নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ০১:৩২

গভীর রাতে শাবিতে শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিনিধি দল

উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে চলমান শিক্ষার্থী আন্দোলনের সমাধানে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গেছে শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিনিধি দল।

শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রতিনিধি দল ক্যাম্পাসে পৌঁছায়। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল শিক্ষামন্ত্রীর প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

প্রতিনিধি দলে অন্যদের সঙ্গে আছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠ‌নিক সম্পাদক বিধান কুমার সাহা, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।

প্রতিনিধি দল প্রথমে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে, এবং এরপর আইআইসিটি ভবনে ভিসির সঙ্গে যৌথ বৈঠকে মিলিত হয়।

এরআগে শনিবার নিজ বাসভবনে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষামন্ত্রী। জানান, প্রয়োজনে তার প্রতিনিধিদল শাবিতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত। শিক্ষার্থীরা যখন কথা বলতে রাজি হবে তখনই প্রতিনিধি যেতে পারবে। পারিবারিক কারণে এখন তিনি নিজে সিলেটে যেতে পারছেন না বলে জানান মন্ত্রী।

এরও আগে শিক্ষামন্ত্রী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ঢাকায় এসে তার সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দিলে অসুস্থ ও মুমূর্ষু সহযোদ্ধাদের কথা বিবেচনা করে শিক্ষার্থীরা ঢাকায় যায়নি। এজন্যে তারা শিক্ষামন্ত্রীকে সিলেটে এসে তাদের অবস্থা দেখে যাওয়ার প্রস্তাব করে, অথবা ভিডিওকলে আলোচনার প্রস্তাব দেয়।

উল্লেখ্য, উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগের দাবিতে এক সপ্তাহ ধরে উত্তাল শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়। গত বুধবার দুপুর আড়াইটা থেকে উপাচার্যের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত আমরণ অনশনে নামেন শাবিপ্রবির ২৪ শিক্ষার্থী। এরমধ্যে একজনের বাবা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি অনশন শুরুর পরের দিনই বাড়ি চলে যান। বাকি ২৩ অনশনকারীর মধ্যে এখন ১৬ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সূত্রপাত হয় ১৩ জানুয়ারি। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদ লিজার বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী। ১৬ জানুয়ারি বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে উপাচার্যকে মুক্ত করে পুলিশ। এরপর পুলিশ ৩০০ জনকে আসামি করে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।

উপচার্যের পদত্যাগ দাবিতে শনিবার দুপুরে কাফনের কাপড় পরে ক্যম্পাসে মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। আর সন্ধ্যায় তারা গণঅনশনে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত