সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ অক্টোবর, ২০১৬ ১০:৫১

যুক্তরাজ্যে মুয়ীদ খানের শ্রেষ্ঠ মানবাধিকার আইনজীবীর স্বীকৃতি

যুক্তরাজ্যের চার্টার্ড ইন্সটিটিউট অব লিগ্যাল এক্সিকিউটিভ (সাইলেক্স) কর্তৃক শ্রেষ্ঠ মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবীর স্বীকৃতি পেলেন ব্যারিস্টার এম এ মুয়ীদ খান। তিনিই প্রথম ব্রিটিশ বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত আইনজীবী যিনি এই সম্মানসূচক স্বীকৃতি লাভ করেন।

মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে অসামান্য অবদান রাখার কারণে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের বিশ হাজার আইনজীবী এর মধ্যে ব্যারিস্টার মুয়ীদ খানকে নির্বাচিত করে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।

গত ১ অক্টোবর মিল্টনকিন্স এর জুরিস ইন এ এক বিশেষ পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এই স্বীকৃতি স্বরূপ সাইলেক্স এর প্রেসিডেন্ট মার্টিন কাললানাট ব্যারিস্টার এম এ মুয়ীদ খানের হাতে ‘সাইলেক্স প্রেসিডেন্ট এওয়ার্ড-২০১৬’ তুলে দেন। এওয়ার্ডের অংশ হিসেবে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও পাঁচশ পাউন্ডের সম্মানসূচক চেক প্রদান করা হয়। পুরষ্কারে এই অর্থ ব্যারিস্টার মুয়ীদ খান প্রিন্সেস চ্যারিটিকে প্রদান করে দিয়েছেন।

এই বিশেষ এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বার কাউন্সিল এর প্রেসিডেন্ট, ল’ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট, লর্ড চীফ জাস্টিস সহ প্রায় পাঁচ শতাধিক আইনজীবী এবং বিচারকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার কারণে ২০১১ সালে ল’ সোসাইটি, বার কাউন্সিল ও সাইলেক্স যৌথভাবে ব্যারিস্টার মুয়ীদ খানকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস এর শ্রেষ্ঠ মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবীর স্বীকৃতি হিসেবে ‘এডভোকেসি ইন দ্যা ফেস অব এডর্ভাসিটি - ২০১১’ এওয়ার্ড প্রদান করেছিলো।

এছাড়াও ২০১১ ও ২০১২ সালে ল’ সোসাইটি ব্যারিস্টার মুয়ীদ খানকে সর্বোচ্চ সাতজন শীর্ষস্থানীয় লিগ্যাল এক্সিকিউটিভ ল’ইয়ার এর একজন হিসেবে ঘোষণা করেন। তাকে ল’ সোসাইটি এর ‘এক্সিলেন্স এওয়ার্ড এর জন্য মনোনীত করে।

এছাড়াও, ২০১২ সালে ইন্টারন্যাশনাল বার এসোসিয়েশন (আইবিএ)- ব্যারিস্টার মুয়ীদ খানকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস থেকে একমাত্র মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী হিসেবে তাদের ইন্টারন্যাশনাল এওয়ার্ড ‘আইবিএ প্রোন-বোনা এওয়ার্ড-২০১২’ এর জন্য মনোনীত করে।

পাশাপাশি, ২০১২ সালে প্রো -বোনো বিষয়ক হিউম্যান রাইটস সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় অসামান্য অবদান রাখার কারণে সাইলেক্স এর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আবারো ব্যারিস্টার মুয়ীদ খানকে শ্রেষ্ঠ মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী হিসেবে ঘোষণা করেন এবং ‘সাইলেক্স প্রো বোনো মডেল-২০১১১’ এওয়ার্ড তুলে দেন।

এই এওয়ার্ড প্রাপ্তির পর ব্যারিস্টার এম এ মুয়ীদ খান বলেন, এই সম্মান শুধু আমার একার নয়, এই সম্মান সমস্ত বৃটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির। কর্মক্ষেত্রে সততার সাথে অসামান্য অবদান রাখলে যে কোন কমিউনিটির ভেতর থেকে সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়া সম্ভব। এই এওয়ার্ড তার মরহুম পিতা অধ্যাপক আনম আব্দুল মান্নান খাঁন এবং ডিসট্রিক্ট জাজ মার্ক সিমপসন কিউসিকে উৎসর্গ করেছেন।

উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার এম এ মুয়ীদ খান এর পিতা অধ্যাপক আ.ন.ম আব্দুল মান্নান খাঁন, যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত