সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) পূর্বলন্ডনের অট্রিয়াম হলে বাংলাদেশে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষা: সম্ভাবনা ও সীমাবদ্ধতা বিষয়ক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

যুক্তরাজ্য বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের আয়োজনে সেমিনারে মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ।

প্রকৌশলী সমিরুজ্জামান সমীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রকৌশলী সুশান্ত দাস গুপ্ত। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রকৌশল ও প্রযুক্তি শিক্ষাকে বিশ্বমানে গড়ে তোলার লক্ষ্যে করণীয় সম্পর্কে বক্তারা আলোচনা করেন।

ড.  কায়কোবাদ তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের উন্নয়নে শিক্ষা ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিতে হবে। শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়ানোরও দাবী জানান তিনি।

প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে প্রশ্নের নিয়মও ডিজিটাল করতে হবে সিলগালা প্রশ্নের অবসান হওয়া উচিৎ।

প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এইদেশের সংস্কৃতির ও শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে বাংলাদেশকে পরিচিত করার দায়িত্বটা আপনাদেরকেই নিতে হবে।

রাজনীতিবিদদের হাত ধরেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ড.  কায়কোবাদ  আরও বলেন, চিকিৎসা সেবা নিতে আমাদের নেতা নেত্রীরা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন, যা বাংলাদেশের চিকিৎসকের পক্ষেই দেওয়া সম্ভব। আত্মমর্যদাশীল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে তাঁদেরকে সুযোগ দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা বদলে যাবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হবার মূল কারিগর দেশের খেটে খাওয়া মানুষ। যারা মধ্যপ্রাচ্য সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তাঁদের শ্রম বিক্রি করছেন। গার্মেন্টস শিল্পে নারীদের বিপুল অংশগ্রহণের মাধ্যমেই মূলত অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে।

সভায় বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মোহাম্মদ শরীফ, সহ সভাপতি জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান সুদীপ চক্রবর্তী, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফুর রহমান মুজাহিদ, মানবাধিকার সম্পাদক সারব আলী, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সায়েদ আহমদ সাদ, সাধারণ সম্পাদক আখতার হোসেন সানু মিয়া, প্রকৌশলী প্রফেসর ড.  সোহেল রহমান, প্রকৌশলী দায়েম উল্লাহ, প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর ও চিকিৎসক ফেরদৌস আহমেদ ফয়সল প্রমুখ।