গাড়ী পুড়ানোসহ নাশকতার ব্যাপারে আদালতে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন আটক শিবির নেতা। শিবিরের হাইকমান্ডের নির্দেশে ১০ সদস্যের স্কোয়াড গঠন করে দেশের বিভিন্নস্থানে নাশকতার পরিকল্পনার কথা আদালতকে জানান পুলিশের হাতে আটককৃত শিবির ক্যাডার জাকির আহমদ। সোমবার জকিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে তিনি এসব তথ্য দেন।

রবিবার রাতে জকিগঞ্জ থানার এসআই আবুল কাশেম রতনগঞ্জ থেকে দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার জাকির আহমদকে আটক করেন। আটককৃত জাকির রতনগঞ্জ আঞ্চলিক শিবিরের সভাপতি এবং জকিগঞ্জ উপজেলার ফুলতলী গ্রামের মোস্তফা আহমদের ছেলে।

সোমবার জকিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ আকবর হোসেনের আদালতে হাজির করা হলে জাকির আহমদ আদালতে চাঞ্চল্যকর জবানবন্দি প্রদান করেন। সে গাড়ী পুড়ানো ও ভাংচুরের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে আদালতকে জানায়, শিবিরের হাইকমান্ডের নেতাদের নির্দেশে উপজেলা জুড়ে নাশকতা করতে কানাইঘাট ও জকিগঞ্জের ১০ শিবির নেতা নিয়ে নাশকতা স্কোয়াড টিম গঠন করা হয়। এভাবে জেলার বিভিন্নস্থানে গাড়ী পুড়ানো ও ভাংচুর চালানো হচ্ছে। জকিগঞ্জে বড় ধরণের নাশকতা করার প্রস্তুতি ছিল তাদের। এছাড়াও উপজেলায় বড় ধরনের নাশকতা করার পরিকল্পনাও ছিল। 

প্রসঙ্গত গত ৭ জানুয়ারি উপজেলার আটগ্রামের নোয়াগ্রামে যাত্রীবাহী বাস মুক্তা এন্টারপ্রাইজে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় বাসের চালক দুলাল মিয়া বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখ ও ২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, শনিবার রাতে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলার পলাতক আসামী শিবির নেতা আবু সাঈদকে আটক করে পুলিশ। আটক আবু সাঈদকে জকিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিজ্ঞ বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।