সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ অক্টোবর, ২০১৮ ১৪:৩৫

কক্সবাজারের সাগরে ভাসমান ২৪ কোটি টাকার ইয়াবা উদ্ধার

কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরে অভিযান চালিয়ে হাঁটুপানিতে ভাসমান অবস্থায় আট লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা জব্দ করেছে পুলিশ ও বিজিবি। এর মধ্যে পুলিশ চার বস্তায় ৬ লাখ ও বিজিবি এক বস্তায় ২ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করে।

রোববার (৭ অক্টোবর) সকালে বঙ্গোপসাগরের নোয়াখালীপাড়া সৈকত পয়েন্টে পুলিশ ও বিজিবি পৃথক অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ওই ইয়াবার চালান জব্দ করে। তবে এ সময় পাচারকারীদের কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

পুলিশ ও বিজিবির দাবি, সাগরে ইয়াবার বস্তা ফেলে পাচারকারীরা পালিয়েছে। জব্দ ইয়াবার আনুমানিক মূল্য সাড়ে ২৪ কোটি টাকা।

সকাল ১১টার দিকে টেকনাফ মডেল থানায় আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) নিহাদ আদনান তাইয়ান বলেন, সাগর পথে মিয়ানমার থেকে ইয়াবার বড় চালান এনে  টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ দিয়ে খালাস করা হবে- এমন খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া ও ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে  অভিযান চালায়। এ সময় সাগর থেকে পলিথিনের ৪টি বস্তা উদ্ধার করা হয়। সেসব বস্তার ভেতরে ৬ লাখ পিস ইয়াবা বড়ি পাওয়া যায়। তবে পাচারকারীরা ইয়াবার বস্তা ফেলে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা যায়নি।

তিনি বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইয়াবার প্রকৃত মালিককে খুঁজে বের করে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এর আগে ভোরে টেকনাফের বাহারছড়া নোয়াখালীপাড়ার মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন সাগরে ভাসমান অবস্থায় একটি বস্তা উদ্ধার করে বিজিবি। পরে বস্তার ভেতর থেকে ২ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মোহাম্মদ আছাদুদ-জামান চৌধুরী। তিনি জানান, সাগরপথে ইয়াবার চালান এনে মেরিন ড্রাইভ সড়ক দিয়ে পাচার হচ্ছে- এমন খবর পেয়ে শনিবার রাত থেকে বিজিবির তিনটি টহলদল নোয়াখালীপাড়া নৌকার ঘাটসহ আশপাশের এলাকায় টহল জোরদার করে। পরে রোববার ভোরে মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন সাগর থেকে একটি বস্তা ভাসতে দেখা যায়। পরে বস্তাটি উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসে। বস্তা থেকে ২ লাখ ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ সময় কাউকে পাওয়া যায়নি।

তিনি আরও বলেন, পাচারকারীরা সাগরপথে ট্রলারযোগে ইয়াবাগুলো আনছিল মেরিনড্রাইভ সড়ক দিয়ে খালাসের জন্য। কিন্তু বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবার বস্তা ফেলে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। একারণে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

তিনি বলেন, ইয়াবাগুলো ব্যাটালিয়ন সদরে জমা রাখা হয়েছে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সামনে সেগুলো ধ্বংস করা হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত