নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ জানুয়ারি, ২০২২ ০৪:২৩

শাবিতে বসেছে ‘চাষাভুষার টং’

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনের সময় মঙ্গলবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) টং দোকান ও ফুডকোর্টগুলো বন্ধ করে দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে বেকায়দায় পড়েছিলেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

অবশেষে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই খুলেছেন তেমন দোকান। বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর এলাকায় গড়ে ওঠেছে এমনই দোকান। দোকানটিতে ভিড় করছেন শিক্ষার্থীরা।

দোকানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘চাষাভুষার টং’।

এরআগে গত ১৯ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে কটূক্তির অভিযোগ এনে প্রতিবাদী অবস্থান ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে প্রতিবাদে অংশ নেওয়া এক শিক্ষক বলেন, ‘আমরা চাষাভুষা নই, শিক্ষক। আমাদের সম্মান দিতে হবে।’ ওই শিক্ষকের এমন মন্তব্যের জেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ আনেন, ‘ওপর মহলের’ নির্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব টং ও ফুডকোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে হলগুলোর ডাইনিংও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বেকায়দায় ফেলতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা টংয়ের বিকল্প ব্যবস্থা করেছে। এর প্রায় দুই ঘণ্টা পর রাত ১১টার দিকে গোলচত্বর এলাকায় টং দোকান বসানো হয়।

টং দোকানটি বসিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা। ১৫ থেকে ২০ জন শিক্ষার্থী মিলে দোকানের কাজ সামলাচ্ছিলেন।

রং চা পাঁচ টাকা ও দুধ চা আট টাকা দাম ধরে চার্ট টাঙানো হয়েছে। তবে যারা চা খাচ্ছেন তারা অনেকেই এর চেয়ে বেশি টাকা দিয়ে যাচ্ছেন। টাকাগুলো একসঙ্গে রাখা হবে। ক্যাম্পাসের দোকান ও ফুডকোর্টগুলো পরদিনও বন্ধ থাকলে এই টং দোকান আবার চালু করা হবে। শিক্ষার্থীরাই নিজস্ব অর্থায়নে কাপ, চিনি, আদা, চা পাতা, কেতলিসহ টং দোকান চালানোর বিভিন্ন সামগ্রী জোগাড় করেছেন।

জানা যায়, এক শিক্ষকের মন্তব্যের প্রতিবাদেই দোকানের নাম ‘চাষাভুষার টং’ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে টং দোকানগুলো বন্ধ থাকায় এর বিকল্প হিসেবে শিক্ষার্থীরাই এ দোকানটি বসিয়েছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত