আজ শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

Advertise

কেন আমরা ভাস্কর্যের পক্ষে

এমদাদুল হক তুহিন  

ভাস্কর্য হচ্ছে কোন দেশের শিল্প সংস্কৃতির নিদর্শন। আরব বিশ্ব সহ প্রতিটি দেশেই আছে। সৌদি আরবে উটের ভাস্কর্য রয়েছে। এমনিভাবে আরও অনেক দেশে। বাংলাদেশে শুধু এটিই একমাত্র ভাস্কর্য নয়। একা মৃণাল হকই খুব সম্ভবত ২৮ টি ভাস্কর্য নির্মাণ করেছেন। এর মধ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধকে তুলে ধরে এমন ভাস্কর্য রয়েছে ৬ টি।

জাগ্রত চৌরঙ্গী নামের ভাস্কর্যটি রয়েছে গাজীপুরের জয়দেবপুরে। উইকিপিডিয়া বলছে, জাগ্রত চৌরঙ্গী মুক্তিযুদ্ধের মহান শহীদদের অসামান্য আত্মত্যাগের স্মরণে নির্মিত ভাস্কর্য। ভাস্কর আবদুর রাজ্জাক জাগ্রত চৌরঙ্গীর ভাস্কর। এটি ১৯৭৩ সালে নির্মাণ করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণায় নির্মিত এটিই প্রথম ভাস্কর্য। ১৯৭১ সালের ১৯ মার্চের আন্দোলন ছিল মুক্তিযুদ্ধের সূচনাপর্বে প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধযুদ্ধ। আর এই প্রতিরোধযুদ্ধে শহীদ হুরমত উল্যা ও অন্য শহীদদের অবদান এবং আত্মত্যাগকে জাতির চেতনায় সমুন্নত রাখতে জয়দেবপুর চৌরাস্তার সড়কদ্বীপে স্থাপন করা হয় দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যকর্ম জাগ্রত চৌরঙ্গী।

এর পরেই উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্যটি হচ্ছে 'সংশপ্তক'। এটি সাভারের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৯০ সালের ২৬ মার্চ নির্মিত হয়। এ ভাস্কর্যটির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যুদ্ধে শত্রুর আঘাতে এক হাত, এক পা হারিয়েও রাইফেল হাতে লড়ে যাচ্ছেন দেশমাতৃকার বীর সন্তান। যুদ্ধে নিশ্চিত পরাজয় জেনেও লড়ে যান যে অকুতোভয় বীর সেই সংশপ্তক। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক পায়ে ভর করে দাঁড়িয়ে আছে ভাস্কর্যটি। এর ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান।

তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে অপরাজেয় বাংলা। এই ভাস্কর্যটিকে সবাই এক বাক্যে চিনে। উইকির তথ্যমতে, 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে বন্দুক কাঁধে দাঁড়িয়ে থাকা তিন নারী-পুরুষের ভাস্কর্য যেটি সর্বস্তরের মানুষের স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে সেটি 'অপরাজেয় বাংলা'। এর তিনটি মূর্তির একটির ডান হাতে দৃঢ় প্রত্যয়ে রাইফেলের বেল্ট ধরা বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি। এর মডেল ছিলেন আর্ট কলেজের ছাত্র মুক্তিযোদ্ধা বদরুল আলম বেনু। থ্রি নট থ্রি রাইফেল হাতে সাবলীল ভঙ্গিতে দাঁড়ানো অপর মূর্তির মডেল ছিলেন সৈয়দ হামিদ মকসুদ ফজলে। আর নারী মূর্তির মডেল ছিলেন হাসিনা আহমেদ। ১৯৭৯ সালের ১৯ জানুয়ারি পূর্ণোদ্দমে অপরাজেয় বাংলার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৭৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় এ ভাস্কর্যের উদ্বোধন করা হয়। তবে অপরাজেয় বাংলার কাছে ভাস্করের নাম খচিত কোন শিলালিপি নেই। স্বাধীনতার এ প্রতীক তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন গুণী শিল্পী ভাস্কর সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনের বেদিতে দাঁড়ানো তিন মুক্তিযোদ্ধার প্রতিচ্ছবি যেন অন্যায় ও বৈষম্য দূর করে দেশে সাম্য প্রতিষ্ঠার গান গাইছে। এ ভাস্কর্যে সব শ্রেণীর যোদ্ধার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা হয়েছে।'

এমনি করে রয়েছে 'স্বোপার্জিত স্বাধীনতা', 'সাবাস বাংলাদেশ', ও বিজয় '৭১' নামের ভাস্কর্য। স্বোপার্জিত স্বাধীনতা ভাস্কর্যটি ঢাবির টিএসসির পশ্চিম পাশে ডাসের পেছনে অবস্থিত। এ ভাস্কর্য অন্যায়-অত্যাচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের অনুপ্রেরণা যোগায়। একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে এ ভাস্কর্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। এটি একাত্তরে পাকিস্তানী হানাদারের অত্যাচারের একটি খণ্ড-চিত্র। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর এর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ১৯৮৮ সালের ২৫ মার্চ এটির কাজ শেষে উদ্বোধন করা হয়। এটি গড়েছেন অন্যতম কীর্তিমান ভাস্কর শামীম সিকদার। এটির চৌকো বেদির ওপর মূল ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। সাবাস বাংলাদেশ নামের ভাস্কর্যটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়বে। এটির ভাস্কর নিতুন কুণ্ডু। আর বিজয় '৭১' নামের ভাস্কর্যটি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন মিলনায়তনের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে 'বিজয় '৭১'। ভাস্কর্যে একজন নারী, একজন কৃষক ও একজন ছাত্র মুক্তিযোদ্ধার নজরকাড়া ভঙ্গিমা বার বার মুক্তিযুদ্ধের সেই দিনগুলোতে নিয়ে যায় দর্শনার্থীদের।

এছাড়াও উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্যের মধ্যে অন্যতম নিদর্শন রাজু ভাস্কর্য। যা রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত। শাহবাগ থেকে ঢাবিতে যাওয়ার পথে টিএসসির আগে তরুণ-তরুণীর হাতে হাত রেখে মুষ্টিবদ্ধ যে প্রতিবাদী অবয়ব দেখা যায়, সেটিই রাজু ভাস্কর্য। ১৯৯২ সালের ১৩ মার্চ গণতান্ত্রিক ছাত্র ঐক্যের সন্ত্রাস বিরোধী মিছিল চলাকালে সন্ত্রাসীরা গুলি করলে মিছিলের নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের-এর কেন্দ্রীয় নেতা মঈন হোসেন রাজু নিহত হন। রাজুসহ সন্ত্রাস বিরোধী আন্দোলনের সকল শহীদের স্মরণে নির্মিত এই ভাস্কর্য ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য এ. কে. আজাদ চৌধুরী উদ্বোধন করেন। এই ভাস্কর্য নির্মাণে জড়িত শিল্পীরা ছিলেন ভাস্বর শ্যামল চৌধুরী ও সহযোগী গোপাল পাল। নির্মাণ ও স্থাপনের অর্থায়নে ছিলেন - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক আতাউদ্দিন খান (আতা খান) ও মুন্সিগঞ্জ-বিক্রমপুর সমিতির সভাপতি, লায়ন নজরুল ইসলাম খান বাদল। ভাস্কর্যটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। অর্থাৎ ভাস্কর্যের সঙ্গে আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য জড়িয়ে আছে। আছে প্রতিবাদের নিদর্শনও। তাই স্থাপিত কোন একটি ভাস্কর্য অপসারণ বা অন্য স্থানে স্থানান্তরিত করা মানে প্রকারান্তরে সকল ভাস্কর্যের উপর আঘাত। যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পরিপন্থী। এমন কোন পদক্ষেপ দেশ বিরোধী বা দেশের ঐতিহ্য সহ্য করতে পারে না ওই গোষ্ঠীর ষড়যন্ত্র। তারা প্রকারান্তরে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মুছে ফেলতে চায়। স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রতিষ্ঠিত করতে চায়।

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে স্থাপিত ভাস্কর্যটির বিরোধিতা করতে গিয়ে প্রথমে ওলামা লীগ আপত্তি তুলে। পরে হেফাজতে ইসলাম গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে জানায়, এটি গ্রীক দেবী থেমিসের অবয়ব। যা গ্রিক সংস্কৃতি থেকে ধার করা। তবে ভাস্কর মৃণাল হকের মতে এটি গ্রিক দেবী নয়। বাঙালি নারীর অবয়ব। যা ন্যায় বিচারের প্রতীক। তাই এটি স্থাপনে আমার কোন আপত্তি নেই। কেননা অন্যান্য যেসব ভাস্কর্য রয়েছে তাতেও নারীর অবয়ব রয়েছে। কোন না কোন ভঙ্গিমায় সংস্কৃতি বা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। এক্ষেত্রেও শাড়ি পরিহিত নারী অবয়বের হাতে দাঁড়িপাল্লা দ্বারা ন্যায় বিচার ও তলোয়ার দ্বারা শাসন বুঝানো হয়েছে। বেঁধে দেয়া চোখ দ্বারা সবার প্রতি সমান বুঝানো হয়েছে। তাই এই নারী অবয়ব নিয়ে আমার আপত্তি নেই। তবে বিশ্বের একাধিক দেশেই এমন ভাস্কর্য রয়েছে। তাই এটি আসলেই অন্যের সংস্কৃতি থেকে আনা হয়েছে এই তথ্যের কিছুটা ভিত্তি থেকে যায়। আর এটিকেই ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করেছে হেফাজত। সুপ্রিম কোর্ট অভ্যন্তরের সকল বিষয়ের এখতিয়ার প্রধান বিচারপতির। তিনি প্রথমে ভাস্কর্য নির্মাণে সায় দেন। এবং মৃণাল হক ওই ভাস্কর্য স্থাপন করেন। পরে হেফাজতের দাবীর মুখে এই ভাস্কর্যের বিপক্ষে প্রধানমন্ত্রীর অবস্থান স্পষ্ট হলে হেফাজতের দাবী আরও জোরালো হয়। এবং বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে ভাস্কর্য অপসারণের কাজ শুরু হয়। এর আগে প্রধান বিচারপতি অন্যান্য বিচারপতির সিদ্ধান্ত নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে ভাস্কর্য সরানোর পক্ষে মত দেন। এবং তা পরে এনেক্স ভবনে স্থাপন করা হয়। অর্থাৎ হেফাজতের দাবির মুখে ভাস্কর্য গেছে আড়ালে।

আমাদের আপত্তি এখানেই। এই দলটি নারীর স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়। তাদেরকে ঘরে বন্দি করে রাখতে চায়। নারীকে তারা তেঁতুল মনে করে। যখন আমরা স্বাধীনতা বিরোধীদের পক্ষে কথা বলছি, তখন তারা নাস্তিক আখ্যা দিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। মতিঝিলে চালায় নারকীয় তাণ্ডব। তাদের নেতৃত্বে আঘাত করা হয় পবিত্র কোরআন শরীফেও!

অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাতেই রাজপথে দাঁড়িয়ে আমরা স্লোগান দিয়েছি। দিয়েছে বামাপন্রাথীও। কিন্তু তারা সুপ্রিম কোর্টের প্রবেশ মুখের গ্রিল ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করতে চেয়েছিল। সেখানে আমাদের বড় ভাইরা বাঁধা দিয়েছেন। প্রতিবিপ্লবে অংশ নেওয়া যাবে না বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তারপরও শুক্রবার বামদের সংগঠন পুলিশের সাথে জড়িয়েছে। প্রচার পাওয়ার নেশায় সেটা থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়িয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে, অতঃপর ফুলের মালা। তারা এটি বৃহস্পতিবার রাতেই চেয়েছিল। কিন্তু আমাদের বাধার মুখে পেরে উঠেনি।

তৎপরবর্তী সময়ে শাহবাগে এক মিছিলে ইমরান সরকারের নেতৃত্ব শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়া হয়েছে। কিন্তু ইমরান সরকারই বর্তমান সরকারের শিক্ষামন্ত্রীর জামাই। জামাইকে কেউ কিছু বলতে পারছে না। করতেও পারছে না। ইমরানের বিরুদ্ধে ২০১৩ পরবর্তী সময় থেকে বলে আসলেও বর্তমান সরকারের নেতা-নেত্রী, এমপি-মন্ত্রীরা আমাদের কথায় কর্ণপাত করেননি। প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলার পর থেকে অনেকের চোখ কান খুলেছে। তবে তাও আশানুরূপ নয়।

হেফাজত ইস্যুতে বর্তমান সরকারের সমালোচনা আমরাও করছি। আমাদের বক্তব্যের ধরণ ও প্রতিবাদ ছিল হেফাজতের বিরুদ্ধে। শেখ হাসিনা বিরোধী বক্তব্য আমাদের মুখে শোভা পায়না। ভিতর থেকেও আসবে না। বামদের পক্ষে তা সম্ভব। এজেন্ডা বাস্তবায়নকারীদের পক্ষেও। দেশকে টেনে উপরে যে তুলছেন, যে সরকারের সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে; সেই সরকারের পক্ষে আমরা। একই সঙ্গে স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে সরকারের যাতে কোন বোঝাপড়া তৈরি না হয়, ভুলক্রমেও হেফাজতীদের কাছে যাতে নৈতিক পরাজয় না হয়; এমন কোন ভুলপথে যাতে রাষ্ট্র পরিচালিত না হতে পারে সেদিকেও আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে। তাই আমরা হেফাজত ইস্যুতে প্রতিবাদী এবং উপরে টেনে তুলার পক্ষে পক্ষপাতী।

এমদাদুল হক তুহিন, ব্লগার, কবি ও সংবাদকর্মী। ইমেইল: [email protected]

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬৩ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩১ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৬ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ