারটি শুধু অধিকারই নয়, মৌলিক অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। মৌলিক অধিকার হচ্ছে এমন অধিকার, যা রাষ্ট্র তার নাগরিকদের প্রদান করতে আইনত বাধ্য। অর্থাৎ, রাষ্ট্র নাগরিকদের এ সব মৌলিক অধিকার বলবৎ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। 
কিন্তু সংবিধানের এই ঘোষণা আজ মাঠে মারা যেতে বসেছে। একজন আদিবাসী ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করে তার লাশ পর্যন্ত পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। দেশের প্রধান সংবাদ মাধ্যমগুলোতে এই খবর পাওয়া যায়নি। খবরটি গায়েব হয়ে গেছে!

রমেলের পরিবারসূত্রে জানা যায়, রাঙামাটির রমেল চাকমা একজন কলেজ ছাত্র। সে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী (ডান চোখে দেখতে পায় না)। সে নান্যাচর কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল। নান্যাচর সদর থেকে তার গ্রামের দূরত্ব প্রায় ১২ কিলোমিটার। তাই সে পরীক্ষার সুবিধার্থে নান্যাচর উপজেলা সদরে একটি বাসা ভাড়া নেয়। সেখান থেকেই সে নিয়মিত পরীক্ষা দিচ্ছিল। একজন ছাত্র হিসেবে ছাত্র রাজনীতির সঙ্গেও যুক্ত ছিল সে।

৫ এপ্রিল পরীক্ষা না থাকায় সে নান্যাচর বাজারে গিয়েছিল তরিতরকারি ও প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে। বাজার থেকে জিনিসপত্র কিনে ফেরার পথে সকাল ১০টার দিকে তাকে একদল সেনা সদস্য আটক করে তুলে নিয়ে যায় নান্যাচর সেনা জোনে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর তার উপর চালানো হয় সীমাহীন নির্যাতন। নির্যাতনের কারণে সে গুরুতর অসুস্থ ও অজ্ঞান হয়ে পড়ে।

এরপর সন্ধ্যার দিকে সেনা সদস্যরা বিনা চিকিৎসায় তাকে নিয়ে আসে থানায় হস্তান্তর করতে। কিন্তু রমেলের শারীরিক অবস্থা বেগতিক দেখে থানা কর্তৃপক্ষ তাকে গ্রহণ করেনি। সেনারা অসুস্থ রমেলকে নিয়ে যায় উপজেলা হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও মুমূর্ষ রমেলকে ভর্তি করেনি। এরপর তাকে নিয়ে যাওয়া হয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে তাদের নজরদারি ও পুলিশের পাহারায় যেনতেনভাবে চিকিৎসা চলতে থাকে। এভাবে দুই সপ্তাহ ধরে চলে চিকিৎসা। তার অবস্থা দিন দিন অবনতি হতে থাকে। সর্বশেষ তাকে কিডনি চিকিৎসা করানো হয়। কিডনি রোগ বিভাগের ১৮নং ওয়ার্ডেই ১৯ এপ্রিল দুপুরে সে মারা যায়।

সর্বশেষ রমেলের মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করে শুক্রবার দুপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে তার লাশ পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ।

রমেলের মৃত্যুর বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের জিজ্ঞাসায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রাশিদুল হাসান বলেন, একটি ট্রাক পোড়ানো ও দুটি বাস লুটের মামলার ওই আসামিকে গত ৫ এপ্রিল আটক করা হয়েছিল। সেদিনই তাকে নান্যারচর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।

আইএসপিআরের পরিচালকের ভাষ্যমতে, একটি ট্রাক পোড়ানো ও দুটি বাস লুটের মামলার আসামি ছিল রমেল। এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী একজন কিশোরকে তাই বলে আদালত কিংবা পুলিশে না দিয়ে সেনা-ছাউনিতে নিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলা হবে? নির্যাতনের চিহ্ন মুছে ফেলতে তার লাশটিকে পুড়িয়ে ফেলা হবে? তনুর মতো এ ঘটনাটিও কী অন্ধকারে হারিয়ে যাবে?

এই কি গণতান্ত্রিক দেশ? এই দেশে আইন, আইনের শাসন কি স্থগিত করা হয়েছে? দেশটা কি কিছু ক্ষমতাবান গোষ্ঠীর কাছে লিজ দেওয়া হয়েছে?

যদি ক্ষমতাসীনদের ন্যূনতম বিবেকবোধ থাকে, সততা, ন্যায়, ধর্মের প্রতি সামান্যতম বিশ্বাস থাকে, তাহলে এই ঘটনার দ্রুত বিচার ও অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক! আর তা না হলে সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী- এই অনুচ্ছেদটি সংবিধান থেকে মুছে ফেলা হোক!

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪২ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ