নিজস্ব প্রতিবেদক

০১ নভেম্বর, ২০১৫ ১৪:৪৯

পূর্ণতা পাচ্ছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

টিলাঘেরা সবুজ পরিবেশের উপর মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি)। মাত্র ৫০ একর জায়গা নিয়ে সিলেট সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে একটি অনুষদে রূপান্তরক্রমে একে অন্তর্ভুক্ত করে  ২০০৬ সালের ২রা নভেম্বর সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হয়।

প্রথমে কৃষি অনুষদ ও মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। পরে আরও যোগ হয়েছে কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদ। বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি বিশেষ বিভাগ রয়েছে যা দেশের অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। এ বিভাগগুলো হলো- কৃষিতত্ত্ব ও হাওর কৃষি এবং উপকূলীয় ও সামুদ্রিক মাৎস্যবিজ্ঞান। একমাত্র সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো বায়োটেকনোলজি ও জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং পূর্ণাঙ্গ অনুষদ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় দুইটি ছাত্র হল, ১টি ছাত্রী হল, ২টি একাডেমিক ভবন, ১টি প্রশাসনিক ভবন ও ১টি শিক্ষক-কর্মকর্তার ডরমেটরি নির্মিত হয়। চলমান দুটি প্রকল্পের আওতায় ১টি স্টাফ ডরমেটরি, ২টি শিক্ষক-কর্মকর্তার ডরমেটরি, ১টি অধ্যাপক কর্মকর্তা কোয়ার্টার, ১টি ছাত্রী হল, ১টি মোটর গ্যারেজ, ১টি শহীদ মিনার, ১টি ভেটেরিনারি ক্লিনিক নির্মাণাধীন। এ ছাড়া ২টি একাডেমিক ভবন ও ১টি অডিটরিয়াম প্রকল্পের আওতায় কৃষি প্রকৌশল অনুষদ, কৃষি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ভবন, ওয়ার্কশপ ভবন, ১টি অডিটরিয়াম ও ১টি লিফট।

২০১১ সালে ৬৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন (১ম পর্যায়) প্রকল্পটি অনুমোদন লাভ করে। পরে ২০১৩ সালে ৭৬ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয় নির্ধারণ করে ১ম সংশোধনী অনুমোদিত হয়। বর্তমানে ১১ কোটি ৯০ লাখ টাকা অর্থ ব্যয়ে সংশোধনী প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়, যা পরিকল্পনা কমিশনে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চলমান এ প্রকল্পে ইতিমধ্যে ৫৭ কোটি ৪০ লাখ টাকার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ২০১৭ সালের মধ্যে সকল কাজ সমাপ্ত হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ২০১৩ সালে ২২ কোটি টাকা অর্থ ব্যয়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুটি একাডেমিক ভবন ও একটি অডিটরিয়াম ভবন নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন লাভ করে। প্রথম দুই বছরে স্থান নির্ধারণী জটিলতায় কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়লেও বর্তমানে কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। অডিটরিয়াম ভবনে ধারণ ক্ষমতা ১০০০ জনে উন্নীত করা ও আধুনিক সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি এবং অতি জরুরি আবশ্যকীয় কাজ সম্পন্নের জন্য প্রকল্পটি সংশোধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। চলতি বছরে  ৬৬৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা ব্যয় প্রাক্কলনে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব ইউজিসি’তে প্রেরিত হয় যা ইতিমধ্যে শিক্ষামন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন। এসব কাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর  ড. গোলাম শাহী আলমের গতিশীল নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি মোহাম্মদ গোলাম শাহী আলম জানিয়েছেন, সিলেট অঞ্চলের কৃষি উন্নয়নে এ বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। চলমান প্রকল্পগুলো শেষ হয়ে গেলে এই কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কৃষি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত