সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ ফেব্রুয়ারি , ২০১৭ ২১:৩৮

লন্ডনে গণজাগরণ মঞ্চের বর্ষপূর্তি পালিত

পালিত হলো গণজাগরণ মঞ্চ ইউকের ৪র্থ বর্ষপূর্তি। পূর্ব লন্ডনের চিলড্রেন এডুকেশন সেন্টারে অনুষ্ঠিতব্য আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানের শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গণজাগরণ মঞ্চ ইউকের মুখপাত্র অজন্তা দেব রায়।
 
যুক্তরাজ্যে গণজাগরণের সৃষ্টির স্মৃতিচারণ ও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেইন, মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মেফতা ইসলাম, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনসার আহমেদুল্লাহ, যুক্তরাজ্য জাসদের ভাইস প্রেসিডেন্ট মজিবুল হক মনি,  সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব স্মৃতি আজাদ, জাতীয় নারী জোট যুক্তরাজ্য শাখার আহবায়ক রুবি হক , নাট্যব্যক্তিত্ব গোলাম কবির, টাওয়ার হ্যামলেট লেবার পার্টির মেম্বার্স সেক্রেটারি ড আনিসুর রহমান আনিস, যুক্তরাজ্য গণজাগরণ মঞ্চের কোঅর্ডিনেটর কামরুল হাসান তুষার, বাপ্পী চৌধুরী,কয়েস আহমেদ, নাহিদ জায়গিরদার,নাহিদ জামান, সিনথিয়া আরেফিন, অপূর্ব অপু সহ অন্যান্যরা।

শারমিন জান্নাত ভূট্টো ও সাইফুল ইসলাম মিঠুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা তাদের বক্তব্যে অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান গণজাগরণ মঞ্চ ইউকে কে। সেই সাথে আশাবাদ ব্যক্ত করেন যাতে প্রজন্মের পর প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পতাকার মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখে এবং দেশের সমস্ত অনিয়ম,অবিচার আর শোষণের বিরুদ্ধে এভাবেই সোচ্চার থাকে সবসময়। মৌলবাদী শক্তি যাতে মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানিয়েছেন আগত অতিথিরা।

গত চার বছরে নিহত হওয়া ব্লগার, মানবাধিকার কর্মী ও সহযোদ্ধাদের প্রতি শ্র্রদ্ধা জানিয়ে পালন করা হয় এক মিনিটের নীরবতা। নিহত সহযোদ্ধা ব্লগারদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য গণজাগরণ মঞ্চের সদস্য ব্লগার আইনজীবি নিঝুম মজুমদার।

অনুষ্ঠানে গণজাগরণ মঞ্চ ইউকের বিগত বছরগুলোর কার্যক্রম আর যুদ্ধাপরাধ বিচার ট্রাইবুনাল টা এখন কি পর্যায়ে আছে সেটার উপর ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সহায়তায় তৈরী করা একটি ভিডিও প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।

অনুষ্ঠানে কবিতা আবৃতি করেন সাংস্কৃতিক কর্মী মুজিবুল হক মনি, স্মৃতি আজাদ, আর গান পরিবেশনা করেন অনন্যা দাস এবং হীরা কাঞ্চন হীরক।

অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বাংলাদেশ থেকে স্কাইপে সরাসরি যোগ দেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও উপস্থিত অতিথিদের সাথে মত বিনিময়কালে ইমরান জানান, গণজাগরণ শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তির বিরুদ্ধেই সোচ্চার হয়নি সেই সাথে তরুণরা শিখেছে প্রতিবাদের ভাষাও। এমনকি “জয় বাংলা” দেশের কোটি কণ্ঠের প্রতিবাদী আর জাতীয় শ্লোগানে রুপ পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন ইমরান এইচ সরকার। দেশের সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন ও তাণ্ডব আর হেফাজতের মতো মৌলবাদীদের কাছে সরকারের আত্মসমর্পণের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে সবাইকে আহবান জানানো হয়।

তার বক্তব্যের শেষে তাকে তার নতুন জীবনের জন্য যুক্তরাজ্যবাসীদের পক্ষ থেকে শুভকামনা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের অনুরোধে সবাইকে স্ক্রিনে এসে শুভেচ্ছা জানান নন্দিতা নাদিয়া ইসলাম। করতালির মাধ্যমে সোল্লাসে উপস্থিত সবাই তাদের অভিনন্দিত করেন।

অনুষ্ঠানের সমাপ্তি টানা হয় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত