নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগে চাকরিপ্রত্যাশী বাংলাদেশিদের নিয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৮ জুলাই) দেশটির বাংলাদেশ দূতাবাস স্থানীয় বাংলাদেশিদের সংগঠন ব্রেইন চেনের সহযোগিতায় শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য এই ক্যারিয়ার প্ল্যানিং ওয়ার্কশপের আয়োজন করে।

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের যথাযথভাবে প্রস্তুত করা, নেদারল্যান্ডসের চাকরির বাজারের সমস্যাসমূহ ও সুবিধাদি, চাকরির ইন্টারভিউ সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা বিনিময় ইত্যাদি লক্ষ্য নিয়ে দূতাবাস এই প্রথমবারের মতো এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন করে।

বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শিক্ষার্থী নেদারল্যান্ডসের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য এসে থাকেন। দেশটির ভিসা নীতিমালা অনুযায়ী পড়াশোনা শেষে এক বছর সময় দেওয়া হয় চাকরি খোঁজার জন্য। এই সময়ের মধ্যে চাকরি পেলে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো হয়। সাফল্যজনকভাবে কাজ করে গেলে একটা সময় তারা দেশটির নাগরিকত্বের জন্যও আবেদন করতে পারেন।

কর্মশালায় ১৩ জন বাংলাদেশি যারা নিজেদের চাকরির জন্য প্রস্তুত করছেন তারা অংশগ্রহণ করেন। ব্রেইন চেনের সদস্য যারা স্থানীয় বিভিন্ন কোম্পানিতে সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন তারা চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে চাকরির জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণে তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, পড়াশোনা শেষে নেদারল্যান্ডসে প্রত্যাশিত কাজ পাওয়া অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কারণ সুবিধা-অসুবিধাসমূহ সম্পর্কে অনেকেই সম্যকভাবে অবহিত থাকেন না। নতুন চাকরিপ্রত্যাশীদের জন্য এটা আরও বেশি চ্যালেঞ্জিং। ব্রেইন চেনের সদস্যরা তাঁদের উপস্থাপনার মাধ্যমে ক্যারিয়ারের উদ্দেশ্য নির্ধারণ, চাকরি খোঁজার নানাবিধ পদ্ধতি-উপায়, আবেদনপত্র ও তার অগ্রগামী পত্র লেখা ইত্যাদি বিষয় তুলে ধরেন। কর্মশালার অংশগ্রহণকারীদের জন্য একটি প্রতীকী ইন্টারভিউরও আয়োজন করা হয়।

কর্মশালায় দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলালসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। শেখ মুহম্মদ বেলাল ব্রেইন চেনকে এ ধরনের উদ্ভাবনীমূলক আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, এর মাধ্যমে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে কিছু দেওয়ার উদাহরণ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন ব্রেইন চেন দূতাবাসের ইনোভেশন কক্ষ ব্যবহার করে ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও উদ্ভাবনীমূলক অনুষ্ঠানের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

রাষ্ট্রদূত বেলাল আরও উল্লেখ করেন, আমাদের প্রত্যাশা শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষে দেশে প্রত্যাবর্তন করবে এবং নেদারল্যান্ডসে তাদের আহরিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা দেশের উন্নয়নে কাজে লাগাবে। নেদারল্যান্ডসের উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল চিন্তা-ভাবনা এবং কম কিছু দিয়ে বেশি কিছু করার সংস্কৃতির উদাহরণ টেনে তিনি অংশগ্রহণকারীদের দেশটি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে কীভাবে তা বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রসমূহের উন্নয়নে কাজে লাগানো সে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।