নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:৫০

উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আস্থা হারিয়েছেন, রাষ্ট্রপতিতে ৩৭০ সাবেক সাস্টিয়ান

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ শিক্ষার্থীদের আস্থা হারিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক ৩৭০ শিক্ষার্থী।

গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আচার্য রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা, গত ১৬ জানুয়ারি তারিখে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ কর্তৃক রাবার বুলেট, সাউন্ড গ্রেনেড ও লাঠিচার্জ সহকারে জঘন্য হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায়ভার উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনভাবেই এড়াতে পারেন না। উপাচার্যের উপস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের ওপর নজিরবিহীন এ হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্ম হয়ে আমরাও উপাচার্যে র পদত্যাগ দাবি করছি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠিতে তারা আরও বলেন, আপনি অবগত আছেন যে, ন্যক্কারজনক এই হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান উপাচার্যে র অপসারণের দাবিতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্রছাত্রীরা প্রায় ৯ দিন যাবত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। সর্বশেষ প্রায় ৪ দিন যাবত ২৪ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে আমরণ অনশন কর্মসূচিতে যা এখন গণ-অনশন কর্মসূচিতে রূপ নিয়েছে। উল্লেখ্য, এই ২৪ জনের মধ্যে অনেকেই এই মুহূর্তে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে অবস্থান করছে এবং শত অনুরোধ সত্ত্বেও দাবি আদায়ের আগপর্যন্ত তারা তাদের অনশন ভাঙতে সম্মত হয়নি । আমাদের নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন অবস্থায় আমরা আমাদের অনুজ শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থার কথা ভেবে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন ও অসহায় বোধ করছি।

উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত্যাগ নিশ্চিত করে বিষয়টির সুষ্ঠু সুরাহা করতে মহামান্য আচার্যকে অনুরোধ জানিয়ে তারা বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ তার শিক্ষার্থীরা। একজন উপাচার্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে র মুখ্য ব্যক্তি নন। তিনি ততক্ষণই উপাচার্য যতক্ষণ তিনি ছাত্রছাত্রীদের আস্থায় থাকেন। যেহেতু বর্তমান ছাত্রছাত্রীদের কাছে এই উপাচার্যের অধীনে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার চেয়ে মৃত্যুই শ্রেয়, সেহে তার উচিৎ যত শীঘ্রই সম্ভব পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে বিদায় নেওয়া।

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা দূরীকরণে তারা রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের আশু দৃষ্টি কামনা করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত