আজ শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

Advertise

যুদ্ধাপরাধের বিচার ও আমি: রাজনৈতিক এজেন্ডা?

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ  

যুদ্ধাপরাধের বিচার আইন নিয়ে আমি প্রথম গবেষণা শুরু করি ২০০৭ সালে। এই গবেষণায় রাজনৈতিক কোনো এজেন্ডা ছিল বলে আমি মনে করি না। যে কোনো আইন নিয়ে গবেষণা চলতেই পারে। একজন অ্যাকাডেমিক রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠেই তাঁর গবেষণার কাজ করে থাকেন। আমার ক্ষেত্রেও এর কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। যুদ্ধাপরাধ বিচার আইন নিয়ে আমার গবেষণার কাজ দেশি-বিদেশি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। একমাত্র নির্বোধ ব্যক্তি ছাড়া কেউ বলবে না যে অ্যাকাডেমিক জার্নালে কোনো রাজনৈতিক লেখা ছাপা হয়ে থাকে।

২০১০ সালে আমি একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত হই। ২০১০ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত সাতটি বছর আমি নির্মূল কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে কাজ করি। নির্মূল কমিটি কোনো সংগঠন নয়; এটি একটি আন্দোলনের নাম। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার বিচারের দাবিতে এই কমিটি নানা রকম কর্মসূচি পালন করে আসছে। ১৯৯২ সালে নির্মূল কমিটি আয়োজিত গণআদালত মঞ্চে যুদ্ধাপরাধীদের প্রতীকী বিচার সম্পন্ন করার ফলে বিশ্বজুড়ে বিপুল সাড়া পড়ে।

আবার একইসঙ্গে যুদ্ধাপরাধ বিচারের দাবিতে ১৯৯২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত নির্মূল কমিটি নিরবচ্ছিন্নভাবে যুদ্ধাপরাধ বিচার বিষয়ে গবেষণাপত্র, অনুসন্ধানপত্র, সভা-সমিতি, মানববন্ধন, স্মারকলিপি প্রদান, চলচ্চিত্র নির্মাণ ইত্যাদি নানাবিধ কর্মসূচি পালন করে আসছে। নির্মূল কমিটির মূলত দুটি লক্ষ্য– এক. যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে সোচ্চার থাকা এবং দুই. বাহাত্তরের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস কাজ করে যাওয়া। এই দুটি লক্ষ্যের কোনোটিকেই ‘রাজনৈতিক’ লক্ষ্য বলা ঠিক হবে না।

নির্মূল কমিটি রাজনৈতিকভাবে নিবন্ধিত বা অনিবন্ধিত কোনো সংগঠন নয়। এ যাবৎকালে কোনো রাজনৈতিক নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণও করেনি। সুতরাং নির্মূল কমিটিকে ‘রাজনৈতিক দল’ আখ্যায়িত করা বা নির্মূল কমিটি ‘রাজনৈতিক এজেন্ডা’ বাস্তবায়নে কাজ করে থাকে– এ ধরনের দাবি তোলা নিতান্তই অসৎ উদ্দেশ্যমূলক।

২০১৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি সরকার আমাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ দেয়। আমার কাজ রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে যুদ্ধাপরাধ বিচারের মামলা পরিচালনা করা। দুটি বিষয় আমি আমার নিয়োগের সময় পরিষ্কার করে নিই তৎকালীন মাননীয় আইনমন্ত্রী এবং আইন প্রতিমন্ত্রীর কাছে। এক. ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনার সঙ্গে সঙ্গে আমি আমার খণ্ডকালীন আইন শিক্ষকতা অব্যাহত রাখতে পারব। দুই. ট্রাইব্যুনালে আমার প্রসিকিউটর হিসেবে যোগদান নির্মূল কমিটিতে আমার আইন বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে কখনও সাংঘর্ষিক নয়।

ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউটর হিসেবে যোগদানের পর হতে আজ অবধি আমার উপর অর্পিত কোনা দায়িত্বে আমি জ্ঞানত কখনও অবহেলা করিনি। দিনরাত এক করে মামলার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। হত্যা-হুমকির শিকার হয়েছি। আমার সন্তান ও আমি অন্তত আটবার প্রাণঘাতী আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছি। কিন্তু আজ একটি বিশেষ মহল প্রসিকিউটর হিসেবে আমার কর্মদক্ষতা ও যুদ্ধাপরাধ বিচার নিয়ে আন্তরিকতার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছে। আমার বিরুদ্ধে তাদের অনুযোগের প্রধান বিষয় প্রসিকিউটর হিসেবে আমি নির্মূল কমিটির অনুষ্ঠানে যাই, যে নির্মূল কমিটি ‘রাজনৈতিক এজেন্ডা’ বাস্তবায়ন করে। আর এর ফলে আমি ‘পেশাগত অসদাচরণ’ করেছি।

আমি মনে করি এই ধরনের অনুযোগ যারা করে তারা ‘নির্বোধ’ ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না। যদি ন্যায়বিচারের দাবি জানানো রাজনীতি হয়ে থাকে তবে সেই রাজনীতি আমি আমরণ করে যেতে চাই। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সন্তানেরা একাত্তরে সংঘটিত গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের বিচারে দাবিতে সংঘবদ্ধ আন্দোলন করবে এটাই তো স্বাভাবিক।

শুধুমাত্র সেই লোকজনই এই দাবির সঙ্গে একমত হবে না যারা নিজে এইসব অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল অথবা কোনো রাজাকার বা শান্তি কমিটির সদস্য ছিল। তাদের কাছে যুদ্ধাপরাধের বিচার রাজনীতির বাইরে আর কিছুই নয়। কারণ তারা মনে করে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ঘটলেই ১৯৭৫ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মতো এই বিচার বন্ধ করে দেওয়া হবে। ন্যায়বিচার নিয়ে রাজনীতি করা একটা ঘৃণ্য ব্যাপার। কোনো ‘সারমেয়’ তা করলে আমাদের জনগণের উচিত তাকে ‘সারমেয়-চিকিৎসালয়ে’ অবিলম্বে প্রেরণ করা।

এরপর আসছি ‘পেশাগত অসদাচারণের’ কথায়। পেশাগত অসদাচারণ হল এমন একটি বিষয়, যা হচ্ছে একজন পেশাজীবী মানুষের জন্য অবশ্যই পরিত্যাজ্য। নির্মূল কমিটির অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলে একজন প্রসিকিউটর বা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পেশাগত অসদাচারণ করে– এই ধরনের বক্তব্য যারা দেয় তাদেরও ‘মস্তিষ্ক বিকৃতি’ ঘটেছে বলে আমি মনে করি। যুদ্ধাপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে একজন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নির্মূল কমিটির অনুষ্ঠানে গেলে তাতে পেশাগত বিরোধ বা Conflict of interest-এর কোনো সুযোগ নেই। কারণ দুই পক্ষই একই লক্ষ্যে কাজ করে।

উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, ট্রাইব্যুনাল গঠন হওয়ার পর আমাদের মাননীয় অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেব এ পর্যন্ত মোট ছয়বার নির্মূল কমিটির অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেছেন, মঞ্চে আসন গ্রহণ করেছেন। শুধু তা-ই নয়, নির্মূল কমিটির দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে জোরালো বক্তৃতাও দিয়েছেন। তারিখগুলো হল ২০১০ সালের ১০ ও ২২ এপ্রিল, ২০১১ সালের ১২ মার্চ, ২০১৩ সালের ২৬ জুলাই, ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ এবং ১৬ এপ্রিল।

তাহলে কি আমরা বলব যে নির্মূল কমিটির অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে, মঞ্চে আসন গ্রহণ করে এবং বক্তৃতা দিয়ে আমাদের সাংবিধানিক পদের অধিকারী মাননীয় অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেবও পেশাগত অসদাচারণ করেছেন?

আমি মনে করি না, একজন প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আমি যদি নির্মূল কমিটির অনুষ্ঠানে বা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে থাকি তাতে আমার কোনো পেশাগত অসদাচারণ হয়েছে। যদি হয়ে থাকে, তবে যে প্রতিষ্ঠান আমার পেশাগত অসদাচারণের বিচার করবে (বাংলাদেশ বার কাউন্সিল) সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান নিজেও (মাননীয় অ্যাটর্নি জেনারেল, সভাপতি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল) একইভাবে পেশাগত অসদাচারণ করেছেন। তাহলে আমরা দুজনেই একই অপরাধে অপরাধী।

যুদ্ধাপরাধের বিচারের ট্রায়ালের দায়িত্ব পালনকালে আমিও যেমন নির্মূল কমিটির অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেছি, মাননীয় অ্যাটর্নি জেনারেল সাহেবও ঠিক তেমনভাবে যুদ্ধাপরাধের বিচারের আপিলের দায়িত্ব পালনকালে নির্মূল কমিটির অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেছেন। এক যাত্রায় ভিন্ন ফল কেন হবে? তাহলে তো আইনের শাসন বলে কিছু থাকবে না।

তবে আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি যুদ্ধাপরাধ বিচারের ক্ষেত্রে প্রসিকিউটর বা অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসের কেউ যদি নির্মূল কমিটির অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকে, কমিটির কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকে তবে তা কোনোভাবেই পেশাগত বিরোধ বা অসদাচারণ হিসেবে গণ্য হতে পারে না।

আমরা ইতোপূর্বে দেখেছি, পেশাগত অসদাচারণের জন্য আমাদের নিয়োগদানকারী সংস্থা (আইন মন্ত্রণালয়) প্রসিকিউটরদের বিরুদ্ধে যথার্থ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কিন্তু নির্মূল কমিটিতে সম্পৃক্ত থাকার জন্য আইন মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত আমার বিরুদ্ধে পেশাগত অসদাচারণের কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বরং উল্টো দেখেছি আমাদের প্রাক্তন আইনমন্ত্রী মহোদয়, আইন প্রতিমন্ত্রী মহোদয় ও বর্তমান আইনমন্ত্রী মহোদয় সবাই নির্মূল কমিটির মঞ্চ বহুবার আলোকিত করেছেন।

তবে হ্যাঁ, আমি যদি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অপরাধী সালাহউদ্দিন কাদেরের পরিবারের সঙ্গে গোপনে দেখা করতাম, বিচারের স্বার্থবিরোধী কথোপকথন করতাম তবে তা অবশ্যই আমার জন্য পেশাগত অসদাচারণ বলে গণ্য হত। কিংবা আমি যদি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অপরাধী মীর কাশেমের থেকে বিরাট উৎকোচ গ্রহণ করে তার মামলায় নিম্নমানের আইনি যুক্তি উপস্থাপন করতাম তবে তা অবশ্যই আমার জন্য পেশাগত অসদাচারণ বলে গণ্য হত। এগুলোর কোনোটিই আমি করিনি।

আমি যা করেছি তা হল নির্মূল কমিটির আন্দোলনে নিজেকে একজন নির্ভীক সৈনিক হিসেবে সমর্পিত করেছি। এই সেই নির্মূল কমিটি যার মঞ্চে আসন গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তির অসংখ্য মন্ত্রী, রণক্ষেত্রের মুক্তিযোদ্ধাগণ, মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিদেশি বন্ধুরা, শহীদ পরিবারের সদস্যগণ, বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধাগণসহ আরও অনেকে।

মেনে নিলাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠা করাই আমার এবং এদের সবার ‘রাজনৈতিক এজেন্ডা’। তাহলে খুব জানতে ইচ্ছে হয়, যাদের চক্ষুশূল আমরা, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অস্বীকার করে তাদের ‘মহান’ (!) রাজনৈতিক এজেন্ডা আসলে কী?

ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, আইনজীবী ও আইনের অধ্যাপক

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার বিষয়, মতামত, মন্তব্য লেখকের একান্ত নিজস্ব। sylhettoday24.com-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে যার মিল আছে এমন সিদ্ধান্তে আসার কোন যৌক্তিকতা সর্বক্ষেত্রে নেই। লেখকের মতামত, বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে sylhettoday24.com আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় গ্রহণ করে না।

আপনার মন্তব্য

লেখক তালিকা অঞ্জন আচার্য অধ্যাপক ড. মুহম্মদ মাহবুব আলী ৪৮ অসীম চক্রবর্তী আজম খান ১১ আজমিনা আফরিন তোড়া ১০ আনোয়ারুল হক হেলাল আফসানা বেগম আবদুল গাফফার চৌধুরী আবু এম ইউসুফ আবু সাঈদ আহমেদ আব্দুল করিম কিম ৩২ আব্দুল্লাহ আল নোমান আব্দুল্লাহ হারুন জুয়েল ১০ আমিনা আইরিন আরশাদ খান আরিফ জেবতিক ১৭ আরিফ রহমান ১৬ আরিফুর রহমান আলমগীর নিষাদ আলমগীর শাহরিয়ার ৫৪ আশরাফ মাহমুদ আশিক শাওন ইনাম আহমদ চৌধুরী ইমতিয়াজ মাহমুদ ৭১ ইয়ামেন এম হক এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন একুশ তাপাদার এখলাসুর রহমান ৩৭ এনামুল হক এনাম ৪১ এমদাদুল হক তুহিন ১৯ এস এম নাদিম মাহমুদ ৩৩ ওমর ফারুক লুক্স কবির য়াহমদ ৬২ কাজল দাস ১০ কাজী মাহবুব হাসান কেশব কুমার অধিকারী খুরশীদ শাম্মী ১৭ গোঁসাই পাহ্‌লভী ১৪ চিররঞ্জন সরকার ৩৫ জফির সেতু জহিরুল হক বাপি ৪৪ জহিরুল হক মজুমদার জাকিয়া সুলতানা মুক্তা জান্নাতুল মাওয়া জাহিদ নেওয়াজ খান জুনাইদ আহমেদ পলক জুয়েল রাজ ১০২ ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন ১২ ড. কাবেরী গায়েন ২৩ ড. শাখাওয়াৎ নয়ন ড. শামীম আহমেদ ৪১ ডা. আতিকুজ্জামান ফিলিপ ২০ ডা. সাঈদ এনাম ডোরা প্রেন্টিস তপু সৌমেন তসলিমা নাসরিন তানবীরা তালুকদার তোফায়েল আহমেদ ৩০ দিব্যেন্দু দ্বীপ দেব দুলাল গুহ দেব প্রসাদ দেবু দেবজ্যোতি দেবু ২৭ নাজমুল হাসান ২৪ নিখিল নীল পাপলু বাঙ্গালী পুলক ঘটক প্রফেসর ড. মো. আতী উল্লাহ ফকির ইলিয়াস ২৪ ফজলুল বারী ৬২ ফড়িং ক্যামেলিয়া ফরিদ আহমেদ ৪২ ফারজানা কবীর খান স্নিগ্ধা বদরুল আলম বন্যা আহমেদ বিজন সরকার বিপ্লব কর্মকার ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ ১৮ ভায়লেট হালদার মারজিয়া প্রভা মাসকাওয়াথ আহসান ১৯০ মাসুদ পারভেজ মাহমুদুল হক মুন্সী মিলন ফারাবী মুনীর উদ্দীন শামীম ১০ মুহম্মদ জাফর ইকবাল ১৫৩ মো. মাহমুদুর রহমান মো. সাখাওয়াত হোসেন মোছাদ্দিক উজ্জ্বল মোনাজ হক ১৪ রণেশ মৈত্র ১৮৩ রতন কুমার সমাদ্দার রহিম আব্দুর রহিম ৫৫ রাজু আহমেদ ১৫ রাজেশ পাল ২৮ রুমী আহমেদ রেজা ঘটক ৩৮ লীনা পারভীন শওগাত আলী সাগর শাওন মাহমুদ