প্রধান সম্পাদক : কবির য়াহমদ
সহকারী সম্পাদক : নন্দলাল গোপ
টুডে মিডিয়া গ্রুপ কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
Advertise
জহিরুল হক বাপি | ০৯ মে, ২০১৭
কখনও কখনও গরম কেটে বাতাস বেরিয়ে আসে। শরীর শীতল হতে পারতো, কিন্তু হয়না মনের জ্বলুনিতে।
কি হচ্ছে আমাদের চারপাশে? কি হচ্ছে তাতো দেখতেই পাচ্ছি। এখনতো আর এমন হওয়ার কথা না। কিন্তু হচ্ছে!
মনে হচ্ছে মচ্ছব শুরু হয়েছে। মচ্ছব যেমন চলছে সিনসিয়ারিটির, তেমনি চলছে অসততারও।
দুই দিন আগে ঝিনাইদহে জঙ্গি পাওয়া গেল। কয়েক জন পুলিশ আহত হলেন। গত কয়েক মাসে আহত নিহত পুলিশের সংখ্যা কম না। বিশেষ করে স্পেশাল বাহিনীগুলো মনে হয় বুলেটের আগায় ঘুমায়। যখন তখন ডাক আসতে পারে।
বিষাদের শঙ্খ বাজতে থাকে কি তখন?! এই দেখাই শেষ দেখা? এ স্পর্শই কি শেষ স্পর্শ? অথবা এইবার শেষ সুস্থ, পূর্ণাঙ্গ শরীরে ডিউটিতে যাওয়া?
পুলিশ বাহিনীর বিশেষায়িত গ্রুপগুলো ভালো কাজ দেখাচ্ছে। আগে একটা কথা প্রচলিত ছিল - পুলিশের কাছে মাইয়া বিয়া দিমু না। এমন হয়েছিল পুলিশের আচরণে।
পুলিশের প্রতি সাধারণ মানুষের মনোভাব বদলাতে শুরু করে ২০১৩ এর পর। মানুষ যেন দীর্ঘ দিন পর বুঝতে পারে পুলিশ তো আমাদের স্বজন। আমাদের নিরাপত্তার জন্যই তো তারা। পুলিশ মানুষকে এটা দেখাতে পেরেছিল মানুষও বিশ্বাস করতে, ভালোবাসতে শুরু করেছিল। কিন্তু আবার সব পিছে যাচ্ছে।
এক মণ দুধে এক ফোটা তেঁতুল বা বড় এক ডেগ বিরিয়ানি নষ্ট করার জন্য একটা তেইল্লাচুরাই যথেষ্ট। পুলিশ নষ্ট করছে কিছু তেল্লাচুরা।
ব্যক্তিগত দুইটা অভিজ্ঞতা বলি । একই মানুষের সাথে। সোয়াট, পুলিশ, র্যাব যখন বেশি একশনে যাচ্ছিল ঘন ঘন জঙ্গি নিধনে। তখন এক মুরুব্বীকে দেখেছি তাদের জন্য প্রচণ্ড সহমর্মী হতে। বারবার তাদের বৌ, সন্তান, মায়ের জন্য উৎকণ্ঠিত হতে। এ মুরুব্বী আজ পুলিশকে গালি দিলেন। পুলিশের রক্ত, পুলিশের প্রাণ পুলিশেই বিক্রি করে দিলেন মাত্র কয়েক টাকায়।
ধরলাম চাকরি হারানোর ভয়ে বনানী থানা মামলা নিতে চাইলো না, কিন্তু কোন ক্ষমতা ভয়ে আয়শাও বিচার পেল না।
গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার যদি থানার কর্মকর্তাদের চেয়ে বেশি ক্ষমতাবান হয়ে যেত তবে সিস্টেম ভেঙে পড়ার কথা এত দিনে। বিষয়টা টাকার। আজ যে পুলিশ টাকার জন্য ধর্ষণ মামলা নিচ্ছে না, এরে-তারে ধরে আনছে টাকার জন্য সেও কাল বিশেষায়িত বাহিনীতে বদলী হতে পারে। গুলি খেয়ে মারাও যেতে পারে। কিন্তু মারা যাওয়ার সময় টাকা পয়সা রেখে গেলেও পরিবারকে করে যায় নিস:ঙ্গ। তার মৃত্যুকে অনেক ভুক্তভোগী ভাববে - আল্লাহর বিচার।
জেলাখানায় যান, বেশিরভাগই ড্রাগস আর নারীঘটিত মামলা। টহল পুলিশ মানুষের জাইঙ্গার ভিতর থেকে লুকানো ইয়াবা বের করে ফেলে কিন্তু শত শত কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করতে পারছে না। কেন? অথচ এ বিস্ফোরকে মারা যাচ্ছে তাদের সহকর্মী বন্ধু। এ বিস্ফোরকগুলো যায় কিভাবে?
পুলিশবাহিনী কি গুটিকয়েক এমন অসৎ পুলিশের চাকরীর দায়ের বদলে নিজেদের সম্মান, গৌরব বিকিয়ে দেবে?
মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।
আপনার মন্তব্য