শাবিপ্রবি প্রতিনিধি

১৭ মার্চ, ২০২২ ১৮:৩৫

বর্ণিল আয়োজনে শাবিপ্রবিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন

নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) প্রশাসন।

এই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সকাল থেকে নানা কর্মসূচি পালন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে সকাল ৮ টা থেকে গোলচত্বরে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও  দেশাত্মবোধক গান প্রচার শুরু হয়। এরপর সকাল ৯টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সাথে হাতে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন, পরে বঙ্গবন্ধুর  প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এস এম সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গবেষণা সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. আব্দুল গনির সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘তরুণ শিক্ষার্থীরা অনেক স্বপ্ন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে। তবে ক্যাম্পাসে এসে সিনিয়র-জুনিয়র পরিচিতির নামে র‌্যাগিংয়ের শিকার হতে হয় নবীনদের। যা তাদের স্বপ্নকে দূর্বিষহ করে তোলে। এমনকি অনেকে র‌্যাগিং সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে বসে’।

র‌্যাগিংয়ের বিষয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় একটি র‌্যাগিং মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। কয়েক বছর ধরে আমাদের ক্যাম্পাসে কোন ধরণের র‌্যাগিং নেই। তবে নবীন শিক্ষার্থীদের আগমনকে কেন্দ্র করে ধরেণের ঘটনা যেন না ঘটে, সেজন্য আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আবার কিছু জ্ঞানপাপী আছে যারা বলে, সিনিয়রদের সাথে জুনিয়রের পরিচিত হওয়ার জন্য হলেও র‌্যাগিং দরকার! এর থেকে লজ্জার ব্যাপার আর থাকতে পারে না। তাই সকলকে র‌্যাগিংয়ের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান উপাচার্য’।

বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক নির্মূল প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে উল্লেখ করে ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় মাদকমুক্ত। কয়েক বছর ধরে আমরা নতুন শিক্ষার্থীদের ডোপ টেস্ট করিয়ে ভর্তি করছি, যা এখন সরকারি কর্ম কমিশন থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অনুসরণ করে। তাই ক্যাম্পাসে কেউ যেনো মাদক সেবন ও ব্যবসা করতে না পারে সেজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে’।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মস্তাবুর রহমান, ফিজিক্যাল সায়েন্সেস অনুষদের ডীন অধ্যাপক. ড. রাশেদ তালুকদার, অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেস অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. আরিফুল ইসলাম, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডীন অধ্যাপক দিলারা রহমান, কেমিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড পলিমার সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. আখতারুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর তৈমুর, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ মহিবুল আলম, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি মো. তাজিম উদ্দিন, কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. ছাদেক আহমেদ, সহায়ক কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) জুয়েল মিয়া, ছাত্রলীগ নেতবৃন্দের মধ্যে মো. খলিলুর রহমান, সজিবুর রহমান, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।

এসময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ছাত্রলীগের সর্বস্থরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া এ দিবস উপলক্ষে সকাল ১১ টায় মুক্তমঞ্চে শিশু-কিশোরদের নিয়ে অনুষ্ঠান, বাদে যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ও সন্ধ্যায় ইউনিভার্সিটি সেন্টারে প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত