নিজস্ব প্রতিবেদক

২৫ ফেব্রুয়ারি , ২০১৭ ০২:২৪

একাত্তরের যুদ্ধের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ছিল সিলেট: ভারতীয় হাইকমিশনার

মানবিক সাধনায় বেঙ্গল সংস্কৃতি উৎসব

মানবিক সাধনায় বেঙ্গল সংস্কৃতি উৎসবের তৃতীয় দিন অতিথি হিসেবে অংশ নিয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যকার সম্পর্কের গভীরতা বর্ণনা করতে গিয়ে একাত্তরের স্মৃতিচারণ করেছেন। একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর অসীম সাহসিকতার বর্ণনা করে তিনি জানান, একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু ছিল সিলেট।

ভারতের এ রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, এ সিলেটে বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনী কাঁধে কাঁধ রেখে লড়াই করে বাংলাদেশের বিজয় এনে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের মাছিমপুরস্থ আবুল মাল আবদুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে দশদিনব্যাপী চলমান বেঙ্গল সংস্কৃতি উৎসবে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের এ হাইকমিশনার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ইনাম আহমদ চৌধুরী ও বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের লিটু।

বাংলায় দেওয়া বক্তৃতায় হর্ষবর্ধন শ্রীংলা বলেন, সিলেট লোকসম্পদে সমৃদ্ধ। একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু এই সিলেট। সিলেটের তাজা সবুজ চা বাগান আমার নিজের বাড়ি দার্জিলিংকে মনে করিয়ে দেয়।

বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের এই উৎসব মানুষকে একে অপরের কাছে আনার প্রচেষ্টা, উল্লেখ করেন এ রাষ্ট্রদূত।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দু'দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিরাজমান। একাত্তরে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে সাহায্য করতে পারা ছিল ভারতীয়দের জন্য সবসময় গর্বের।

তিনি বলেন, আমরা শান্তিতে, সুসময়ে, দুঃসময়ে একে অপরের পাশে থাকবো। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলাম দু'দেশের মানুষের সুখ-দুঃখ নিয়েই লিখে গেছেন।

শ্রীংলা আরও বলেন, এই উৎসবে বাংলাদেশের সাহিত্য, সংস্কৃতিকর্মীদের পাশাপাশি ভারতীয়দের আমন্ত্রণ ও অংশগ্রহণ আমাদের জন্যে গর্বের। এজন্যে তিনি বেঙ্গল ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানান।

উৎসবের তৃতীয় দিন হাছন রাজা মঞ্চে সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় সূচনা অধিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানমালা। এর আগে সৈয়দ মুজতবা আলী মঞ্চে সকাল সাড়ে ১০ টায় শুরু হয় কালি ও কলম সাহিত্য সম্মেলন। ৪ পর্বের এই সম্মেলন শেষ হয় সন্ধ্যায়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত