শাবি প্রতিনিধি

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ১৬:১৭

অনলাইনে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে শাবি শিক্ষার্থীদের

শিক্ষার্থীদের মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে(শাবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪ দিনব্যাপী অনলাইন মানসিক স্বাস্থ্যসেবা। অনুষ্ঠানটির প্রথমধাপ শুরু হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টায়।

বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মো রাশেদ তালুকদার।

জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮টি বিভাগ রয়েছে। এতে দিনে ৭টি বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মোট ৪ দিনে জুম অ্যাপের মাধ্যমে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এ আলোচনা চলবে। আলোচনা সভায় যোগ দিতে জুম মিটিং আইডি: ৮৪০৪৭৬০০৭৮ পাসওয়ার্ড: ১৪৪০৮০।

এ সেবার প্রথম পর্বে বৃহস্পতিবার  (১৭ সেপ্টেম্বর) ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টি টেকনোলজি, ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং, নৃবিজ্ঞান ও বাংলা বিভাগ অংশগ্রহণ করবে।

দ্বিতীয় পর্বে আগামী বৃহস্পতিবার(২৪ সেপ্টেম্বর) অর্থনীতি, ইংরেজি, পলিটিক্যাল স্টাডিজ, পাবলিক এডমিনিস্ট্রেশন, সমাজকর্ম, সমাজবিজ্ঞান ও ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ অংশগ্রহণ করবে।

তৃতীয় পর্বে পরের বৃহস্পতিবার  (১ অক্টোবর) রসায়ন, জিয়োগ্রাফি এন্ড এনভায়রনমেন্ট, গণিত, পদার্থ, পরিসংখ্যান, সমুদ্রবিদ্যা ও বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ অংশগ্রহণ করবে।

বিজ্ঞাপন

চতুর্থ এবং সর্বশেষ পর্বে বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর)জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি, ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স, আর্কিটেকচার, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সায়েন্স, সিভিল এন্ড এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ও ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ অংশগ্রহণ করবে।

এ বিষয়ে ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার বলেন, শিক্ষার্থীরা অনেকদিন যাবত বাড়িতে রয়েছে। তাদের মানসিক অবস্থা যেন কোন কারণে যাতে খারাপ না হয় এজন্য আমাদের এই উদ্যোগ। জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে প্রত্যেক বিভাগের শিক্ষার্থীদের বর্তমান মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা ও পরামর্শ প্রদান করা হবে। কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট ফজিলাতুন নেছা শিক্ষার্থীদের চাহিদার ভিত্তিতে পরামর্শ ও নির্দেশনা দিবেন। আশাকরি আমাদের শিক্ষার্থীদের ভালো একটি সাপোর্ট আমরা দিতে পারবো। এছাড়া পরিচালক, ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের দপ্তর থেকে এ উদ্যোগ গ্রহণ হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনাকালীন আমাদের অনেক শিক্ষার্থীই মানসিক অবসাদগ্রস্ত বা হতাশাগ্রস্ততার মধ্যে রয়েছে। চলমান পরিস্থিতির কখন অবসান হবে তাও আমরা সঠিকভাবে জানি না। তাই শিক্ষার্থীরা যাতে বিপদগ্রস্ত না হয় সেজন্য  কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে আমরা অবসাদগ্রস্ততা বা হতাশাগ্রস্ততা দূর করার চেষ্টা করে যাব। এজন্য আমরা এই উদ্যোগটি নিয়েছি। আশা করি যারা মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত তারা এই সুযোগটি নিয়ে পুনরায় তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে যেতে পারবে। এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত