সিলেটটুডে ডেস্ক

০১ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১৯:০১

বিজয়ের মাসকে বরণ করলো শ্রুতি

পহেলা ডিসেম্বর বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের মাসের শুরু। ১৯৭১ সালের এই মাসে বাঙালি জাতির জীবনে নিয়ে এসেছিল এক মহান অর্জনের আনন্দ। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পরাধীনতার শৃঙাখল থেকে মুক্ত হয় প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। বিশ্বের বুকে রচিত হয় নতুন ইতিহাস।বাংলাদেশ নামে মানচিত্র রচনা করার ইতিহাস।

পাকিস্তানিদের দ্বারা সুদীর্ঘ ২৩ বছরের শোষণ,বঞ্চনা আর অত্যাচার নির্যাতনের সমাপ্তি ঘটে ১৬ ডিসেম্বরে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে আসে বিজয়। বিজয়ের মাসকে বরণ করতে বিজয়ের মাসে প্রথমদিনে শ্রুতি সিলেট তার পুরানলেনস্থ কার্যালয়ে আয়োজন করে “বিজয়ের প্রথমদিনে একাত্তরের চিঠি পাঠ”।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ বর্মণ রানা, উপস্থিত ছিলেন শ্রুতি সিলেটের সমন্বয়ক সুমন্ত গুপ্ত।  শ্রুতি সিলেট আয়োজিত মাসিক আবৃত্তি আয়োজন “আলোকের ঝর্ণাধারা” এর অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয় এ আয়োজন ।

শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শ্রুতি সিলেটের সদস্য সচিব সুকান্ত গুপ্ত। আয়োজন মালায় ছিল একাত্তরের চিঠি পাঠ, মুক্তিযুদ্ধের গল্পশোনো  এবং আবৃত্তি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ বর্মণ রানা বলেন- স্বাধীনতা বাঙালীর হাজার বছরের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ অর্জন। মহত্তম এই অর্জনে অংশ নিয়েছিল সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ। ত্রিশ লাখ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। বহু ত্যাগ, বহু বেদনাগাথায় জন্ম হয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। কিন্তু একাত্তরে কেন অনিবার্য হয়ে উঠেছিল মুক্তিযুদ্ধ? কেন অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছিল সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ। কেন জীবনের মায়া তুচ্ছ করে মুক্তি চেয়েছিল আমজনতা? নারীকে কেন অবতীর্ণ হতে হয়েছিল নিষ্ঠুর যুদ্ধে? এতসব প্রশ্নের একটি সহজ জবাব হচ্ছে, স্বপ্ন। শোষণের যাঁতাকল থেকে নিষ্কৃতির স্বপ্ন, স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের স্বপ্ন, একটি পতাকার স্বপ্ন, বাঁচার মতো বাঁচতে পারার স্বপ্ন। এই স্বপ্নময়তারই ফসল আজকের বাংলাদেশ। যা অর্জিত হয়েছে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে।

একাত্তরের চিঠি পাঠ করেন লিপি সরকার, মমতাজ ইসলাম, চপল কুণ্ড, শ্রাবণ আচার্য, সুস্মিতা ভট্টাচার্য্য অর্পা, তামান্না ইসলাম প্রত্যাশা ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত